Thread Rating:
  • 1 Vote(s) - 1 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
অষ্টাদশ কিশোর by Manoj
#1
গল্পের নায়ক খোকন। বয়স আঠেরো ছুই ছুই করছে। সুঠাম শরীর, ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি লম্বা। সে ভালো ক্রিকেট খেলে, এছাড়া প্রায় সবরকম খেলাধুলাতে পারদর্শী। পাড়াতে সে খোকন বলে পরিচিত, ছোটদের কাছে খোকনদা। বড়রা খুব ভালবাসে ওকে ওর মিষ্টি স্বভাবের জন্যে।

ছোটরা খোকন দা বলতে পাগল। শুধু ছোটরাই নয়, পাড়ার যে-কারও প্রয়োজনে খোকনই ভরসা। পড়াশোনাতেও এ পাড়াতে সবার থেকে এগিয়ে সে। প্রতি বছর সব ক্লাসেই প্রথম হয় খোকন। এগারো ক্লাসের পরিক্ষা সবে শেষ হল, কি বাড়ী কি পাড়া কেউই ওকে পরীক্ষা কেমন হোল জিজ্ঞেস করেনা, সবাই জানে ওর রেজাল্ট খুবই ভালো হবে।

বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান সে। বাবা এজি বেঙ্গলে চাকরী করেন আর মা একজন গৃহবধূ। তার মায়ের কাজ হলো শ্বশুরের এই ছোট্ট একতলা বাড়িটাকে ঠিকঠাক করে রাখা। নিপুণতার সাথে সবার প্রতি সব কর্তবই পালন করে চলেছেন তিনি। খোকনের বাবা ভীষণ আলাপী আর মিষ্টি স্বভাবের একটি সুন্দর মনের মানুষ, সকলের বিপদে আপদে পাশে থাকেন। তাইতো ছেলেটিও বাপের আদলেই নিজেকে গড়ে তুলছে।

খোকনদের ঠিক পাশেই একটি দোতলা বাড়ী অনেকদিন ধরেই তৈরি হয়ে পড়ে ছিল। খোকনের বাবা অবনিশ বাবু রোজকার মত মর্নিংওয়ার্কে বেড়িয়েছিলেন। ফেরার পথে গলির কাছে এসেই দেখতে পেলেন একটা বড় ট্র্যাক রাস্তা আটকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, সে না পারছে এগুতে না পারছে পেছাতে। কেননা অবনিশ বাবুর বাড়ীর বাউন্ডারি দেয়া দেয়ালের জন্যে ট্রাকটা এগুতে পারছেনা, আর পেছাতে না পারার কারন সারিবদ্ধ গাড়ী। 

এরই মধ্যে একজন খুবই সৌম্য দর্শন ভদ্রলোক এগিয়ে এলেন অবনিশ বাবুর কাছে। হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললেন, “আপনিই তো অবনিশ গাঙ্গুলি?” অবনিশবাবু, “হ্যা, কিন্তু আপনাকে তো ঠিক চিনলাম না, এ পাড়াতে তো আগে আপনাকে কখন দেখিনি!”

“আমি সতিশ রঞ্জন মুখারজী। থাকতাম দিল্লিতে, আপনার প্রতিবেশী হতে এলাম সবে। আপনি ঠিকই বলেছেন আপনিও আমাকে আগে দেখেননি আর আমিও আজ এইমাত্র আপনাকে দেখলাম। অবনিশবাবু, “তবে চিনলেন কি করে আমাকে?” সতিশ বাবু, “ওই আপনার পাড়ার একজন দূর থেকে আপনাকে দেখিয়ে দিলেন।"অবনিশবাবু, “আলাপ করে খুব ভালো লাগলো, কিছু দরকার পরলে নির্দ্বিধায় বলতে পারেন।” সতিশ বাবু, “দরকার তো আছেই, তবে কি ভাবে যে বলি আপনাকে!” অবনিশবাবু, “আরে অতো সঙ্কোচ করছেন কেন? বলে ফেলুন”। সতিশ বাবু, “ আপনি যদি আপনার বাউন্ডারি দেয়া দেয়ালটা কিছুটা ভেঙ্গে দেন তো ট্রাকটা ভিতরে ঢুকতে পারে। আর আমি কথা দিচ্ছি আমি আবার আপনার দেয়াল ঠিক এরকম করেই বানিয়ে দেব।” 
অবনিশবাবু, “আরে, এতে এতো সংকোচ করছেন কেন? আমি এখুনি ওটা ভেঙ্গে দিচ্ছি।” সতিশ বাবু, “ আপনি আমাকে বাঁচালেন, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ অবিনাশ বাবু।"

অবিনাশ বাবু একটু হেসে এগিয়ে গেলেন নিজের বাড়ীর দিকে। কাছে গিয়ে ডাকলেন “খোকন, বাবা একটু বেড়িয়ে আয় না।” 
“আসছি বাবা” বলে খোকন বেড়িয়ে এলো। খোকন, “আমাকে ডাকছিলে বাবা?” অবিনাশ বাবু, “ হ্যা রে বাবা, একটা সাবল নিয়ে আয়। দেখনা এনার ট্র্যাক ঢুকছেনা আমাদের এই প্রাচীরের জন্যে, ওটাকে একটু ভাঙতে হবে।” বাবার কথা শুনে খোকন বললো, “আমি এখুনি সাবল এনে ভেঙ্গে দিচ্ছি। 

সাবল এলো, প্রাচীর ভাঙ্গা হল আর সতিশ বাবুর ট্রাকও ঢুকল। মালপত্র খালি করে ট্রাক বেরিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত খোকন দাঁড়িয়ে রইল। সব কাজ শেষে খোকন যখন নিজের বাড়ীর ভিতর গেলো তখন বিকেল পাঁচটা। স্নান আর খাওয়া শেষে বিছানাতে গা এলিয়ে দিলো আর অল্প সময়ের মধ্যে ঘুমিয়ে গেলো সে। 

সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ ওর মা বিশাখা দেবী ডাকলেন, “খোকন বাবা উঠে পর, আর ঘুমাতে হবেনা। দ্যাখ আমাদের নতুন প্রতিবেশী এসেছে আলাপ করতে তোর খোঁজ করছে।”
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.


Messages In This Thread
অষ্টাদশ কিশোর by Manoj - by saddam052 - 13-04-2019, 07:16 PM



Users browsing this thread: 1 Guest(s)