Thread Rating:
  • 21 Vote(s) - 2.71 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Thriller Psycho (সাইকো)
#1
Exclamation 
ট্রেইলার  
রহমতুল্লা- আজিমপুর কোথায় থাকোস? 
মাতাল- পুলিশ স্টেশনে থাকি আমি। 
জসিম- তুই চোর না ডাকাত?
মাতাল- স্যার আমি খুনি। দুইখান খুন করছি আর আখ্যান করব 

প্রতিটি মানুষই কি আজ মাতাল নয়? জানতে সাথে থাকুন। আসছে Psycho (সাইকো)।পর্ব ১: মাতাল

একজন বড় মিথ্যাবাদী, একজন বড় জাদুকরও
[+] 6 users Like Dead people's post
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
#2
সবাই নাকি মাতাল
কি যে হলো আজকাল
[+] 3 users Like poka64's post
Like Reply
#3
[Image: images.jpg]
Like Reply
#4
পর্ব ১: মাতাল
রাত ২টা পার হয়ে গেছে মনেহয়। মনেহয় বললাম কারন ঘড়িটা নষ্ট। আর মোবাইলেও চার্জ নেই। হটাৎ পাশে দেখি আমারই ছায়া মূর্তি।  যতদূর জানি আমি এখনো ঘুমাইনি। তার স্বপ্ন দেখছি না। এবং স্বপ্ন দেখছি না এই জ্ঞানটা যখন আছে, এর মানে আমি কল্পনা করছি না। আমার পাশে সে সিগারেট খাচ্ছে? নেশার ঘোরে নিজেকেই নেশা করতে দেখছি। শালা মরে গেলাম নাকি?
এমনটা এই প্রথম না। এর আগেও আমার সাথে এমন হয়েছে। আমার এই দ্বিতীয় সত্তাকে আমি একটু ভয় পাই। তাই নেশা করলে যতটা সম্ভব বন্ধুদের সাথেই থাকি। আজ অবশ্য একটা শিকার ধরতে হবে। তাই এখানে একা একাই বসে আছি। একটু ভুল বললাম। আমার বন্ধুরাও আছে। ওরা একটু দূরে লুকিয়ে আছে।
যদিও ঢাকার আকাশে তারা দেখা যায় না, তবু একটা গানই গাইতে ইচ্ছা করছে।
মাতাল- আমার ভিনদেশি তারা

         একা রাতেরই আকাশে

         তুমি বাজালে একতারা

       আমার চিলেকোঠার পাশে
...
সুকু- এ, বিজয়, তুই শিওর তো কোনো সমস্যা হবে না।
বিজয়- সব তো ঠিকঠাকই হওয়ার কথা।
আদি- দেখ ভাই এর আগে কিন্তু উৎস একবার ধরা পড়ছে। এবার আবার ওরকম কিছু না হয়।
বিজয়- আমি কি জানি? ও চুন্দির পো কি প্লান করছে, ওই জানে... চুপ চুপ।  পুলিশের গাড়ি যাচ্ছে ওর দিকেই।
...
রহমতুল্লা- বুঝলি জসিম, পুলিশের চাকরি করতে হলে দম লাগে। তোর ভাবি তো মনে করে আমার দমই নাই।
জসিম- স্যারের কি রাতে কোনো প্রবলেম হয়?
রহমতুল্লা- আরে ধুর মিয়া কিযে কস। আমিতো বিয়া করে শশুর বাড়ি থেকে দেয়া খাট ভেঙে ফেলছিলাম। তোর ভাবির সে কি লজ্জা।
জসিম- লজ্জা তো পাইবোই। তয় স্যার আপনের দম আছে।
মাতাল- আমার বিচ্ছিরি এক তারা

           তুমি নাও না কথা কানে

           তোমার কিসের এতো তাড়া?

            রাস্তা পার হবে সাবধানে
রহমতুল্লা- এ জসিম, গাড়িটা ঘোরা।
জসিম গাড়িটা ঘুরিয়ে মাতালের সামনে এনে দাড় করালো।
মাতাল - তোমার গায় লাগে না ধুলো

           আমার দু'মুঠো চাল-চুলো

          তোমার গায়ে লাগে না ধুলো

          আমার দু'মুঠো চাল-চুলো
রহমতুল্লা- ভয় আমি তোরে দেখাচ্ছি থাম। ঐ হালা, তোর বাড়ি কই।
মাতাল- রাখো শরীরে হাত যদি

