Poll: এই গল্প টা আপনাদের ভালো লাগলে নীচের অপশন এ ক্লিক করে জানান কেন ভালো লাগছে
You do not have permission to vote in this poll.
গল্পের কাহিনী
10.00%
2 10.00%
গল্পের গতি
0%
0 0%
গল্পের গতি এবং কাহিনী
85.00%
17 85.00%
গল্প টি ভালো লাগছে না
5.00%
1 5.00%
Total 20 vote(s) 100%
* You voted for this item. [Show Results]

Thread Rating:
  • 96 Vote(s) - 3.46 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Fantasy বাঘমুড়োর আতঙ্ক - সমাপ্ত
#1
[Image: 20220610-174626.jpg]

বাঘমুড়োর আতঙ্ক
টিজার 

অনেক সময়, বহু কাহিনী বা গল্প আমাদের ভিতর দিয়ে চোরা স্রোতের মতন , প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বয়ে চলে। হয়ত কোন সত্যি ঘটনা, কোন নায়ক, অন্তর্মুখী স্রোতের টানে, কল্পকাহিনী হয়ে বা সেই নায়ক মহানায়ক হয়ে আমাদের মধ্যে বিরাজ করে। আমি চিরকাল ই ভেবেছি, আমরা কোন প্রতিমা বা মূর্তি কে পুজো করি না। আমরা পুজো করি, সেই প্রতিমা বা মূর্তির ভিতরে যে ত্যাগ, সাহস, ভালোবাসা ইত্যাদি নানান গুণের কাহিনী লুকিয়ে আছে, তার পুজো করি। সেই কাহিনীর ভিতরে যে সব নায়ক বা নায়িকা থাকেন, তাদের নানান গুণাবলী কে আমরা পুজো করি। নায়কের বীরত্ব কে নয়, পুজো করি সেই বির হবার জন্য তার অধ্যাবসায় কে। নায়িকার সৌন্দর্য্য কে নয়, তাঁর সন্তান বা স্বামীর ভিতরে আগুন জ্বালিয়ে দেবার মাহাত্ব্য কে পুজো করি। কোন বৃদ্ধের জ্ঞান কে নয়, সেই বৃদ্ধের সংসাররূপ বিশাল ঘানি কে ক্ষমা ও মানসিক শক্তির মাধ্যমে , সেই সংসার কে টিকিয়ে রাখার প্রক্রিয়া কে পুজো করি। শিব কে নয় পুজো করি তাঁর সংহারতার উদ্দেশ্য কে। ব্রহ্মা কে নয় পুজো করি তাঁর সৃজনশীলতা কে। নারায়ন কে নয়, পুজো করি তাঁর রক্ষনভাব এবং ভালবাসায় নত হবার বিশেষ গুণ কে। সরস্বতী কে নয়, পুজো করি তাঁর শিক্ষা নেবার এবং দেবার গুণ কে। লক্ষী নয়, পুজো করি তাঁর সম্পদ স্বরূপ কে। যাতে করে আমরা ভাবতে পারি , সম্পত্তি নয় সম্পদ হলো জীবনের আসল।

টিজার - ২ 

এই জঙ্গলের নাম বাঘমুড়ো হবার কারন হিসাবে অনেকে অনেক কথা বলে। আমিও জানি কিছু কিছু। আমি তো আজ থেকে না, এই গ্রামের সেই শুরু থেকে আছি। এই গ্রামের ধুলোকনায়, এই গ্রামের মানুষের মনে, এই গ্রামের গাছে গাছে, পাখীদের কলতানে, বাচ্চাদের কান্নায়, মায়ের আদরে আমি আছি। আমি আছি শ্মশানে, আমি আছি বুড়োগাছে ভালো আত্মা দের সাথে, আমি আছি, প্রতিটা মায়ের চিন্তায়, বাপের শ্রমের মধ্যে লুকিয়ে। যাই হোক আমার কথা থাক, বরং এই গ্রামের কথা বলি।


টিজার ৩-  

স্বয়ং রিষভ, আমার কৃষ্ণ, পদ সেবা করে দিয়েছিলেন অভ্যাগত মুনি ঋষি দের। তার সেই সেবক মুর্তি দেখে গলে গিয়েছিলেন তৎকালীন বুদ্ধিজীবি রা। ঢের ঢের আশীর্ব্বাদে ভরিয়ে দিয়েছিলেন পান্ডব এবং রিশভ কে। যজ্ঞের জন্য উপস্থিত শত সহস্র পুরোহিত এবং ঋষি রা ক্রমাগত মন্ত্রোচ্চারণে সমগ্র রাজ্য কে যেন এক দিব্য আবহাওয়ায় ঢেকে দিচ্ছিলেন। খান্ডবপ্রস্থের গহীন জঙ্গল কে কেটে তৈরি ইন্দ্রপ্রস্থের উর্বর জমির স্বাদ নিতে, সেখানে বসবাস করতে, ভারতের বহু জায়গা থেকেই সাধারণ মানুষ ভিড় করছিলেন ইন্দ্রপ্রস্থে। বহুদিন খান্ডবপ্রস্থের জঙ্গলে একাকী থেকে,পান্ডব রা জেনে গেছিলেন, রাজ্যে, মানুষের কত প্রয়োজন। স্বাগত জানাচ্ছিলেন সেই সকল ব্যক্তি বর্গ কে নিজের রাজ্যে স্বয়ং কনিষ্ঠ পান্ডব। হ্যাঁ সে এক দেখার মতন যজ্ঞ ছিল বটে।

