Thread Rating:
  • 41 Vote(s) - 2.85 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Adultery পাপ
#1
"গল্পটি একজন বিখ্যাত লেখকের একটি ছোটগল্প থেকে অনুপ্রাণিত। কোনো দেশ বা কারো অনুভূতিতে আঘাত করা এ গল্পের উদ্দেশ্য নয়৷ নিছকই যৌন আনন্দের উদ্দেশ্যে এই গল্প।" 


সময়টা ১৯৭১। বর্তমান বাংলাদেশে তথা তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানে ভয়াবহ যুদ্ধ চলছে। বিরলা বাংলার একটি ছোট্ট গ্রাম। গ্রামটি বেশ ভিতরে। গ্রামের অধিকাংশ মানুষই চাষাভুষা। শিক্ষার আলো তেমনভাবে পৌঁছায়নি তখনও। এ গ্রামে একটি প্রাইমারি স্কুল রয়েছে। ছাত্র খুব একটা হয়না৷ বাপ-মা সন্তানকে পড়ানোর চেয়ে খেতে-খামারে কাজ করাতেই চান বেশি। চারদিকে অভাব। পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণে বাংলার অবস্থা বেশ নাজুক। স্কুলটিতে চারজন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও আছেন দুজন৷ এখন অবশ্যি একজনই আছেন। মতিন সাহেব৷ আরেকজন শিক্ষক যুদ্ধ শুরু হবার পর চলে গেছেন, আর ফেরেননি৷ মতিন সাহেব কোথাও যাননি। যাওয়ার জায়গাও নেই। এতিম মানুষ তিনি। বাবা-মা ভাইবোন কেউই নেই। এক খালা আছে। তিনিও অনেক দূরে থাকেন৷ তারা বেঁচে আছে কিনা কে জানে। মতিন বিয়ে করেছেন বেশি দিন হয়নি৷ তার স্ত্রী সাত মাসের গর্ভবতী। স্ত্রীর এই অবস্থায় মতিন আর কোথাও যাননি। কারণ বিরল গ্রামটি বেশ ভিতরে হওয়ায় পাকিস্তানি বাহিনী এখনও এদিকে আসেনি৷ তারউপর এই গ্রামেই মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্প আছে৷ তাই এখানে থাকাই আপাতত নিরাপদ। 

মতিনের স্ত্রীর নাম নাসিমা। অল্প বয়স। ঊনিশ কি বিশ হবে৷ বিয়ের পরে স্বামীর চাকরিসূত্রে এই গ্রামে এসেছে৷ এখানে একটা ছোট্ট বাড়িতে তারা থাকে৷ নিজের বাড়ি নয়, আবার ভাড়া বাড়িও নয়৷ স্কুলের কাছেই তাদের বাড়িটা৷ বেশ সুন্দর। সংসারে নতুন অতিথি আসবে৷ আর এমন সময়ই কিনা যুদ্ধ শুরু হল৷ তার বাবার বাড়িও অনেক দূরের গ্রামে। চিঠিতে এতদিন কথা হত৷ তারা জানিয়েছিল  তারা ভালই আছে, সেদিকেও মিলিটারিরা যায়নি। কিন্তু এখন আর চিঠিও পাঠানো যাচ্ছেনা৷নাসিমার বেশ চিন্তা হয় বাড়ির লোকদের জন্য৷ গ্রামের বাইরে যাওয়া বিপদ৷ তাই সে স্বামীর সাথে এখানেই আছে। 

একদিন বিকেলবেলা নাসিমা বাড়ির পেছেনে নিমগাছতলায় একটা মোড়া পেতে বসে ছিল। মতিন বাড়িতে নেই৷ হয়ত বাজারে গেছে৷ সেখানে গেলে দেশের খবরাখবর ভালো পাওয়া যায়। নানান মানুষ আলোচনা করে৷ নাসিমা তার ফুলে উঠা পেট নিয়ে বসেছিল আর দূরে তাকিয়েছিল৷ হঠাৎ সে দেখতে পেল ঝোপের ভেতর থেকে বেরিয়ে কে তারদিকেই আসছে৷ নাসিমা ভালো করে দেখতে লাগল৷ না এটা তার স্বামী নয়৷ লোকটার খুড়িয়ে হাঁটছে৷ আরেকটু সামনে আসতে বোঝা গেল তার পরনে খাকি পোশাক৷ একি মুক্তিযোদ্ধা? না, দেখে তো মনে হচ্ছেনা৷ তবে কি পাকিস্তানি সেনা? নাসিমার বুকের ভেতরটা কেঁপে উঠল৷ লোকটা ক্রমশই তার দিকে আসছে৷ নাসিমা এবার বুঝে গেল এটা পাকিস্তানিই৷ কি লম্বা! আর ফর্সা গায়ের রঙ। নাসিমা উঠে দ্রুত ঘরের দিকে যেতে থাকল৷ মতিনও বাড়িতে নেই৷ নাসিমা দ্রুত পায়ে হাঁটতে লাগল৷ এমন সময় পেছনে ধপ করে শব্দ হল৷ নাসিমা পেছন ফিরে দেখল লোকটা মাটিতে পড়ে গেছে৷ তার পায়ে রক্ত। সে হাঁটতে পারছেনা৷ লোকটা ক্ষীণ গলায় বলল,"বেহেনজি, পানি মিলেগা?"