           আর জল মাখো দুই হাতে

          Please ঘুম হয়ে যাও চোখে

         আমার মন খারাপের রাতে
জসিম - হই বেটা, স্যার কি কই শুনোস না
মাতাল- সালামু আলাইকুম স্যার।
রহমতুল্লা- ওই ব্যাটা তোর বাড়ি কই?
মাতাল- স্যার আজিমপুর থানায়।
রহমতুল্লা- আজিমপুর কোথায় থাকোস?
মাতাল- পুলিশ স্টেশনে থাকি আমি।
জসিম- তুই চোর না ডাকাত?
মাতাল- স্যার আমি খুনি। দুইখান খুন করছি আর আরেকখ্যান করব
রহমতুল্লা- পুলিশের সাথে মশকারি করস?  জসিম একে গাড়িতে তোল। আজ বুঝিয়ে দেবো পুলিশের সাথে মশকারি মানে কি।
মাতাল- আপনি প্রমাণ ছাড়া আমাকে ধরতে পারেন না। পুরো ভার্সিটি আপনার থানায় গিয়ে হাজির হবে। সামনের মাসে যখন সকালবেলায় আপনি হাঁটতে বের হবেন, তখন একটা লাশ খুঁজে পাবেন। ওটাকে আমি খুন করবো। প্রমান পেলে আমাকে ধরবেন।
রহমতুল্লা- এ জসিম, এ কয় কি?
জসিম- বাদ দেন তো। এসব ভার্সিটির ছেলেদের সাথে কোনদিন লাগতে যাবেন না।
মাতাল- স্যার আমি আসি। বাই বাই।
রহমতুল্লা- ঐ ব্যাটা থাম। ঐ...
জসীম- স্যার ওরে যাইতে দ্যান। ওসব ফালতু বিষয়ে নাক গলাবেন না।  আপনি ধরবেন রাঘব বোয়াল। ঐ রতনরে খুইজা বাইর করেন। রেপ কেস। মায়া নামের এক হিদু মাগী চুদে গা ঢাকা দিছে। ধরতে পারলে বড়লোক বাপ ম্যালা ট্যাকা। আপনি বদলি নিয়ে চলে যাবেন। ফাইল ক্লোজড।
রহমতুল্লা- ভালো বলেছিস। ফাইল ক্লোজড।
...
দূর থেকে ভেসে আসে...
আমার রাত জাগা তারা


তোমার আকাশ ছোঁয়া বাড়ি

আমি পাই না ছুঁতে তোমায়

আমার একলা লাগে ভারী

আমার রাত জাগা তারা

তোমার আকাশ ছোঁয়া

আমি পাই না ছুঁতে তোমায়

আমার একলা লাগে ভারী

চলবে...


একজন বড় মিথ্যাবাদী, একজন বড় জাদুকরও
[+] 7 users Like Dead people's post
Like Reply
#5
বোড়ের চালে খেলা হলো শুরু
নিজের মতো চালিয়ে যাও গুরু
[+] 2 users Like poka64's post
Like Reply
#6
শুরুটা মন্দ হয় নি । কথার মাঝে একটু বেশি কবিতা হয়ে যাচ্ছে মন হচ্ছে। একটু বড় আপডেট দেওয়ার চেষ্টা করবেন লেখক।
horseride আমাকে আমার মত থাকতে দাও horseride
[+] 1 user Likes Boti babu's post
Like Reply
#7
(02-10-2022, 06:30 PM)Boti babu Wrote: শুরুটা মন্দ হয় নি । কথার মাঝে একটু বেশি কবিতা হয়ে যাচ্ছে মন হচ্ছে। একটু বড় আপডেট দেওয়ার চেষ্টা করবেন লেখক।

ধন্যবাদ দাদা। পরের পর্বগুলো বড় করার চেষ্টা করব। সাথে থাকবেন। 

একজন বড় মিথ্যাবাদী, একজন বড় জাদুকরও
[+] 1 user Likes Dead people's post
Like Reply
#8
(02-10-2022, 06:11 PM)poka64 Wrote: বোড়ের চালে খেলা হলো শুরু
নিজের মতো চালিয়ে যাও গুরু

এটা আমার গল্প নয়।
এটা আমার মা-বোনের গল্পও নয়।
এ-এক সমাজের গল্প।
এ শিকারির আর হায়নাদের গল্প।

একজন বড় মিথ্যাবাদী, একজন বড় জাদুকরও
[+] 2 users Like Dead people's post
Like Reply
#9
Exclamation 
ট্রেইলার
সবোচ্চ হলে ৭-১০ ঘন্টা আগে মারা গেছে। কিছু মৃত্যু যন্ত্রনা যে কি- সেটা যে কয়েক টানা কয়েক সপ্তাহ তার উপরে চলেছে এটা বুঝতে আর যায় থোক ময়না তদন্ত করতে হয় না। এথম দেখাতেই বমি ঠেলে বেড়িয়ে আসতেছিল রহমতুল্লার মতো মনের মানুষেরই। বাকিদের কথা তো ছেড়েই দিন।

এ কার লাশ পাওয়া গেল হটাৎ করে? জানতে সাথে থাকুন। আসছে ২য় পর্ব: লাশ...

একজন বড় মিথ্যাবাদী, একজন বড় জাদুকরও
[+] 2 users Like Dead people's post
Like Reply
#10
পর্ব ২: লাশ
সেলিম- স্যার লাশের পরিচয় পাওয় গেছে।

রহমতুল্লা- বলো...

সেলিম- নাম রনত আহমদ। আহমদ এক্সপোর্ট এন্ড ইমা এন্ড ইমপোর্ট কোম্পানির মালিক হাজী আহমদ এর একমাত্র ছেলে। ১ মাস আগে রতনের নামে ''. ও হত্যার চেষ্টার মামলা করা হয়েছিল। মেয়ে বাবা বাদী হয়ে মামলাটা করেছিল। মেয়ের নাম মায়া দাস। * পরিবার। খুব বেশি অর্থ-সম্পদ নেই, যে সে রতনের সাথে মামলায় জিতবে। তাও চেষ্টা করেছিল। মামলার পরদিন থেকেই রতন নিখোজ হয়, এবং এ সম্পর্কে  হাজী আহমদ নিজে বাদী হয়ে মামলাও করেছেন। এছাড়াও রতনের...

রহমতুল্লা- আচ্ছা, মায়ার কোনো বড় ভাই বা প্রেমিক-ট্রেমিক কেউ কি ছিল?

সেলিম- না স্যার কেমন কিছু শোনা যায়নি। কেন স্যার আপনি কি কাউকে সন্দেহ করছেন?