টিজার ৪

সেই সভামধ্যে বাঘের মতন গর্জন করছিল শিশুপাল। আর আমার কৃষ্ণ খুঁজছিলেন চাকা। এক খানা বিশাল চাকা। ভেবেই নিয়েছিলেন, চাকা সমগ্র মানব সভ্যতা কে প্রাচীন কাল থেকে এই সভ্য কালে নিয়ে এসেছে। চাকাই সেই জিনিস যা মানুষ কে স্থির থেকে গতিবান করেছে। কাল এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে চাকাই মানুষ কে সভ্য করেছে, তাই এই চক্রের ফাঁদেই, এই শিশুপাল নামক অসভ্য দৈত্য কে চিরকালের জন্য শুইয়ে দিতে হবে। চাকাই পারে এই অসভ্যতা কে সভ্যতা থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে দিতে।

টিজার ৫

মহাবীর শিশুপালের সেই মস্তকহীন দেহ কে মা গঙ্গা ও শোধন করতে পারলেন না। গলিয়ে পচিয়ে মিশিয়ে নিতে পারলেন না পাপী শিশুপালের দেহ কে নিজের অতূল জলরাশির মধ্যে। ভাসতে ভাসতে সেই দেহ চলে এলো এই গ্রামের দিকে । আটকে গেলো নদীর উপরে প্রায় শুয়ে পরা বিশাল বৃক্ষের জল নিমজ্জিত ডালে। অপ্রাপ্তি, লোভ, হিংস্রতা, আর অনেক জিঘাংসা নিয়ে শিশুপালের মাথা হীন দেহ রয়ে গেল এই জঙ্গলেই। খুঁজে বেরাতে লাগল একটা মাথা। 

টিজার ৬ 

গ্রামে মোবাইল আছে কিন্তু জঙ্গলের কাছাকাছি আসলে আর কোন সিগ্ন্যাল থাকে না। গ্রামেও সিগন্যাল বিশেষ থাকে না। কোন অদৃশ্য জ্যামার যেন জ্যাম করে দেয় সিগন্যাল। বছর দশেক আগে, সরকার থেকে এক দিনে, দিনের বেলায় এই বিশ কিমি জঙ্গলের রাস্তায় পোল বসিয়ে ইলেক্ট্রিক চার্জ করিয়ে দেওয়া হয়েছিল। হাজার লোকে কাজ করেছিল সেই দিনে। গ্রামের লোকেও হাত লাগিয়েছিল। সবাই ভেবেছিল, এই আতঙ্কের নিরসন বুঝি এই ভাবেই করা যাবে। কিন্তু পরের দিন সকালে দেখা যায় কে বা কারা যেন, কংক্রীটের পোল গুলো কে উপড়ে পাশের জলায় ফেলে দিয়েছে। ছিঁড়ে দিয়েছে বিদ্যুতের তার। পোল গুলোর অবশেষ জঙ্গলের রাস্তার দুই দিকে আজ ও বর্তমান। আশে পাশের কোন গ্রামেই বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে পারে নি সরকার। শিশুপালের অভিশাপ যেন বয়ে নিয়ে চলেছে বাঘমুড়ো আর ও নয় টা গ্রাম। গ্রামের লোকেরা দেখে, দক্ষিণ মাঠ পেরিয়ে দূরে কোন গ্রামে ঝিকিমিকি করছে বিদ্যুতের আলো। কিন্তু এই সব গ্রামে কোন দিন ও আলো আসবে কিনা সন্দেহ।