লোকটা পানি খেল তৃপ্তি করে। তারপর বলল-
-ডরিয়ে মাত বেহেনজি৷ ম্যা পাকিস্তানি হু। মুক্তি ফৌজ নে হামারে উপার হামলা কিয়া৷ ম্যা ভাগকে ইদার আয়ি হু৷ আগার ও লোগ মুঝে দেখ লিয়া তো মার দেগা। মুঝে বাচালো বেহেনজি । 

কথাটা বলেই লোকটা কাঁদতে লাগল৷ নাসিমা কিছুক্ষণ বোবার মত দাঁড়িয়ে রইল৷ সে কি করবে কিছুই বুঝতে পারছেনা৷ তার স্বামী হয়ত কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসবে৷ সে কি করবে? একটা পাকিস্তানি যারা কিনা এদেশের লোকদের নির্বিচারে মারছে তাকে সে বাঁচাবে? চারদিকে সন্ধ্যা হয়ে আসছে। নাসিমা হঠাৎ লক্ষ করল মতিন আসছে বাড়ির দিকে যদিও এখনও সে বেশ দূরে আছে। কিন্তু খোলা ফসলের মাঠ হওয়ায় তাকে দেখা যাচ্ছে৷ নাসিমা এখনও জানেনা কি করবে। হঠাৎ সে লোকটাকে বলল তার পেছেনে আসতে৷ নাসিমা তাকে তাদের ঘরের সাথে অন্য একটা ঘরে নিয়ে ঢুকাল৷ ঘরটাতে লাকড়ি রাখা৷ নাসিমা দরজা লাগিয়ে দিল আর লোকটাকে ইশারায় বুঝিয়ে এল যাতে কোনো শব্দ না করে৷ মতিন এর মধ্যে চলে এল৷ নাসিমার বুক ধকধক করতে লাগল৷ সে আসলে এটা কি করল? সাক্ষাৎ দুশমনকে ঘরে আশ্রয় দিল? তার স্বামী জানতে পারলে কি হবে? মতিন এসে বলল, "এ সময় বাইরে দাঁড়িয়ে আছ কেন? ভিতরে চল৷"

রাতে একবার বেরিয়ে নাসিমা ঐ ঘরটায় তালা মেরে এল৷ লোকটাকে দেখল ঘুমিয়ে আছে মাটিতে। 

চলবে...
[+] 10 users Like Senian's post
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
#2
চটি জীবনেের সবথেকে সাহসী গল্পের কিছু অংশ পড়লাম আজ,,,,ধন্যবাদ Senian দাদা এইরকম ব্যতিক্রমী গল্পের জন্য,,,সত্যিই অনেক অনেক ভাল লেগেছে,,,
Repped you
[+] 2 users Like kunalabc's post
Like Reply
#3
অসাধারণ গল্পের প্লট। ভাই নিয়মিত আপডেট দিবেন বিনিত অনুরোধ। গ্রামীন ভাবধারায় যেন গল্পটি আগায়
Like Reply
#4
অসাধারণ প্রেক্ষাপটে একটি চমৎকার সূচনা, প্রত্যাশায় রইলো ভালো কিছুর পাওয়ার.....
[+] 1 user Likes panudey's post
Like Reply
#5
নাসিমার ঘুম আসছেনা  না চিন্তায়৷ সকাল হলে কি করবে সে? মতিন যদি কিছু টের পায় সর্বনাশ হবে৷ এই যুদ্ধের সময় কি না সে শত্রুপক্ষের একজনকে বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছে! কি ভয়ানক ব্যাপার! নাসিমা শুনেছে পাকিস্তানি সেনারা অনেক খারাপ। মানুষ মারা এদের কাছে কোনো ব্যাপারই না। আবার  এরা নাকি মেয়েদের ;.,ও করে। না, নাসিমার উচিৎ হয়নি লোকটাকে আশ্রয় দেওয়া৷ মতিনকে বলে ফেলবে নাকি? কিন্তু লোকটা এমন অসহায়ভাবে তার কাছে আশ্রয় চাইলো৷ মতিনকে বললে লোকটাকে মুক্তিবাহিনীর হাতে তোলে দেবে৷ তারা তাকে মেরে ফেলবে৷ এসব ভাবতে ভাবতেই এক সময় নাসিমার চোখটা লেগে গেল৷ 


সকালে মতিন খেয়েদেয়ে একটু বাজারের দিকে গেল৷ গতকাল নাকি গ্রামে পাকবাহিনী এসেছিল৷ কিন্তু সুবিধা করতে না পেরে পালিয়ে গেছে৷ বিষয়টা খুবই চিন্তার৷ যদিও এই গ্রামে মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্প আছে কিন্তু পাকিস্তানি সেনাদের তো অস্ত্রশস্ত্র অনেক৷ কয়দিনই বা তারা প্রতিরোধ করতে পারবে৷ বাজারে মিটিং হবে কি করা যায় তা নিয়ে৷ মতিন সেখানেই যাচ্ছে। 

মতিন যাওয়ার পর নাসিমা ভয়ে ভয়ে লাকড়ির ঘরের দরজাটা খুলল। শব্দ পেয়ে লোকটা জড়সড় হয়ে গেল ভয়ে। নাসিমা দেখল লোকটা গুটি মেরে বসে আছে। চোখ তুলে তাকাল সে৷ নাসিমাকে দেখে একটু আশ্বস্ত হল৷ নাসিমাও যেন একটু ভরসা পেল৷ এ হয়ত এত খারাপ না। আর খারাপ হলেও সে এখন কিছু করতে পারবেনা। সে আহত এবং দুর্বল। পায়ে জখম হয়েছে। তার প্রাণের ভয় আছে৷ কেউ দেখলেই সে প্রাণটা হারাবে৷ তাই নাসিমাই তার শেষ ভরসা। সে নাসিমার দিকে ভীরু চোখে চেয়ে বলল-
-কিসিকো শক তো নেহি হুয়ানা, বেহেনজি? 

