Thread Rating:
  • 22 Vote(s) - 2.55 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Non-erotic চোর ( ছোট গল্প ) --- dada_of_india
#1
চোর


- হ্যালো, কে বাবা?

- না, আমি হাবলু বলছি ........
- আপনি কে?
- আমি হাবলু চোর
- মানে?
- কাল সন্ধ্যেবেলায় আপনার বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে দেখি আপনার বাবা হটাৎ অসুস্থ্ হয়ে পড়েছেন তাই আর চুরি করা হয়নি হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়েছি আপনি কে বলছেন?
- আমি ওনার ছেলে আমেরিকা থেকে বলছি আপনি কি চ্যাংড়ামো মারছেন
- চ্যাংড়ামো মারবো কেন? এই নিন হসপিটালের ফোন নাম্বার আর বেড নাম্বার জিজ্ঞেস করে নিন আর যত তাড়াতাড়ি পারেন আপনি চলে আসুন এভাবে বাবাকে ছেড়ে দিয়ে আমেরিকাতে দিব্ব্যি আছেন আর আমাকে সব কাজকম্মো ফেলে আপনার বাবাকে দেখতে হচ্ছে আপনি আবার বিকেলে ফোন করবেন বাবার সঙ্গে কথা বলিয়ে দেব
 
আসলে হয়েছে কি সেদিন সন্ধ্যাবেলায় হাবলু ওই রাস্তাটা দিয়ে যাচ্ছিল এই বাড়িটার ওপর টার্গেট অনেকদিন ধরেই একা বৃদ্ধ বাড়িতে থাকেন সেটা হাবলুর কাছে খবর আছে দরজাটা খোলা দেখে হাবলু সুড়ুৎ করে ঢুকে সেঁধিয়ে যায় বাড়িটার মধ্যে সন্ধ্যেবেলায় এমনি খোলা বাড়ি পাওয়া মানে হাতে স্বর্গ পাওয়া খুব একটা খাটাখাটির দরকার নেই জামা, জুতো, যা হাতের কাছে পায় তুলে নেয় সঙ্গে হাতঘড়িটাও পকেটে চালান করে দেয় একটু এদিক ওদিক দেখছে আর কি নেওয়া যায় ঠিক সেই সময় সামনের ঘরটা থেকে একটা গোঙানির আওয়াজ পায় হাবলু প্রথমে ভেবেছিল ওকে দেখে হয়তো চিৎকার করার চেষ্টা করছে পালাতে যাবে ঠিক তখন ভাবলো - এটা তো ঠিক চিৎকার নয় - গোঙানি জামা, জুতোটা নামিয়ে রেখে একটু সাহস সঞ্চার করে ঘরটায় উঁকি মারে হাবলু দেখে একটা একা বৃদ্ধ খাটে গোঙাচ্ছে হাতটা বুকের ওপর জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে ওকে দেখে কিছু যেন বলতে চাইল হাবলু বুঝতে পারে কেস সুবিধার নয় কি করবে ভেবে উঠতে পারে না সুবর্ণসুযোগ - ঘরটা খালি করে দেবে? কিন্তু চোখের সামনে একজনকে মরতে দেখে তার সামনে দিয়ে সব কিছু নিয়ে চম্পট দেবে এই হাবলু চোর? একটু দোটানায় পড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে দুএকটা জিনিস আবার ব্যাগে ঢোকায় কিন্তু গোঙানিটা যেন বেড়েই চলেছে আবার ফিরে আসে ঘরে বৃদ্ধলোকটা যেন কিছু বলতে চায় হাবলুকে হাবলু বলে - দাঁড়ান, আপনাকে হসপিটাল নিয়ে যাচ্ছি এখুনি বলে বাইরে গিয়ে একটা ট্যাক্সি এনে ট্যাক্সি ড্রাইভারকে নিয়ে বৃদ্ধকে ধরাধরি করে সোজা হাসপাতাল
 
