Thread Rating:
  • 22 Vote(s) - 3.14 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Thriller RE: '' মিকি মাউস '' (সমাপ্ত ) ।
#1
টিজার -________________

''প্রথম দেহটা পাওয়া যায় নিশিকান্ত জয়েন করার তিনদিনের মাথায়, সে জীপ নিয়ে ঘটনা স্থলে পৌঁছে দেখে যে একটা বছর বাইশ -চব্বিশের ছেলে দেখে মনে হয় যে কলেজের স্টুডেন্ট হবে,পরনে ভালো জামাকাপড়, পকেটে দামী ফোন আর মানিব্যাগে টাকাতে ভর্তি, জামাকাপড়ও খুব একটা অবিন্যাস্ত ছিলনা, দেহটা দেখে মনে হয় যেন ঘুমোতে ঘুমোতেই সে যেন মৃত্যুর দেশে পাড়ি দিয়েছে, চোখে মুখে কোন ছাপ ছিলনা মৃত্যুর।
পোস্টমর্টেমের রিপোর্টে অস্বাভাবিক সেরকম কিছু পাওয়া যায়নি, রিপোর্ট ছিল যে আচমকা প্রেশার ফেল করে স্ট্রোক হয়েই মৃত্যু। ''


আসছে  '' মিকি মাউস ''  কাল সন্ধ্যায় । সঙ্গে থাকবেন, সাপোর্ট দেবেন এটাই পার্থনা সমস্ত বন্ধুদের কাছে।
ধৃতরাষ্ট্র - দা বস !
[+] 1 user Likes DHRITHARASTHA's post
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
#2
শুরু হয়ে যাক !!

thanks
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
#3
(14-06-2021, 09:06 AM)ddey333 Wrote: শুরু হয়ে যাক !!

thanks

আসছে আজ সন্ধ্যায় ।সঙ্গে থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন।
ধৃতরাষ্ট্র - দা বস !
Like Reply
#4
থ্রিলার পড়তে বেশ লাগে। অপেক্ষায়
[Image: 20220401-214720.png]
[+] 1 user Likes Bichitro's post
Like Reply
#5
(14-06-2021, 10:35 AM)satyakam Wrote: থ্রিলার পড়তে বেশ লাগে। অপেক্ষায়

অনেক পুরনো লেখা, জানি না আপনাদের ঠিক কতটা ভালো লাগবে।
ধৃতরাষ্ট্র - দা বস !
Like Reply
#6
পর্ব ১।

__________ ।

ডি এস পি সহায় সাহেবের ফোনটা ছাড়ার পরে নিশিকান্তের মনে হয় যেন তার কান থেকে এইবার আগুনের হল্কা বেরোবে। সহায় সাহেব যে ভদ্র ভাষায় তাকে এইভাবে ঝাড়বে তা নিশিকান্ত স্বপ্নেও বোধহয় ভাবতে পারেনি, সহায় সাহেব তাকে শুধু মা ,বোন তুলে খিস্তি দিতেই বাকি রেখেছিলো আর সবই বলেছে।
আজ সহায় সাহেব বলার আগে নিশিকান্ত নিজেই বোধহয় জানতো না, যে সে এতটা অপদার্থ, অক্ষম, অকর্মণ্য আর মাথামোটা।
তবে সহায় সাহেবেরও খুব একটা দোষ দেওয়া যায় না তা নিশিকান্তও ভালো করেই জানে,যে খিস্তি সে এখনই শুনলও সে নিশ্চিত যে এই ধরনের বা তার থেকে বেশী কড়া খিস্তি ডি এস পি সহায় সাহেব তার বসের কাছ থেকে নিশ্চয় এখুনি শুনেছেন।পুলিসের এই রীতি মেনেই এইবার নিশিকান্ত ফোনে তার জুনিয়ার কে ধরে আর সহায় সাহেবের পুরো বক্তব্যটায় কপি পেস্ট করে তাকে ঝেড়ে ভুত ভাগিয়ে দেয়।চার মাস ধরে এই অশান্তি আর গাল খাওয়ার পালা শুরু হয়েছে, তার আগে জেলার এই ছ টা থানায় সে কিরকম শান্তি আর আরাম ছিল টা বোধহয় এখন স্কুলের ইতিহাস বইয়েই খুজতে হবে।
কয়লা, লোহা আরও কত কি যে এইখানে মা লক্ষ্মী বাস করেন তা বোধহয় গুনে শেষ করা যাবে না। এই জেলা শহরে পোস্টিঙের জন্য কিরকম ধরাধরি চলে তা নিশিকান্ত নিজের অভিজ্ঞতাতেই জানে, তবে তার বেলায় কিন্তু কোনও পলিটিকাল প্রেশার বা সিনিয়ারদের কে কিছু খাইয়ে এই পোস্টিং হয়নি,
উল্টে তাকেই তার এই জেলার সিনিয়ার অফিসাররা যেচেই চেয়ে নিয়েছিলো,তার একটাই কারন ছিল যে শত বদগুন থাকা স্বত্তেও নিশিকান্ত একটা ব্যাপারে একনম্বর ছিল আর সেটা ছিল তার যে কোন কেস শলভ করার ম্যাজিকের মত দ্রুততা আর সাফল্য।
সহায় সাহেব ছিল নিশিকান্তের ইমিডিয়েট বস আর তার প্রায় ২৫ বছরের চাকরীর সুবাদে তিনি ভালো করেই জানতেন যে একটা পুরুষ মানুষের যতগুলো খারাপ গুন থাকতে পারে তা সবই নিশিকান্তের পুরো মাত্রাই ছিল,তবে তার কাজের প্রতি পাগলের মত টান এই গুনের জন্যই সহায় সাহেব নিজে তদ্বির করে নিশিকান্তকে এই শিল্পাঞ্চলের জেলায় নিয়ে এসেছিলো,কারন তিনি জানতেন যে নিশিকান্তের মত শিকারির জন্য এই এলাকা অচিরেই একটা মৃগয়াক্ষেত্র হয়ে দাঁড়াবে।