নাসিমা গ্রামের মেয়ে হলেও একেবারে মূর্খ না। এইট পাশ৷ সে উর্দু ভালো না বুঝলেও মোটামুটি বুঝতে পারল৷ নাসিমা মাথা নেড়ে বুঝিয়ে দিল, না কেউ কিছু সন্দেহ করেনি? 

নাসিমা জানতে চাইল তার পায়ে কি হয়েছে৷ গুলি লেগেছে কিনা? লোকটা বলল, গুলি লাগেনি কিন্তু কেটে গেছে মারাত্মকভাবে। নাসিমা ঘর থেকে এক টুকরো কাপড় এনে দিল কাটা পায়ে বাঁধতে। তারপর কিছু ভাত এনে দিল৷ লোকটা গ্রোগাসে তা গিলল। সে যখন ভাত খাচ্ছিল নাসিমার ভীষণ মায়া হচ্ছিল৷ নিশ্চয়ই তার অনেক খিদে পেয়েছিল৷ নাসিমা বলল -
-আপনার নাম কি? 
-মেরা নাম জামশেদ হে। ম্যা পাকিস্তান কি বালাকোট সে হু। 

খাওয়া শেষ হলে নাসিমা থালা নিয়ে গেল। ঘর থেকে একটা পুরনো গামছা এনে দিল হাত মুছতে। খাবার খেয়ে জমশেদ এর চোখেমুখে তৃপ্তি। সে জানেনা তার ভাগ্যে কি আছে। হয়ত সে মারা যাবে৷ হয়ত মেয়েটি তাকে ধরিয়ে দেবে৷ 

একটু পর নাসিমা ফিরে এল৷ সে একটা মাদুর এনে বিছিয়ে দিল৷ তার উপর একটা কাঁথা রেখে তাতে একটা বালিশ দিল৷ জমশেদ নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিলনা, একজন বাঙালি গৃহবধূ তার প্রতি এত দয়ালু হবে! নাসিমা তাকে বলে গেল সে যেন কোনো প্রকার শব্দ না করে। তার স্বামী টের পেলে সমস্যা হবে৷ তাকে ধরিয়ে দেবে। নাসিমা সুযোগ বুঝে তাকে খাবার দিয়ে যাবে৷ নাসিমা চলে যাওয়ার সময় জমশেদ বলল,"বেহেনজি, আপনা নাম?"
-নাসিমা৷ 
-বহত পেয়ারা নাম হে৷ বেহেনজি কিয়া আপকি বাচ্চা হোগি? 
-হ্যাঁ৷ 
-ইদার স্রিফ আপ অউর আপকি শোহর রেহতি হো? অউর কই নেহে রেহতা? 
-না। 

দুপুরে নাসিমা বেশি করে ভাত রান্না করল যাতে জমশেদও খেতে পারে। মতিন দুপুরে বাড়ি ফিরল। গোসল সেরে বারান্দায় খেতে বসল পাটি বিছিয়ে৷ নাসিমা খাবার বেড়ে দিল। 
-বুঝলে নাসিমা, গতকাল নাকি মিলিটারি রা গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করেছে৷ পরিস্থিতি বেশি ভালোনা। 
-আমরা এখন কি করুম? এখান থাইকা চইলা যাইবা? 
-জানিনা৷ অবস্থা খারাপ হলে তো যেতেই হবে। 

নাসিমা একবার লাকড়ির ঘরের দিকে তাকাল৷ তারা চলে গেলে জমশেদের কি হবে? হয়ত না খেয়ে মারা যাবে৷ অথবা ধরা পড়বে৷ 

দুপুরে খাওয়ার পর মতিন একটু বিছানায় গা এলিয়ে দিল৷ দেশের এমন অবস্থায় শান্তিতে ঘুমও আসেনা৷ কিন্তু তাও সে একটু ঘুমাতে চেষ্টা করল অভ্যাসমত৷ নাসিমা এই ফাঁকে খাবারের থালা নিয়ে লাকড়ির ঘরে গেল৷ জমশেদ খেয়ে নিল। খাওয়া শেষে নাসিমা যখন থালা বাটি নিয়ে চলে আসছিল, জমশেদ বলল-
-বেহেনজি বেইঠিয়ে না। 
-কেন? 
-কুচ নেহি। থোরা বাতচিত কার লেতি৷ ম্যা আপকো এহসান কাভি নেহি ভুলোঙা৷ আপকা শোহর কিদার হ্যায়?

নাসিমা তাকে বোঝাল যে তার স্বামী ঘরেই আছে ঘুমিয়ে আছে৷ কথায় কথায় জমশেদ অনেক কথাই বলল৷ তার স্বপ্ন ছিল আর্মিতে চাকরি করা৷ স্বপ্ন পূরণ হয়েছে৷ কিন্তু সে যুদ্ধ, মানুষ হত্যা এসব পছন্দ করেনা৷ কিন্তু বাধ্য হয়ে এসব করতে হচ্ছে। সে অনেকদিন বাড়ি যায়না৷ তার বিয়ে ঠিক হয়ে আছে৷ ফিরলেই বিয়ে হবে৷ কিন্তু আদৌ ফিরবে কিনা এখন তারই ঠিক নেই৷ কনের নাম রেশমি৷ জমশেদ কনের একটা সাদাকালো ছবি দেখালো৷ সালোয়ার কামিজ পড়া ছিপছিপে এক তরুণীর ছবি। 