হাসপাতালে নিয়ে যাবার সময় বৃদ্ধের বালিশের তলা থেকে আলমারির চাবিটা পায় সেটা দিয়ে আলমারি খুলে এদিক ওদিক হাতড়ে হাজার পঁচিশ টাকাও পায় সেই টাকা দিয়ে বৃদ্ধকে হাসপাতালে ভর্তিও করে দেয় "শিশির মুখার্জী" নাম দিয়ে বৃদ্ধকে তাড়াতাড়ি ICU তে নিয়ে যাওয়া হয় ডাক্তার দেখে বলে যে ম্যাসিভ কার্ডিয়াক এরেস্ট এখুনি চিকিৎসা শুরু করতে হবে যাইহোক চিকিৎসা শুরু হয় এবং চিকিৎসায় সারাও দেন উনি ডাক্তার বলে - "ঠিক টাইমে রুগীকে নিয়ে আসা হয়েছে বলে যাত্রায় বেঁচে গেল কিন্তু এখনো কিছুদিন অন্তত হাসপাতালই থাকতে হবে এদিকে নার্সরা বৃদ্ধকে শিশিরবাবু বলে ডাকলে বৃদ্ধ বলেন - "আমাকে শিশিরবাবু বলে কেন ডাকা হচ্ছে? আমার নাম তো মৃনাল" সেই কথা শুনে ওয়ার্ডের সিস্টাররা ওর মুখ চাওয়া চাওয়ি করতে থাকেন আর মৃণালবাবুকে বলা হয় - "কাকু আপনাকে যিনি ভর্তি করিয়েছেন তিনি তো এই নামেই ভর্তি করিয়েছেন" 
 

[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
#2
পরেরদিন হাবলু যথারীতি মৃণালবাবুর সঙ্গে দেখা করতে যায় ICU তে সিস্টাররা হাবলুকে জিজ্ঞেস করেন 

- আপনি এনার কে হন?
- আমি কেউ না
- এনার নাম কি
- মৃনাল মজুমদার
- তাহলে শিশির মুখার্জী নামে কেন ভর্তি করিয়েছিলেন?
- আমি তখন জানতাম না তবে ওনার ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছে ওনার থেকেই নামটা জেনেছি তাতে হয়েছেটা কি
- কিছু না 
যাই হোক হাবলু এবার মৃণালবাবুর সঙ্গে কথা বলতে শুরু করে 
- জ্যাঠা, কেমন আছেন?
- ভালো তুই না থাকলে তো বোধহয় যাত্রায় একদম উপরে চলে যেতাম
- আরে না না আপনি পুণ্যবান লোক, তাই ভগবান আপনাকে বাঁচিয়ে দিয়েছে যাই হোক আপনার ছেলে তো আমেরিকায় থাকে তার সঙ্গে কথা হয়েছে উনি আসছেন খুব তাড়াতাড়ি কাল থেকে আপনার মোবাইলটা নিজের কাছেই রেখেছি, যদি কেউ চেনাজানা ফোন করে তাকে খবরটা দেব বলে এখুনি আপনাকে আপনার ছেলে ফোন করবে বলতে বলতে আমেরিকাবাসী ছেলের ফোন আসে হাবলু ফোনটা মৃনালবাবুকে দেয় কিছুক্ষন বাবা-ছেলের মধ্যে কথাবার্তা হয়
 
- তুই কি বলেছিস আমার ছেলেকে?
- যা সত্যি তাই বলেছি বলেছি যে চুরি করতে ঢুকে আপনার বাবাকে অসুস্থ দেখে হাসপাতালে ভর্তি করে দিই
- তুই চুরির কথাটা বললি কেন? কিছু একটা বানিয়ে বলতে পারতিস 
- না, না জ্যাঠা ধরা আমি পড়ে যেতাম তার চেয়ে ভাবলাম যে সত্যিটাই বলে দিই 
 
