30-06-2020, 10:19 PM
মিকি মাউস থ্রিলার উপন্যাস টি কি কারো কাছে সম্পূন আছে ??? লেখক সম্ভাবত ধৃতরাষ্ট
""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !!
Thriller মিকি মাউস
|
30-06-2020, 10:19 PM
মিকি মাউস থ্রিলার উপন্যাস টি কি কারো কাছে সম্পূন আছে ??? লেখক সম্ভাবত ধৃতরাষ্ট
""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !!
30-06-2020, 11:33 PM
অসম্পূর্ণ আছে, লেখক শেষ করেন নি সম্ভবত
01-07-2020, 10:34 AM
(30-06-2020, 11:33 PM)Mr Fantastic Wrote: অসম্পূর্ণ আছে, লেখক শেষ করেন নি সম্ভবত না দাদা গল্পটা শেষ করেছিল লেখক. আমি নিজে পড়েছি. গল্পটা .. বাট আবার পড়ার ইচ্ছা ছিলো তাই খুজতেছিলাম ""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !!
25-07-2020, 07:41 PM
গল্পটা আমার কাছে যতটুকু আছে আমি পো করছি! পড়ার পরে যদি মনে হয় কারো কাছে আছে, দয়া করে বাকিটা দিবেন!!
""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !!
25-07-2020, 07:44 PM
"" এক""
ডি এস পি সহায় সাহেবের ফোনটা ছাড়ার পরে নিশিকান্তের মনে হয় যেন তার কান থেকে এইবার আগুনের হল্কা বেরোবে। সহায় সাহেব যে ভদ্র ভাষায় তাকে এইভাবে ঝাড়বে তা নিশিকান্ত স্বপ্নেও বোধহয় ভাবতে পারেনি, সহায় সাহেব তাকে শুধু মা ,বোন তুলে খিস্তি দিতেই বাকি রেখেছিলো আর সবই বলেছে। আজ সহায় সাহেব বলার আগে নিশিকান্ত নিজেই বোধহয় জানতো না, যে সে এতটা অপদার্থ, অক্ষম, অকর্মণ্য আর মাথামোটা। তবে সহায় সাহেবেরও খুব একটা দোষ দেওয়া যায় না তা নিশিকান্তও ভালো করেই জানে, যে খিস্তি সে এখনই শুনলও সে নিশ্চিত যে এই ধরনের বা তার থেকে বেশী কড়া খিস্তি ডি এস পি সহায় সাহেব তার বসের কাছ থেকে নিশ্চয় এখুনি শুনেছেন। পুলিসের এই রীতি মেনেই এইবার নিশিকান্ত ফোনে তার জুনিয়ার কে ধরে আর সহায় সাহেবের পুরো বক্তব্যটায় কপি পেস্ট করে তাকে ঝেড়ে ভুত ভাগিয়ে দেয়। চার মাস ধরে এই অশান্তি আর গাল খাওয়ার পালা শুরু হয়েছে, তার আগে জেলার এই ছ টা থানায় সে কিরকম শান্তি আর আরাম ছিল টা বোধহয় এখন কলেজের ইতিহাস বইয়েই খুজতে হবে। কয়লা, লোহা আরও কত কি যে এইখানে মা লক্ষ্মী বাস করেন তা বোধহয় গুনে শেষ করা যাবে না। এই জেলা শহরে পোস্টিঙের জন্য কিরকম ধরাধরি চলে তা নিশিকান্ত নিজের অভিজ্ঞতাতেই জানে, তবে তার বেলায় কিন্তু কোনও পলিটিকাল প্রেশার বা সিনিয়ারদের কে কিছু খাইয়ে এই পোস্টিং হয়নি, উল্টে তাকেই তার এই জেলার সিনিয়ার অফিসাররা যেচেই চেয়ে নিয়েছিলো, তার একটাই কারন ছিল যে শত বদগুন থাকা স্বত্তেও নিশিকান্ত একটা ব্যাপারে একনম্বর ছিল আর সেটা ছিল তার যে কোন কেস শলভ করার ম্যাজিকের মত দ্রুততা আর সাফল্য। সহায় সাহেব ছিল নিশিকান্তের ইমিডিয়েট বস আর তার প্রায় ২৫ বছরের চাকরীর সুবাদে তিনি ভালো করেই জানতেন যে একটা পুরুষ মানুষের যতগুলো খারাপ গুন থাকতে পারে তা সবই নিশিকান্তের পুরো মাত্রাই ছিল, তবে তার কাজের প্রতি পাগলের মত টান এই গুনের জন্যই সহায় সাহেব নিজে তদ্বির করে নিশিকান্তকে এই শিল্পাঞ্চলের জেলায় নিয়ে এসেছিলো, কারন তিনি জানতেন যে নিশিকান্তের মত শিকারির জন্য এই এলাকা অচিরেই একটা মৃগয়াক্ষেত্র হয়ে দাঁড়াবে। তবে নিশিকান্ত কে সহায় সাহেব আজ যা বললেন তার কারন এই জেলায় আর তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় মাসখানেক ধরেই কয়েকটা রহস্যময় মৃত্যু হয়েছিলো যার কিনারা করা তো দুরের কথা, সেগুলো আত্মহত্য না খুন সেটাই এই জেলার পুলিশমহল বুঝে উঠতে পারেনি। আজ নিশিকান্তকে সেই জন্যই সহায় সাহেব মুখে যা এলো তা বলে গেলো কারন , আগের মৃত্যুগুলোর কোন সুরহা তো বাদই গেল আজ সকালেই আবার আরেকটা সেই একই রকম লাশ পাওয়া গেছে দুই জেলার সীমান্তবর্তী একটি নদীর ধারে, সেই একই ধরন মৃত্যুর। সহায় সাহেব ডি এস পি হিসাবে দায়িত্ব নেবার পরে এটা তার এলাকায় চার নম্বর মৃত্যু , তাই তিনি নিজে যতটা চাপে আছেন, ঠিক তার দিগুন খিস্তির চাপ নিশিকান্তের দিকে ট্র্যান্সফার করে দিচ্ছে সঙ্গে সঙ্গেই। তবে নিশিকান্ত যতটা না সহায় সাহেবের ওপর রেগে আছে তার থেকে ঢের বেশী সে নিজের উপরেই ক্ষুণ্ণ, কারন তার ১৪ বছরের সার্ভিস লাইফে এতটা নাকাল সে কোন কেস নিয়েই হয়নি, তার সব থেকে বেশী রাগের কারন হচ্ছে সে বুঝতেই পারছে না যে মৃত্যুগুলো কি খুন না আত্মহত্য? প্রথম দেহটা পাওয়া যায় নিশিকান্ত জয়েন করার তিনদিনের মাথায়, সে জীপ নিয়ে ঘটনা স্থলে পৌঁছে দেখে যে একটা বছর বাইশ -চব্বিশের ছেলে দেখে মনে হয় যে কলেজের স্টুডেন্ট হবে, পরনে ভালো জামাকাপড়, পকেটে দামী ফোন আর