বিকেলবেলা মতিন আবার বাইরে গেল৷ নাসিমা তখন জমশেদ এর কাছে গেল। এবার আর খাবার দিতে নয়৷ এমনি গেল৷ কিছুক্ষণ কথা বলল। জমশেদ এর ইচ্ছা পাকিস্তান ফিরে যাবে৷ কিন্তু কিভাবে যাবে সে জানেনা৷ জমশেদ হঠাৎ কিছু বলতে ইতস্ত করছিল। পরে নাসিমা বুঝতে পারল সে টয়লেটে যেতে চাচ্ছে৷ নাসিমা তাকে নিয়ে গেল এবং নিজে টয়লেটের সামনে দাঁড়িয়ে রইল৷ কেউ দেখে ফেললে সর্বনাশ। এমন সময় এক বিপত্তি ঘটল। বাড়ির পাশ দিয়ে রাস্তা দিয়ে কেউ একজন আসছে এদিকে৷ নাসিমা ভয় পেয়ে বাথরুমের দরজায় টোকা দিল৷ জমশেদ বেরিয়ে এলে বলল তাড়াতাড়ি ঘরে যেতে। জমশেদ খুড়িয়ে হাঁটছিল৷ তাই দেখে নাসিমা জমশেদের একটা হাত তার কাঁধের উপর রেখে জমশেদকে দ্রুত ঘরে যেতে সাহায্য করল৷ নাসিমার হাতের আচমকা স্পর্শ পেয়ে জমশেদ এর শরীরটা কেমন করে উঠল। এদিকে নাসিমা জমশেদকে ঘরে ঢুকিয়ে বাইরে এসে দেখল লোকটা রাস্তা ধরে অন্যদিকে চলে গেছে। নাসিমা একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল।
[+] 12 users Like Senian's post
Like Reply
#6
কি যে ডিলিট করলেন তার প্রতি আগ্রহ বেড়ে গেলো,,,,আপনি বেশ বড় মাপের লেখক,,,, আপনি ভালো তো আপনার লেখাএ ভালো,,
রেপু দিলাম
Like Reply
#7
onno rokom lekha ar shahosi podokhep
Like Reply
#8
মজার লেখা
Like Reply
#9
আপডেট প্লিজ
[+] 1 user Likes msd23's post
Like Reply
#10
সন্ধ্যায় মতিন ফিরে এল৷ জমশেদ এর রাতের খাবার নাসিমা এর মধ্যেই দিয়ে দিল যাতে রাতে আর বের হতে না হয়। যুদ্ধের জন্যে স্কুল বন্ধ।তাই মতিনের তেমন কাজ নেই৷ তারও যুদ্ধে যেতে ইচ্ছা করে। কিন্তু পোয়াতি বউটাকে ফেলে সে কি করে যায়? নাসিমাকে বাপের বাড়ি রেখে আসতে পারলে ভাল হত৷ কিন্তু এখন সেই সু্যোগ নেই৷ যুদ্ধ দিনে দিনে ভয়ানক আকার ধারণ করছে। আশেপাশের অনেক গ্রাম মিলিটারিরা পুড়িয়ে দিয়েছে৷ মানুষকে পাখির মত গুলি করে মারছে, মেয়েদের ইজ্জতহানি করছে৷ কিন্তু এই পশুগুলো একদিন পরাজিত হবেই মতিনের দৃঢ় বিশ্বাস। সেদিন সে আবার স্কুল চালু করবে৷ সেদিন আর পাকিস্তানি পতাকা না স্বাধীন দেশের পতাকা উড়াবে সে স্কুলে৷ 

যুদ্ধে যেতে না পারলেও মতিন মুক্তিবাহিনীর খোঁজ-খবর নেয় প্রতিদিন। এই গ্রামের বাজারেই মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্প। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মুক্তিযোদ্ধারা এখানে আসে৷ এখান থেকে তাদের দায়িত্ব দিয়ে অপারেশন এ পাঠানো হয়। মিলিটারিরা এতদিন এই অঁজপাড়া গায়ে ঢুকেনি। আর সেদিন ঢুকতে চেষ্টা করেও মুক্তিবাহিনীর শক্ত প্রতিরোধে পালিয়ে গেছে। কিন্তু তারা হয়ত আবার আসবে। গ্রামের স্কুলের শিক্ষক হিসেবে মতিনকে সবাই শ্রদ্ধা করে। সবচেয়ে ভালো কথা হচ্ছে এই গ্রামে কোনো রাজাকার নেই। গ্রামের মেম্বার মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে এবং তারা বিভিন্নভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করছে৷ আজকে বাজারে একটা মিটিং হয়েছে। এ গ্রামে যাতে কোনোভাবেই মিলিটারি ঢুকতে না পারে। গ্রামের কয়েকজন যুবককে অস্ত্র চালানো শেখানো হয়েছে। মতিন তাদের মধ্যে একজন। যদিও অস্ত্র খুব কম। তবে চালানো শিখে রাখলে কাজে লাগতেও পারে। মতিনের আজ খুব ভালো লাগছে। যুদ্ধে যেতে না পেরে যে গ্লানিটুকু ছিল তা যেন একটু হলেও আজ দূর হল। 

রাতে জুম বৃষ্টি শুরু হল৷ টিনের চালে জমজম শব্দ হচ্ছে। বাংলার বর্ষার বৃষ্টি। বৃষ্টি মতিনের খুব পছন্দ। সে নাসিমাকে জড়িয়ে ধরে নাসিমার কপালে একটা চুমো খেল। তারপর নাসিমার পেট থেকে শাড়ির আঁচল সরিয়ে তার অনাগত সন্তানকে হাত বুলিয়ে আদর করতে লাগল। নাসিমা বলল, "তোমার মন খারাপ?''
-মন খারাপ না৷ চিন্তা হয়। যদি কোনো বিপদ হয়? 
-কি বিপদ হবে? ওরা হয়ত মাইরা ফেলবে, এর বেশি আর কি করবে?
-জানিনা। নাসিমা, বাচ্চাটার নাম কি রাখব আমরা? 
-তুমি কিছু ঠিক করেছ? 
-না। 
-আমি কয়েকটা ঠিক করেছি৷ কিন্তু এখন বলবনা। 