রহমতুল্লা- না সেলিম, সেটা না তুমি বুঝবে না। মেয়েটার বাসা কোথায়? আর কোন থানাতে ওরা জিডি করছিল? আর রতনের বাপ কোথায় জিডি করেছিল সব রিপোর্ট  আর জিডি ফাইল এনে দাও।

সেলিম- এইযে স্যার আমার কাছেই আছে।

রহমতুল্লা- তো না দিয়ে, দাঁড়িয়ে আছিস ক্যা রে ভাই? ময়না তদন্তের রিপোর্ট কি এসেছে?

সেলিম- না স্যার। ওটা এলে আমি রিপোর্ট করে দিব।

রহমতুল্লা- আচ্ছা এখন যা। আর জসিমকে গাড়ি বের করতে বল। আমি একটু ঐ মাগীর বাড়ি থাকে ঘুরে আসি।

সেলিম- স্যার!

রহমতুল্লা- আরে মায়ার বাড়ি যাবো। ওর ফ্যামিলি, আর ওর সাথে কথা বলার আছে। তুই হাসপাতালে যা। রিপোর্ট রেডি হলে আমাকে খবর দিবি। হাজী সাহেবের কাছে লাশ হস্তান্তর করারও তো একটা বিষয় আছে। ওগুলো তুই সামলে নে।
...
২৫ বছর। পুরো ২৫ বছরের ক্যারিয়ারে এমন কোনো লাশ দেখে নি রহমহতুল্লা। ঘুষের টাকায় পাওয়া চাকরি। টেবিলের নিচের ইনকামটাও  প্রমোশনের পর বেড়েছে স্বাভাবিক ভাবেই ভুড়িটা সবার নজতে এসেছে। তাই নজর এড়াতে ভোরে উঠে একটু হাঁটাহাঁটি। ভোর বেলায় হাঁটাহাঁটি টা মন্দ নয়। পুলিশ কোয়ার্টারে সামনের মাঠ টা বেশ ভালোই বড়। পুলিশে শরীর চর্চার জন্য দেয়া। কচি বউটা নিয়ে কোয়ার্টারেই থাকে। সামনে একটা বাগান আছে। একটু তো, সদব্যবহার তো করতেই হয়। তাই আসা। পুলিশ ছাড়াও পাশের কলনীর লোকেরাও আসে কমবেশি। হঠাৎ মাঠের মঝে জটলা দেখে এগিয়ে গিয়েই থমকে দাঁড়াই  সে।
সবোচ্চ হলে ৭-১০ ঘন্টা আগে মারা গেছে। কিছু মৃত্যু যন্ত্রনা যে কি সেটা যে টানা কয়েক সপ্তাহ তার উপরে চলেছে এটা বুঝতে আর যায় হোক ময়না তদন্ত করতে হয় না। প্রথম দেখাতেই বমি ঠেলে বেড়িয়ে আসতেছিল রহমতুল্লার মতো শক্ত মনের মানুষেরই। বাকিদের কথা তো ছেড়েই দিন।
...

রহমতুল্লা- বুঝলি জসীম, সমটা আমর খুবই খারাপ যাচ্ছে।

জসিম- হ সাব। আপনি তো আর ১-২ লাখ না, পুরা ১০লাখ হাকাইছেন। আরো কইছেন তার ছেলেরা আপনি আনি দেবেন। এহনতো পোলার লাশ পাইছেন। পোলা তো নাইগা।

রহমতুল্লা- শুধুকি সেটা? রতনের বাপ আবার আমার পিছে না পড়ে যায়। ফাইলাগুলো নিয়েছিস?

জসিম- হ সাব। কৈ যাইবেন ?.

রহমতুল্লা- মায়ার বাসায়।
...
কন্ঠ১- আরে আরে মার মার মার... ডান দিক দিয়ে। ঐ যে ছাদের ওপর। উপরে তাকা বাঞ্চু। আরে হেডসুট কর।

কন্ঠ২- আমি মারছি, তুই কভার দে বাল। বোকাচোদার মতো বেশি চিল্লাস না...

কন্ঠ৩- বাহ্ ভালো। খুব ভালো। আর ওই দিকে বাঁশ নিয়ে দুইজন দুই দিক থেকে তৈরি।

কন্ঠ২- তোর আবার কি হলো? ডেটে গিয়ে কি একসাথে দুই গার্লফ্রেন্ডের কাছে ধরা খেয়েছিস?

কন্ঠ৩- ফাজলামো করিস না। এতদিনতো শুধু পুলিশ ছিলই। এখন মনে হচ্ছে রতনের বাপ আমাদের পিছনে পড়ে যাবে। আর তুই এত ডিটেল্ ভাবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট কেন করেছিস?

কন্ঠ ১- আমি আবার কি করলাম? উৎস কোথায়? এ ঘাটের মড়া  এদিক আয়তো...

কন্ঠ৪- হয়ছে কি? কে কি করে নেয়, আমি দেখবো। সুবীরের সময় তো জেলেও গেছিলাম। এমনকি ওর বাপ আমার পা ভেঙে দিছিলো। থামাতে কি পেরেছে? আমরা কোন অন্যায় করছি না এটা মনে রাখিস।

কন্ঠ১- হুম কথা তো ঠিক। কোর্টের বিষয় অরন্য আর ওর কাকা মানে উৎসর মামা সামলে নিবে। হাসপাতাল আর মর্গ আমি দেখবো। তোরা শুধু উৎসর কথা মতো কাজ করে যা।

কন্ঠ২- ঠিক বলেছিস। একসাথে প্লান করে কাজ করলে রহমতুল্লা তো ছাড়, ওই হাজীও কিছু করতে পারবে না। তবে প্রবলেম একটাই।

কন্ঠ৩- কি?

কন্ঠ২- তোর প্যান্ট ঠিক থাকলেই হবে। আই মিন, না ভেজালেই হলো।

কন্ঠ৩- হালা, বান্দির পুত...