মানিব্যাগে টাকাতে ভর্তি, জামাকাপড়ও খুব একটা অবিন্যাস্ত ছিলনা, দেহটা দেখে মনে হয় যেন ঘুমোতে ঘুমোতেই সে যেন মৃত্যুর দেশে পাড়ি দিয়েছে, চোখে মুখে কোন ছাপ ছিলনা মৃত্যুর। পোস্টমর্টেমের রিপোর্টে অস্বাভাবিক সেরকম কিছু পাওয়া যায়নি, রিপোর্ট ছিল যে আচমকা প্রেশার ফেল করে স্ট্রোক হয়েই মৃত্যু। বেড়াল যেমন মাছের গন্ধ পায় ঠিক তেমনি নিশিকান্তের নাকও যেন অপরাধের গন্ধ পায়, তার এতদিনের অভিজ্ঞতা যেন তাকে কানে কামড়ে বলছিল যে এই ব্যাপারটা যত সোজা দেখতে আদপেই তত সোজা নয়। ছেলেটির নাম ছিল অর্ণব নন্দী, সে কলেজে রসায়ন নিয়ে মাস্টার্স করছিলো, তবে নিশিকান্তর একটু খটকা লাগে যখন সে জানতে পারে যে অর্ণবের বাড়ী থেকে ওই নদীর পাড় কিছু না হলেও দশ কিলোমিটার দুরে ছিল আর তার যদি শরীরই খারাপ হয় তাহলে সে ডাক্তারখানা না গিয়ে ওই নির্জন নদীর পাড়ে কি করছিলো ? তবে তার এই খটকার জবাব অর্ণবের বাড়ীর লোকেরাই দিয়ে দেয়। তারা জানায় যে অর্ণবের সাত -আটজন বন্ধুদের ওই নদীর পাড়টা একটা নিয়মিত ঠেক ছিল, নিশিকান্তের সন্দেহ তবুও না যাওয়াতে সে অর্ণবের সমস্ত বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে যে সেদিন ওই নদীর পারে অর্ণব ছাড়া আর কেউই যায়নি, নিশিকান্ত অর্ণবের সমস্ত বন্ধুদের মোবাইল নাম্বার নিয়ে চেকও করে যে তারা ঠিকই বলছে, কারন সেইদিন অর্ণবের কোন বন্ধুরই মোবাইল টাওয়ার সেই লোকেশনে দেখাচ্ছিল না। অর্ণবের বাড়ীর লোকও থানায় খুনের রিপোর্ট লেখাতে খুব একটা আগ্রহী ছিলনা, কারন তাদের ধারণা ছিল যে অর্ণব অসুস্থ হয়েই মারা গেছিলো আর এটার সপক্ষে তারা যুক্তি হিসাবে বলেওছিল যে অর্ণব বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিল, তার অসুখ ডাক্তাররা ধরতে পারেননি, তাই পরীক্ষার পরে অর্ণবের বাবা তাকে নিয়ে দক্ষিণ ভারতে যাবার জন্য টিকিটও কেটে ফেলেছিলো, তবে কপাল বলেই মেনে নিয়েছিলো অর্ণবের বাড়ীর লোকজনেরা। কিন্তু নিশিকান্ত কিছুতেই এটা ভেবে উঠতে পারছিলো না যে বাড়ী থেকে অতদুরে একটা অসুস্থ ছেলে অত ভালো জামাকাপড় পড়ে, পকেটে অত টাকা নিয়ে কেনই বা গেল? ""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !!
25-07-2020, 07:47 PM
""দুই""
তবে নিশিকান্ত অর্ণবকে নিয়ে অবশ্য বেশীদিন ভাবার সময় পায়নি,কারন কিছুদিনের মধ্যই আরেকটা মৃত্যু, এটাও সেই অদ্ভুত ধরনেরই মৃত্যু। শরীরে কোন আঘাত বা প্রতিরোধের চিহ্ন ও নেই, পরনে স্টাইলিশ জামা কাপড় আর ব্যাগে টাকাতে ভর্তি, তবে তফাৎ শুধু দুজায়গাতে । প্রথমত এই মৃত্যুতে মানুষটির শরীরের তাপ কমে যাওয়াতে আচমকা স্ট্রোক হয়ে মারা গেছেন, আর দ্বিতীয়ত এইবার ছেলের জায়গায় একটি তরুণী মেয়ে, নাম ঋতুপর্ণা মিশ্র। এই মেয়েটিও কলেজে পড়তো বোটানি নিয়ে, অন্য কলেজে। তার বাড়ীর লোকও যথারীতি জানায় যে ঋতুপর্ণাও যথেষ্ট অসুস্থ ছিল আর তারও বাইরে চিকিৎসা করতে যাবার কথা ছিল, তবে অর্ণবের বাড়ীর লোক আর ঋতুপর্ণার বাড়ীর লোক জোর দিয়েই বলে যে মৃত দুজন কোনভাবেই একে অপরকে চিনতো বা জানতো না। নিশিকান্ত পোড় খাওয়া অফিসার, এই দুই মৃত্যুর মধ্য সে তাড়াতাড়ি একটা লিঙ্ক খুজতে যায়, যুবতী সুন্দরী মেয়ে আর জোয়ান সুন্দর শিক্ষিত ছেলে, হয়তো তাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল যেটা বাড়ীর লোকে জানতো না, আর অর্ণব মারা যাওয়াতে হয়তো ঋতুপর্ণাও সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্য করে নিয়েছিলো। কিন্তু এইবারও নিশিকান্ত ব্যর্থ হয়, ঋতুপর্ণা আর অর্ণবের সমস্ত বন্ধুদের জেরা করেও সে কোন তথ্য পায়না, সবাই শুধু একটাই কথা বলে যে দুজনের কারুর মুখেই কোনদিনও একে ওপরের নামও শোনেনি, তবে নিশিকান্ত কোনদিনও কাউকে বিশ্বাস করার মানুষ ছিলনা তাই সে মোবাইল কোম্পানির কাছে ওই দুজনের নম্বর নিয়ে দারস্থ হয়েও কোন সুবিধা করতে পারে নি, কারন ওই দুজনের মধ্য যে কোনদিনও কথা হয়নি সেটা স্পষ্টই দেখা যাচ্ছিলো। নিশিকান্তের মাথায় এমনিতেই চুলের আধিক্য কম তার ওপর পর পর এই রকম দুটো মৃত্যু, নিশিকান্ত ভালো করেই বুঝতে পারছিলো যে তার মাথায় টাক পড়তে হয়তো খুব একটা আর দেরি নেই। ঋতুপর্ণার বাড়ীর লোকও কোন খুনের মামলা করতে রাজী হয়না আর ঋতুপর্ণার পোস্টমর্টেম রিপোর্টে এটাই লেখা ছিল যে শরীর আগে থেকেই দুর্বল ছিল তার ওপর আচমকাই শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়াতে সেই ধাক্কা সামলাতে না পেরে তার ম্যাসিভ হার্ট এট্যাক হয়। তবে অর্ণবের দেহটা যেমন পাওয়া গেছিলো একটা মড়া নদীর ধারে , ঋতুপর্ণার দেহটা অবশ্য পাওয়া গেছিলো সেই নদীরই একটা ধারে