Thread Rating:
  • 9 Vote(s) - 3.22 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Thriller বিজলি by virginia_bulls
#1
বিজলি



কাটা তারের ওপারে মইন মিয়ার বাড়ি তার এক খানা খেয়া পারাপারের জন্য রাখা আছে অজয় নদীর ঘাটে দু চারশ মানুষের একমাত্র সম্বল এই মইন মিয়া খিটখিটে হলেও নিতান্ত ভালো মানুষ তার ২১ বছরের ছেলে আলম বছর আগের বন্যায় নিখোজ হয়ে গেছে আজ কেউ জানে না আলম কোথায় আছে পুলিশ তার দেহ পায়নি বলে তাকে মৃত বলতে নারাজ মইন মিয়া একাই থাকে তার দুটো নৌকা কে সঙ্গী করে তার বউ মেয়ে নেই সামিয়া তার ভাইয়ের মেয়ে তাকে রান্না বার করে দেয় বিজ্পুরের এই কাটা তারের বেড়াই দেশের শেষ সীমানা তার পরে বাংলাদেশের নবাবগঞ্জ আর এই বেড়া পেরিয়ে অজয় নদী পার হয়ে সয়ে সয়ে লোক বাজারে আসে মিলিটারী আসার পর থেকে নবাবগঞ্জ আর বিজ্পুরের লড়াই থেমে গেছে নাহলে দু গ্রামের মানুষ গুলো যেন একে অপরের শত্রু মইন মিয়া তার জীবনে অনেক খুনো খুনি দেখেছে কিন্তু এই মইন মিয়া কে বিজ্পুরের লোকেরা তাদের আপন ভাইয়ের মতনই মানে আর নবাবগঞ্জ এর মানুষ জনে মইন মিয়া কে তাদেরই একজন ভাবে পারের কড়ি মোটে আনা সারা দিনে ২০ টাকা কমিয়ে নেয় মইন মিয়া তার আর কেই বা আছে
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
#2
স্কুলের বাচ্ছা বা গরিব দের থেকে মইন মিয়া পারের পইসা চায় না কিন্তু গায়ের মাতব্বর আর ব্যবসাদার দের মইন মিয়া ছাড়ে না পারাপারের জন্য সিরাজুল আছে মইন মিয়া না থাকলে কখনো সখনো সেই খেয়া বায় তার এই কাজে মন নেই বিজ্পুরের বিজলি কে কে না চেনে সে যাত্রা দলে এক দু বার অভিনয় করেছে মা বাপ নেই মেয়েটার তাই ছোটো থেকেই বখে গেছে একটু বিজলি সত্যি বিজলি তার শরীরের খাজে অনেক বিজলি জমা আছে সিরাজুল অনেক দিন থেকেই বিজলীর পিছনে পরে রয়েছে বিজলি কে সে বিয়ে করবে বিজলীর কাকা কাছেই থাকে বিজলি বিজলীর কাকা রহিম চাচা বিজ্পুরের চোলাইয়ের ব্যবসাদার অনেক বার পুলিশ ওকে তুলে নিয়ে গেছে চোলাই বিক্রি করার জন্য রহিম চাচার কাছে যারা আসে তারা সবাই গ্রামের ব্যবসাদার সারা দিন পরিশ্রম করে দু গ্লাস চোলাই খেয়ে বাড়ি চলে যায় হাট ভাঙলে ঠিকুরির হাট খুব বড় হাট শুক্রবার সকাল বেলা থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত হাজার দুয়েক লোক কেনা কাটা করে আর ঠিকুরির হাট নবাবগঞ্জের আর বিজ্পুরের এক মাত্র বড় বাজার
 
