23-06-2021, 06:02 PM
(শ্বশুর পুত্রবধূকে বেইস করে যে কটা ইনসেস্ট গল্প লিখেছি তার মধ্যে ডোনার ছিলো অন্যতম প্রিয়।গল্পটা প্রথমে বেশ ছোট আকারে ছিলো।পরে এ ক'বছরে এর ব্যাপ্তি অনেক বড় হয়ে উঠেছে ডালপালা মেলে।মূল কাঠামো ঠিক রেখেই বড় করা হয়েছে ফলে আগের মজা তো আছেই সেই সাথে এসেছে একটা পরিপূর্ণ স্বাদ।নতুনরা তো বটেই আগে যারা পড়েছেন তারাও অনেকটা মজা পাবেন এর থেকে)
ডোনার
একটু জল দাও তো, উলঙ্গ দেহে ঘর্মাক্ত কলেবরে চেয়ারে হেলান দিয়ে বলেন অনিল।
"মাল আছে একটু খাবেন নাকি?"
"আছে নাকি,কিছুটা বিষ্মিত গলায় বলেন অনিল,"
"আপনার ছেলেকে ওর এক বিদেশী বন্ধু দিয়েছিলো"
"দেবে দাও'
"আনছি,বলে একটু হেঁসে মদ আনতে যায় নেহা।
পিছন থেকে উলঙ্গ পুত্রবধূর নগ্ন পিঠ বেয়ে নিচে গুরু নিতম্বে স্থির হয় অনিলের চোখ।সুন্দর ভরাট পাছা নেহার। তার ছোটখাটো ফ্রেমের তুলনায় বড় আর উথলানো।মাখনের তালের মত মাংসের নরম স্তুপ বড়ই লোভনীয় উত্তাপ জমিরে রেখেছে কোমরের নিচটায়। বাঙালী মেয়েদের চিরচারিত একপ্রস্থ মেদ জমা মেদের থাক পেটিতে কোমরে। নিচে ফর্সা নিতম্বের দাবনা মাঝের ফাটল চিরে ভাগ করেছে ফর্সা মাখনের দলার মত দুই সংঘবদ্ধ দাবনাকে ।
বেশ কামোদ্দীপক, নেহার শরীরের গোপোন ভাঁজে একবার বির্যপাত করার পরো উত্তেজনার ছোঁয়া লাগে অনিলের পৌড় দেহে।'ইচ্ছা করেই কি নিতম্বে একটু বেশি ঢেউ তুলছে নেহা,'ভাবে অনিল,তুলতেই পারে,হয়তো তৃপ্তি হয়নি,হয়তো আর একবার চায় তার যুবতী দেহ,আসলেই একসপ্তাহ পর নেহাকে করল অনিল। পিছন থেকে পুত্রবধূকে দেখতে দেখতে ভাবেন অনীল।উচ্চতায় ছোটখাটো নেহা টেনেটুনে পাঁচফুট। বেঁটেই বলা যায়।দারুণ ফর্শা হলুদাভ মাখনের মত গাত্রবর্ণ।উরু দুটো মাংসল ভরাট থামের মত গোলগাল ।মোটামোটা ফর্শা উরুর নির্লোম পেলব ত্বক,উজ্জ্বল আলোয় চকচক করছে রীতিমতো। ফ্রিজের সামনে দাঁড়িয়ে আছে নেহা,সম্পূর্ণ উলঙ্গ, নিতম্ব উরু বেয়ে নিচে নিটোল সুগঠিত নগ্ন পদযুগলে নেমে আসে অনিলের চোখ।উরুর মতই গোলগাল পায়ের গোছ লোমহীন কোমোল মসৃনতা ওখানেও।আজকালকার মেয়ে অবাঞ্চিত লোম নাশের কত কিছুই তো বেরিয়েছে আজকাল। নিয়মিত ওয়াক্সিং করায় হয়তো,ঘর থেকে দেখা যায় ডাইনং স্পেস,নিচু হয়ে ফ্রিজ থেকে মদের বোতোল বের করছে নেহা,'উত্তোলিত গোলগাল সুডৌল নিতম্ব বিশাল নরম বৃত্তে গোল হয়ে উঠে আছে পিছন দিকে।একটা ঢোক গলেন অনিল।দৃশ্যটা অশ্লীল রকম লোভনীয়।একটা যুবতী মেয়ে উলঙ্গ হয়ে ওভাবে উপুড় হলে যা ঘটে তাই ঘটেছে এক্ষেত্রে । দাবনা ফাঁক হয়ে বিশ্রী ভাবে মেলে যেয়ে ফাঁক হয়ে গেছে চেরাটা ফাটলের নিচের দিকে নারী যৌনাঙ্গের রমনীয় লোমোশ পুরু কোয়া ঠোঁট দুটো লোমের ঝাট নিয়ে কড়ির মত জেগে উঠেছে উরুর কিনারায়।ঠিক একটা পিদিমের মত ঘর থেকেই বেশ দেখতে পাচ্ছেন তিনি। নিজের মধ্যে আবার কমনার উত্তাপ অনুভব করেন তিনি সেইসাথে দু পায়ের ফাঁকে দির্ঘ পুরুষাঙ্গটা পূর্ণ উত্থিত হয়ে যায় তার।এ কি বিড়ম্বনা,'ভাবেন অনিল,বিড়ম্বনাই,প্রথমেই ছেলে আর ছেলের বৌ যেদিন এই বিটকেলে আব্দার করেছিলো সেদিন বিড়ম্বনা আর বিব্রতবোধে নিজেকে বড় অসহায় মনে হয়েছিলো তার।রাহুল তার একমাত্র ছেলে নেহার সাথে চার বছর হল বিয়ে হয়েছে তার। প্রেমের বিয়ে,চরম অসবর্ণ, তারা * নেহা ক্রিশ্চান।একটা এতিমখানায় মানুষ মেয়েটা।