জঙ্গলের মধ্য। তবে তা অর্ণবের দেহ যেখানে পাওয়া গেছিলো তার থেকে চার কিলোমিটার দুরে। নিশিকান্ত কেমন যেন বুঝতে পারছিলো যে এই দুটো মৃত্যুর মধ্য কোথাও যেন একটা যোগসূত্র আছেই কিন্তু সে খুজে পাচ্ছিলো না, এটা ভাবতে ভাবতেই নিশিকান্তের চোখ থেকে ঘুম একদমই যেন বিদায় নিয়ে নিয়েছিল। মদ আর নারী দুইই নিশিকান্তের খুব প্রিয় কিন্তু সে সবসময় একটা নিয়মই মেনে চলতো, যতক্ষণ না সে নিজের হাতের কাজ শেষ করতো ততক্ষণ মদ সে ছুতও না, আর মেয়ের শরীর তো দুরের কথা তার ছায়াও মারাতে পছন্দ করতো না, কারন সে জানতো যে কাজকে অসম্মান করে যদি সে নিজেকে ফুর্তির বানে ভাসিয়ে দেয় তাহলে সেই অসম্পূর্ণ কাজটা হয়তো কোনদিনও শেষ হবেনা। নিশিকান্ত তাই কোনও কেস সফল ভাবে শেষ হলে নিজেকে নিজেই পুরস্কার হিসাবে সাতদিনের একটা ফুর্তি, প্রচণ্ড ফুর্তি উপহার দিতো, তবে কেস শেষ না হলে আজ অব্দি নিশিকান্ত কোনদিনও মদের একটা ফোঁটাও ছুঁয়ে দেখেনি, তেমনি একটা সফল কেসের পুরস্কার যে দুটো স্কচের বোতল, সেটাও নিশিকান্তের ঠিক করাই থাকে। তবে ঋতুপর্ণার মৃত্যুর পরে নিশিকান্তের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে উঠেছিলো, কারন ইতিমধ্যিই তার ঘরের দেরাজে ”BLACK DOG” এর তিনটে বোতল জমে গেছিলো আর নিশিকান্ত ছটফট করছিলো সেগুলোকে নিঃশেষ করার জন্য, কিন্তু সে নিজের কাছেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিল তাই সে নিরুপায় অবস্থায় দেখে যাছিলো যে কীভাবে একটার পর একটা ছুটি পেরিয়ে যাচ্ছিলো আর বাজারের মাছওয়ালাটা তার দিকে কেমন করুন ভাবে চেয়ে থাকতো, কারন নিশিকান্ত মদের ব্যাপারে খুবই শৌখিন , আর সে ভেটকি মাছ ছাড়া আর কিছু দিয়েই যে মদ খেতে পছন্দ করেনা সেটা মনে হয় এই গোটা শহরটা ইতিমধ্যিই জেনে গেছিলো। যতদিন নিশিকান্ত মদ খেতে না পায় তার মেজাজ যেন একদম খাট্টা হয়ে থাকে, তার রাজেশ খান্নার মত নরম মেজাজ তখন যেন অমিতাভের মত গনগনে হয়ে ওঠে। নিশিকান্তের এই মেজাজের সঙ্গে তার সহকর্মীরা ভালো ভাবেই ওয়াকিবহাল, তাই বেশ কিছুদিন ধরে খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউই আর নিশিকান্তের সঙ্গে কথা বলছে না। নিশিকান্ত অনেক ভেবে সবে অর্ণব আর ঋতুপর্ণার মৃত্যুর মধ্য কিছু মিল বার করেছিল, আর সেই দুজনের মিল-অমিলগুলো ভালো করে খুঁটীয়ে দেখতে দেখতে একটা হাল্কা আভাস পাচ্ছিলেন এক রহস্যর, গভীর রহস্যর। ""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !!
25-07-2020, 07:49 PM
"" তিন""
ভগবান কিন্তু নিশিকান্তের জন্য হয়তো আরও অনেক কঠিন সময় সাজিয়ে রেখেছিলো, নিশিকান্ত হয়তো সবে একটু গুছিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করছিলো, অর্ণব আর ঋতুপর্ণার মৃত্যুকে, তখনই শুকনো আকাশে থেকে যেন একটা বাজই পরে নিশিকান্তের মাথায়, আর সেই বাজ ছিল আরও একটি দেহ। এবার দেহটি পাওয়া যায় একটি নির্জন শ্মশানে, সেই মড়া নদীর খাত থেকে এই শ্মশানটা ঠিক চার কিলোমিটার দুরে আর এইবার দেহটি একটি মাঝবয়েসী পুরুষ মানুষের, আর উনি কলকাতার এক কলেজ লেকচারার ছিলেন রসায়নের প্রফেসার ছিলেন, ওনার নাম ছিল ভৈরব হাজরা। মৃত্যুর সময় ওনার পরনে ছিল দামী কোট, প্যান্ট আর ওনার পকেটেও ব্যাগ ভর্তি টাকা ছিল। ভৈরব হাজরার পরিবার বলতে সেরকম কেউ ছিলনা, তিনি অকৃতদার ছিলেন । ওনার সংসার বলতে ওনার এক দূরসম্পর্কের ভাগ্নে ছাড়া কেউই ছিলনা। সেই ভাগ্নের বাড়ীতেই এসেছিলেন ভৈরব বাবু আর তারপরেই এই ঘটনা। নিশিকান্ত ওনার ভাগ্নে সুমিতের কাছে জানতে পারেন যে ভৈরব বাবু বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন, আর উনি সামনের মাসেই ছুটিতে বাইরে চিকিৎসা করাতে যাবার কথা ভাবছিলেন আর তার আগে একটু ভাগ্নের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। ভৈরব বাবু বরাবরই একটু প্রকৃতি প্রেমিক ছিলেন তাই সেই নদীর ধারে শ্মশানে প্রায় ঘুরতে যেতেন আর তারপরেই ওনার আচমকা মৃত্যু। পোস্টমর্টেম রিপোর্টে ভৈরব বাবুর মৃত্যুর কারন হিসাবে সেই হার্ট এট্যাক, তবে তা হটাত প্রেশার বেড়ে যাওয়ার জন্য। এমনিতেই ভৈরববাবু হাই প্রেশারের রুগী ছিলেন আর নিয়মিত ওষুধও খেতেন, তবে হয়তো সেই সময় তার সঙ্গে ওষুধ ছিলনা আর প্রেশার বেড়ে যাওয়াতে তার দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু। নিশিকান্ত এবারও সুমিতবাবুকে একটা মামলা ঋজু করতে বললে, সুমিতবাবু নিশিকান্তের কাছে হাতজোড় করে বলেন ”সার মামা তো মারাই গেছেন ,এবার আর ওনাকে টানাহেঁচড়া না করে দয়া করে আমাকে ওনার শেষকৃত্য করতে দয়া করে অনুমতি দেন”। এতদিন ধরে সহায় সাহেব চুপ করে