Thread Rating:
  • 26 Vote(s) - 3.31 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Misc. Erotica কখন কি যে হয়ে যায়
#1
Star 
অনেক দিন পর এখানে গল্প লিখতে এলাম।তাই আমাকে কেউ চেনেন কেউ চেনেন না।কর্মজীবনে আমি খুব ব্যস্ত মানুষ তবু চেষ্টা করবো নিয়মিত up date দিতে।হয়তো সময় লাগবে কখনো তবে কথা দিচ্ছি কারো কারো মতো গল্প অসম্পূর্ণ রেখে পালাবো না।সাথে থাকবেন ।গল্পের সাথে সাথে আপনাদের মূল্যবান মতামতের অপেক্ষায় থাকবো।
[+] 5 users Like Jaybengsl's post
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
#2
স্বাগতম দাদা তোমায় ফিরে আসার জন্য
Like Reply
#3
(06-12-2021, 03:04 PM)Jaybengsl Wrote: অনেক দিন পর এখানে গল্প লিখতে এলাম।তাই আমাকে কেউ চেনেন কেউ চেনেন না।কর্মজীবনে আমি খুব ব্যস্ত মানুষ তবু চেষ্টা করবো নিয়মিত up date দিতে।হয়তো সময় লাগবে কখনো তবে কথা দিচ্ছি কারো কারো মতো গল্প অসম্পূর্ণ রেখে পালাবো না।সাথে থাকবেন ।গল্পের সাথে সাথে আপনাদের মূল্যবান মতামতের অপেক্ষায় থাকবো।

" আমার নানা রঙের দিনগুলি " আর " পল্লীসমাজ " যদি পারেন তো শেষ করবেন , দুটোই খুব ভালো লেগেছিলো !! Namaskar Namaskar
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
#4
(06-12-2021, 03:58 PM)ddey333 Wrote: " আমার নানা রঙের দিনগুলি " আর " পল্লীসমাজ " যদি পারেন তো শেষ করবেন , দুটোই খুব ভালো লেগেছিলো !! Namaskar Namaskar

সেকি!! দুটোই তো শেষ করেছিলাম।হয়তো সময় নিয়ে ।
[+] 1 user Likes Jaybengsl's post
Like Reply
#5
(06-12-2021, 04:07 PM)Jaybengsl Wrote: সেকি!! দুটোই তো শেষ করেছিলাম।হয়তো সময় নিয়ে ।

দুঃখিত ভুলের জন্য ,

" আমার নানা রঙের দিনগুলি " কি শেষ হয়েছিল নাকি নয় বুঝতে পারিনি ...
আর " পল্লীসমাজ " শেষ হয়েছিল, মনে পড়েছে ...
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
#6
Welcome back dada.
Like Reply
#7
মন ভালো নেই সুমনের।

বাবা নেই আজ আট মাস হয়ে গেল।সুমনের বাবা সুকুমার মাঝারী মাপের সরকারী অফিসার।অ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার।বদলির চাকরি।এতোকাল  যেখানেই ট্রান্সফার হয়েছে সুমনদের নিয়েই গেছে,সেখানকার স্কুলেই ভর্তি করেছে সুমনকে ,নিজের পদমর্যাদার সুবাদে।

চার বছর ধরে সুমন এখনকার স্কুলেই পড়ছে।  সামনে সুমনের বারো ক্লাসের ফাইনাল। যদিও স্কুল এখন হচ্ছে না তবু নতুন জায়গায় মনসংযোগের ব্যাঘাত ঘটবে বলেই সুকুমার ওদের নিয়ে যেতে চায়নি।
সুমনের আর ভাই বোন নেই।মা কাবেরী আধা শহরের মেয়ে।প্রেম নয়,বাবা মার পছন্দে সুকুমারের সাথে নেগোসিয়েশন ম্যারেজ কাবেরীর।
এখন বাবার চাকরির কারণেই নানা ছোট বড় শহরে বছরের পর বছর কাটলেও বাইরের কাজে কাবেরী  তেমন পোক্ত নয়।বাড়ি থেকে তেমন বেরোয়ই না।ঐ বাড়ির আসে পাশে দু একটা বাড়িতে সমবয়সী বা কাবেরীর মায়ের বয়সী মহিলাদের সাথে গল্প করতে যায় কখনো সখনও।
এতোকাল সুকুমারই বাইরের সব কাজ করেছে।তাই কাবেরীও কিচ্ছু শিখতে চায়নি।
ভ্যানে করে বাড়ি বাড়ি  সব্জি,মাছ  নিয়ে ঘোরে যারা তাদের থেকেই কেনাকাটা করে।দু একবার ব্যাঙ্ক,পোষ্ট অফিস গিয়েছে বটে,তাও সুমনকে সঙ্গে নিয়ে।এখনো ব্যাঙ্কে  সই করতে গেলে হাত কাঁপে।ATM থেকে সুমনকেই টাকা তুলে আনতে হয়।