টিজার ৭

যখন মাখন খায় কোন দিকে খেয়াল থাকে না ওর। কেমন গভীর কালো চোখের মনি দুটো। দেখলেই ছ্যাঁত করে বুক টা। মনে হয় ওই চোখে ডুব দিলেই আর উঠতে পারা যাবে না। কালো গায়ের রং। না না কালো না। সবাই বলে বটে হীরা কালো। কিন্তু লালির মনে হয় কেমন একটা উজ্জ্বল রং। সূর্যের মতন তপ্ত কাঞ্চনবর্ণ না, চাঁদের শীতল জ্যোৎস্নার মতন উজ্জ্বল গায়ের রং ওর।  মনে হয় আলো পিছলে পরবে ওই রঙের জেল্লায়। কি মিষ্টি মুখ টা। আর তার থেকেও মিষ্টি ওর হাসি। ভুবন মোহন একেবারে। লম্বা বেশ। লালির থেকে ঢের বেশী লম্বা। আর ঠোঁট দুটো গোলাপি। হাতের চেটো দুটো ও গোলাপি। মাঝে মাঝে ওদের বাড়িতে গিয়েও হীরা কে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখে লালি, উমা কাকিমার সাথে বকবক করার সময়ে। 

টিজার ৮

রাতের নানান সময়ের এক এক টা সুর থাকে। কি জানি সেই সুর কি ভাবে আসে। কিন্তু থাকে। নতুন ছেলে পুলে রা বুঝবে না। কিন্তু পুরোনো মানুষ গুল সুর টা চেনে। যেমন সন্ধ্যে রাতে সব ঘরে ফেরার আওয়াজ, অনবরত সাইকেলের ক্যাঁচক্যাঁচ, গরুর গাড়ীর চাকার আওয়াজ, কোন দূরে বাড়ি ফেরার তাগিদে বারংবার বাসের হর্ন, পাখীগুনো খেয়ে দেয়ে পেট ভরে যাবার পরে শোবার তোড়জোড়, ডানা ঝাপটানি, দাওয়ায় বসে পড়তে থাকা কচিকাঁচা গুলোর কলরব, রান্না ঘরে সন্ধ্যে বেলায় মা ঠাকুমাদের শাঁখের আওয়াজ, রান্নার তোড়জোড়ের হাতা খুন্তীর ঝনঝনানি, কত বলব? এই সব মিলিয়ে একটা সুর তৈরি হয়। সেই রকম ই এই মাঝরাতের ও একটা সুর থাকে। যেমন সবার ই নিশ্চিন্তে ঘুমনোর একটা শান্তি, তখন খুব ধীরে প্রশ্বাস এর শব্দ। প্রহর ভুল করা নব্যযুবা পাখীদের কিচমিচ, দু একটা বাচ্চার হাত বাড়িয়ে মা কে না পাবার ফোঁপানি, হাঁস হীন পুকুরে বাধা না পাওয়া জলের ঢেউ এর বয়ে যাওয়ার শব্দ, রাত থাকতে থাকতে জেলেদের বাড়ি থেকে বেড়িয়ে কথা বলার শব্দ। জমির আল দিয়ে নির্ভীক ভাবে চলতে থাকা আল কেউটের সড়সড় আওয়াজ। সর্বোপরী নতুন দিনের সূচনার একটা সুর, সব মিলিয়ে কেমন একটা গান হয়ে চলে আমাদের পিছনে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের মতন। এমনি বোঝা যায় না, কিন্তু একটু কান খাড়া করে শুনলে গান টা শুনতে পাওয়া যায়। 

টিজার ৯- 

এক মুখ হাসি নিয়ে এক মালসা ভর্তি মাখন নিয়ে হাজির হলো লালি গাছের পিছনে। দেখে গাছে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে হীরা। একটা ঢিলা হলুদ জামা পরে। আর একটা আকাশী জিন্সের প্যান্ট। দুটো পা এর পাতা কে একে অপরের সাথে কাঁচি দিয়ে দাঁড়িয়ে। খাওয়াবে কি লালি। হারিয়েই গেলো মনে হয়।

-     কই রে আয়? খাবি আয়। দেখ কি এনেছি?
-     আরে ব্বাস। বড় ঠাম্মুর বানানো?
-     হুম।
আশেপাশের অনেকেই দেখছে, লালি হীরা কে মাখন খাইয়ে দিচ্ছে গাছের নিচে। আর লালি? হা করে দেখছে হীরা কে। খিদে তেস্টা সব উবে যায় এই ছোঁড়া কে দেখলে যেন। মাঝে মাঝে ভুলেই যাচ্ছে খাওয়াতে। হীরা, লালির হাত টা টেনে এনে নিজেই নিজের মুখে পুরে নিচ্ছে। আর ওদিকে বড় ঠাম্মু গান ধরেছে

- কইয়ো কইয়ো কইয়ো রে ভ্রমর, কৃষ্ণ রে বুঝাইয়া। মুই রাধা মইর‍্যা যাইমু, কৃষ্ণ হারা হইয়ারে ভ্রমর, কইয়ো গিয়া।