যাইহোক প্রত্যেকদিন হাবলু মৃণালবাবুকে দেখতে আসে দেখতে দেখতে কয়েকদিনের মধ্যে আমেরিকাবাসী ছেলে এসে পড়ে পরনে হাফ-প্যান্ট, গায়ে চকরা-বকরা রংচঙে জামা, মাথায় একটা টেক্সাস কাউ-বয় মার্কা টুপি, চোখে রেব্যানের সানগ্লাস, পায়ে স্নিকার হাসপাতালে যাবার আগে থানায় গিয়ে সেই রাতের ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ জ্ঞানগর্ভ ইংরেজীতে লিখে একটা FIR দায়ের করে পুলিশ আদৌ সেই FIR এর বয়ান বুঝতে পেরেছিল কিনা সন্দেহ আছে, সে যাই হোক মুখের বয়ানের এর ভিত্তিতে পুলিশ এসে হাবলুকে থানায় ধরে নিয়ে যায় 
 

[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
#3
পরেরদিন বিকেলে ছেলে হাসপাতালে আসে হাবলুকে দেখতে না পেয়ে মৃণালবাবু ছেলেকে জিজ্ঞেস করেন 

 
- আজ হাবলুটা এলো না কেন?
- Come on, dad! Why are so worried about that bloody thief? 
- কিন্তু সে তো চুরি করেনি তাছাড়া তুই যে আমাকে এখন এখানে দেখছিস সেটা তো ওর জন্যে?
- So what dad? After all he is a thief and he came with the intention of stealing. So he should be sent behind the bars. I think I have a moral responsibility also.
মৃণালবাবু এই নিয়ে আর কথা বাড়ান নি ছেলের সঙ্গে কয়েকদিন পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন
 