কে বলবে কাবেরী history তে মাস্টার ডিগ্রি।সুকুমারের আপত্তিতেই চাকরির চেষ্টা করেনি কাবেরী। বিয়ের পর পরই সুকুমার বলেছিলো দুজন চাকরি করলে সন্তান মানুষ হয় না।সন্তানের আসল শিক্ষক তার মা।কাবেরীও সুকুমারের কথা মেনে নিয়েছিল ।
আসলে সুকুমারের কি আসতে ইচ্ছে করে না?করে,কিন্তু জলপাইগুড়ি থেকে তমলুক যে অনেকটা। যেতে আসতে প্রায় তিনদিন।

জলপাইগুড়িতে World bank এর project এ একটা কাজ চলছে।Time bound project ।ছুটি নিলেই লেবাররা ফাঁকি দেবে।project শেষ করতে দেরী হলে প্রথমেই শো কজ নোটিস আসবে সুকুমার মুখার্জির হাতে ।তাই ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই মোটেই।

তমলুক,মানে মেদিনীপুরে ট্রান্সফারটা  নিযেছিলো সুকুমার অফিসার্স ইউনিয়নের দাদাদের ধরে।বারাসাত থেকে ট্রান্সফার হয়েছিল আসলে কাকদ্বীপে।ওখানে সুমনের পড়াশোনা ভালো হবে না।তুলনায় মেদিনীপুরের স্কুলগুলোর মান ভালো। ছেলের পড়াশোনার কারণেই  কাজটা প্রায় সহজেই হয়ে গেছিলো ।
এবার ট্রান্সফার ঠেকাতে দাদাদের কাছে আর যায়নি সুকুমার।জানতো নেতারা বার বার তার আবদার রাখবে না।
[+] 10 users Like Jaybengsl's post
Like Reply
#8
গল্পটার মুখ্য চরিত্র মনে হয় কাবেরী  Shy 

❤❤❤
[Image: 20220401-214720.png]
Like Reply
#9
ফন্টের সাইজ 5 রাখলে ভালো হয় ....
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
#10
dateline=\1638798103 Wrote:সসসস
বাবা নেই আজ আট মাস হয়ে গেল।সুমনের বাবা সুকুমার মাঝারী মাপের সরকারী অফিসার।অ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার।বদলির চাকরি।এতোকাল  যেখানেই ট্রান্সফার হয়েছে সুমনদের নিয়েই গেছে,সেখানকার স্কুলেই ভর্তি করেছে সুমনকে ,নিজের পদমর্যাদার সুবাদে।