সমস্বরে হাসির ঢেউ খেলে যায় সবার মাঝে। কে বলবে এদের এই হাসিমুখের আড়ালে লুকিয়ে আছে সুপ্ত খুনির দল...

চলবে...

একজন বড় মিথ্যাবাদী, একজন বড় জাদুকরও
[+] 3 users Like Dead people's post
Like Reply
#11
(05-10-2022, 11:54 AM)Dead people Wrote: পর্ব ২: লাশ
সেলিম- স্যার লাশের পরিচয় পাওয় গেছে।

রহমতুল্লা- বলো...

সেলিম- নাম রনত আহমদ। আহমদ এক্সপোর্ট এন্ড ইমা এন্ড ইমপোর্ট কোম্পানির মালিক হাজী আহমদ এর একমাত্র ছেলে। ১ মাস আগে রতনের নামে ''. ও হত্যার চেষ্টার মামলা করা হয়েছিল। মেয়ে বাবা বাদী হয়ে মামলাটা করেছিল। মেয়ের নাম মায়া দাস। *  পরিবার। খুব বেশি অর্থ-সম্পদ নেই, যে সে রতনের সাথে মামলায় জিতবে। তাও চেষ্টা করেছিল। মামলার পরদিন থেকেই রতন নিখোজ হয়, এবং এ সম্পর্কে  হাজী আহমদ নিজে বাদী হয়ে মামলাও করেছেন। এছাড়াও রতনের...

রহমতুল্লা- আচ্ছা, মায়ার কোনো বড় ভাই বা প্রেমিক-ট্রেমিক কেউ কি ছিল?

সেলিম- না স্যার কেমন কিছু শোনা যায়নি। কেন স্যার আপনি কি কাউকে সন্দেহ করছেন?

রহমতুল্লা- না সেলিম, সেটা না তুমি বুঝবে না। মেয়েটার বাসা কোথায়? আর কোন থানাতে ওরা জিডি করছিল? আর রতনের বাপ কোথায় জিডি করেছিল সব রিপোর্ট  আর জিডি ফাইল এনে দাও।

সেলিম- এইযে স্যার আমার কাছেই আছে।

রহমতুল্লা- তো না দিয়ে, দাঁড়িয়ে আছিস ক্যা রে ভাই? ময়না তদন্তের রিপোর্ট কি এসেছে?

সেলিম- না স্যার। ওটা এলে আমি রিপোর্ট করে দিব।

রহমতুল্লা- আচ্ছা এখন যা। আর জসিমকে গাড়ি বের করতে বল। আমি একটু ঐ মাগীর বাড়ি থাকে ঘুরে আসি।

সেলিম- স্যার!

রহমতুল্লা- আরে মায়ার বাড়ি যাবো। ওর ফ্যামিলি, আর ওর সাথে কথা বলার আছে। তুই হাসপাতালে যা। রিপোর্ট রেডি হলে আমাকে খবর দিবি। হাজী সাহেবের কাছে লাশ হস্তান্তর করারও তো একটা বিষয় আছে। ওগুলো তুই সামলে নে।
...
২৫ বছর। পুরো ২৫ বছরের ক্যারিয়ারে এমন কোনো লাশ দেখে নি রহমহতুল্লা। ঘুষের টাকায় পাওয়া চাকরি। টেবিলের নিচের ইনকামটাও  প্রমোশনের পর বেড়েছে স্বাভাবিক ভাবেই ভুড়িটা সবার নজতে এসেছে। তাই নজর এড়াতে ভোরে উঠে একটু হাঁটাহাঁটি। ভোর বেলায় হাঁটাহাঁটি টা মন্দ নয়। পুলিশ কোয়ার্টারে সামনের মাঠ টা বেশ ভালোই বড়। পুলিশে শরীর চর্চার জন্য দেয়া। কচি বউটা নিয়ে কোয়ার্টারেই থাকে। সামনে একটা বাগান আছে। একটু তো, সদব্যবহার তো করতেই হয়। তাই আসা। পুলিশ ছাড়াও পাশের কলনীর লোকেরাও আসে কমবেশি। হঠাৎ মাঠের মঝে জটলা দেখে এগিয়ে গিয়েই থমকে দাঁড়াই  সে।
সবোচ্চ হলে ৭-১০ ঘন্টা আগে মারা গেছে। কিছু মৃত্যু যন্ত্রনা যে কি সেটা যে টানা কয়েক সপ্তাহ তার উপরে চলেছে এটা বুঝতে আর যায় হোক ময়না তদন্ত করতে হয় না। প্রথম দেখাতেই বমি ঠেলে বেড়িয়ে আসতেছিল রহমতুল্লার মতো শক্ত মনের মানুষেরই। বাকিদের কথা তো ছেড়েই দিন।
...

রহমতুল্লা- বুঝলি জসীম, সমটা আমর খুবই খারাপ যাচ্ছে।

জসিম- হ সাব। আপনি তো আর ১-২ লাখ না, পুরা ১০লাখ হাকাইছেন। আরো কইছেন তার ছেলেরা আপনি আনি দেবেন। এহনতো পোলার লাশ পাইছেন। পোলা তো নাইগা।

রহমতুল্লা- শুধুকি সেটা? রতনের বাপ আবার আমার পিছে না পড়ে যায়। ফাইলাগুলো নিয়েছিস?

জসিম- হ সাব। কৈ যাইবেন ?.