তবে নিশিকান্ত কে সহায় সাহেব আজ যা বললেন তার কারন এই জেলায় আর তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় মাসখানেক ধরেই কয়েকটা রহস্যময় মৃত্যু হয়েছিলো যার কিনারা করা তো দুরের কথা,সেগুলো আত্মহত্য না খুন সেটাই এই জেলার পুলিশমহল বুঝে উঠতে পারেনি। আজ নিশিকান্তকে সেই জন্যই সহায় সাহেব মুখে যা এলো তা বলে গেলো কারন ,আগের মৃত্যুগুলোর কোন সুরহা তো বাদই গেল আজ সকালেই আবার আরেকটা সেই একই রকম লাশ পাওয়া গেছে দুই জেলার সীমান্তবর্তী একটি নদীর ধারে, সেই একই ধরন মৃত্যুর।
সহায় সাহেব ডি এস পি হিসাবে দায়িত্ব নেবার পরে এটা তার এলাকায় চার নম্বর মৃত্যু , তাই তিনি নিজে যতটা চাপে আছেন, ঠিক তার দিগুন খিস্তির চাপ নিশিকান্তের দিকে ট্র্যান্সফার করে দিচ্ছে সঙ্গে সঙ্গেই। তবে নিশিকান্ত যতটা না সহায় সাহেবের ওপর রেগে আছে তার থেকে ঢের বেশী সে নিজের উপরেই ক্ষুণ্ণ,
কারন তার ১৪ বছরের সার্ভিস লাইফে এতটা নাকাল সে কোন কেস নিয়েই হয়নি,তার সব থেকে বেশী রাগের কারন হচ্ছে সে বুঝতেই পারছে না যে মৃত্যুগুলো কি খুন না আত্মহত্য?
প্রথম দেহটা পাওয়া যায় নিশিকান্ত জয়েন করার তিনদিনের মাথায়, সে জীপ নিয়ে ঘটনা স্থলে পৌঁছে দেখে যে একটা বছর বাইশ -চব্বিশের ছেলে দেখে মনে হয় যে কলেজের স্টুডেন্ট হবে,পরনে ভালো জামাকাপড়, পকেটে দামী ফোন আর মানিব্যাগে টাকাতে ভর্তি,
জামাকাপড়ও খুব একটা অবিন্যাস্ত ছিলনা, দেহটা দেখে মনে হয় যেন ঘুমোতে ঘুমোতেই সে যেন মৃত্যুর দেশে পাড়ি দিয়েছে, চোখে মুখে কোন ছাপ ছিলনা মৃত্যুর।
পোস্টমর্টেমের রিপোর্টে অস্বাভাবিক সেরকম কিছু পাওয়া যায়নি, রিপোর্ট ছিল যে আচমকা প্রেশার ফেল করে স্ট্রোক হয়েই মৃত্যু। বেড়াল যেমন মাছের গন্ধ পায় ঠিক তেমনি নিশিকান্তের নাকও  অপরাধের গন্ধ পায়,তার এতদিনের অভিজ্ঞতা যেন তাকে কানে কামড়ে বলছিল যে এই ব্যাপারটা যত সোজা দেখতে আদপেই তত সোজা নয়। ছেলেটির নাম ছিল অর্ণব নন্দী, সে কলেজে রসায়ন নিয়ে মাস্টার্স করছিলো, তবে নিশিকান্তর একটু খটকা লাগে যখন সে জানতে পারে যে অর্ণবের বাড়ী থেকে ওই নদীর পাড় কিছু না হলেও দশ কিলোমিটার দুরে ছিল আর তার যদি শরীরই খারাপ হয় তাহলে সে ডাক্তারখানা না গিয়ে ওই নির্জন নদীর পাড়ে কি করছিলো ?