 বাড়ি এসেই থানায় হাবলুর সঙ্গে দেখা করতে যান মৃণালবাবু এদিকে কোর্টের ডেটও দেখতে দেখতে চলে এসেছে ইতিমধ্যে হাবলুর কান্ড প্রায় সমস্ত খবরের কাগজের শিরোনামে - "বৃদ্ধের প্রাণ বাঁচিয়ে চোরবাবাজীবনের হাজতবাস" সেই মতো কোর্টে এই কেস কভার করতে মিডিয়ার হুড়োহুড়ি প্রথমে ডাকা হয় মৃণালবাবুর ছেলেকে প্রথমেই ভর্ৎসনা করা হয় কোর্টে হাফ প্যান্ট পরে আসার জন্যে জজসাহেব তাকে ঠিকঠাক পোশাক পরে আসতে বলেন মৃণালবাবু বলেন – “দরজাটা ঐদিন সন্ধ্যাবেলা খোলা ছিল আমি যন্ত্রনায় গোঙাচ্ছিলাম সেই সময় হাবলু রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল গোঙানি শুনে ঘরে ঢুকে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ বলে – “আমাদের খাতায় ওর নাম নেই, এই প্রথমবার ওকে FIR এর বয়ানের ভিত্তিতে আটক করা হয়েছে নিজেই স্বীকার করেছে যে ওর চুরির মতলব ছিল  ততক্ষনে সেই আমেরিকাবাসী ছেলে ভদ্রস্থ পোশাকে আবার এসে হাজির সে বলে – “আমাকেও ফোন করে চুরির কথা স্বীকার করেছে He is a thief”. শেষে ডাকা হয় হাবলুকে হাবলু বলে - "হুজুর আমি গীতা ছুঁয়ে মিথ্যা কথা বলতে পারব না আমি চোর ঐদিন আমি চুরির উদ্দেশ্যেই ঘরে ঢুকেছিলাম কিছু জিনিস ব্যাগে ঢুকিয়েও নিয়েছিলাম কিন্তু পরে জ্যাঠাকে দেখে আমার মনে হয় এখুনি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত তাই আর চুরি করা হয়ে উঠে নি একটা ট্যাক্সি ডেকে হাসপাতালে নিয়ে যাই" মৃণালবাবু বলেন - " মিথ্যা বলছে চুরি করেনি আমার সমস্ত জিনিস ঠিকই আছে" আমেরিকাবাসী বাবাকে বলে  - Dad, would please shut up your mouth? মৃণালবাবু ছেলেকে ধমকে বলেন - "তোর না এলেও চলত তুই বরং আজই আমেরিকা ফিরে যা শুধু মুখে পুঁইপাঁই  ইংরেজী ছাড়া আর কিছু কি শিখেছিস? কুলাঙ্গার কোথাকার"! সবার সামনে বাবার দাবড়ানিতে আমেরিকাবাসী একটু দমে যায় জজসাহেব হাবলুকে জিজ্ঞেস করেন - "তোমার কাছে কোনো চুরির প্রমান আছে?" হাবলু বলে - "আছে" এই বলে পকেট থেকে একটা ঘড়ি বের করে সবাইকে দেখায় এই ঘড়িটা আমি চুরি করেছি, পকেটে ঢুকিয়ে রেখেছিলাম মৃণালবাবু বলেন - "না, না ওটা আমার ঘড়ি নয়" আমেরিকাবাসী বলে - "Hey dad, I gave that swiss watch to you as a gift . So expensive man!! It is $3000, pretty exclusive collection. He stole that, bloody thief!!" জজসাহেব শেষবারের মতো হাবলুকে জিজ্ঞেস করে - "তুমি চিন্তা করে বলছো তো?" পুলিশ বলে - " হাবলু ভেবে দেখ, ওটা ভুল করে তুই নিয়েছিস কি না? তোর কি সত্যি চুরি করা উদ্দেশ্য ছিল?" হাবলু বলে - "হুজুর, সত্যি কথা আমি সহজ ভাবে বলেছি আবারও বলছি আমি চুরি করতেই ঢুকেছিলাম আমি চোর" সভাকক্ষ একদম চুপ মৃণালবাবু হতাশায় ঘাড় নাড়ছেন পুলিশের দীর্ঘশ্বাস! জজসাহেব বললেন - "হাবলু চুরি করতে গিয়েছিল এটা যেমন ঠিক, তার চেয়েও বেশী করে ঠিক যে সে এক মানবিক কাজও করেছে মিথ্যার আশ্রয় না নিয়ে সত্যিটা প্রথম থেকেই স্বীকার করেছে তাই আদালত সবদিক বিবেচনা করে হাবলুকে তিন মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করল" আমেরিকাবাসী বলে - "  What a joke!! He stole such an expensive watch and just awarded only three  months of jail term!!, No way!! I'll go to the Supreme Court."
 
কোর্টের বাইরে পুলিশের ভ্যানে ওঠার আগে মৃণালবাবু দেখা করেন হাবলুর সাথে হাবলু ঘড়িটা ফেরত দিয়ে বলে 
- জ্যাঠা, এটা আমি ইচ্ছে করে এই দিনটার জন্যে রেখেছিলাম আর লাগবে না
- তুই স্বীকার করলি কেন হাবলু?
জ্যাঠা, পুরো দুধে একফোঁটা চোনা হয়ে যেত যে এই মিথ্যাটা বললে আপনি চিন্তা করবেন নি মাত্র তিনমাসের ব্যাপার তো 
 