রহিম চাচা সিরাজুল কে দু চোখে দেখতে পারেন না আগের বর্ষায় ৫০০০ টাকা দেবে কথা দিয়েও দিতে পারে নি তাই বিজলি কে সিরাজুলের হাথে তুলে দেবে না রহিম চাচা রহিম চাচা এর আগে বিজলি কে কলকেতার কোনো বাবুকে বেচে দিয়েছিল কিন্তু বিজলি সেখান থেকে ভেগে গেছে আর বিজলি এখন সিয়ানি, তাই বেশি জোর জার করলে ফল ভালো হবে না রহিম চাচা জানে রহিম চাচা সুধু মইন মিয়াকেই ভয় পায় আর মইন মিয়া বিজলি কে বেগম বলে ডাকে নিজের মেয়ের মতি ভালো বসে বিজলি কে
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
#3
হিদু দের দুর্গপুজো শরতের আকাশ বেজায় ফুর্তি হয় এই সময় একটু বেশি পইসা আসে হাথে সিরাজুল বাঁশ কেটে প্রায় ১০০ বাঁশ বিক্রি করেছে টাকা দরে অজয়ের পার থেকে সিরাজুলের বাঁশ ঝাড় দেখা যায় সিরাজুল দের বাপ কাকা দের বাঁশ ঝাড় , বাবা মারা যাবার পর থেকে সিরাজুল প্রতিবছর বাঁশ কেটে কিছু পইসা ঘরে আনে সিরাজুলের প্রথম স্ত্রী খেরুন্নিশা , মেয়েটা খুব গরিব ঘরের বাপ খেতে দিতে পারে না বলে সিরাজুল কৌশল করে বিয়ে করে এনেছে রোজ রাতেই মদ খেয়ে মেয়েটাকে মারধর করে খেরুন্নিশা দেখতে মন্দ নয় কিন্তু বড্ড মাথা গরম সে জানে সিরাজুল বিজলীর পিছনে অনেক দিন থেকেই ছোক ছোক করছে আর বিজলি ভালো মেয়ে না তাই বিজলীর চক্করে পরে তার মরদ যেন তার থেকে আলাদা না হয়ে যায় খেরুন্নিশা তাই তার দেড় বছরের ছেলে কে বুকে আকড়ে সিরাজুল কে পাহারা দেয়
" বলি ওহ মইন মিয়া কোথায় যাও ? আজ নাও লাগবে না ঘাটে ? " বিজলি করকে ওঠে
না হে বেগম সামিয়ার জন্য গোটা দুয়েক শাড়ি কিনতে যাচ্ছি ঠিকুরির হাঠে" তোমার দোস্ত আছে তো ঘাটে যাও না পরানের দুটো কথা সেরে নাও গে আমি যাই "!
আজ সিরাজুল ঘাটে নাও বাইছে বিজলি কে দেখেই সিরাজুল ডাকে " কিরে বিজলি ওপারে জাবি নাকি ! রহিম চাচার খাবার নিয়ে যাচ্ছিস বুঝি !" এই সময়টাই তার রহিম চাচা কে পান্তা দেবার সময় তার খাবারের গ্যাট থেকে পেয়াজের একটুক দেখা যাচ্ছে বিজলীর বুক একটু বেশি বড় তাই শাড়ির আচল কষে বেধে নেই কোমরে মিনসে তার গতিক ভালো নয় গ্রামে বুকে ব্লাউস দেবার রীতি নেই তাছাড়া বিজলীর নিতম্ব দেখে গ্রামের অনেক বয়স্ক মানুষ আমলকি মুকসুদ্ধি মুখে নিয়ে উউ চুক চক করে বিজলি তাতে কিছু মনে করে না
নাও বেয়ে উঠে সিরাজুলের দিকে পিছন করে বসে নৌকায় দুপুরে কাওকে পায়নি সিরাজুল নৌকা ভাসিয়ে দেয় অজয়ের বুকে ট্যাক থেকে নীলচে অনেক গুলো টাকা দেখিয়ে বলে " বিজলি দেখ ২০০০ টাকা পেয়েছি , বলনা রহিম চাচা কে নিকে তা করে নি সামনের অঘ্রানে " বিজলি মুখ বেকিয়ে বলে " মুখে আগুন তোর"