চার বছর ধরে সুমন এখনকার স্কুলেই পড়ছে।  সামনে সুমনের বারো ক্লাসের ফাইনাল। যদিও স্কুল এখন হচ্ছে না তবু নতুন জায়গায় মনসংযোগের ব্যাঘাত ঘটবে বলেই সুকুমার ওদের নিয়ে যেতে চায়নি।
সুমনের আর ভাই বোন নেই।মা কাবেরী আধা শহরের মেয়ে।প্রেম নয়,বাবা মার পছন্দে সুকুমারের সাথে নেগোসিয়েশন ম্যারেজ কাবেরীর।
এখন বাবার চাকরির কারণেই নানা ছোট বড় শহরে বছরের পর বছর কাটলেও বাইরের কাজে কাবেরী  তেমন পোক্ত নয়।বাড়ি থেকে তেমন বেরোয়ই না।ঐ বাড়ির আসে পাশে দু একটা বাড়িতে সমবয়সী বা কাবেরীর মায়ের বয়সী মহিলাদের সাথে গল্প করতে যায় কখনো সখনও।
এতোকাল সুকুমারই বাইরের সব কাজ করেছে।তাই কাবেরীও কিচ্ছু শিখতে চায়নি।
ভ্যানে করে বাড়ি বাড়ি  সব্জি,মাছ  নিয়ে ঘোরে যারা তাদের থেকেই কেনাকাটা করে।দু একবার ব্যাঙ্ক,পোষ্ট অফিস গিয়েছে বটে,তাও সুমনকে সঙ্গে নিয়ে।এখনো ব্যাঙ্কে  সই করতে গেলে হাত কাঁপে।ATM থেকে সুমনকেই টাকা তুলে আনতে হয়।সঙ্গে থাকুন
কে বলবে কাবেরী history তে মাস্টার ডিগ্রি।সুকুমারের আপত্তিতেই চাকরির চেষ্টা করেনি কাবেরী। বিয়ের পর পরই সুকুমার বলেছিলো দুজন চাকরি করলে সন্তান মানুষ হয় না।সন্তানের আসল শিক্ষক তার মা।কাবেরীও সুকুমারের কথা মেনে নিয়েছিল ।
আসলে সুকুমারের কি আসতে ইচ্ছে করে না?করে,কিন্তু জলপাইগুড়ি থেকে তমলুক যে অনেকটা। যেতে আসতে প্রায় তিনদিন।

জলপাইগুড়িতে World bank এর project এ একটা কাজ চলছে।Time bound project ।ছুটি নিলেই লেবাররা ফাঁকি দেবে।project শেষ করতে দেরী হলে প্রথমেই শো কজ নোটিস আসবে সুকুমার মুখার্জির হাতে ।তাই ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই মোটেই।

তমলুক,মানে মেদিনীপুরে ট্রান্সফারটা  নিযেছিলো সুকুমার অফিসার্স ইউনিয়নের দাদাদের ধরে।বারাসাত থেকে ট্রান্সফার হয়েছিল আসলে কাকদ্বীপে।ওখানে সুমনের পড়াশোনা ভালো হবে না।তুলনায় মেদিনীপুরের স্কুলগুলোর মান ভালো। ছেলের পড়াশোনার কারণেই  কাজটা প্রায় সহজেই হয়ে গেছিলো ।
এবার ট্রান্সফার ঠেকাতে দাদাদের কাছে আর যায়নি সুকুমার।জানতো নেতারা বার বার তার আবদার রাখবে না।
[+] 1 user Likes Jaybengsl's post
Like Reply
#11
এতো পুরো সাদা হয়ে গেলো , থাক আপনি যেরকম লিখছিলেন লিখতে থাকুন ...
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
#12
সুমনের অশান্ত মন

করোনার জন্য দশ ক্লাসের বোর্ডের পরীক্ষা এবার দিতে হয় নি সুমনকে।স্কুলের পাঠানো নম্বরেই বোর্ড মার্ক শিট দিয়েছে।সুমনের মার্কস 90%।

পড়াশোনায় সুমন মন্দ নয়।সুকুমার আর কাবেরীর স্বপ্ন ছেলে বড় হয়ে ডাক্তার হবে।বোর্ডের পরীক্ষার পর মেডিকেলের এন্ট্রান্স পরীক্ষা।সেটায় পাস করতেই হবে তাকে ।চার চারজন প্রাইভেট টিউটারের কাছে এতদিন on line এই পড়েছে।এখন স্যারেরা বাড়িতে আসছেন।


সুমনের তেমন কোনো বন্ধু নেই।ভালবাসার মানুষও নেই।ওদের স্কুলের পাশেই গার্লস স্কুলের শীলাকে ওর ভালো লেগেছিলো।শীলা ক্লাস নাইনে পড়ত তখন।


শীলার বান্ধবীর কাছ থেকে শীলার মোবাইল নম্বর জোগাড় করে দু দুবার ওয়াটস্যাপে good morning মেসেজ পাঠিয়েছিলো,শীলা তাতে সাড়া দেয়নি।সুমনও আর এগোয়নি।তাই সারাদিন শুধু পড়া পড়া আর পড়া।