মতিন নাসিমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমানোর চেষ্টা করল৷ নাসিমা মতিনের চুলে হাত বোলাতে বোলাতে ভাবতে লাগল লাকড়ির ঘরের চাল তো ফুটো৷ জমশেদ নিশ্চয় ভিজে গেছে৷ নাসিমা জানেনা কেন এই শত্রুসেনার প্রতি তার একটা মায়া জন্মে যাচ্ছে। হয়ত মানবতার খাতিরে৷ নাসিমা চায় জমশেদের স্বপ্ন পূরণ হোক। সে নিজ দেশে ফিরে যাক, রেশমিকে বিয়ে করে সুখী হোক৷ 


সকালবেলা খেয়েই আবার মতিন চলে গেল বাজারে৷ নাসিমা তখন খাবার নিয়ে লাকড়ির ঘরে ঢুকল৷ জমশেদ তাকে দেখেই একটু হাসল৷ বৃষ্টি এখনও থামেনি। জিরিজিরি বৃষ্টি পড়ছে৷ 
-বেহেনজি, খানা লায়া?
-হ্যাঁ, খেয়ে নাও৷ 
-বেহেনজি রাতকো বহত তুফান অউর বাদল হুয়া থা৷ 
-হ্যাঁ। এখনও বাদল হো রাহি৷ 

নাসিমার মুখে উর্দু শুনে জমশেদ এর মুখে হাসি ফুটে উঠল৷ 
-আপকি জবান ম্যা উর্দু বহত পেয়ারা লাগতি হ্যা, বেহেনজি৷ 

নাসিমা দেখল জমশেদের বিছানা কিছুটা ভিজে গেছে। কিন্তু তার শরীর শুকনো আছে৷ জমশেদ খাওয়া শুরু করল৷ নাসিমা সামনে বসে দেখতে লাগল। মতিন খাওয়ার সময়ও সে সামনে বসে থাকে৷ মতিন খাওয়ার সময় তার সাথে গল্প করে৷ কিন্তু জমশেদ রাক্ষসের মত খেতে থাকে৷ অন্যদিকে খেয়াল থাকেনা৷ নাসিমা আজকে ভালো করে জমশেদকে দেখতে লাগল। সে দেখতে খুব সুন্দর৷ লম্বা, উঁচু নাক, হাত পা সব বড় বড়, পেটানো শরীর। সে শুনেছিল পাকিস্তানিরা অনেক লম্বা হয়। আসলেই তাই। নাসিমা যখন জমশেদকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছিল হঠাৎ জমশেদ তার দিকে তাকাল৷ নাসিমা ইতস্তত হয়ে চোখ নামিয়ে ফেলল৷ এবার জমশেদ এর চোখ পড়ে গেল নাসিমার শাড়ির আঁচলে লুকিয়ে থাকা স্তনের উপর৷ নাসিমার অনাগত সন্তানকে দুধ খাওয়ানোর জন্য সেগুলো ফুলে-ফেঁপে উঠছিল। জমশেদ কখনো এত কাছ থেকে মেয়েদের বুক দেখেনি৷ সেও বিব্রত হয়ে চোখ নামিয়ে ফেলল এবং খাওয়ায় মনোযোগ দিল৷ নাসিমা জিজ্ঞেস করল -
-পায়ের কি অবস্থা? 

বাংলা বুঝতে না পেরে জমশেদ ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইল৷ নাসিমা তখন হাত দিয়ে পা টা ইঙ্গিত করল। জমশেদ বলল-
-ওহ, মেরা পেইর৷ ইয়ে কাফি বেহতার হ্যা। আপ মুঝে এসে আচ্ছা খানা খিলারাহাহো কি ম্যা জলদিসে ঠিক হো রাহা হু। 

কথাটা বলেই জমশেদ হু হু করে হেসে ফেলল৷ তারপর আচমকা হাসি থামিয়ে দিল৷ তার হয়ত মনে পড়েছে সে তার প্রতিপক্ষের আস্তানায় আছে৷ এভাবে হাসা বিপজ্জনক। নাসিমা অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল৷ কি সুন্দর করে হাসে মানুষটা। এমন মানুষ কিনা বাঙালিদের মারছে! 