Like Reply
#4
সিরাজুলের চোখ টা চক চক করে করে ওঠে সামনেই মালিন্দির চর আর চর পেরোলেই নবাবগঞ্জের ঘাট সময় মালিন্দির চর ধু ধু করে নেবে নাকি সুযোগ বুঝে বিজলীর চমক এর আগেও চেষ্টা করেছে সে আর আলম এসে সিরাজুল কে বেদম মেরেছিল আজ আর আলম নেই নিমেষেই খেয়া ছেড়ে দেয় সে বিজলি জানে এরকমই কিছু হবে উপায় না দেখলে জলে ঝাপ দেবে বিজলি সিরাজুলের হাথে সপে দেবার মেয়ে নয় সে গোত্তা খেয়ে খেয়া গিয়ে ঠেকে মালিন্দির চরের বালিয়ারী তে বিজলীর ঝাপ দেওয়া হয় না বিজলি আঙ্গুল তুলে সাবধান করে সিরাজুল কে " ভালো হবে না বলে দিচ্ছি, একলা মেয়ে মানুষকে পেয়ে নোংরামি করছিস শুয়ারের বাচ্ছা " সিরাজুল কে ঠিক মীরজাফরের মত মনে হয় পান্তার ঝোলা ফেলে এক রাশ বালির উপর ঠেকে বিজলি দৌড়াতে সুরু করে বালিতে হরিন দৌড়াতে পারে নি কখনো আর সিরাজুল চিতাবাঘের মত ঝাপিয়ে পরে বিজলীর উপর " দেখ বিজলি তুই আমার না হলে কারো না তরে আমি নিকে করে ঘরে নিয়ে যাব , লখি আমার কথা সন !" বিজলি প্রাণ পনে সিরাজুলের মুখে আচর বসায় সাথে সাথে নখের আচরে রক্তাক্ত হয়ে যায় সিরাজুলের মুখ সিরাজুল আহত বাঘের মত থাবা বসায় বিজলীর শরীরে গলা চেপে ধরে বিজলীর বালিয়াড়িতে এক টানে বুকের কাপড় সরিয়ে ফেলে সে সামিয়া বেশি দুরে নেই কিন্তু ফাকা জায়গায় আওয়াজ যায় না সে ছাগল চরাতে আসে মালিন্দির চরে এটুকু ঘাস আর কাশ বন আছে সে দিকেই ঘোরা ফেরা করে সামিয়া এই নির্জন জায়গায় বসে থাকতে তার ভালো লাগে সে গান গায় , নাচে , পাথর বালি দিয়ে খেলা করে কিন্তু ঘটনার বিভিসিখা সে জানে না
Like Reply
#5
বিজলির ভরা বুকে মুখ বসিয়ে কামর দেয় সিরাজুল খোলা আকাশের বুকে এক রাশ চিত্কার ভেসে ওঠে কোথায় চিত্কার মিলিয়ে যায় কেউ জানে না করে হব বইতে থাকে গোটা চর জুড়ে সিরাজুল লুঙ্গি খুলে বিজলীর শাড়ি তুলে কোমরের দিকে তুলে ধরে বিজলি তার শেষ চেষ্টা চালায় মুক্তির আশায় আজ আর তার মুক্তি নেই সিরাজুল বিকৃত কাম মানুষ গ্রামের একটা সস্তা মেয়ে বিজলি তার বিকৃত কামের ভাষা বোঝে না পিপড়ে চিপে দিলে পিপড়ে মরার আগে যে ভাবে চট ফট করে সেই ভাবেই বিজলি কাতর অনুনয় করতে থাকে দু হাথ জোর করে আল্লার দোহাই দেয় বার বার কিন্তু সয়তান তখন হাবি হয়ে বসেছে সিরাজুলের মাথায় তার লোহার মত উত্থিত লিঙ্গ বিজলীর যোনিদেশে ঠেসে ধরে চরম কাম লালসায় কান্নার আওয়াজ বাতাসে মিলিয়ে যায় স্তন দুটো খামচে খামচে চেপে ধরে সিরাজুল