ছিলেন, কারন ওনার ভরসা ছিল নিশিকান্তের ওপরে, তাই দু দুটো অস্বাভাবিক মৃত্যু স্বত্তেও উনি নিশিকান্তকে কোনও চাপ দেননি, তবে এইবার তিন নম্বর মৃত্যুর পরে সহায় সাহেব এক সকালে নিশিকান্তকে ফোন করেন আর খুব ক্যাসুয়ালি বলেন ” নিশি আভি মুড ক্যায়সা হ্যায় ? তুমহারে ইলাকা মে তিন তিন অজিব মৌত হও গ্যায়া ওর তুম ক্যায়া কর রহা হ্যায় ভাই?” নিশিকান্ত তার জীবনে যত অফিসারের অধিনে কাজ করেছে তার মধ্য সে সব থেকে বেশী সম্মান এই সহায় সাহেবকেই করতো, কারন সহায় সাহেব সারা জীবন নিজের পদন্নতির থেকে সবসময় তার জুনিয়ারদের সাফল্য বেশী খুশী হতেন, তাই যেকোনো শক্ত কেসে উনি তার জুনিয়ারদের যথাসাধ্য হেল্প করলেও তার ক্রেডিট নিজে কক্ষনোই নিতে চাইতেন না, তাই এই রকম একটা অফিসার যখন তাকে একটা ব্যাপারে দেখতে বলছে, তখন সেটা নিশিকান্তের কাছে খুবই সম্মানে লাগলো কারন সহায় সাহেব কক্ষনোই তার জুনিয়ারদের প্রেশার দিতেন না। নিশিকান্ত গম্ভীর গলায় সহায় সাহেবের প্রশ্নের জবাবে বলেন ” সার আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি, তবে একটা কথা আমি আপনাকে এখনই জানাতে পারি যে আমার এতদিনের অভিজ্ঞতা বলছে যে এই মৃত্যুগুলো কোনমতেই স্বাভাবিক নয়, হতেই পারেনা। কারন পরপর তিনটে মৃত্যু আর সবগুলোর ধরন মোটামোটি একই। তিনজনেই অসুস্থ ছিল, বাইরে চিকিৎসা করাতে যাবার কথা চলছিলো আর ঠিক বাইরে যাবার আগেই সবার মৃত্যু। আরেকটা মিলও আছে সার এদের সবার মধ্য সেটা হল যে এরা সবাই কলেজে হয় পরে না হয় পড়ান আর সবাই বিজ্ঞানের কোন না কোন বিভাগের সঙ্গেই যুক্ত, তবে সার এইসব তো কাকতালীয় হতে পারে কিন্তু দুটো পয়েন্ট আছে যেটা এই তিনটে মৃত্যুকে অন্তত একপয়েন্টে মিলিয়ে দিয়েছে, সেটা হল সার এদের মৃত্যুর জায়গা সবই কিন্তু ওই নদীর ধারেই বা তার চার পাঁচ কিলোমিটারের মধ্য, আর সার যেটা আমার সব থেকে অদ্ভুত লেগেছে সেটা হল সবারই পরনে ভালো জামাকাপড় ছিল, ব্যাগে টাঁকায় ভর্তি ছিল আর প্রত্যকের ব্যাগের মধ্যই সার আমি একটা অদ্ভুত জিনিষ খুজে পেয়েছে যেটা থেকেই আমার মনে হয়েছে যে এই তিনটে মৃত্যু কোনও না কোনও ভাবে অবশ্যই জড়িত” সহায় সাহেব এতক্ষণ ধরে চুপচাপ নিশিকান্তের বিশ্লেষণ শুনে যাচ্ছিলেন, এবার নিশিকান্ত থামতেই তিনি আগ্রহের সঙ্গেই বলে উঠেন ”কি হলো এই ভাবে চুপ করে গেলে কেন? কি পেয়েছো বলই না!” নিশিকান্ত এবার ফোনের ওপর প্রান্ত থেকে বলে উঠে ”সার আমি সত্যি করেই অদ্ভুত জিনিষ পেয়েছি, আমি তাদের প্রত্যাকের ব্যাগের মধ্যই একটা করে ”মিকি মাউসের” স্টিকার পেয়েছি সার” এবার সহায় সাহেব শব্দ করে হেসে উঠে বলে ” নিশি তুমি কিছুদিন না হয় ছুটি নিয়েই নাও, একটু রিলাক্স করো কারন কেসটা মনে হয় তোমার মাথায় চেপে বসেছে , নাহলে তিনটে মিকি মাউসের স্টিকার পেয়ে তুমি ভাবলে কি না কি ক্লু পেলে? চলো কেসটা তাড়াতাড়ি শলভ করলে আমি তোমাকে তোমার একটা প্রিয় জিনিষ দেবো, বাই ” বলে সহায় সাহেব ফোনটা কেটে দিলেও নিশিকান্ত কিন্তু চুপ করে, মাথার চুলে বিলি কাটতে কাটতে কি যেন ভাবতে লাগলো ""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !!
25-07-2020, 09:46 PM
"" চার""
নিশিকান্ত এক সপ্তাহ ধরে অর্ণব, ঋতুপর্ণা আর ভৈরব সবার পাস্ট, প্রেসেন্ট ঘেটেও তেমন কিছু লিঙ্ক বার করতে পারলো না, শুধু ওরা তিনজনেই বিজ্ঞান নিয়ে পরে বা পড়ান, তবে একটা ছোট্ট লিঙ্কও পেয়েছিলো কিন্তু সেটা বিরাট কিছু নয়। ক্লাস টেনে পড়ার সময় ঋতুপর্ণা আর অর্ণব দুজনেই মাস দুয়েক ভৈরব বাবুর কাছে কিছুদিন কেমিস্ট্রি পড়েছিলো ,আলাদা আলাদা ব্যাচে। এটা ছাড়া আর নিশিকান্ত তাদের মধ্য দুর দুর থেকেও কোনও যোগাযোগ স্থাপন করতে ব্যর্থ হল। নিশিকান্ত সকালে একদিন থানায় বসে আকাশ পাতাল ভাবছিলো তখনই তার চিন্তায় ব্যাঘাত ঘটে আর একজন ভদ্রমহিলা নিশিকান্তের সামনে এসে দাঁড়ায়। নিশিকান্ত তার চিন্তার ব্যাঘাত ঘটায় চোখে একরাশ বিরক্তি নিয়েই তাকায় আর অবাক হয়ে দেখে একটি অনন্য সুন্দর ভদ্রমহিলা তার সামনে দাড়িয়ে, মুখে দুশ্চিন্তার স্পষ্ট ছাপ। ভদ্রমহিলা খুব একটা ফর্সা নন, তবে তার স্লিম চেহারায় এই রঙটাই যেন মানায়, মাথার চুল থেকে ওনার টানা টানা চোখ সবই যেন ভগবান অতি নিপুন হাতে বানিয়েছিলেন, নিশিকান্ত নিজেই বুঝতে পারে যে সে একটু হ্যাংলার মতই তাকিয়ে ছিল ভদ্রমহিলার দিকে, আসলে তারও খুব একটা দোষ নেই এই অদ্ভুত মৃত্যুর রহস্যর চক্করে পরে সে প্রায় মাসখানেক হল প্রায় সন্ন্যাসী হয়ে গেছিলো, তার ওপর এমন সুন্দরী মহিলা! তাই নিশিকান্ত একটু ভাবুক হয়ে উঠেছিলো, ভদ্রমহিলা এতক্ষণে কথা বলেন আর তার স্নিগ্ধ রূপের মতই তার গলাও সুরেলা ছিল, সেই সুরেলা গলাতেই তিনি বলেন ”সার আমার ছেলের খুব বিপদ, প্লিস আপনি ওকে বাঁচান!”