ইদানিং সুমনের পড়ায় একদম মন বসছে না।বিশেষ করে সন্ধ্যে বেলায়।পড়তে বসার আগে সুমন নিজের নুনু পাযের উপর পা দিয়ে চেপে বসে।আর একটু পরেই নুণুটা বড় হয়ে দু পায়ের বাঁধন থেকে স্প্রিংয়ের মতো ছিটকে বেরিয়ে আসে।বইয়ের অক্ষরগুলো তখন সুমনের কাছে ঝাপসা হয়ে যায় ।
 সুমনের পাশের বাড়ীর কাকিমার কথা মনে পড়ে যায়।

কাকিমা প্রায়ই দুপুরে মার সাথে গল্প করতে আসে।কাকিমার কাঁচা হলুদের মতো গাযের রঙ।পিঠ ছাড়িয়ে কোঁকড়ানো চুল,চোখে সরু করে পরা কাজল।চ্যাপটা ঝুড়ির মতো বড় নিতম্ব।পেটে হাল্কা মেদ।পেট থেকে অনেকট  নিচে নামিয়ে শাড়ি পড়ে কাকিমা।গভীর নাভী আর মাখনের মতো পেট। কাকিমা এলেই কোনো অছিলায় সুমন মার ঘরে ঢোকে। আড় চোখে কাকিমার পেট  দেখে। কাকিমা কি সুমনকে তিন বছর আগের ছোটটিই ভাবে?সুমনকে কোনো গুরুত্বই দেয় না।



  কখনো মিনুদির কথা মনে আসে সুমনের।মিনুদি সুমনদের বড়িওয়ালার মেয়ে।কলেজে পড়ে।সুমনের চেয়ে বছর দুয়েকের বড় হবে।একদিন ছাদে গিয়েছিল সুমন।মিনুদি তখন স্নান করে ছাদের রোলিংএ কাপড় মেলছে ঝুঁকে।

মিনুদির নাইটির তলায় ব্রা ছিলো না।দুপুরের রোদ সাইড থেকে মিনুদির গায়ে পড়ায় উল্টো দিক থেকে মিনুদির নাইটির ভেতরের দুধ দুটো বেশ বোঝা যাচ্ছিলো।শাঁখের মতো শেপ।দুধ দুটো কেমন উঁচু হয়ে বুকের সাথে সেঁটেছিলো ।

কখনো সুমনের মাসতুতো বৌদি পম্পার     কথা মনে পড়ে।করোনার আগে একবার গড়িয়ায় মাসির বাড়ি গিয়েছিল সুমনরা।

বৌদির গালে লাল দাগ কেন জিজ্ঞেস করায় বৌদী সুমনের গাল ধরে ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে বলেছিলো," নেকু,অনেকতো বড় হয়েছো,বোঝনা কিসের দাগ?রাতে কি তোমার দাদা শান্তিতে ঘুমোতে দেয়।সারা রাত আমাকে পা ফাঁক করে রাখতে হয়।" বৌদী গ্রামের মেয়ে।কথাবার্তাই অমন।তারপরই লজ্জা পেয়ে সুমনের মাথাটা নিজের বুকে চেপে জাপটে ধরে জিভ কেটে  বলেছিলো,"ভাই,এই কথাটা কাউকে বোল না যেন লক্ষীটি,তুমি তো আমার আদরের দেওর,তাই মজা করে বললাম।"

আর এদের কথা ভাবতে ভাবতেই সুমনের হাত পাজামার ভিতর ঢুকে যায়।অবাধ্য নুনুটা তেঁতে আছে ।

আর কিছুক্ষণ পরই চোখ মুখ লাল করে সুমন বাথরুমে দৌড়য়।বাথরুমের কমোডে শরীরের সমস্ত গরম ত্যাগ করে ফের পড়তে বসে।তারপর আড়াইটে তিনটে পর্যন্ত পড়া চলে।


কিন্তু গত একমাস ধরে সুমন একেবারেই পড়ায় মন বসাতে পারছে না।মন অশান্ত হয়ে আছে ।এমন অকল্পনীয় কিছু ঘটনা সুমনকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে ।
[+] 12 users Like Jaybengsl's post
Like Reply
#13
প্রথমে মনে হচ্ছিল সুমনের মা আসল চরিত্র... এখন গল্প ঘুরে গেছে... কতোটা ঘোরে সেটাই দেখার  Big Grin 