তবে তার এই খটকার জবাব অর্ণবের বাড়ীর লোকেরাই দিয়ে দেয়।তারা জানায় যে অর্ণবের সাত -আটজন বন্ধুদের ওই নদীর পাড়টা একটা নিয়মিত ঠেক ছিল,নিশিকান্তের সন্দেহ তবুও না যাওয়াতে সে অর্ণবের সমস্ত বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে যে সেদিন ওই নদীর পারে অর্ণব ছাড়া আর কেউই যায়নি,
নিশিকান্ত অর্ণবের সমস্ত বন্ধুদের মোবাইল নাম্বার নিয়ে চেকও করে যে তারা ঠিকই বলছে,কারন সেইদিন অর্ণবের কোন বন্ধুরই মোবাইল টাওয়ার সেই লোকেশনে দেখাচ্ছিল না।
অর্ণবের বাড়ীর লোকও থানায় খুনের রিপোর্ট লেখাতে খুব একটা আগ্রহী ছিলনা,কারন তাদের ধারণা ছিল যে অর্ণব অসুস্থ হয়েই মারা গেছিলো আর এটার সপক্ষে তারা যুক্তি হিসাবে বলেওছিল যে অর্ণব বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিল,তার অসুখ ডাক্তাররা ধরতে পারেননি।  তাই পরীক্ষার পরে অর্ণবের বাবা তাকে নিয়ে দক্ষিণ ভারতে যাবার জন্য টিকিটও কেটে ফেলেছিলো, তবে কপাল বলেই মেনে নিয়েছিলো অর্ণবের বাড়ীর লোকজনেরা। কিন্তু নিশিকান্ত কিছুতেই এটা ভেবে উঠতে পারছিলো না যে বাড়ী থেকে অতদুরে একটা অসুস্থ ছেলে অত ভালো জামাকাপড় পড়ে, পকেটে অত টাকা নিয়ে কেনই বা গেল?তবে নিশিকান্ত অর্ণবকে নিয়ে অবশ্য বেশীদিন ভাবার সময় পায়নি,কারন কিছুদিনের মধ্যই আরেকটা মৃত্যু, এটাও সেই অদ্ভুত ধরনেরই মৃত্যু।  (ক্রমশ )
ধৃতরাষ্ট্র - দা বস !
Like Reply
#7
Apni fire esechen dekhe monta sotti valo hoye gelo ... Uff apanar golpo to sera ... Valo na lege upay ache naki dada .. ak akta golpo to akakta master piece ...
Sudhu akkhep ses golpo ta maj pothe kono karon e theme gechilo .. jani na apnar ki somssa hoyechilo but amra tokon kub e tension e chilam hotat apnar chole jaoate .. tokon ami onek cheshta korechilam apnar sathe contact korte but keu e kono kobor dite pareni ... Jak apni je sustho achen , abar fire esechen eta i onek boro paona .. valo thakben dada ...
[+] 2 users Like dreampriya's post
Like Reply
#8
আপনার লেখা এই গল্পটি অনেকদিন আগে xossip এ পড়েছিলাম। 