। ভদ্রমহিলার কথাতে যেন নিশিকান্ত বাস্তবে ফিরে আসেন , নিশিকান্ত এবার ভদ্রমহিলার দিকে তাকিয়ে বলেন ” কি হয়েছে ঠিক করে বলুন”। ভদ্রমহিলা তার অদ্ভুত সুরেলা গলাতেই বলে ”সার আমার নাম অপর্ণা ঘোষ, আমি এই শহরের একটা কলেজে বাইলোজি পড়াই, বেশ কিছুদিন ধরে আমার কলেজে পড়া ছেলে খুব ভয়ে ভয়ে আছে, কারা যেন ওকে মেরে ফেলবে এই ভয়েই আছে, আপনি প্লিস একটু চলুন, যেয়ে ওকে একটু বোঝাবেন ” নিশিকান্ত এমনিতেই মহিলাদের একটু বেশীই দুর্বল, তারপর আবার এই ভদ্রমহিলা মারকাটারি সুন্দরী, নিশিকান্ত পারলে তখনই উঠে ভদ্রমহিলার সঙ্গে যাওয়ার জন্য এক পায়ে খাড়া, নিশিকান্ত তাড়াতাড়ি উঠতে গিয়েই দেখে থানার পুরনো কনস্টেবল সুধিরবাবু তার দিকে তাকিয়ে ইশারায় যেতে বারন করছে। নিশিকান্ত একটু থমকে যায় আর ইশারাটা বুঝে এইবার প্রবল অনিচ্ছা স্বত্তেও ভদ্রমহিলাকে বলেন ” ঠিক আছে ম্যাদাম আপনি আপনার ঠিকানা লিখিয়ে দিয়ে যান, আমি একটু জরুরী কাজ সেরে আসছি”। ভদ্রমহিলা নিজের নাম ঠিকানা লিখিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় করুন ভাবে নিশিকান্তের দিকে তাকিয়ে বলে যায় ” সার প্লিস একটু দেখবেন কিন্তু, আমি অপেক্ষা করে থাকবো ” নিশিকান্ত বিমর্ষ মুখে দাড়িয়ে দেখে যে অপর্ণা ঘোষ তার সুন্দর নিতম্ব দুলিয়ে কীভাবে তার চোখের সামনে থেকে চলে গেল, সে চলে যেতেই নিশিকান্ত প্রায় তেড়ে গিয়ে সুধিরবাবুর দিকে যেয়ে পরে খিঁচিয়ে জিগ্যেস করে ”কি হলো অমন ভাবে ইশারা করছিলেন কেন? আমি কি আপনার প্রেমিকা না আপনি গরমে পাগল হয়ে গেছেন?” নিশিকান্তের এই মেজাজের সঙ্গে সুধিরবাবু আগে কক্ষনো সেই ভাবে পরিচিত ছিলেন না, তাই নিশিকান্তের এই জেরার সামনে পরে উনি তোতলাতে শুরু করে দেন আর কোনও মতে সেই অবস্থাতেই বলে ”সার আমি কেন পাগল হব? ওই ভদ্রমহিলারই বরঞ্চ মাথায় একটু ছিট আছে, ওনার কোনও ছেলেই নেই তো তাকে আবার কে থ্রেট দেবে সার?” বলে এবার সুধিরবাবু আরও সংযোজন করে বলে ”সার ওনাকে এই শহরের সবাই মোটামোটি চেনেন, উনি সত্যিকারের ভালো শিক্ষিকা তাই কেউ কিছু মনে করেনা, ওনার বাড়ীতে উনি আর ওনার বৃদ্ধ মা ছাড়া কেউ নেই। ওনার মাঝে মাঝে একটু ছিটটা বেড়ে যায় আর উনি সোজা থানায় চলে আসেন কমপ্লেন লেখাতে আর কি”। নিশিকান্তর একটু খারাপই লাগলো ব্যাপারটা শুনে, ওনার তখনো ভালো করে বিশ্বাস হচ্ছিলো না যে ওত সুন্দরী আর শিক্ষিত ভদ্রমহিলা একটু ছিটিয়াল!। পরেরদিন যে ঘটনাটা ঘটলো তাতে নিশিকান্তর মাথা থেকে সমস্ত অপ্রাসঙ্গিক চিন্তা ভাবনা বের করে দিল, পরেরদিন সকালে নিশিকান্ত তার কোয়াটারে বসে সকালের পেপার পরছিলো একমনে। নিশিকান্তের মোবাইলটা এমন সময় বেজে উঠে, নিশিকান্ত আনমনেই ফোনটা তুলে আর কল রিসিভ করতেই ওপার থেকে সহায় সাহেবের সেই ঝাড়, সহায় সাহেবের চেচানির কারন হল আবার একটা লাশ পাওয়া গেছে, সেই একই রকম রহস্যময় ভাবে। নিশিকান্ত ঘরের পাজামা পাঞ্জাবি পরেই সোজা নদীর ধারে সেই স্পটে চলে যায় নিজের বুলেটটাতে চেপে। ততক্ষণে তার থানার বাকিরাও এসে পৌঁছে গেছে, যে জুনিয়ারটাকে নিশিকান্ত সহায় সাহেবের ঝাড়টা ট্র্যান্সফার করে দিয়েছিলো সেটাও ভিজে বেড়ালের মত মুখে একপাশে দাড়িয়ে তাকে আড়চোখে দেখে যাচ্ছিলো, নিশিকান্ত আর বেশী দেরি না করে সোজা পুলিসি বেষ্টনীর মধ্য পরে থাকা বডিটা দেখতে চলে গেল। সামনে গিয়ে নিশিকান্ত আগে গ্লাভস পড়া হাতে বডিটাকে উল্টে পাল্টে নানা ভাবে দেখেও কিছু দেখতে পেল না, না কোনও আঘাত না কোনও ধস্তাধস্তির চিহ্ন, দেহটি ছিল একটি বছর সাতাশ আটাশ বছর বয়েসের একটি সুন্দর, স্বাস্থ্যবান ছেলের। তার ব্যাগের থেকে তার পরিচয় পত্র হিসাবে পাওয়া আইডেন্টিটি কার্ড থেকে জানা যায় যে ছেলেটির নাম নয়ন মুখার্জি, তার আইডেন্টিটি কার্ডটা একটা কলেজের ল্যাবের ছিল। নিশিকান্ত ফোন করে যানতে পারে যে ছেলেটি জেলার একটি কলেজে সদ্য জুলজির মাস্টার্স কমপ্লিট করে সেখানেই কাজ করছিলো, আর আগের সবারই মত এও বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিল আর তারও বাইরে যাবার কথা ছিল ডাক্তার দেখাবার জন্য। আগের তিনবারের মতই এবারও এই ছেলেটির পরনে মৃত্যুর সময় ধোপদুরুস্ত পোশাকই ছিল আর তার মানিব্যাগে টাকা, পয়সা ভর্তি ছিল। নিশিকান্ত কিন্তু এইবার প্রথমেই ছেলেটির মানিব্যাগ বার করে তার কাঙ্ক্ষিত জিনিষটি খুজতে থাকে আর অল্পক্ষণ খুজতেই যেটার আশা করছিলো সেই জিনিসটা পেয়েও যায়, একটি মিকি মাউসের স্টিকার! ""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !!