রহমতুল্লা- মায়ার বাসায়।
...
কন্ঠ১- আরে আরে মার মার মার... ডান দিক দিয়ে। ঐ যে ছাদের ওপর। উপরে তাকা বাঞ্চু। আরে হেডসুট কর।

কন্ঠ২- আমি মারছি, তুই কভার দে বাল। বোকাচোদার মতো বেশি চিল্লাস না...

কন্ঠ৩- বাহ্ ভালো। খুব ভালো। আর ওই দিকে বাঁশ নিয়ে দুইজন দুই দিক থেকে তৈরি।

কন্ঠ২- তোর আবার কি হলো? ডেটে গিয়ে কি একসাথে দুই গার্লফ্রেন্ডের কাছে ধরা খেয়েছিস?

কন্ঠ৩- ফাজলামো করিস না। এতদিনতো শুধু পুলিশ ছিলই। এখন মনে হচ্ছে রতনের বাপ আমাদের পিছনে পড়ে যাবে। আর তুই এত ডিটেল্ ভাবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট কেন করেছিস?

কন্ঠ ১- আমি আবার কি করলাম? উৎস কোথায়? এ ঘাটের মড়া  এদিক আয়তো...

কন্ঠ৪- হয়ছে কি? কে কি করে নেয়, আমি দেখবো। সুবীরের সময় তো জেলেও গেছিলাম। এমনকি ওর বাপ আমার পা ভেঙে দিছিলো। থামাতে কি পেরেছে? আমরা কোন অন্যায় করছি না এটা মনে রাখিস।

কন্ঠ১- হুম কথা তো ঠিক। কোর্টের বিষয় অরন্য আর ওর কাকা মানে উৎসর মামা সামলে নিবে। হাসপাতাল আর মর্গ আমি দেখবো। তোরা শুধু উৎসর কথা মতো কাজ করে যা।

কন্ঠ২- ঠিক বলেছিস। একসাথে প্লান করে কাজ করলে রহমতুল্লা তো ছাড়, ওই হাজীও কিছু করতে পারবে না। তবে প্রবলেম একটাই।

কন্ঠ৩- কি?

কন্ঠ২- তোর প্যান্ট ঠিক থাকলেই হবে। আই মিন, না ভেজালেই হলো।

কন্ঠ৩- হালা, বান্দির পুত...

সমস্বরে হাসির ঢেউ খেলে যায় সবার মাঝে। কে বলবে এদের এই হাসিমুখের আড়ালে লুকিয়ে আছে সুপ্ত খুনির দল...

চলবে...

একজন বড় মিথ্যাবাদী, একজন বড় জাদুকরও

Khub sundor egocche dada.... Poroborti update er opekkhay roilam...
Agam shubho bijoya-r Priti o shubheccha Lekhok ke ebong baki sobaike
[+] 1 user Likes WrickSarkar2020's post
Like Reply
#12
(05-10-2022, 12:48 PM)WrickSarkar2020 Wrote: Khub sundor egocche dada.... Poroborti update er opekkhay roilam...
Agam shubho bijoya-r Priti o shubheccha Lekhok ke ebong baki sobaike

ধন্যবাদ দাদা।  Namaskar শুভ বিজয়া Namaskar

একজন বড় মিথ্যাবাদী, একজন বড় জাদুকরও
[+] 1 user Likes Dead people's post
Like Reply
#13
দারুন এভাবে চলতে হবে।
horseride আমাকে আমার মত থাকতে দাও horseride
[+] 1 user Likes Boti babu's post
Like Reply
#14
(05-10-2022, 08:11 PM)Boti babu Wrote: দারুন এভাবে চলতে হবে।

চেষ্টা করবো দাদা। আপনিও সাথে থাকবেন...

একজন বড় মিথ্যাবাদী, একজন বড় জাদুকরও
Like Reply
#15
Exclamation 
ট্রেইলার 
একটা সময় ছিল যখন শিক্ষকের প্রতিটা কথা সব ছাত্র ছাত্রীরা মন দিয়ে শুনতো। ২+২  যদি শিক্ষক ৫ ও বলতো তবে চোখ বন্ধ করে মেনে নিতো। আর এখন, বেজ্জতি করতে পারলে কুল হবে সবার মাঝে... যেমন শিক্ষাব্যবস্থা তেমনি তো সমাজ হবে...
সমাজ আজ কতটা নিচে নেমে গেছে ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে বয়োজ্যেষ্ঠ । এমনকি পুলিশও... আসছে ৩য় পর্ব: তদন্ত 

একজন বড় মিথ্যাবাদী, একজন বড় জাদুকরও
একজন বড় মিথ্যাবাদী, একজন বড় জাদুকরও
Like Reply
#16
পর্ব ৩: তদন্ত
(উসওওছচ্ আহহ্। নাহ চায়ে চিনি দেয় নি। পুড় তিতা বানাই ফেলছে। সাব যে ক্যামনে খাচ্ছে কে জানে । এটাতো মায়ার মা। তাইলে কি ঐ পাশে বসে থাকা মেয়েটাই মায়া? উফ্ শালা খান্দানী মাল একপিস। ফিগার বানাইছে কি দেখ। রতকের আর কি দোষ। এম্মা ছেমরি যদি রাস্তায় রাতে একা একা ঘুরে, আমি হলে তো ছিড়ে পিষে ফেলতাম। হট স্যারই বা বসে বসে কি প্যানন প্যানানি কান্না শুনছে এই মা মাগীটার।  যত্তসব...)
রহমতুল্লা- জসিম!

