Thread Rating:
  • 8 Vote(s) - 2.5 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Erotic Horror স্ট্রেঞ্জ আই
#1
(আমার লেখা লেখির অভ‍্যাস তেমন একটা নেই বললেই চলে করিনি,তাই ভুল হলে দুঃখিত। গল্পটা বড় হবে না।পরবর্তী একটি বড় আপডেটে গল্পটা শেষ করবো।আপডেট আসতে বেশ দেরি হবে তার জন‍্যে দূঃখিত।)

পর্ব ১


আমি ছোটবেলা থেকেই সবার থেকে আলাদা।কারণ আমি এমন জিনিস দেখি যা অন‍্য কেউ দেখে না।প্রথম প্রথম আমি ভাবতাম শুধু আমি নই,সবাই দেখছে।তবে ধিরে ধিরে আমি বুঝতে পারি আমি যা দেখি অন‍্য কেউ সেগুলো দেখেনা। আমি যে জিনিসগুলি দেখি,সেগুলি কে সবাই ভূত বা আত্মা নামে ডেকে থাকে।আর শুধু তাই নয়,আমি যে তাদের দেখছি এটা তারা ভালো ভাবেই বুঝতে পারে।অবাক লাগতে পারে,মনে হতে পারে মেয়েটি কি পাগল,তার কি মাথা ঠিক নেই।কিন্তু আমার এই সিদ্ধান্তে পৌঁছতে আমাকে যে কি ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে, তা যদি কেউ জানতো তো আমার মাথা খারাপ বলতো না।একটি ছোট ঘটনা বলি।আমি তখন ছোট,বয়স হবে ১২ বা ১৩।বিকেলের দিকে শোবার ঘরে আমি যখন ঘুমানোর চেষ্টা করছিলাম।তখন হঠাৎ আমার চোখে পড়লো একজন বয়স্ক লোক আমার শোবার ঘরে দাঁড়িয়ে আছে এবং আমাকে দেখছে। লোকটার পড়নে সাদা ধুতি ও পাঞ্জাবী,বেশ লম্বা,মাথা ভর্তি ব‍্যাক ব্রাস করা কালো চুল,মুখে জমিদারের মতো একটা গোফ। লোকটা আমাকে দেখে হাসছিল। সাধারণ হাসি,তারপরেও আমার সারা গায়ে যেন কাঁটা দিচ্ছিল সেই হাসি।যখন আম্মু কে বললাম তার কথা।আম্মু দেখতে পেল না তাকে। অবশ্য এটা প্রথম নয়।আমি আরও কয়েকবার আম্মুকে দেখিয়েছি।আর শুধু আম্মু কেন আব্বু ও আপু কেউ দেখিয়েছি।কিন্তু তারা কেউ দেখেনি কিছুই। তখন ধিরে ধিরে আমি বুঝতে পাড়লাম আমি যা দেখি তা হয় তো অন‍্য কেউই দেখে না। এখন মাঝে মাধ‍্যে ভাবি, আমার মতো কি অন‍্য কেউ নেই এই পৃথিবীতে! আমি খুঁজেছি এই প্রশ্নের উত্তর।কিন্তু পায়নি জবাব।আমাদের আগের বাড়িটা আব্বু ছেড়ে দিয়ে ছিল আমার কারণে।আমি সেখানে অদ্ভুত সব স্বপ্ন দেখতাম।কখনো দেখতাম আমি একটা ঘরে বন্দী,সম্পূর্ণ নগ্নভাবে একটা দেয়ালে দুই হাত দুদিকে বাঁধা। আর কয়েক জন লোক আমাকে গিরে দাঁড়িয়ে আছে। তবে তাদের শরীরটা মানুষের হলেও মাথা ছিল শেয়ালের। প্রায় আমি ঘুম থেকে চিৎকার দিয়ে উঠে পরতাম।আমি একা ঘুমাতে পারতাম না।একা ঘুমালে মনে হতো কারা যেন আমার বিছানার চার পাশে ঘুরেফিরে কথা বলছে।অস্পষ্ট আওয়াজ কানে আসতো।অসহ্য লাগতো তখন।তবে অতিতের কথা থাক আপাতত।আমি এখন অষ্টাদশী তরুণী।দেখতে দুধে আলতা না হলেও,সুন্দরী বলে চালিয়ে দেওয়া যায় এমন। আজ আমরা গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছি। আমার জন্মের পর এই প্রথম আমি গ্রাম দেখব। এই মূহুর্তে ডায়েরী হাতে গাড়ি জানলা দিয়ে গ্রামের সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে মাঝেমধ্যে লিখছিলাম।জায়গাটা পাহাড়ি এলাকায়।তবে আমার আগ্রহ দাদুর বাড়িতে নাকি একটা ট্রি হাউস আছে।আমি সেটাই দেখতে যাচ্ছি।এখন আর লেখা চলে না।কারণ আমাদের গাড়িটি প্রায় পৌছে গেছে।