আমি বরাবরই থ্রিলারের ভক্ত। এটি যে আবার পোস্ট করছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। 

Keep it up  horseride

[Image: Animation-resize-gif-f3b601eb23d95beeb4e...911ac0.gif]


[+] 2 users Like Bumba_1's post
Like Reply
#9
(14-06-2021, 10:55 AM)DHRITHARASTHA Wrote: অনেক পুরনো লেখা, জানি না আপনাদের ঠিক কতটা ভালো লাগবে।

Old is gold  Big Grin
[Image: 20220401-214720.png]
Like Reply
#10
(14-06-2021, 10:55 AM)DHRITHARASTHA Wrote: অনেক পুরনো লেখা, জানি না আপনাদের ঠিক কতটা ভালো লাগবে।

এই ধরণের লেখা গুলো কখনো পুরোনো হয় না !!

Smile
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
#11
(14-06-2021, 07:46 PM)ddey333 Wrote: এই ধরণের লেখা গুলো কখনো পুরোনো হয় না !!
অসাধরন একটা লেখা আবার ফিরে পেতে চলেছি ! ......... অপেখ্যার প্রহরে !
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
#12
(14-06-2021, 07:18 PM)dreampriya Wrote: Apni fire esechen dekhe monta sotti valo hoye gelo ... Uff apanar golpo to sera ... Valo na lege upay ache naki dada ..  ak akta golpo to akakta master piece ...
Sudhu akkhep ses golpo ta maj pothe kono karon e theme gechilo .. jani na apnar ki somssa hoyechilo but amra tokon kub e tension e chilam hotat apnar chole jaoate .. tokon ami  onek cheshta korechilam apnar sathe contact korte but keu e kono kobor dite pareni ... Jak apni je sustho achen , abar fire esechen eta i onek boro paona .. valo thakben dada ...

আরে আপনি ? এটা সেরা প্রাপ্তি যে আপনার মত পুরনো বন্ধু কে আবার খুঁজে পেলাম, সত্যি মনটা ভালো হয়ে গেল। কি সব দিন ছিল তখন ! সেই ২০১৪ -১৫ সালের কথা। শেষ যে গল্পটা মাঝপথে বন্ধ হয়ে গেছিলো '' এক যে ছিল রাজা'' সেটা শেষ করবো ভাবছি। তবে আগে '' মিকি মাউস '' শেষ হবে পোস্ট করা, তারপরে একটা নতুন থ্রিলারে হাত দিয়েছি। তারপরেও যদি আপনারা সবাই সহ্য করেন আমায়, তবে অন্য গল্প হবে ক্ষণ। সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন। সত্যি খুব খুব আনন্দ হল আপনার কমেন্ট পড়ে, আপনাকে ফিরে পেয়ে।
ধৃতরাষ্ট্র - দা বস !
[+] 3 users Like DHRITHARASTHA's post
Like Reply
#13
(14-06-2021, 07:22 PM)Bumba_1 Wrote: আপনার লেখা এই গল্পটি অনেকদিন আগে xossip এ পড়েছিলাম। 

আমি বরাবরই থ্রিলারের ভক্ত। এটি যে আবার পোস্ট করছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। 

Keep it up  horseride

বস এই লেখাটা ২০১৪, তাই অল্প ক্ষমা ঘেন্না করে মানিয়ে নেবেন। যেহেতু এই গল্প আপনার আগে পড়া, তাই জানেন যে যৌনতার স্পেস কম। আশা করি তবুও সাপোর্ট করবেন। এই ফোরামে প্রথম দিন থেকে আপনি যে সাপোর্ট করেছেন সেটাই হয়তো আবার লেখার ইচ্ছে বাড়িয়ে দিয়েছে।  '' মিকি মাউস '' পোস্ট করার পড়ে একটা নতুন থ্রিলারের চেষ্টা করবো, লেখা শুরু করেছি। সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন। পাশে থাকবেন ।
ধৃতরাষ্ট্র - দা বস !
[+] 2 users Like DHRITHARASTHA's post
Like Reply
#14
(14-06-2021, 07:23 PM)satyakam Wrote: Old is gold  Big Grin

ধন্যবাদ বন্ধু, আন্তরিক ধন্যবাদ। সঙ্গে থাকবেন, পাশে থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ধৃতরাষ্ট্র - দা বস !
[+] 1 user Likes DHRITHARASTHA's post
Like Reply
#15
(14-06-2021, 07:46 PM)ddey333 Wrote: এই ধরণের লেখা গুলো কখনো পুরোনো হয় না !!