পশুর মত কুরে কুরে খেতে শুরু করে বিজলীর দেহ স্তনের বৃন্ত গুলো দাঁত দিয়ে ছাড়িয়ে ছাড়িয়ে ধরতে থাকে ক্রমাগত উত্তেজনায় বিজলীর সারা শরীর দুমড়ে দুমড়ে ওঠে তার যোনিদেশে রস সিক্ত সিরাজুলের লিঙ্গ মন্থন করতে থাকে অনর্গল সিতকার দিতে দিতে সুখের জানান দেয় সে সিরাজুল তার শিকার বসে এনে ফেলেছে কিন্তু বিকৃত কাম অভিশাপের সমান সঙ্গম করে খান্ত হবে না সিরাজুল জোড়া ওষ্ঠের সঞ্চালনে বিজলীর কখ আবেশে মেতে ওঠে সিরাজুলের সঙ্গমের তালে তালে তার শরীরে শিথিলতা নেই তার উত্থিত বুক জোড়া ক্রমাগত ঘসতে থাকে সিরাজুলের লোমশ বুকে এই কি করছে বিজলি সে তো এরকম ভাবে নি সঙ্গম রত সিরাজুল পরে থাকা লুঙ্গির ফাঁক থেকে এক ডিব্বা খৈনি মুখে নেই সে চোখ বড় বড় করে বিজলীর শরীর তাকে ছুড়ে উল্টে পাল্টে চটকাতে থাকে সে কসাই যেভাবে উল্টে পাল্টে মাংশ চাটে সেই ভাবে তার সুদল নিতম্বের ছিদ্রে আঙ্গুল সঞ্চালন করে হেঁসে ওঠে পাগলের মত বিজলি ব্যথায় চিত্কার দিয়ে ওঠে আর বিজলীর শরীরে কোনো বস্ত্র অবশিষ্ট নেই উদ্ধত সিরাজুল বিজির নিতম্বে নিজে তিনটে আঙ্গুল চেপে ধরে , আর শিউরে কুকড়ে ওঠা বিজলি নিজের চোয়াল চেপে ধরে শক্ত করে এক অদ্ভূত বাঁশির আওয়াজ আসতে থাকে বাতাসে ভেসে ভেসে কোনো বাঁশিওয়ালা বাঁশি বজায় না , কিন্তু প্রকৃতি বাতাস করে বাঁশি বাজিয়ে যেতে থাকে সিরাজুল তার পরাক্রমী লিঙ্গ কে সমূলে গেঁথে দেয় বিজলীর নিতম্বের খাঁজে আকাশ বাতাস বিদীর্ণ করে বিজলীর চিত্কার ভেসে বেড়ে মালিন্দির চরে দু হাথে ক্ষিপ্র সিরাজুল বলিতেই চেপে ধরে বিজলি কে উদ্যম চিরন্তন আলোরণে কেঁপে ওঠে বিজলীর সারা দেহ মুঝের কোন থেকে এক চিলতে রক্ত উঁকি দেয় যন্ত্র দানবের মত আস্ফালন করে সিরাজুল বিজলীর নিতম্ব মন্থন করতে থাকে অবিরাম আর যোনিদেশে হস্ত সঞ্চালনে বিজলীর মুখের আওয়াজ হারিয়ে যায় এক রাশ বাতাসের মত ঝটকা ধাক্কায় বালিয়াড়ির বেস কিছুটা রক্তাক্ত হয়ে ওঠে তাজা রক্তে বিশে থাকা যৌন রস পুছে নেই সিরাজুল বিজলীর শাড়িতে হার মানেনি বিজলি পাগলের মত হেঁসে ওঠে সিরাজুলকে বুকে জড়িয়ে উঠে দাঁড়ায় হার না মানা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মত হয় তো এটাই বিজলীর ইনকিলাব কোনো রকমে সিরাজুলকে জড়িয়ে নৌকায় ওঠে বিজলি তাকে বাড়ি যেতেই হবে সিরাজুল জানে না সেকি করেছে কান্নায় তার বুক বুজে আসছে কি করে মুখ দেখাবে গায়ের লোক কে

বিজ্পুরের ঘাটে মইন মিয়া এসে দাঁড়িয়ে দূর থেকে সিরাজুলের নৌকা দেখা যাচ্ছে বিজলি নাও বইছে কাছে আসতেই এলো মেল চুলে রক্তাক্ত বিজলীর জড়িয়ে থাকা শাড়ি চোখে পড়ল সবার সিরাজুল কোথায় ? হাথ থেকে মইন মিয়ার থলে টা খসে পরে সিরাজুলের নিথর দেহটা পরে আছে নৌকায় নৌকার দাঁড়ে এখনো চাপ চাপ রক্ত লেগে আছে
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
#6
নাইচ শুরু
Like Reply
#7
(28-07-2021, 06:21 AM)কুয়াশা Wrote: নাইচ শুরু

এটা একটা ছোট গল্প , এখানেই শেষ ...
Like Reply
#8
খুব ছোট গল্প।

কিন্তু সমাজের একটা কালো দিক ভালো ভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

❤❤❤
[Image: 20220401-214720.png]
Like Reply




Users browsing this thread: 1 Guest(s)