[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
#4
হাবলু এখন সেলিব্রিটি চোর এই ঘটনা বড় বড় করে সব পেপারে ছাপা হয়েছে হাবলু কে একটা ভদ্রস্থ সেলে রাখা হয় যেখানে অপেক্ষাকৃত 'ভালো' আসামীরা থাকে পঞ্চা  জিজ্ঞেস করে - "হাবলু তুই এতটা বোকামি কি করে করলি? তুই তো না বলে দিলেই তো ছাড়া পেয়ে যেতিস" হাবলু একটা বিড়ি ধরায় দেওয়ালে ঠেস দিয়ে বসে একবার সুখটান দিয়ে ধোঁয়াটা বের করতে করতে বলে - "পঞ্চা, সে তুই বুঝবি না" কিছুক্ষন পর  বিড়িটা মেঝেতে টিপে আঙ্গুল দিয়ে আগুনের বাকি স্ফুলিঙ্গ গুলো ঝেড়ে আধপোড়া বিড়িটা কানে গুঁজে রাখে দেখতে দেখতে ছাড়া পাবার দিন এগিয়ে আসে  সই-সাবুদ করে বেরোতে যাবে দেখে মৃণালবাবু দাঁড়িয়ে আছেন, বলেন - " তোকে নিতে এলাম চল  হাবলু আমার বাড়ি চল" এই বলে হাবলু মৃণালবাবুর সাথে ওঁর বাড়ি আসে দুজনেই একা খাওয়া দাওয়ার পর বেশ কিছুক্ষন গল্প হয় হাবলু বলে

 - আমি এই লাইনে অনেকদিন ধরেই আছি পাঁচ মিনিটেই আমি যে কোন তালা খুলে দিতে পারি তবে আমি পুরো গান্ধীবাদী চোর - অহিংসায় বিশ্বাসী, আজ অবধি কাউকে একটা চড় পর্যন্ত মারিনি গর্ব করে বলতে পারি এখনো পর্যন্ত একবারও ধরা পড়িনি  
 - বাবা তুই তো একটা শিল্পী চোর রে! এতো সূক্ষ্ম হাতের কাজ চল আমরা একটা খেলা খেলি আমি কাল কিছু টাকা তুলে আনবো ব্যাঙ্ক থেকে, তুই যদি রাস্তা থেকে টাকাটা চুরি করতে পারিস তাহলে টাকাটা তোর
- জ্যাঠা, আমি আর চুরি করব না
- তুই এটাকে চুরি ভাবছিস কেন? আমি দেখতে চাই তুই কত বড় শিল্পী!
- আমি আর চুরি করব না 
- তাহলে তুই চ্যালেঞ্জটা নিতে ভয় পাচ্ছিস বল না পারবি না তুই যদি এটাকে চুরি ভাবিস, তাহলে বলি জীবনের শেষ চুরিটা এই চ্যালেঞ্জের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাক
- ঠিক আছে আপনি যখন চ্যালেঞ্জই দিলেন, তাহলে সেটা তো নিতেই হয় যেখানে আমার সম্মানের প্রশ্নও জড়িত
 
আসলে হাবলু মৃণালবাবুর প্রাণ বাঁচিয়েছে তাই তিনি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ হাবলুর কাছে কোথাও যেন মনে হয় সরাসরি টাকা দিলে হয়তো হাবলু নেবে না বা তাকে ছোট করা হবে তাই একটু ঘুরিয়ে নাক দেখানোর চেষ্টা
 