25-07-2020, 09:48 PM
"" পাঁচ""
পরপর তিন রাত নিশিকান্ত জেগেই ছিল, তার চোখে এক ফোঁটাও ঘুম ছিলও না। এই তিন দিন সে থানাতেও যায়নি আর ঘর থেকেও বেরোয়নি, শুধু সিগারেট খেয়ে গেছে আর চারটে মানুষের ফাইল খুঁটিনাটি ভাবে পরে গেছে। লালু যে নিশিকান্তের সঙ্গে প্রায় তার চাকরি জীবনের প্রথম থেকেই আছে সেও তার বাবুর এইরকম থমথমে রূপ আগে দেখেনি, লালু বার দুয়েক চেষ্টা করেছিলো খাবার কথা বলতে কিন্তু নিশিকান্তের মুখ চোখ দেখে সে আর সাহস পায়নি। নিশিকান্তের ঘরটা ধোয়ায় একদম ভর্তি ছিল তবুও নিশিকান্তের কোনও ভ্রুক্ষেপ ছিল না, সে নিজের মনেই বসে বসে একটা অঙ্ক মেলাবার চেষ্টা করে যাচ্ছিলো। তবে অঙ্কটা খুবই দুষ্ট ছিল সেটা ধরা দিতে দিতেও যেন ধরা দিচ্ছিলো না, নিশিকান্ত এইবার আস্তে আস্তে বিরক্ত হয়ে উঠছিলো তবুও কোনও ভাবেই সে অঙ্কটাকে মেলাতে পারছিলো না, নিশিকান্ত অতীত অভিজ্ঞতায় জানতো যে বেশী জোরজার করলে হয়তো অঙ্কটা কোনভাবেই মিলবে না। তাই বাধ্য হয়েই নিশিকান্ত ঘর থেকে বের হয় যাতে তার মাথায় একটু তাজা হাওয়া লাগে আর বুদ্ধিগুলো ভালো করে খেলতে পারে। লালু নিশিকান্ত কে বারান্দায় দাঁড়াতে দেখে তাড়াতাড়ি এগিয়ে আসে কিছু দরকারে লাগতে পারে ভেবে, কিন্তু নিশিকান্ত লালুকে হাত তুলে নিরস্ত করে নিজের মনেই বারান্দায় দাড়িয়ে নানা কথা ভেবে যাচ্ছিলো, আর উদাস চোখে দেখে যে একটা কুকুর কে কীভাবে দুটো কাক মিলে বোকা বানাচ্ছিলো, কুকুরটার সামনে একটা রুটি পড়েছিল আর কাক দুটোর খিদে পেয়েছিলো তবে কুকুরটার সামনে যাওয়া যাচ্ছিলো না গেলেই দাঁত খিঁচিয়ে তেড়ে আসছিলো, নিশিকান্ত মজার দৃষ্টিতেই দৃশ্যটা দেখছিলো, তখনই সে দেখে কাকগুলো একটু যেন অন্যভাবে তাদের প্ল্যান সাজালো, একটা কাক এইবার ক্রমাগত কুকুরটার মাথার উপরে উড়ে তাকে বিরক্ত করতে শুরু করলো আর আরেকটা কাক দুরে বসে দেখতে লাগলো, সেই কুকুরটা রেগে গিয়ে প্রথম কাকটাকে ধরার জন্য তেড়ে নিয়ে গেলো সঙ্গে সঙ্গে দ্বিতীয় কাকটা এসে রুটির টুকরোটা মুখে নিয়ে উড়ে গেল। কাক দুটোর এই বুদ্ধি দেখে নিশিকান্ত তিনদিন পরে খোলা মনে হো হো করে হেসে উঠে, হাসতে হাসতেই আচমকা একটা কি যেন তার মাথার ভেতরে ঝিলিক দিয়ে উঠে আর সঙ্গে সঙ্গেই সে ঘরের ভিতরে গিয়ে ভৈরব হাজরার ফাইলটা নিয়ে একটা কিছু দেখেই নিজের ফোনটা তুলে সোজা সহায় সাহেব কে ফোন করে, কিন্তু সহায় সাহেব কোন কাজে ব্যাস্ত থাকার জন্য তার ফোনটা রিসিভ করে না। নিশিকান্ত কোনরকমে এইবার রেডি হয়ে হাতে ফাইলগুলো নিয়ে সোজা সহায় সাহেবের বাংলোর দিকে তার বুলেটটা হাওয়ার বেগে ছুটিয়ে দেয় তবে তার মন্দ ভাগ্য এখানেও তাকে তাড়া করে, কারন সহায় সাহেব ততক্ষণে অফিসের দিকে চলে গেছেন। নিশিকান্ত তাড়াতাড়ি অফিসে পৌঁছে দেখে যে সহায় সাহেবের ঘরের সামনে দুটো সেন্ট্রি পাহারায় ছিল, তবে নিশিকান্তের তখন যেরকম অবস্থা ছিল তাতে তার কোন বাধায় সহ্য করার ক্ষমতা ছিলনা। ""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !!