জসিম- হ, হ সার কন।  (ভাবনায় ছেদ পরায় কিছুটা বিব্রত হয়ে পড়েছে বুঝতে পেরেই বলে উঠলো,) সাব, আপনি আমি গাড়ি থেকে ফাইলটা লইয়া আসি।

রহমতুল্লা- যাও, (হটাৎ ফোনে রিং আসায় কিছুটা ব্যস্ত  হয়ে পরে রহমতুল্লা)

জসিম- ঊফ্ বাবা, খুব বাচা বেঁচেছি। কে জানে সাব খেয়াল করেছে কিনা আমি ঐ মেয়েটার দিকে ওভাবে তাকিয়েছিলাম। ভাগিস্য ফোনটা এসেছিল। (এসব ভাবতে ভাবতে বাড়ি থেকে বের হয়ে গাড়ি থেকে ফাইলটা নিয়ে খুলে একট চোখ বোলাতে থাকে।
...
আদি- তো আজকে আমার পড়বো এসিড সম্পর্কে। স্বাভাবিক ভাষায় এসিড কাকে বলে? বুঝবো কিভাবে যে আমার সামনে যে তরল পদার্থ টি আছে তা এসিড না ক্ষার নাকি নিরপেক্ষ। সোজা বাংলায়, যে সমস্ত হাইড্রোজেন সমন্বিত যৌগ জলীয় দ্রবণে আয়নিত হয়ে ক্যাটায়ন হিসাবে কেবলমাত্র হাইড্রোজেন আয়ন উৎপন্ন করে তাদের এসিড বলে। কিন্তু পানিতেও তো হাইড্রোজেন আছে তাহলে কি ওটাও এসিড?
দেখো তোমরা আরহেনিয়াস তত্ত্ব তত্ত্ব এগুলো অনেক আগেই পড়ে এসেছ। তাই এসব নিয়ে কথা বলবো না। তোমাকে কোন একটা কিছু একটা এনে বলে যে সেটা কি? তাহলে তুই সোজা বাংলা করে দেবে এটা এসিড। এসিড হোক ক্ষার হোক তোমাকে জানা লাগবে না তুমি বলে দিলেই হল।

ছাত্র ১- কেমনে কি স্যার?

ছাত্র ২- আরে বাল শালা গাঞ্জা খাইয়া আইছে সিওর থাক।

পুরো ক্লাসে হাসির রোল পরে গেল। একটা সময় ছিল যখন শিক্ষকের প্রতিটা কথা সব ছাত্র ছাত্রীরা মন দিয়ে শুনতো। ২+২  যদি শিক্ষক ৫ ও বলতো তবে চোখ বন্ধ করে মেনে নিতো। আর এখন, বেজ্জতি করতে পারলে কুল হবে সবার মাঝে... যেমন শিক্ষাব্যবস্থা তেমনি তো সমাজ হবে।
প্রথম প্রথম কোচিংয়ে ক্লাস নিতে এসে এগুলো খুব খারাপ গায়ে লাগতো আদির। এখন কেন জানিনা এসব অভ্যাস হয়ে গেছে। ক্লাস শান্ত হয়ে গেলে আদি তার লেকচার আবার শুরু করলো। মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে হিসেবে বেঁচে থাকতে হলে সবকিছু হজম করা শিখতে হয়।
আদি- গাঞ্জা শুধু আমি একা খাই না। এই ক্লাসে তোমরা অনেকেই খাও। তো যাই হোক, কোন বস্তু এসিড না ক্ষার তার ধর্ম নির্বাচিত হয় তার বিক্রিয়কের দ্বারা। সেই হিসাবে পানিও এসিড। এমনকি সবচেয়ে নিষ্ক্রিয় পদার্থ আর্গনও এসিড।

ছাত্র ৩- স্যার আজ আপনার জৈব যৌগের পরীক্ষা নেয়ার কথা ছিল।

আদি- ভালোকথা মনে করেছো। সবাই যে যার খাতা বের করো। কুইক কুইক কুইক...
...

উৎস- আরে জসিম ভাই নাকি?

জসিম- কে? কে রে তুই?

উৎস- আমায় চিনলেন না? ঐ যে এক রাতে নেশা করে রাস্তায় পরেছিলাম। আপনার স্যারকে খুব রাগিয়ে দিয়েছিলাম।

জসিম- চিনলাম না। যায় হোক, তোর এদিকে কি?

উৎস- আমি তো ভাই সব জায়গায় থাকি। পুরো ঢাকাই আমার বাড়ি।

জসিম- হ্ তুই তো পুরো ঢাকার রাজা। যা সর্। যত্তসব। কামের সময় কাম করতে দে।

উৎস- আদাব ভাই। আজ তাইলে আসি। আর আপনের স্যারকে আমার সালাম দিয়েন।

জসিম - তুই গেলি এহান তে। যত্তসব আজাইরা পোলাপান। কামের সময় খালি ডিস্ টাব।  হালা সকাল থেকে মেজাজটা খিচরে আছে। আর বান্দির পো আরও বিরগে দিয়ে গেল। (গালি দিতে দিতে বাড়ির মধ্যে ধুকতেই ধাক্কাটা খেল জসিম।) দৌড়ে গিয়ে রহমতুল্লা স্যারকে সব বলতে হবে। কি ভেবে আবার উল্টা দিকে ঘুরে রাস্তায় গিয়ে এদিক ওদিক খুজে দেখে জসীম। না? কোথও নেই। পুরো এলাকা জনমানবহীন। একটা পাতা পড়ারও শব্দও শোনা যায় যেখানে, সেখনে যেন ভোজবাজির মতো একটা আস্ত মানুষ হাওয়ায় মিলিয়ে গেল।
...
রহমতুল্লা- তো মিস্টার দাশ, আপনার দাবি হচ্ছে আপনার পরিচিত এমন কেউ নেই যে এই কাজ করতে পারে। মানে আপনাদের পরিবারের কেউ নয়। আর আপনারদের দাবি মায়ার কোনো বয়ফ্রেন্ড বা এমন কোনো বন্ধু নেই যে এটা প্রতিশোধের জন্য করতে পারে।

পরিমল দাশ- হু... পরিবার। আজকাল তো পরিবার আত্মীয়-স্বজন সবাই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। (একটু থেমে, হঠাৎ চিৎকার করে ওঠে) দোষ কি আমার মেয়ের ছিল? পুরো সমাজ তাকে ছিন্নমূলের মতো ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছে।

রহমতুল্লা- দেখুন দাশ বাবু আমি আপনার বিষয়টা বুঝতে পারছি। আপনিও যদি একটু...