মঙ্গলবার
১২/০৯/২০০৮

ডায়েরিটা টেবিলে রেখে আমি চেয়ার ছেরে উঠে দাড়ালাম। এখানে এসেছি সপ্তাহ খানেক হয়েছে।জায়গাটা পাহাড় ও ঘন অরণ্যের মধ্যে। বাড়িটা বেশ আধুনিক কায়দায় নতুন করে তৈরি করা হয়েছে পুড়নো বাড়িটা ভেঙে। নতুন বাড়িটি দোতলা,নিচে লিভিং রুম,কিচেন ও একটা ছোটখাটো জিম।আর ওপরে চারটে রুম।দক্ষিণ দিকের একটা বড় রুমে আমি উঠেছি।এই রুমটা প্রথম দেখেই আমার খুব পছন্দ হয়ে ছিল।কারণ রুমে বিছানার ডান দিকে বেশ বড় একটা বেলকনি।সেখানে দাঁড়ালে লোহার গ্রিলের ফাঁক দিয়ে চা বাগান ও দূরে পাহাড় দেখা যায়। একটা দোলনাও আছে ওখানে।

আমি এখানে এসেছি কোম্পানির কনস্ট্রাকশন কাজের দেখা শোনা করতে।কয়েক দিয়ে সব দেখে চলে যাওয়ার প্ল‍্যান ছিল।কিন্তু তা আর হলো না। জায়গাটা এতো সুন্দর যে একটু ঘোরাঘুরি করার লোভ সামলাতে পারলাম না।তাই তিনদিনের জায়গায় আজ সাত সাতটি দিন কাটিয়ে দিয়েছি। তবে ঘোরাঘুরি করা হয়নি তেমন।দুদিন আগে একটা ডায়েরি হাতে পেলাম।ডায়েরিটা ছিল এই বাড়ির ট্রি হাউসে। ট্রি হাউজটা বাড়ির পেছনের বাগানে।আগের বাড়িটা ভেঙে নতুন বাড়ি করলেও।ট্রি হাউসটি রয়ে গেছে।

ডায়েরিটা সুন্দর ভাবে একটা কাঠের বাক্সে রাখা ছিল।তার সাথে ছিল এক জোড়া নূপুর ,কয়েকটি ছবি,ও একটা লাল কাপড়ে মোড়ানো পুতুল।পুতুল টি দেখতে বেশ অদ্ভুত।কারণ পুতুলটির দেহ মানুষের হলেও তার মাথাটা শেয়ালের! আমার কৌতূহল বরাবরই একটু বেশি।তবে এবার এই কৌতুহল আমাকে বিপদে ফেললো। ডায়েরিটা উদ্ধার করে কয়েকটি পাতা পড়ে এখন আর ছাড়তে পারছি না। মেয়েটির নাম পল্লবী।ডায়েরিতে মেয়েটি বলেছে সে নাকি এমন কিছু দেখতো যা অন‍্য কেউ দেখতে পেত না।আজগুবি লাগছে তবুও পড়ছি।কারণে মেয়েটার ছবি দেখে তাকে আরো জানতে ইচ্ছে করছে।ছবিতে মেয়েটি ট্রি হাউসের নিচে সিঁড়িতে ওঠার মুখে বসে আছে,তার কোলে একটি বিদেশি বেড়াল।শুধু তাই নয় মেয়েটি সম্পূর্ণ নগ্ন।গায়ের রঙ শ‍্যাম বর্ণ। তবে মেয়েটার চেহারায় আলাদা কিছু সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে,যা আমি এখনো ধরতে পারছি না। কোন এক অদ্ভুত কারণে খুব মায়াবী লাগছে মেয়েটির চেহারা।একবার চোখ পড়লেই দৃষ্টি আটকে যাচ্ছে তার চোখে। ছবিতে মেয়েটি হাসি মুখে বসে আছে ক‍্যামেরার দিকে তাকিয়ে।যেন আমাকেই দেখে হাসছে সে।

– স‍্যার নাস্তা তৈরি নিচে আসুন।
– হুম আসছি!

(অবশেষে যদি পড়ে থাকেন  তো কি মনে হয়!গল্পটা কি লেখা উচিত নাকি ছেড়ে দেব?)

Do you know amazing thing about life?
You can always try to make it better.

[+] 6 users Like Sweet angel's post
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.


Messages In This Thread
স্ট্রেঞ্জ আই - by Sweet angel - 06-04-2024, 07:27 PM
RE: স্ট্রেঞ্জ আই - by Patit - 01-05-2024, 01:56 PM



Users browsing this thread: 1 Guest(s)