Smile

আপনাদের ভালোবাসা, সাপোর্টই আবার সাহস দিয়েছি এই পুরনো লেখাটা খুঁজে পেতে আবার পোস্ট করার। সঙ্গে থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন।
ধৃতরাষ্ট্র - দা বস !
Like Reply
#16
(14-06-2021, 08:31 PM)dada_of_india Wrote: অসাধরন একটা লেখা আবার ফিরে পেতে চলেছি ! ......... অপেখ্যার প্রহরে !

আগের ফোরামে আমার যে সব বন্ধুরা ছিলেন, তাঁদের সাপোর্ট, ভালোবাসার জোরেই ওই সাইটে বেশ কিছু লেখা লিখেছিলাম, আর গুণগত মান সেরকম না হলেও সবাই ভালোবাসাও দিয়েছিলেন অফুরন। এই ফোরামে জয়েন করেও ঠিক সাহস পাচ্ছিলাম না লেখা পোস্ট করার, কিন্তু দেখলাম ভুলটা একদম অমূলক ছিল। সবাই অল্প কদিনে অনেক অনেক ভালোবাসা আর সাপোর্ট দিয়েছেন আমায়, তাই ভাবছি অনেকদিন তো দূরে সরে ছিলাম আবার না হয় লিখি নতুন কিছু ! মিকি মাউস শেষ হলে আসছে নতুন থ্রিলার । সঙ্গে থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, পাশে থাকবেন ।
ধৃতরাষ্ট্র - দা বস !
[+] 1 user Likes DHRITHARASTHA's post
Like Reply
#17
দারুন শুরু........ নামটা আগের থেকেই জানতাম.. xossip এ ছিল .... কিন্তু তখন পড়া হয়ে ওঠেনি.... এবারে পড়ছি.... খুব সুন্দর শুরু. ❤
[+] 1 user Likes Baban's post
Like Reply
#18
(14-06-2021, 09:12 PM)Baban Wrote: দারুন শুরু........ নামটা আগের থেকেই জানতাম.. xossip এ ছিল .... কিন্তু তখন পড়া হয়ে ওঠেনি.... এবারে পড়ছি.... খুব সুন্দর শুরু. ❤

পুরনো লেখা, জানি না কতটা ভালো লাগবে। তবে আশা করি সঙ্গে থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন ।
ধৃতরাষ্ট্র - দা বস !
[+] 1 user Likes DHRITHARASTHA's post
Like Reply
#19
[Image: micky-1.jpg]