25-07-2020, 09:50 PM
"" ছয়""
সেন্ট্রিরা ভালভাবেই তাকে বলে যে সার মিটিঙে ব্যস্ত আছেন, আপনি প্লিস একটু অপেক্ষা করুন কিন্তু নিশিকান্ত এই সামান্য কথাতেই তার মেজাজ হারিয়ে ফেলে আর চিৎকার করেই বলে ”আমি এখনই সহায় সাহেবের সঙ্গে দেখা করবো, পারলে আটকে দেখাও” বলেই ওই সেন্ট্রিদের প্রায় ধাক্কা দিয়েই সে সহায় সাহেবের ঘরে ঢুকে যায়। সহায় সাহেব বাইরের চিৎকার চেঁচামিচির আওয়াজ ভালো ভাবেই পাচ্ছিলেন এইবার চোখে বিরক্তি নিয়ে তিনি দেখেন যে নিশিকান্ত তিন চারদিনের না কামানো দাড়ি নিয়ে, ঘরের নোংরা পাজামা পাঞ্জাবি পরে হাতে ফাইলের স্তূপ নিয়ে দাড়িয়ে আছে, চোখের দৃষ্টি উত্তেজনায় একদম পাগলের মত হয়ে গেছে। সহায় সাহেব যতই নিশিকান্তকে ভালবাসুক তবে তারও একটা সম্মান ছিল এই অফিসে, তাই তিনি এইবার একটু রেগেই নিশিকান্তকে বলে ” নিশিকান্ত এটা কি হচ্ছে? তুমি কি দেখছ না যে আমি একটা জরুরী মিটিঙে কতটা ব্যাস্ত আছি?” নিশিকান্ত উত্তেজনার চোটে খেয়ালই করেনি যে সহায় সাহেব কতটা বিরক্ত হয়ে তাকে ”নিশি” না বলে নিশিকান্ত বলে সম্বোধন করলো, নিশিকান্ত তড়বড় তড়বড় করে বলে ”সার আমি কেসটায় একটা ব্রেক থ্রু মনে হয় পেয়ে গেছি, আপনি প্লিস একটু সময় দেন তাথলে আমি… ” বলতে বলতেই সে সহায় সাহেবের হাতের ইশারায় থেমে যায়। সহায় সাহেব এইবার তার ভরাট গলায় বলে ” সরি নিশিকান্ত আমি আর কেসটা পুরোপুরি তোমার কাছে রাখতে পারিনি, এটা জানাতে আমি তোমাকে গত তিন দিনে অন্তত বার কুড়ি ফোনও করেছি তবে তুমি কোনও ফোনই রিসিভ করনি, তাই বাধ্য হয়েই আমি তোমাকে না জানিয়ে কেসটা কলকাতার আই. বি থেকে আসা এক অফিসারকে দিয়ে দিয়েছি, কারন মাস পাঁচেক সময় পেয়েও তুমি আমাকে কোন ফ্রুটফুল রেজাল্ট দিয়ে উঠতে পারোনি, তুমি এইবার ওই অফিসারকে সাহায্য করবে, নাউ লেট মি ইন্ট্রডিউস ইউ তো মিস শালিনী শর্মা, আমাদের নতুন ইনভেস্টিগেটিং অফিসার” নিশিকান্ত তার আঘাত তখনো ভালো করে সামলাতে পারেনি তারই মধ্য সে চোখ তুলে দেখলো সহায় সাহেবের পাশেই একটি ফর্সা ,ছোট চুলের মহিলা বসে রয়েছেন, তবে তাকে চট করে কেউই মহিলা হয়তো ভাবতে পারবেনা কারন তার পোশাক আশাক থেকে শুরু করে হাবভাব সবই পুরুষ মানুষের মত, তবে নিশিকান্ত একটা জিনিষ লক্ষ্য করলো যে সহায় সাহেব যখন তাকে শালিনী শর্মার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলো , তখন শালিনী শর্মা যেন তাকে দেখেও না দেখা করলো, একটা উপেক্ষার দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়েই মুখ ঘুরিয়ে নিল। এই হাবভাব দেখে নিশিকান্ত কোনও কথা না বাড়িয়ে চুপচাপ সহায় সাহেব কে একটা স্যালুট দিয়ে থমথমে মুখে বেরিয়ে গেল পেছনে অনেক দর্শকের অবাক চোখ ছেড়ে। ""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !!
25-07-2020, 09:51 PM
"" সাত""
লালু অবাক হয়ে দেখে যে তার বাবু সেদিন সকালে ফিরে কেমন গুম হয়ে বসেছিলো, তার থমথমে মুখ যেন একটা ঝড়ের পূর্বাভাস দিচ্ছিলো, সহায় সাহেবের অফিস থেকে ফিরে নিশিকান্ত ঠাই তার বারান্দায় বসে ছিল, লালু বারদুয়েক খাবার কথা বলতে এসেও সাহস পায়নি। বিকেল গড়িয়ে যখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো তখনো যখন বাবু উঠলো না লালুর পক্ষে আর সহ্য হল না। কপালে যাই থাকুক এটা ভেবে সে এবার সোজা নিশিকান্তের পেছনে দাড়িয়ে মৃদু গলায় ডাকে ”বাবু ঘরে চলুন, সন্ধ্যা হয়ে গেছে। আপনি গত কদিন তো ভালো করে কিছু খাননি, এবার চলুন কিছু খেয়ে নেবেন” লালুর ডাকে নিশিকান্ত যেন ঘুম থেকে উঠে আর ভারী গলায় একটু থেমে থেমে বলে ” যা আমার দেরাজ থেকে একটা বোতল নিয়ে আয়, আর আমাকে একটু স্যালাড কেটে দিয়ে যা আর পারলে একবার বাজার থেকে কিছু মাছ নিয়ে আয় যা ” লালু আজ অব্দি কোনদিন তার মালিককে এই রকম মুডে মদ খেতে দেখেননি। সে দেখেছে যখনই তার মালিক মদ খায় তার অন্তত একদিন আগে থেকেই সব বন্দোবস্ত করতে আরম্ভ করে দেয়। মালিকের শখের পাল্লায় পরে তাকেও তো কত ধরনের রান্না শিখতে হয়েছে, এইবার লালু বাজার যাওয়ার আগে ভুল করেই বলে ফেলে ”বাবু কিন্তু এখন তো ভেটকি মাছ পাবো না”। এই সামান্য কথার প্রতিক্রিয়া যে এমন হবে লালু তা আগে জানলে হয়তো কথাটা স্বপ্নেও কোনদিন বলতো না, ভেটকি মাছের কথায় নিশিকান্ত যেন একটা ঝটকা খেয়ে উঠে আর লালুর সামনে দাড়িয়ে তার চোখের দিকে তাকিয়ে হিমশীতল গলায় বলে ” তুইও কি আমাকে নিয়ে মজা করছিস নাকি রে? মজা আমি করতে পছন্দ করি, মজার পাত্র হতে নয় সেটা তো তুই ভালো করেই জানিস লালু, যা বাজার যা” । লালু আর একদণ্ড না দাড়িয়ে সোজা বাজারের দিকে ছুটতে আরম্ভ করে, পথে যেতে যেতে অনেক পুরনো কথায় তার মনে পরে। লালু তখন একদম বাচ্চা ছেলে ছিল তবুও খারাপ সঙ্গে পরে একটা চুরির কেসে ফেঁসে গেছিলো আর নিশিকান্তই সেই কেসটার ইনচার্জ ছিল, সে দেখেছিলো তাদের সর্দার ছিল একটা নেতার চামচা আর তার ভয়ে তখন গোটা পরগনা ভয়ে কাঁপত, সেই সর্দার নিশিকান্তকে একটু ধমক চমক দিয়েছিলো বলে তাকে কেমন কুকুরের মত বাজারের মধ্য মারতে মারতে নিয়ে এসেছিলো, নিজের বেল্টের দাগ যতক্ষণ না নিশিকান্ত সর্দারের গোটা পিঠে এঁকে দিয়েছিলো ততক্ষণ সে থামে নি। বাচ্চা লালু এটাও দেখেছিলো যে সেই নেতা যার