নাসিমা কি মনে করে উঠে গিয়ে জমশেদের পা টা দেখতে চাইল৷ সে কাপড়টা খুলে দিল৷ অনেকটুকু জায়গা কেটেছে৷ সেখানে রক্ত শুকিয়ে আছে৷ নাসিমা কিছু না বলে উঠে চলে গেল। একটু পর ফিরে এল একটা পরিষ্কার কাপড়, একটু গরম পানি, আর একটু হলুদ মাখা নিয়ে৷ বৃষ্টি আগের চেয়ে বেড়েছে৷ ও ঘর থেকে এ ঘরে আসতেই সে অনেকখানি ভিজে গেছে। নাসিমা কাপড় আর গরম পানি দিয়ে কাটা জায়গাটা পরিষ্কার করে হলুদ লাগিয়ে দিল৷ বৃষ্টিতে ভিজে তার দুধেল স্তনটা ভেতরে বোঝা যাচ্ছিল। গ্রামের মেয়ে, তাই ব্রা পরার বালাই নেই। নাসিমা শাড়ি দিয়ে বুক ঢেকে রাখলেও কিছু অংশ বেরিয়ে পড়েছিল যখন সে জমশেদ এর পায়ে হলুদ মেখে দিচ্ছিল৷ জমশেদ এবার আর চোখ ফেরায়নি৷ হাজার হলেও যুবক মানুষ সে৷ সে জানে এটা উচিৎ হচ্ছেনা৷ কিন্তু তবুও সে নাসিমার ভেজা স্তন থেকে চোখ সরাতে পারছেনা৷ প্যান্টের ভেতর তার নুনু একটু একটু শক্ত হচ্ছে৷ সে খুব বিব্রত বোধ করছে৷ নাসিমা যদি তার নুনুর দিকে তাকায় কি ভাববে৷ কিন্তু নাসিমা তাকায়নি৷ নাসিমা হলুদ লাগিয়ে চলে গেল। এদিকে জমশেদের বাড়া আরও ফুলতে লাগল। সে নিজেকে আর থামাতে পারছেনা। যেই মেয়েটা তাকে আশ্রয় দিল তার ভেজা বুক দেখেই তার কামনা জেগে উঠেছে। নিজেকে সে ধিক্কার দিচ্ছে মনে মনে কিন্তু একইসাথে প্যান্টের জিপার খুলে তার ধোনটাকে কচলাতে শুরু করল আর কল্পনায় নাসিমার বুকটাকে চোখে ভাসাতে লাগল। এমন সময় দরজায় আবার শব্দ হল। জমশেদ ভয়ে শুকিয়ে গেল। জলদি করে কাপড় ঠিক করে নিল৷ দরজা খুলে আবার নাসিমা ঘরে ঢুকল৷ জমশেদের দিকে তাকিয়ে বলল-
-উঠিয়ে। 
-কিউ? 
-আমি বলতা হ্যা ইস লিয়ে৷ 

জমশেদ উঠে দাঁড়াল৷ নাসিমা তার শাড়ির আঁচল কোমরে গুঁজে জমশেদ এর বিছানাটা টেনে ঘরের একপাশে সরাল। এদিকে নাসিমার বুকদোটো এখন সামনের দিকে ঢাকা হলেও পাশ দিয়ে ঠিকই দেখা যাচ্ছে৷ এবার আগের চেয়ে ভালো করে দেখা গেল। বুকের কালো বোঁটাও বোঝা গেল৷ নাসিমার সেদিকে খেয়াল নেই৷ সে হয়ত ভাবছে সবকিছু ঢাকাই আছে। নাসিমা এবার ঘরের পেছনদিকে লাকড়িগুলো টেনে টেনে ঘরের মাঝখানে আনতে লাগল৷ তার দেখাদেখি জমশেদও হাত লাগাল। শুকনো কাঠ আর ডালপালার লাকড়ি৷ বেশ অনেকগুলো। ধীরে ধীরে সব কাঠখড় ঘরের মাঝখানটায় এনে জমা করা হল। ফলে পেছন দিকে জায়গা খালি হল। নাসিমা সেখানে ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করল৷ তারপর সেখানে জমশেদ এর মাদুরটা এনে বিছিয়ে দিল৷ তার উপর একটা ছেড়া কাঁথা। নাসিমা এবার আনমনে কি জানি ভাবল৷ তারপর জমশেদকে বলল -মেরি সাথ আইয়ে। 
-কিদার?
-আইয়ে না৷ 

নাসিমা বাইরে বের হল৷ জমশেদ দরজায় এসে থমকে দাঁড়াল। 
-আগার কই দেখ লিয়া তো? 
-কেউ নেহি দেখবে। আসেন। 

নাসিমা তাদের স্বামী-স্ত্রীর মানে তাদের থাকার ঘরে গেল৷ জমশেদ খুড়িয়ে খুড়িয়ে তার পেছনে গেল। নাসিমা একটা লেপ বের করল। তারপর জমশেদকে এটা তার ঘরে নিতে৷ সে পোয়াতি তাই এত ভারীটা বইতে কষ্ট হবে।  

জমশেদ এক নিমিষেই সেটা কাঁধে তোলে আবার খুড়িয়ে খুড়িয়ে লাকড়ির ঘরে নিয়ে গেল। তারপর মাদুরের উপর বিছানো হল সেটা। নাসিমা ঘর থেকে নতুন একটা চাদর এনে বিছিয়ে দিল। একটা জগে পানি আর গ্লাস এনে রাখল জমশেদ বিছানার পাশে৷ এখন কাঠখড় এর পেছনে থাকায় কেউ এই ঘরের দরজা খুললেও সহজে বুঝতে পারবেনা ঘরে কেউ আছে৷ লাকড়ি একদম পেছনের পুরোটা ঢেকে ফেলেছে। নাসিমার বুদ্ধিতে জমশেদ অবাক হয়ে গেল৷ নাসিমা এবার জমশেদকে বলল লাকড়ির ঘরের পেছনের একটা টিনের বেড়া খুলতে পারবে কিনা৷ জমশেদ খুব সহজেই পেছেনের বেড়ার একটা টিন খুলে ফেলল। সে অবাক হয়ে বলল-
-এ কিয়ু কিয়া, বেহেনজি? 


নাসিমা টিনের বেড়াটা একটা দড়ি দিয়ে খুঁটির সাথে আটকে দিল৷ তারপর বলল -
-কোনো বিপদ দেখলে এটা খুলে ভাগ যাওগে। ইসি লিয়ে খোলা ইসকো। পিছে কয় ঘরবাড়ি নেহি হ্যা। খালি জঙ্গল আছে।  
-আপ বহত চালাক নিকলা বেহেনজি! 