পরিমল- না! আপনি কিছুই বুঝছেন না। আজ যদি মায়া আপনার মেয়ে হতো আপনি বুঝতেন আমাদের কষ্টটা। মা আমার সারাদিন মৃত লাশের মতো জ্বলে পুড়ে মরছে। সমাজে কানাঘুষো চলে। ওর মা কিছু বলতেও পারেনা করতেও পারে না। (হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে মৃন্ময়ী দেবী।)

মায়া- কাকে কি বলছ বাবা? (হঠাৎ সুপ্ত আগ্নিয়গিরির মতো ফেটে ওঠে মায়া) এদের কাছে আমাদের চোখের জলের মূল্য আছে? এদের কাছে ঐ বড়লোক বাপের ইতর, জানেরারে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। আপনাকে বলছি, স্টেটমেন্ট লিখে নিন খুন আমি করেছি। দিবেন ফাঁসি? দিতে পারবে আপনার আইন?
এমন সময় জোড় শব্দে দশজা খুলে হাপাতে হাপাতে ভেতরে এল জসিম।

জসিম- সাব, আহ্ সাব.. খুনি--পাগলটা...

রহমতুল্লা- কি আবোল তাবোল বলছ। খুলে বলো। তোমাকে তো ফাইল আনতে দিলাম এতক্ষন লাগে?

জসিম- সাব ঐ মাতালটাই খুন করছে..... ফাইল... ফাইল আনতে গিয়ে...
চলবে... 

একজন বড় মিথ্যাবাদী, একজন বড় জাদুকরও
[+] 2 users Like Dead people's post
Like Reply
#17
Exclamation 
ট্রেইলার 
সুবির আমাদের এই পথচলার শুরু ছিল। উত্তর পাড়ার ঘটনা ছিল প্র্যাকটিসের অংশ। আর রতন এক নতুন দিগন্ত। এই রতনের সূত্র ধরেই রহমতুল্লা নিজে ঘুষখোর হয়েও আমাদের সামনে এমন অনেক চরিত্র এনে দিবে যাদের.... (এক ইশারাতেই সবাই বুঝে যায় কি হতে চলেছে। সকলে ফেটে পড় এক পৈশাচিক হাসিতে যাতে মিশে আছে অসংখ্য যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু আর এক রক্ত পিপাসু আনন্দ।)

কি এমন উদ্দেশ্য আছে চারজনের? কি এদের উদ্দেশ্য? জানতে হলে সাথে থাকুন আসছে পর্ব ৪: মহল

একজন বড় মিথ্যাবাদী, একজন বড় জাদুকরও
Like Reply
#18
Valo hoyeche... Continue
[+] 1 user Likes Dushtuchele567's post
Like Reply
#19
[Image: bfc3302e-d833-4a55-af2f-f7589754f271.png]

Result of my 5 weeks trying...
আজ রাতে নতুন পর্ব আসছে। লাইক কমেন্ট করে সাথে থাকুন... 


একজন বড় মিথ্যাবাদী, একজন বড় জাদুকরও
Like Reply
#20
Exclamation 
পর্ব ৪: মহল
ঘরে ঢুকেই বিজয়ের একদম অন্য এক রূপ দেখা গেলো। একদম পার্টি মুডে আছে। উৎসকে বলল, আারে দোস্ত তুই তো পুরা কাঁপায় দিসস্।
(নিরব হাসছে উৎস। ওকে থেকে বিজয় মিটিমিটি হাসছে।)

-  বিষয় কিরে? (সুকান্তের প্রশ্নে প্রশ্নোত্তর ভাবে তাকিয়ে থাকে আদি ) যেইমাত্র উৎস কিছু বলতে গেল গাড়ি থামিয়ে দিয়ে...

- আগ তুই থাম। এই মাল, এই উৎস তো গত মাসে ছদ্মবেশের পুলিশের কাছে রতনের ভবিষ্যৎবাণী করে এসেছিল। আমরা সবাই মিলে প্লান করেছিলাম। মনে আছে?

আদি- হ্যাঁ, আমি তো সেই ভয় পেয়েগেছিলাম।

-হা,তুইতো প্যান্ট ভিজিয়ে দিলি। মনে নেই আবার? (আদিকে রাগাতে  একটু ছাড়ে না সুকুদা )

আদি- তোকে আমি পরে দেখছি। তুই বলতো হয়ছে কি?

বিজয়- আরে উৎস, আজকে ঐ একই ছদ্মবেশ নিয়ে জসিম কনস্টেবলকে এমন ভয় দেখাছে, ঐ হালাতো এতক্ষণ হাসপাতালে।

আদি- বলিস কি? আবার পুলিশ? তোরে না বলছি আমরা পুলিশি ঝামেলায় থাকবো না। আর গেলেও এমন কিছু করবে না যাতে ধরা পড়ার চান্স আছে। (উত্তেজিত হয়ে ওঠে আদি)

উৎস- দেখ আদি; এতদিন আমরা আমার প্লান অনুযারী কাজ করেছি। কোনো সমস্যা হয়ছে? বল হয়ছে?