পর্ব ২।

___________ ।


অর্ণবের শরীরে কোন আঘাত বা প্রতিরোধের চিহ্ন ও নেই, পরনে স্টাইলিশ জামা কাপড় আর ব্যাগে টাকাতে ভর্তি, তবে তফাৎ শুধু দুজায়গাতে । প্রথমত এই মৃত্যুতে মানুষটির শরীরের তাপ কমে যাওয়াতে আচমকা স্ট্রোক হয়ে মারা গেছেন, আর দ্বিতীয়ত এইবার ছেলের জায়গায় একটি তরুণী মেয়ে, নাম ঋতুপর্ণা মিশ্র। এই মেয়েটিও কলেজে পড়তো বোটানি নিয়ে, তবে অন্য কলেজে।  তার বাড়ীর লোকও যথারীতি জানায় যে ঋতুপর্ণাও যথেষ্ট অসুস্থ ছিল আর তারও বাইরে চিকিৎসা করতে যাবার কথা ছিল, তবে অর্ণবের বাড়ীর লোক আর ঋতুপর্ণার বাড়ীর লোক জোর দিয়েই বলে যে মৃত দুজন কোনভাবেই একে অপরকে চিনতো বা জানতো না। নিশিকান্ত পোড় খাওয়া অফিসার, এই দুই মৃত্যুর মধ্য সে তাড়াতাড়ি একটা লিঙ্ক খুজতে যায়, যুবতী সুন্দরী মেয়ে আর জোয়ান সুন্দর শিক্ষিত ছেলে, হয়তো তাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল যেটা বাড়ীর লোকে জানতো না। আর অর্ণব মারা যাওয়াতে হয়তো ঋতুপর্ণাও সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্য করে নিয়েছিলো। কিন্তু এইবারও নিশিকান্ত ব্যর্থ হয়, ঋতুপর্ণা আর অর্ণবের সমস্ত বন্ধুদের জেরা করেও সে কোন তথ্য পায়না, সবাই শুধু একটাই কথা বলে যে দুজনের কারুর মুখেই কোনদিনও একে ওপরের নামও শোনেনি।
তবে নিশিকান্ত কোনদিনও কাউকে বিশ্বাস করার মানুষ ছিলনা তাই সে মোবাইল কোম্পানির কাছে ওই দুজনের নম্বর নিয়ে দারস্থ হয়েও কোন সুবিধা করতে পারে নি, কারন ওই দুজনের মধ্য যে কোনদিনও কথা হয়নি সেটা স্পষ্টই দেখা যাচ্ছিলো। শিকান্তের মাথায় এমনিতেই চুলের আধিক্য কম তার ওপর পর পর এই রকম দুটো মৃত্যু, নিশিকান্ত ভালো করেই বুঝতে পারছিলো যে তার মাথায় টাক পড়তে হয়তো খুব একটা আর দেরি নেই।
ঋতুপর্ণার বাড়ীর লোকও কোন খুনের মামলা করতে রাজী হয়না আর ঋতুপর্ণার পোস্টমর্টেম রিপোর্টে এটাই লেখা ছিল যে শরীর আগে থেকেই দুর্বল ছিল তার ওপর আচমকাই শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়াতে সেই ধাক্কা সামলাতে না পেরে তার ম্যাসিভ হার্ট এট্যাক হয়। তবে অর্ণবের দেহটা যেমন পাওয়া গেছিলো একটা মড়া নদীর ধারে , ঋতুপর্ণার দেহটা অবশ্য পাওয়া গেছিলো সেই নদীরই একটা ধারে জঙ্গলের মধ্য। তবে তা অর্ণবের দেহ যেখানে পাওয়া গেছিলো তার থেকে চার কিলোমিটার দুরে।  নিশিকান্তর মন কিন্তু বলছিল যে এই দুটো মৃত্যুর মধ্য কোথাও যেন একটা যোগসূত্র আছেই কিন্তু সে খুজে পাচ্ছিলো না,
এটা ভাবতে ভাবতেই নিশিকান্তের চোখ থেকে ঘুম একদমই যেন বিদায় নিয়ে নিয়েছিল।
মদ আর নারী দুইই নিশিকান্তের খুব প্রিয় কিন্তু সে সবসময় একটা নিয়মই মেনে চলতো, যতক্ষণ না সে নিজের হাতের কাজ শেষ করতো ততক্ষণ মদ সে ছুতও না । আর মেয়ের শরীর তো দুরের কথা তার ছায়াও মারাতে পছন্দ করতো না,কারন সে জানতো যে কাজকে অসম্মান করে যদি সে নিজেকে ফুর্তির বানে ভাসিয়ে দেয় তাহলে সেই অসম্পূর্ণ কাজটা হয়তো কোনদিনও শেষ হবেনা।  নিশিকান্ত তাই কোনও কেস সফল ভাবে শেষ হলে নিজেকে নিজেই পুরস্কার হিসাবে সাতদিনের একটা ফুর্তি, প্রচণ্ড ফুর্তি উপহার দিতো ।
তবে কেস শেষ না হলে আজ অব্দি নিশিকান্ত কোনদিনও মদের একটা ফোঁটাও ছুঁয়ে দেখেনি, তেমনি একটা সফল কেসের পুরস্কার যে দুটো স্কচের বোতল, সেটাও নিশিকান্তের ঠিক করাই থাকে। তবে ঋতুপর্ণার মৃত্যুর পরে নিশিকান্তের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে উঠেছিলো,কারন ইতিমধ্যিই তার ঘরের দেরাজে BLACK LABEL এর তিনটে বোতল জমে গেছিলো আর নিশিকান্ত ছটফট করছিলো সেগুলোকে নিঃশেষ করার জন্য!
কিন্তু সে নিজের কাছেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিল তাই সে নিরুপায় অবস্থায় দেখে যাছিলো যে কীভাবে একটার পর একটা ছুটি পেরিয়ে যাচ্ছিলো আর বাজারের মাছওয়ালাটা তার দিকে কেমন করুন ভাবে চেয়ে থাকতো, কারন নিশিকান্ত মদের ব্যাপারে খুবই শৌখিন । আর সে ভেটকি মাছ ছাড়া আর কিছু দিয়েই যে মদ খেতে পছন্দ করেনা সেটা মনে হয় এই গোটা শহরটা ইতিমধ্যিই জেনে গেছিলো।
যতদিন নিশিকান্ত মদ খেতে না পায় তার মেজাজ যেন একদম খাট্টা হয়ে থাকে, তার রাজেশ খান্নার মত নরম রোমান্টিক মেজাজ তখন যেন অমিতাভের মত গনগনে হয়ে ওঠে।