নাসিমা মুচকি হেসে বেরিয়ে এল আর জমশেদের ঘরে বাইরে থেকে তালা দিয়ে দিল।
[+] 14 users Like Senian's post
Like Reply
#11
এই গল্প যেনো যুগ যুগ ধরে লেখা হয়!!!অনুরোধ রইল,,,
রেপু দিলাম
[+] 2 users Like kunalabc's post
Like Reply
#12
নাটক দেখেছিলাম মনে হয় এমন একটা । তবে গল্পের নাম তা মনে করতে পারছি না । যেহেতু এখানে আপনি লিখছেন সেহেতু আশা করতে পারি ইরোটিক কিছু না কিছু তো থাকবেই ।
[+] 1 user Likes gang_bang's post
Like Reply
#13
রেপু দিলাম...অধীর আগ্রহে রইলাম পরের আপডেটের জন্য......
[+] 2 users Like panudey's post
Like Reply
#14
(29-01-2020, 03:25 PM)gang_bang Wrote: নাটক দেখেছিলাম মনে হয় এমন একটা । তবে গল্পের নাম তা মনে করতে পারছি না । যেহেতু এখানে আপনি লিখছেন সেহেতু আশা করতে পারি ইরোটিক কিছু না কিছু তো থাকবেই । 
Yep, there is a short story with the same title written by a famous writer. I mentioned at the beginning. Btw, this story is just inspired from that     and obviously it gonna have some erotic elements. There is no intention to hurt anyone’s feeling about his/her country or the war of 1971. It's just a story and hope you will take it as an erotic story . Thanks.
[+] 3 users Like Senian's post
Like Reply
#15
please update more
[+] 1 user Likes zaq000's post
Like Reply
#16
golpotar nam mone nei.. ekhanei ache hoito... dui gramer er moddhe jhogra jhatir moddhe atka pore pasher gram er ek chele atka pore ek gerhosto barite! amar monehocche eta oi golpo theke inspired!
Like Reply
#17
(28-01-2020, 03:10 PM)Senian Wrote: "গল্পটি একজন বিখ্যাত লেখকের একটি ছোটগল্প থেকে অনুপ্রাণিত। কোনো দেশ বা কারো অনুভূতিতে আঘাত করা এ গল্পের উদ্দেশ্য নয়৷ নিছকই যৌন আনন্দের উদ্দেশ্যে এই গল্প।" 


সময়টা ১৯৭১। বর্তমান বাংলাদেশে তথা তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানে ভয়াবহ যুদ্ধ চলছে। বিরলা বাংলার একটি ছোট্ট গ্রাম। গ্রামটি বেশ ভিতরে। গ্রামের অধিকাংশ মানুষই চাষাভুষা। শিক্ষার আলো তেমনভাবে পৌঁছায়নি তখনও। এ গ্রামে একটি প্রাইমারি স্কুল রয়েছে। ছাত্র খুব একটা হয়না৷ বাপ-মা সন্তানকে পড়ানোর চেয়ে খেতে-খামারে কাজ করাতেই চান বেশি। চারদিকে অভাব। পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণে বাংলার অবস্থা বেশ নাজুক। স্কুলটিতে চারজন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও আছেন দুজন৷ এখন অবশ্যি একজনই আছেন। মতিন সাহেব৷ আরেকজন শিক্ষক যুদ্ধ শুরু হবার পর চলে গেছেন, আর ফেরেননি৷ মতিন সাহেব কোথাও যাননি। যাওয়ার জায়গাও নেই। এতিম মানুষ তিনি। বাবা-মা ভাইবোন কেউই নেই। এক খালা আছে। তিনিও অনেক দূরে থাকেন৷ তারা বেঁচে আছে কিনা কে জানে। মতিন বিয়ে করেছেন বেশি দিন হয়নি৷ তার স্ত্রী সাত মাসের গর্ভবতী। স্ত্রীর এই অবস্থায় মতিন আর কোথাও যাননি। কারণ বিরল গ্রামটি বেশ ভিতরে হওয়ায় পাকিস্তানি বাহিনী এখনও এদিকে আসেনি৷ তারউপর এই গ্রামেই মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্প আছে৷ তাই এখানে থাকাই আপাতত নিরাপদ। 

মতিনের স্ত্রীর নাম নাসিমা। অল্প বয়স। ঊনিশ কি বিশ হবে৷ বিয়ের পরে স্বামীর চাকরিসূত্রে এই গ্রামে এসেছে৷ এখানে একটা ছোট্ট বাড়িতে তারা থাকে৷ নিজের বাড়ি নয়, আবার ভাড়া বাড়িও নয়৷ স্কুলের কাছেই তাদের বাড়িটা৷ বেশ সুন্দর। সংসারে নতুন অতিথি আসবে৷ আর এমন সময়ই কিনা যুদ্ধ শুরু হল৷ তার বাবার বাড়িও অনেক দূরের গ্রামে। চিঠিতে এতদিন কথা হত৷ তারা জানিয়েছিল  তারা ভালই আছে, সেদিকেও মিলিটারিরা যায়নি। কিন্তু এখন আর চিঠিও পাঠানো যাচ্ছেনা৷নাসিমার বেশ চিন্তা হয় বাড়ির লোকদের জন্য৷ গ্রামের বাইরে যাওয়া বিপদ৷ তাই সে স্বামীর সাথে এখানেই আছে। 