দমে তাদের সর্দার তড়পাতো, তাকে তার ঘরে ঢুকে কীভাবে মুখের ভিতরে পিস্তল ভরে নিশিকান্ত বাবু চমকে এসেছিলো লালু আর তাদের পুরো দলবলের সামনে একাই বিনা ইউনিফর্মে। সেদিন থেকেই লালু নিশিকান্তের ভক্ত আর তার কাছেই আছে, লালু এটা ভালো করেই জানে তার বাবুকে যদি কেউ অসম্মান করে তবে বাবু ক্ষেপে যায় আর তখন উনি সবই করতে পারেন সব! লালু যখন মাছ নিয়ে ঢুকল তখন সে দেখে যে বাবু স্নান সেরে সবে বারান্দায় এসে বসেছেন, বোতলটা তখনো খোলেননি। লালু তাড়াতাড়ি স্যালাড কেটে, মাছ ভেজে, জলের বোতল সব সাজিয়ে দিয়ে টেবিলে নিজে নিশিকান্তের পায়ের কাছে পোষা কুকুরের মত বসে থাকে। নিশিকান্ত যেদিন খারাপ মুডে মদ খেত সেদিন তার কোনও তালজ্ঞ্যান থাকতো না, এক লিটারের একটা স্কচের বোতল যে কীভাবে আধাঘণ্টার মধ্য উড়ে যেতে পারে তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করাও মুশকিল। মাছ ভাজা যেমনকার তেমনই পরে ছিল শুধু অল্প কিছু স্যালাড হয়তো খেয়েছিলেন। তবে মদ তার কাজ আরম্ভ করে দিয়েছিলো আর কিছুক্ষণের মধ্যই নিশিকান্ত প্রায় বেহুস হয়ে পরে। লালু এইরকম বহু রাত তার মালিকের সঙ্গে কাটিয়েছে তাই সে জানতো এর পর কি করতে হবে। পরেরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই নিশিকান্ত বুঝতে পারে যে কাল রাতে ওই ভাবে মদ খাওয়াটা তার ঠিক হয়নি, তার মাথাটা যেন যন্ত্রনায় ফেটে যাচ্ছিলো, লালু বলে হাঁক দিতেই লালু হাতে লেবু জলের একটা গ্লাস নিয়ে হাজির হয়। লেবু জলের ক্ষমতা অসীম হ্যাংওভার কাটানোর জন্য সেটা নিশিকান্ত তার অতীত অভিজ্ঞতাতেই ভালো করে জানতো। সবে আরেকটু ঘুমোবার তাল খুজছিল তখনই নিশিকান্তের মোবাইলটা যেন তার বিশ্রামের ব্যাঘাত ঘটানোর জন্যই যেন কর্কশ শব্দে বেজে উঠে, নিশিকান্ত বিরক্ত হয়েই এবার ফোনটা কাটতে যায় তবে স্ক্রিনে সহায় সাহেবের নম্বর দেখে আর কাটে না, কিন্তু ফোনটা ধরেও না। ফোনটা বেজে বেজে শেষে কেটে যায়, এরপরে আরও বার তিনেক ফোন আসে কিন্তু একই অবস্থা হয়। নিশিকান্ত সবে ফোনের হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে ঘুমের দেশে তলিয়ে যাচ্ছিলো, তখনই তার কোয়াটারের সামনে একটা গাড়ী থামার আওয়াজ পায় আর সে কিছু বোঝার আগেই তার বেডরুমে দুজন ঢুকে আসে। তাদের একজন যে সহায় সাহেব হবে সেটা বোঝার মত বুদ্ধি আর অভিজ্ঞতা নিশিকান্ত তার ছেচল্লিশ বছরের জীবনে পেয়েই গেছিলো , তবে সহায় সাহেবের সঙ্গে যে ঢুকল তাকে দেখে নিশিকান্তের নেশা একটু হলেও কেটে গেল, কালকে বোঝা যায়নি বা বিপর্যস্ত মানসিক অবস্থায় নিশিকান্ত দেখেনি, আজকে শালিনী শর্মাকে দেখে নিশিকান্ত বুঝলো যে মেয়েটার মধ্য একটা যৌবনের জোয়ার আছে আর সেই জোয়ারে নিশিকান্তের মত বুড়ো সহজেই ভেসে যাবে। শালিনীর পোশাক দেখলে কেউই বলবে না সে একটা আই.বির অফিসার। শালিনীর পরনে ছিল একটা হাল্কা নিল রঙের টাইট ফিটিং জিন্স আর একটা সাদা টীশার্ট, টিশার্টের ভেতর থেকেই শালিনীর উন্নত যৌবনের উপস্থিতি স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছিলো, নিশিকান্ত বিছানায় শোয়া অবস্থাতেই একবার জিন্সের উপর থেকেই শালিনীর পাছার ওপর চোখ বুলিয়েই তার অভিজ্ঞ চোখে বুঝতে পারে যে এই মেয়ে বিছানায় যে কোন বড় মরদকেও ঘামিয়ে ছাড়বে। বিছানার দৃশ্য কল্পনা করতেই নিশিকান্তের খোকাবাবু জেগে উঠে আর নিশিকান্ত একটু অসস্তিতে পরে যায় কারন তার পায়ের কাছেই সহায় সাহেব আর শালিনী দাড়িয়ে ছিল, নিশিকান্ত এইবার সহায় সাহেব কে উদ্দস্য করে বলে ” সার আপনারা একটু বসুন, আমি এখনি রেডি হয়ে আসছি” বলেই এইবার ”লালু” ”লালু” করে হাঁকাতে থাকে। লালু দৌড়ে এলে তাকে নির্দেশ দেয় সহায় সাহেব আর শালিনীকে বাইরের রুমে বসাতে। নিশিকান্ত রুম থেকে বের হওয়ার সময় একবার শালিনী তার দিকে তাকালো, সেই দৃষ্টি্তে যেন নিশিকান্তের অসস্তির কারন স্পষ্ট ধরা পরে গেছিলো, তবে শালিনীর দৃষ্টিতে একটা নিঃশব্দ উপেক্ষা আর অহংকার ছিল যা নিশিকান্তের খোকাবাবু কে আবার ঘুম পারিয়ে দিল! ""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !!
25-07-2020, 11:11 PM
এতটা অবধিই আমি পড়েছি।
25-07-2020, 11:30 PM
""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !!
26-07-2020, 12:01 PM
পুরোটা কারোর কাছে আছে?
30-07-2020, 07:11 PM
গল্পটার প্রথম প্যারা কপি করে গুগলে সার্চ দিন, পুরোটা কোথাও পাওা যেতে পারে।
30-07-2020, 07:32 PM
(30-07-2020, 07:11 PM)mamun08 Wrote: গল্পটার প্রথম প্যারা কপি করে গুগলে সার্চ দিন, পুরোটা কোথাও পাওা যেতে পারে। অনেক চেষ্টা করেছি, বাট ফল পাইনি ""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !!
31-07-2020, 04:07 AM
কোথাও খুজে পেলাম না।
10-06-2021, 12:28 AM
(01-07-2020, 10:34 AM)Kolir kesto Wrote: না দাদা গল্পটা শেষ করেছিল লেখক. আমি নিজে পড়েছি. গল্পটা .. বাট আবার পড়ার ইচ্ছা ছিলো তাই খুজতেছিলাম আমি আজকেই এই ফোরামে জয়েন করেছি, মিকি মাউস, এক যে ছিল রাজা, কেউটে সব আমারই লেখা ছিল আগের ফোরামে। আপনারা চাইলে ওগুলো পোস্ট করবো আর নতুন থ্রিলার ও লিখতে পারি, শুধু যদি আপনারা চান তবেই। ভালো থাকবেন
ধৃতরাষ্ট্র - দা বস !
|
« Next Oldest | Next Newest »
|