টীজার ১০-

ললিতা আর ও আঁকড়ে ধরল তার কানু কে। আহা ছেলেটা স্নান করে এসেছে। চোখের জলে বুক ভিজে যাচ্ছে কানুর। আর অমন রাজবেশ, সুগন্ধী শরীর চোখের জলে নোংরা হয়ে যাচ্ছে। যাক। আর তো একটু খানি সময়। কানুও যেন টেনে নিল ললিতা কে নিজের কাছে আরো। বলতে শুরু করল।

-     এই বিশাল মহাবিশ্বের রক্ষার ভার যেদিন নিয়েছিলাম, নিতান্তই শিশু ছিলাম আমি।শৈশবেই আমাকে লড়তে হয়েছিল দুই দৈত্যের সাথে। মধু আর কৈটভ। সেদিন বুঝিনি তারা কারা। ছোট ছিলাম। আজকে বুঝি তারা আমার থেকেই জাত দুটো মহা শক্তিশালী দোষ। আমি তাদের নিজের মতন করে নাম দিয়েছি চাওয়া আর ঘৃণা। ওদের আমি বধ করেছিলাম। আমি সেদিনে বুঝেছিলাম, আমি কোন সাধারন কেউ নই। আমি মনের মধ্যে বসে থাকা সেই মহানতম গুণ, যা যে কোন জীব কে, ভালো খারাপ নির্বিশেষে  রক্ষা করতে ব্রতী হওয়ায়। সেদিনেই বুঝেছিলাম, রক্ষা করতে গেলে ভালো খারাপ বিচার করলে চলে না। মায়ের কাছে ভালো ছেলে খারাপ ছেলে কি? তাই না বল? কাজেই আমি তোমার মধ্যেও আছি। আর কংসের মধ্যেও ছিলাম। লোকে ভুল বোঝে আমাকে। আমি তো শুধু ভালোবাসা ছড়াতেই আসি। পৃথিবীর মহানতম গুণ ভালবাসা। আমি সেই ভালবাসার ই বাহ্যিক রূপ মাত্র। তুমি শুধু ভালবেসে ডেক আমাকে । যে ভাবে ডাকবে, যে নামে ডাকবে আমি আসব। যদি বুঝি আমাকেই ডাকছ আমি সাড়া দেব। আর এই কথাই রইল, আমাদের মিলন হবে। সত্যি হবে। সত্যি হবে।
  ললিতার বুক যেন জুড়িয়ে গেল। হয়ত কানুর কথা গুলো ওর কানে যায় নি। কিন্তু সত্যি হবে সত্যি হবে কথা গুলো যুদ্ধের দামামার মতন গুম গুম করে বুকের ভিতরে বাজতে লাগল। তিনহাজার বছর তো এমনি কেটে যাবে তার কানুর কাছে আবার ফিরে যেতে। বড্ড হালকা এখন ও। যাক ওর দেরী হচ্ছে । চাঁদের থেকেও মিষ্টি মুখু টা একবার দেখে ওকে যেতে দিতে হবে, না হলে এই অবেলায় যাত্রা করলে না জানি কি হয়। যাবে সেই মথুরা। চোখ খুলতেই দেখল কই সে? কিচ্ছু নেই। বিশাল গাছ টা জড়িয়ে ধরে বসে আছে ললিতা। ঠিক কানাই এর মতনই গাছ টা ডালপালা ছড়িয়ে যেন জড়িয়ে আছে ললিতা কে। চমকে দাঁড়িয়ে পাগলের মতন খুঁজতে লাগল ললিতা কানাই কে। উফফ কোথায় গেলো ছেলেটা। একবার শেষ বারের মতন দেখতেও দিল না ! তাকিয়ে দেখল চারদিকে, কানাই থাকার সময়ে যে পরিপাটি ভাব ছিল, কয়েক লহমাতেই ভোল পালটে গেছে। যেন মনে হচ্ছে বেশ কয়েক যুগ এই বাগানের কোন দেখভাল হয় নি। বুক টা কেঁদে উঠল ললিতার। মনে হলো সর্বস্ব হারিয়ে গেল তার জীবন থেকে । মনে হল জীবনে এর থেকে ফাঁকা আর কখনো সে অনুভব করে নি । চিৎকার করে উঠল
-     যাস না কানু। যাস না। তোকে ছাড়া কি ভাবে বাঁচব আমি। কানু উ উ উ উ উ উ উ উ উ!  
 
-     লালি এই লালি, কাঁদছিস কেন। এই লালি।
 



জানিনা এই গল্প কত খানি ভাল লাগবে আপনাদের। তবে হ্যাঁ এতেও কোন কাম জাতীয় ব্যাপার নেই। শুরু হবে ৮ ই জুন। 
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.


Messages In This Thread
বাঘমুড়োর আতঙ্ক - সমাপ্ত - by nandanadasnandana - 03-06-2022, 02:31 PM



Users browsing this thread: 2 Guest(s)