আদি- সমস্যা হয়নি। কিন্তু...

উৎস- আর কোনো কিন্তু না। আমি রতনকে মেরেছি শুধু ওকে থামাতে বা মায়ার উপর হওয়া অন্যায়ের প্রতিশোধ নিতে নয়।

কৌতুহলী সুকু (সুকান্ত) প্রশ্ন করে ওঠে-  তাহলে তোর আসল, উদ্দেশ্য কি? এটা কি সুবীরের মত ঘটনা নয়? কিংবা উত্তর পাড়া গায়ের দুই বাপ-বেটাকে মারলাম...

সবাইকে থামিয়ে দিয়ে উৎস একটা বোর্ডের সামনে চলে গেল। ওরা উৎসকে চেনে, ভালভাবে চেনে। উৎস কে গুরুত্ব দেয়ার কারণ আছে। ওরা এমনিতেই কোন নারীর অপমান সহ্য করে না। তাও একবার আদি এক মেয়েকে প্রেমে ঠকিয়ে ছিল এবং ফলস্বরূপ উৎস আদির বাম হাতের, সব নখ উপড়ে দেয়। ওরা তিনজন যদি সাইকো হয়ে থাকে তাহলে উৎস ওদের বাপের বাপ। প্ল্যানিং এর মাস্টার। উত্তরপাড়ায় এক রাতের মধ্যে বাপ বেটাকে এমন ভাবে মেরেছিল, লাশ দুটো ও ভাবে ফেলে গেলে গ্যারান্টি ওরা ধরা পড়ে যেত। কিন্তু উৎস এমন একটা চাল চাললো যাতে মনে হয়, গোলাঘরে হঠাৎ আগুন লেগে ওরা দুই বাপ বেটা মারা গেছে। বোর্ডে লেখালেখি শেষ করে উৎস এবার বোঝাতে লাগলো_

সুবির আমাদের এই পথচলার শুরু ছিল। উত্তর পাড়ার ঘটনা ছিল প্র্যাকটিসের অংশ। আর রতন এক নতুন দিগন্ত। এই রতনের সূত্র ধরেই রহমতুল্লা নিজে ঘুষখোর হয়েও আমাদের সামনে এমন অনেক চরিত্র এনে দিবে যাদের.... (এক ইশারাতেই সবাই বুঝে যায় কি হতে চলেছে। সকলে ফেটে পড় এক পৈশাচিক হাসিতে যাতে মিশে আছে অসংখ্য যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু আর এক রক্ত পিপাসু আনন্দ।)
...
সৌমিক- তারপর কি হলো স্যার?

প্রাইভেট পড়াতে পড়াতে হঠাৎ থেকে গেছিল উৎস। কার গল্প যেন করছিল? ওর নিজের!? এটাতো খুব ভয়ানক হয়ে যাবে। কাপা কাপা কন্ঠে প্রশ্ন করে, "কোথায় ছিলাম আমি?”

সৌমিক- স্যার ঐ যে,  ঐ ছাত্রটা। যে প্রথম অমূলদ সংখ্যা আবিষ্কার করলো। দৌড়ে পিথাগোরাসের বাড়ি গেলো। তারপর?

উৎস- (খানিকটা সস্তির নিঃশ্বাস ফেলে) ওহ্। শোনো পিথগোরাস নিজে ওই ছাত্রের সাথে ওই গাছের নিচে এল। এসে পরদিন সূর্যঘড়ি সাহায্যে ওই গাছের উচ্চতা বের করল। যাতে হিসাব এক চুলও এদিক ওদিক না হয়। তারপর নমে গেল হিসাব করতে। টানা চার দিন বসে যখন সে হিসাব মেলাতে পারল না তখন ভাবল, এই ছেলে যদি বেঁচে থকে, তবে তার সম্মান আর কিছুই থাকবে না।

সৌমিক- Then?

উৎস- then, he killed him...

সৌমিক- কিভাবে?

উৎস- কিভাবে? হুম কিভাবে...। রাতে যখন ঐ ছেলে ঘুমাচ্ছিল, তখন কম্বল দিয়ে ওই ছেলেকে পেচিয়ে বেঁধে , কোনো এক ছোড়া দিয়ে কুপিয়ে , গায়ে এসিড ফেলে পুড়িয়ে, চোখ উপড়ে ফেলে নদীতে ফেলে দেয়।
সৌমিক- এত ভয়ানক? সাইকো ফিল্ম গুলোতেও তো এত ভয়ানক ভাবে মারে না।

উৎস- কি ভয়ানক?

সৌমিক- স্যার, আজকে কি আপনার শরীর খারাপ? কথাগুলো এলোমেলো লাগছে। মনে হচ্ছে মন নেই।

কিছুটা থতমত খেয়ে উৎস বলে উঠলো, “আরে ওসব কিছু না। শোনো, সে কোন আমলে কিভাবে মেরেছিল আমি তা কিভাবে জানবো। এটাতো জাস্ট কথার কথা বললাম।”

সৌমিক- তাই বলেন, আমিতো ভয় পেয়ে গেছিলাম।

উৎস- আর ভয় নাই। চিল্ ম্যান। লাইফ ইজ বিউটিফুল। তুমি ভালো তো দুনিয়া ভালো। আর খারাপ হলে... (নিজের অজান্তে উৎসের মুখে এক পৈচাশিক হাসি ফুটে ওঠে।)
একজন বড় মিথ্যাবাদী, একজন বড় জাদুকরও
Like Reply




Users browsing this thread: 1 Guest(s)