নিশিকান্তের এই মেজাজের সঙ্গে তার সহকর্মীরা ভালো ভাবেই ওয়াকিবহাল,তাই বেশ কিছুদিন ধরে খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউই আর নিশিকান্তের সঙ্গে কথা বলছে না। নিশিকান্ত অনেক ভেবে সবে অর্ণব আর ঋতুপর্ণার মৃত্যুর মধ্য কিছু মিল বার করেছিল, আর সেই দুজনের মিল-অমিলগুলো ভালো করে খুঁটীয়ে দেখতে দেখতে একটা হাল্কা আভাস পাচ্ছিলেন এক রহস্যর, গভীর রহস্যর।ভগবান কিন্তু নিশিকান্তের জন্য হয়তো আরও অনেক কঠিন সময় সাজিয়ে রেখেছিলো।  নিশিকান্ত হয়তো সবে একটু গুছিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করছিলো, অর্ণব আর ঋতুপর্ণার মৃত্যুকে, তখনই শুকনো আকাশে থেকে যেন একটা বাজই পরে নিশিকান্তের মাথায়, আর সেই বাজ ছিল আরও একটি দেহ।  এবার দেহটি পাওয়া যায় একটি নির্জন শ্মশানে, সেই মড়া নদীর খাত থেকে এই শ্মশানটা ঠিক চার কিলোমিটার দুরে আর এইবার দেহটি একটি মাঝবয়েসী পুরুষ মানুষের, আর উনি কলকাতার এক নামকরা কলেজ লেকচারার ছিলেন রসায়নের ।  ওনার নাম ছিল প্রফেসর ভৈরব হাজরা।  মৃত্যুর সময় ওনার পরনে ছিল দামী কোট, প্যান্ট আর ওনার পকেটেও ব্যাগ ভর্তি টাকা ছিল।
ভৈরব হাজরার পরিবার বলতে সেরকম কেউ ছিলনা, তিনি অকৃতদার ছিলেন । ওনার সংসার বলতে ওনার এক দূরসম্পর্কের ভাগ্নে ছাড়া কেউই ছিলনা, সেই ভাগ্নের বাড়ীতেই এসেছিলেন ভৈরব বাবু আর তারপরেই এই ঘটনা।  নিশিকান্ত ওনার ভাগ্নে সুমিতের কাছে জানতে পারেন যে ভৈরব বাবু বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন, আর উনি সামনের মাসেই ছুটিতে বাইরে চিকিৎসা করাতে যাবার কথা ভাবছিলেন আর তার আগে একটু ভাগ্নের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। ভৈরব বাবু বরাবরই একটু প্রকৃতি প্রেমিক ছিলেন তাই সেই নদীর ধারে শ্মশানে প্রায় ঘুরতে যেতেন আর তারপরেই ওনার আচমকা মৃত্যু। পোস্টমর্টেম রিপোর্টে ভৈরব বাবুর মৃত্যুর কারন হিসাবে সেই হার্ট এট্যাক, তবে তা হটাৎ প্রেশার বেড়ে যাওয়ার জন্য। এমনিতেই ভৈরববাবু হাই প্রেশারের রুগী ছিলেন আর নিয়মিত ওষুধও খেতেন, তবে হয়তো সেই সময় তার সঙ্গে ওষুধ ছিলনা আর প্রেশার বেড়ে যাওয়াতে তার দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু।
নিশিকান্ত এবারও সুমিতবাবুকে একটা মামলা ঋজু করতে বললে, সুমিতবাবু নিশিকান্তের কাছে হাতজোড় করে বলেন ''সার মামা তো মারাই গেছেন ,এবার আর ওনাকে টানাহেঁচড়া না করে দয়া করে আমাকে ওনার শেষকৃত্য করতে দয়া করে অনুমতি দেন''।
এতদিন ধরে সহায় সাহেব চুপ করে ছিলেন, কারন ওনার ভরসা ছিল নিশিকান্তের ওপরে, তাই দু দুটো অস্বাভাবিক মৃত্যু স্বত্তেও উনি নিশিকান্তকে কোনও চাপ দেননি।