একদিন বিকেলবেলা নাসিমা বাড়ির পেছেনে নিমগাছতলায় একটা মোড়া পেতে বসে ছিল। মতিন বাড়িতে নেই৷ হয়ত বাজারে গেছে৷ সেখানে গেলে দেশের খবরাখবর ভালো পাওয়া যায়। নানান মানুষ আলোচনা করে৷ নাসিমা তার ফুলে উঠা পেট নিয়ে বসেছিল আর দূরে তাকিয়েছিল৷ হঠাৎ সে দেখতে পেল ঝোপের ভেতর থেকে বেরিয়ে কে তারদিকেই আসছে৷ নাসিমা ভালো করে দেখতে লাগল৷ না এটা তার স্বামী নয়৷ লোকটার খুড়িয়ে হাঁটছে৷ আরেকটু সামনে আসতে বোঝা গেল তার পরনে খাকি পোশাক৷ একি মুক্তিযোদ্ধা? না, দেখে তো মনে হচ্ছেনা৷ তবে কি পাকিস্তানি সেনা? নাসিমার বুকের ভেতরটা কেঁপে উঠল৷ লোকটা ক্রমশই তার দিকে আসছে৷ নাসিমা এবার বুঝে গেল এটা পাকিস্তানিই৷ কি লম্বা! আর ফর্সা গায়ের রঙ। নাসিমা উঠে দ্রুত ঘরের দিকে যেতে থাকল৷ মতিনও বাড়িতে নেই৷ নাসিমা দ্রুত পায়ে হাঁটতে লাগল৷ এমন সময় পেছনে ধপ করে শব্দ হল৷ নাসিমা পেছন ফিরে দেখল লোকটা মাটিতে পড়ে গেছে৷ তার পায়ে রক্ত। সে হাঁটতে পারছেনা৷ লোকটা ক্ষীণ গলায় বলল,"বেহেনজি, পানি মিলেগা?"

লোকটা পানি খেল তৃপ্তি করে। তারপর বলল-
-ডরিয়ে মাত বেহেনজি৷ ম্যা পাকিস্তানি হু। মুক্তি ফৌজ নে হামারে উপার হামলা কিয়া৷ ম্যা ভাগকে ইদার আয়ি হু৷ আগার ও লোগ মুঝে দেখ লিয়া তো মার দেগা। মুঝে বাচালো বেহেনজি । 

কথাটা বলেই লোকটা কাঁদতে লাগল৷ নাসিমা কিছুক্ষণ বোবার মত দাঁড়িয়ে রইল৷ সে কি করবে কিছুই বুঝতে পারছেনা৷ তার স্বামী হয়ত কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসবে৷ সে কি করবে? একটা পাকিস্তানি যারা কিনা এদেশের লোকদের নির্বিচারে মারছে তাকে সে বাঁচাবে? চারদিকে সন্ধ্যা হয়ে আসছে। নাসিমা হঠাৎ লক্ষ করল মতিন আসছে বাড়ির দিকে যদিও এখনও সে বেশ দূরে আছে। কিন্তু খোলা ফসলের মাঠ হওয়ায় তাকে দেখা যাচ্ছে৷ নাসিমা এখনও জানেনা কি করবে। হঠাৎ সে লোকটাকে বলল তার পেছেনে আসতে৷ নাসিমা তাকে তাদের ঘরের সাথে অন্য একটা ঘরে নিয়ে ঢুকাল৷ ঘরটাতে লাকড়ি রাখা৷ নাসিমা দরজা লাগিয়ে দিল আর লোকটাকে ইশারায় বুঝিয়ে এল যাতে কোনো শব্দ না করে৷ মতিন এর মধ্যে চলে এল৷ নাসিমার বুক ধকধক করতে লাগল৷ সে আসলে এটা কি করল? সাক্ষাৎ দুশমনকে ঘরে আশ্রয় দিল? তার স্বামী জানতে পারলে কি হবে? মতিন এসে বলল, "এ সময় বাইরে দাঁড়িয়ে আছ কেন? ভিতরে চল৷"

রাতে একবার বেরিয়ে নাসিমা ঐ ঘরটায় তালা মেরে এল৷ লোকটাকে দেখল ঘুমিয়ে আছে মাটিতে। 

চলবে...

লেখাটি বাংলাদেশের সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ এর "মিসির আলী সমগ্র" থেকে হুবুহু কপি করা। এটা চটি নয়। so sad আপনি কার্টেসি দেন নি
[+] 1 user Likes Nefertiti's post
Like Reply
#18
(29-01-2020, 09:29 PM)Nefertiti Wrote: লেখাটি বাংলাদেশের সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ এর "মিসির আলী সমগ্র" থেকে হুবুহু কপি করা। এটা চটি নয়। so sad আপনি কার্টেসি দেন নি। 
হ্যাঁ৷ কিন্তু হুবহু কপি ঠিকনা৷ অই গল্পটাকেই আমি এরোটিক রূপ দিতে চেয়েছি৷ আমি সেটা গল্পের শুরুতে লিখেও দিয়েছি৷ আমি লেখকের নাম সরাসরি উল্লেখ করতে চাইনি। আমি গল্পের থিমটা নিয়ে তাতে নিজের মত এরোটিক উপাদান মেশানোর চেষ্টা করেছি৷ বলতে পারেন এক ধরনের পাগলামি৷ কারণ বিষটা খুবই স্পর্শকাতর। সবকিছু জেনেও আমি এটা করেছি৷ বিগড়ে যাওয়া মস্তিষ্কের নিছক পাগলামি৷ ???
Like Reply
#19
আমরা তো বিগড়ে যাওয়া মস্তিষ্ক থেকেও কত মজা দিতে পারেন তা ভালোভাবে উপভোগ করতে চায়,,,
Like Reply
#20
(29-01-2020, 10:07 PM)kunalabc Wrote: আমরা তো বিগড়ে যাওয়া মস্তিষ্ক থেকেও কত মজা দিতে পারেন তা ভালোভাবে উপভোগ করতে চায়,,,
পরে না আবার দেশদ্রোহী হিসেবে গ্রেপ্তার হই! ? বত্ব, আমি একজন মরণকঠিন পাইক্কা হেটার৷ কেউ ভুল বুইঝেন না। ?
Like Reply




Users browsing this thread: 1 Guest(s)