❤❤❤
[Image: 20220401-214720.png]
[+] 1 user Likes Bichitro's post
Like Reply
#14
(07-12-2021, 10:44 PM)Bichitravirya Wrote: প্রথমে মনে হচ্ছিল সুমনের মা আসল চরিত্র... এখন গল্প ঘুরে গেছে... কতোটা ঘোরে সেটাই দেখার  Big Grin 

❤❤❤

হা,হা,হা।আপনি confused আমিও confused ?
Like Reply
#15
(08-12-2021, 08:03 AM)Jaybengsl Wrote: হা,হা,হা।আপনি confused আমিও confused ?

সুমনের দ্বারা সুমনের মাকে পোয়াতি  করুন দাদা
[+] 1 user Likes ambrox33's post
Like Reply
#16
(08-12-2021, 08:32 AM)ambrox33 Wrote: সুমনের দ্বারা সুমনের মাকে পোয়াতি  করুন দাদা

নিজে তো মা ছেলে নিয়ে প্রচুর লিখে ফেলেছেন দেখলাম , সব জায়গায় ওসব নিয়ে নাক গলাতে যান কেন ভাই ????

একটু তো লজ্জা থাকা উচিত নাকি !!!

devil2
[+] 3 users Like ddey333's post
Like Reply
#17
চূড়ান্ত অশ্লীল ভাষায় মা ছেলের "ধর তক্তা, মার পেরেক" জাতীয় গল্প আমার দ্বারা হবেনা ভাই।তবে ধৈর্য ধরুন।গল্প এগোচ্ছে।আপনাদের অনেকের পছন্দ হয়তো পুরণ করতে পারবে ।
[+] 2 users Like Jaybengsl's post
Like Reply
#18
কাবেরীর দিন কাটে না,কাবেরীর রাত কাটে না।
*********************
সুকুমার থাকতে ভীষণ ব্যস্ততা ছিলো কাবেরীর।সুকুমার ফ্রিজের বাসী খাবার খেতে পারে না।সাতটায় বিছানা তুলে,চা খেয়ে ঘর গুছোতে গুছোতেই সুকুমার বাজার নিয়ে ফিরতো।

সুকুমার ন'টায় অফিস বেরোবো।ঐ অল্প সময়ের মধ্যেই প্রায় ঝড়ের বেগে কাবেরী ডাল একটা ভাজা, ভাত, আর মাছ রান্না করে ফেলতো।তারপর সুকুমারের রুটি তরকারির টিফিনটাও গুছিয়ে ফেলে সুকুমারকে খেতে দিতো।

সুকুমার বেরতে না বেরতেই সুমনের স্কুলের সময় হয়ে যেত।আবার সুমনকে খেতে দেওয়া,ওর স্কুল ব্যাগ গুছোনো।
আর এখন বিশ্রাম আর বিশ্রাম।সুকুমার নেই।করোনায় সুমনের স্কুলও বন্ধ।

রোজ সকালে নীচের রাস্তা থেকে দোতলায় কাগজ ছুঁড়ে  দিয়ে যায় পল্টু দা।
কাবেরীর কাগজ পড়তে ভালো লাগে না।সেই রাজনীতির খবর,খুন,জখম,ডাকাতি আর ;.,ের খবর।
মানুষ পশু হয়ে যাচ্ছে।নয়তো চার বছরের শিশুকে কেউ ;., করে খুন করতে পারে? সবাই মিলে ;., করে ধর্ষিতাকে চলন্ত বাস থেকে ছুঁড়ে ফেলতে পারে?
এসব খবর পড়লে কাবেরী শিউরে ওঠে।

আর এখন সবার উপর করোনার খবর।কতো আক্রান্ত হচ্ছে,কতো মারা যাচ্ছে।ডিপ্রেসন এসে যায় মাঝে মাঝেই ।

এসব খবর পড়ার চেয়ে না পড়াই ভালো।সুমন পাশের ঘরে পড়তে পড়তে কখনো খেলার খবরের পৃষ্ঠাটা নিয়ে যায়।