পরের দিন মৃণালবাবু ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে যান ফেরার পথে একটা চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে চায়ের অর্ডার দেন আর ভাবতে থাকেন কখন হাবলু আসবে হয়তো একটু অমনোযোগীও হয়ে পড়েছিলেন ঠিক সেই সময় মৃণালবাবুকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে টাকার ব্যাগটা হাত থেকে কেড়ে নিয়ে কেউ একজন ছুটে পালায় আরে এতো হাবলু নয়! মৃণালবাবু "চোর চোর" বলে চেঁচিয়ে ওঠেন কিন্তু তার আগেই চোরবাবাজী পগার পার মৃণালবাবু ভাবেন - ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার কথা হাবলুই একমাত্র জানত তাহলে কি এটা হাবলুরই কাজ? নিজে না করে কোন শাগরেদকে দিয়ে করিয়েছে তাই বলে এমনি করে ধাক্কা দিয়ে, ছি ছি! মৃনালবাবুর মনটা বেশ খারাপ  সন্ধ্যেবেলা একা বাড়িতে বসে হটাৎ কলিং বেলের আওয়াজ এই সময় আবার কে এল? দরজা খুলে দেখেন হাবলু দাঁড়িয়ে আছে হাবলুকে দেখে হটাৎ খুব রেগে যান মৃণালবাবু বলেন - "তুই অন্যকে দিয়ে টাকাটা চুরি করালি? যে নাকি আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছিল" হাবলু বলে - "জ্যাঠা আমি পুরো ঘটানটাই দেখেছি আমি সামনের একটা গলিতে লুকিয়ে ছিলাম তুমি এলেই পেছন থেকে ব্যাগটা কেটে ঠিক টাকাটা বের করে নিতাম কিন্তু দেখলাম ব্যাটা অন্য একটা চোর টাকাটা নিয়ে ছুটে পালাচ্ছে আমি ছুটি পেছন পেছন চোরটা যে বাসে উঠলআমিও সেই বাসে আর ভিড়ের মধ্যে আমার হাত আবার কথা বলা শুরু করল পরের স্টপেজে আমি ব্যাগটা কেটে টাকাগুলো বের করে নেমে পড়ি এই নিন আপনার টাকা গুনে নিন ঠিক আছে কিনা?" বলে টাকার বান্ডিলটা মৃণালবাবুর হাতে তুলে দিতে যায় মৃণালবাবু বলেন 
 
-তুই যখন পেয়েছিস ওটা তো তোর টাকা তুই রেখে দে
- না না সেরকম তো কথা ছিল না আপনার টাকা তো আমি চুরি করতে পারি নি তাই আপনাকেই দিয়ে গেলাম
 
এই বলে মৃণালবাবুর হাতটা টেনে টাকার বান্ডিলটা গুঁজে দেয় হাবলু যাবার সময় বলে - "জীবনের শেষ চুরিটাই আমার জীবনে সেরা চুরি কখনো চোরের ওপর বাটপারি করিনি আজ সেটাও করলাম আপনার জন্যে" এই বলে হাঁটা দেয় হাবলু মৃণালবাবু তাকিয়ে থাকেন হাবলুর চলে যাবার দিকে, যতক্ষণ না সে অন্ধকারে মিলিয়ে যায়
_____________
[+] 8 users Like ddey333's post
Like Reply
#5
Khub sundar golpo ekta
Like Reply
#6
Salut!
"প্রেয়শী, তুমি জাগরণে, তুমি স্বপ্নে
তবু দেখা হয়নি তোমাকে এ দুটি নয়নে" -- অলীক প্রেম 

Like Reply
#7
মানবিকতা এবং মানুষত্বে ভরপুর এই রকম গল্পের লেখকের মাঝে মাঝে এইসব গুণের অভাব দেখা যায় কি করে    devil2 Flame

❤️❤️❤️
[Image: 20220401-214720.png]
Like Reply
#8
Salut!
"প্রেয়শী, তুমি জাগরণে, তুমি স্বপ্নে
তবু দেখা হয়নি তোমাকে এ দুটি নয়নে" -- অলীক প্রেম 

Like Reply
#9
অসাধারণ .. প্রকৃত লেখককে স্যালুট জানাই .. তার সঙ্গে তোমাকেও, এইরকম একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।  Namaskar
Like Reply
#10
(24-04-2022, 10:17 AM)Bichitro Wrote: মানবিকতা এবং মানুষত্বে ভরপুর এই রকম গল্পের লেখকের মাঝে মাঝে এইসব গুণের অভাব দেখা যায় কি করে    devil2 Flame

❤️❤️❤️

এর উত্তর দাদা নিজে দেবে , ধমকে দিয়েছি শালাকে !!
Angry
Like Reply




Users browsing this thread: 1 Guest(s)