কিন্তু এইবার তিন নম্বর মৃত্যুর পরে সহায় সাহেব এক সকালে নিশিকান্তকে ফোন করেন আর খুব ক্যাসুয়ালি বলেন ' নিশি আভি মুড ক্যায়সা হ্যায় ? তুমহারে ইলাকা মে তিন তিন অজিব মৌত হও গ্যায়া ওর তুম ক্যায়া কর রহা হ্যায় ভাই?''
নিশিকান্ত তার জীবনে যত অফিসারের অধিনে কাজ করেছে তার মধ্য সে সব থেকে বেশী সম্মান এই সহায় সাহেবকেই করতো, কারন সহায় সাহেব সারা জীবন নিজের পদন্নতির থেকে সবসময় তার জুনিয়ারদের সাফল্য বেশী খুশী হতেন। তাই যেকোনো শক্ত কেসে উনি তার জুনিয়ারদের যথাসাধ্য হেল্প করলেও তার ক্রেডিট নিজে কক্ষনোই নিতে চাইতেন না।  তাই এই রকম একটা অফিসার যখন তাকে একটা ব্যাপারে দেখতে বলছে,তখন সেটা নিশিকান্তের কাছে খুবই সম্মানে লাগলো কারন সহায় সাহেব কক্ষনোই তার জুনিয়ারদের প্রেশার দিতেন না।
নিশিকান্ত গম্ভীর গলায় সহায় সাহেবের প্রশ্নের জবাবে বলেন
'' সার আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি, তবে একটা কথা আমি আপনাকে এখনই জানাতে পারি যে আমার এতদিনের অভিজ্ঞতা বলছে যে এই মৃত্যুগুলো কোনমতেই স্বাভাবিক নয়, হতেই পারেনা।
কারন পরপর তিনটে মৃত্যু আর সবগুলোর ধরন মোটামোটি একই। তিনজনেই অসুস্থ ছিল, বাইরে চিকিৎসা করাতে যাবার কথা চলছিলো আর ঠিক বাইরে যাবার আগেই সবার মৃত্যু। আরেকটা মিলও আছে সার এদের সবার মধ্য সেটা হল যে এরা সবাই কলেজে হয় পরে না হয় পড়ান আর সবাই বিজ্ঞানের কোন না কোন বিভাগের সঙ্গেই যুক্ত। তবে সার এইসব তো কাকতালীয় হতে পারে কিন্তু দুটো পয়েন্ট আছে যেটা এই তিনটে মৃত্যুকে অন্তত একপয়েন্টে মিলিয়ে দিয়েছে,সেটা হল সার এদের মৃত্যুর জায়গা সবই কিন্তু ওই নদীর ধারেই বা তার চার পাঁচ কিলোমিটারের মধ্য,আর সার যেটা আমার সব থেকে অদ্ভুত লেগেছে সেটা হল সবারই পরনে ভালো জামাকাপড় ছিল,ব্যাগে টাঁকায় ভর্তি ছিল আর প্রত্যকের ব্যাগের মধ্যই সার আমি একটা অদ্ভুত জিনিষ খুজে পেয়েছে যেটা থেকেই আমার মনে হয়েছে যে এই তিনটে মৃত্যু কোনও না কোনও ভাবে অবশ্যই জড়িত''
সহায় সাহেব এতক্ষণ ধরে চুপচাপ নিশিকান্তের একটানা বিশ্লেষণ শুনে যাচ্ছিলেন, এবার নিশিকান্ত থামতেই তিনি আগ্রহের সঙ্গেই বলে উঠেন ''কি হলো এই ভাবে চুপ করে গেলে কেন? কি পেয়েছো বলই না!''
নিশিকান্ত এবার ফোনের ওপর প্রান্ত থেকে একটু চুপ করে যান, অল্প সময় নিয়ে শান্ত, গম্ভীর গলাতে সে বলে উঠে ''সার আমি সত্যি করেই অদ্ভুত জিনিষ পেয়েছি, আমি তাদের প্রত্যাকের ব্যাগের মধ্যই একটা করে ''মিকি মাউসের'' স্টিকার পেয়েছি সার''
ধৃতরাষ্ট্র - দা বস !
[+] 4 users Like DHRITHARASTHA's post
Like Reply
#20
কাল আসছে তৃতীয় পর্ব ।
ধৃতরাষ্ট্র - দা বস !
[+] 1 user Likes DHRITHARASTHA's post
Like Reply




Users browsing this thread: 1 Guest(s)