TV দেখতেও ভালো লাগে না।যত অবক্ষয়ের গল্প।বৌ থাকতে এক পুরুষের দু প্রেমিকা।এক মেয়ের বর থাকতে দুটো ভাতার।আর সব সিরিয়ালে একটা বিধবা পিসি  বা গ্রামতুতো বোন থাকবে।সে সিরিয়ালের সতীলক্ষী বৌএর পিছনে কাঠি  করবে।সব জেনেও বাড়ীর কেউ তার প্রতিবাদ করবে না।

দূর দূর।আগে কত ভালো ভালো সিরিয়াল হতো।

কাবেরীর দিন কেটে যায় এখন মোবাইলে।

রাতে একা বিছানায় কাবেরী ছটফট করে।ঘুম আসে না দিনের পর দিন।সকালে উঠে ঝিমোয় ।Sex life এ সুকুমার খুব active।কুড়ি বছরে হয়তো তার একটু ভাটা পড়েছে।
তবুও  কাবেরীর কখনো নিজেকে sex life এ অতৃপ্ত মনে হয় নি।

দু একরাত  বাদে বাদেই সুকুমার ওকে উল্টে পাল্টে অস্থির করে তুলতো।গায়ে একটা সুতো রাখতে দিতো না।সুকুমার সিগারেট খায় না।শোবার আগে দু পেগ হুইস্কি খেত।কাবেরীও এক আধ পেগ খেতো।

কি সব অদ্ভুৎ অদ্ভুত আসনে যে সুকুমার তৃপ্তি পেত।কখনো কষ্ট হলেও কাবেরী তাতে বাধা দিতো না।

ট্রান্সফার এর মেলটা যেদিন পেল সুকুমার। সেই দিনই কাবেরীর জন্য একটা স্মার্ট ফোন কিনে এনেছিল সে।

কাবেরীর তো এমনি সাধারন মোবাইলই ভালো ছিলো।স্মার্ট ফোনে কত জটিল ব্যাপার স্যাপার।শিখতে শিখতেই তিন মাস লেগে গেল।

সুমন কাবেরীর মোবাইলে ফেসবুক,মেসেঞ্জার,ওয়াটস্যাপ  খুলে দিয়ে দিয়েছে।শিখিয়ে দিয়েছে কোনটা কেমন করে চালাতে হয়।শেয়ার করা,ফরওয়ার্ড করা,কমেন্ট করা,এইসব।

মার ফেসবুক প্রোফাইল পিকচারে সুমন নিজের পছন্দের ছবিটাই দিয়েছে।

সিমলায় লাল চুড়িদার পড়ে  আপেল গাছের নিচে দাড়ানো কাবেরী।

সকাল সন্ধ্যে বন্ধুদের "Good morning","Good night" আরো কত রকম খবর আসে ওয়াটস্যাপ আর মেসেঞ্জারে।

ফেসবুকে পুরনো বন্ধু,আত্মীয় স্বজনদের পেয়েছে।তবে মাঝে মাঝে অচেনা মানুষজন ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায়, বিরক্ত করে,কেউ কেউ অসভ্যতাও করে।

ফেসবুকে গল্পের ফোরামে গল্প পড়ে।you tube এ গান শোনে।এই করেই খানিকটা সময় কেটে যায় কাবেরীর।

তবুও এখন কাবেরীর মনে হয় এসব ফেসবুক টেসবুক না থাকলেই ভালো হত।সুকুমার থাকলে ঝগড়াঝাঁটি হতো,ভালোবাসা হত।এখন ফেসবুকের ফাঁদে পড়ে সে অন্য কাবেরী হয়ে যাচ্ছে।
[+] 8 users Like Jaybengsl's post
Like Reply
#19
Valo laglo
[+] 1 user Likes chndnds's post
Like Reply
#20
কাবেরী কতোটা অন্য কাবেরী হয়ে যাচ্ছে সেটাই দেখার... Big Grin
মা ছেলে দুজনেরই শরীরের ক্ষিদে জেগেছে  sex

❤❤❤
[Image: 20220401-214720.png]
Like Reply




Users browsing this thread: 1 Guest(s)