উচ্চশিক্ষিতা কোলকাতার একটা কলেজে পড়ায়।রাহুলও পাটনা তথেকে এসে একি কলেজের শিক্ষক হিসাবে যোগদানের পর ইণ্টার কলেজ পিকনিকে পরিচয় তার পর প্রেম সবশেষে পরিনয়।ছেলের পছন্দ তাছাড়া মেয়েও বেশ স্বাস্থ্যবতি সুন্দরী, বিপত্নীক অনিল খুব একটা আপত্তি করেননি বিয়েতে।কোলকাতায় পুত্র পুত্রবধূকে বালিগঞ্জের এই দু কামরার ফ্লাটটা কিনে সাজিয়ে দিয়ে পাটনায় ফিরে গেছিলেন অনিল।ছুটিছাটায় ছেলে বৌ বেড়াতে যেত,তিনিও মাসে একবার এসে দেখে যেতেন দুজনকে।বেশ সুখী দম্পতী দুজনেরই চৌত্রিশ পঁয়ত্রিশ বছর বয়ষ।বিয়ের চার বছর হতে চলল,বাচ্চা না হওয়ায় অনিল মনে করেছিলেন হয়তো সংসার গুছিয়ে নিচ্ছে সেজন্য বাচ্ছা কাচ্চার ঝামেলায় যাচ্ছেনা ছেলে ছেলের বৌ,কিন্তু দেখতে দেখতে চার বছর,এর মধ্যে জানতে পারেন অনিল আসলে বাচ্চার খুব শখ নেহার।নিজে পিতৃমাতৃহীন হওয়ায় একাটা বাচ্চার জন্য প্রথম থেকেই টান নেহার প্রথম বছর তারপর পরের বছর স্বাভাবিক ভাবে না হওয়ায় ডাক্তারের পরামর্শ আর চিকিৎসা কিন্তু কিছুতেই কোনো ফললাভ হয়নি। শেষপর্যন্ত জানা গেছিলো আসলে দোষটা বৌ মার নয় স্পার্ম কাউন্ট কম রাহুলের,নেহা রিতিমত কান্নাকাটি করে তার কাছে।তারপর অনেক চেষ্টা,কিন্তু সব ফলাফলই ব্যার্থ।শেষ পর্যন্ত টেষ্টটিব বেবি নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
"এটা কি বলছ তুমি,বৌমা জানে?"
"হ্যা,ওর কোন আপত্তি নেই,আর বাবা অনেক ভেবে চিন্তেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।"
"কিন্তু..."
"আপনি আর আপত্তি করবেন না অনিলের হাতের উপর হাত রেখে বলেছিলো রাহুল,"আর কারো স্পার্ম নিতে রাজি নয় ও,একমাত্র আপনি ছাড়া ওর কথা হল আমাদের সন্তান যাতে আমাদের মানে আমার আদল পায়।
"দেখ সে আমার পুত্রবধু যদিও গর্হিত তবুও তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে টেস্টটিউব বেবির জন্য ডোনেট করব আমি।"
"কিন্তু বাবা মানে বলছিলাম কি,ডাক্তার বলছিলো জটিল পক্রিয়া,আর তাছাড়া আপনাদের দুজনকেই ম্যাঙ্গালোরে গিয়ে থাকতে হবে একটা বছর.."
"সো হোয়াট যাব,"
"না মানে বলছিলাম কি,"একটা ঢোক গিলে বলেছিলো রাহুল,"মানে আপনার বৌমা বলছিলো এই কলেজে নতুন জয়েন করেছি আমরা,এত ভালো বেতন,একসাথে চাকরী, আর একটা বছর কোলকাতার বাহিরে ছুটি দেবেনা কলেজ কতৃপক্ষ..,"
"তাহলে?" হতাশ গলায় বলেছিলো অনিল।
"মানে বলছিলাম কি এই ডোনেশন টা যদি সরাসরি হয়,স্বাভাবিক পক্রিয়ায় আরকি..."
"মানে!"
"মানে আপনি আর নেহা..."
কথাটা শুনে ফর্সামুখটা লাল হয়ে ওঠে অনিলের,প্রায় ধমকের সুরে
"তোমাদের মাথাটাতা ঠিক আছে তো"
"প্লিজ বাবা,এছাড়া আমাদের আর কোনো পথ ছিলনা"
"তাই বলে,ইটস হরিবল,"বলে হতাশায় মাথা নাড়ায় অনিল
"তাহলে আমি নেহাকে কি বলব...একটা বাচ্চার জন্য পাগল হয়ে আছে ও"
কিছুক্ষণ গুম হয়ে থাকেন অনিল,ছেলে কাতর আশার চোখে তার দিকে চেয়ে আছে দেখে
"নেহা জানে,মানে ওর সাথে এই বিষয়ে..,"অনিলকে বাধা দেয় রাহুল
"বাবা,নেহা আর আমি দুজনে মিলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি,ইনফ্যাক্ট নেহাই আমাকে ইনসিস্ট করেছে,বলে যায় রাহুল, আর তাছাড়া কেউ তো জানছে না,একই ব্লাড থাকবে বাচ্চার শরীরে।"কথাটা শুনে কিছুক্ষণ গুম হয়ে ছিলেন অনিল।অসম্ভব এক প্রস্তাব,কত লোকেরই তো বাচ্চা হচ্ছেনা।কিন্তু এই সন্তানহীনতা যদি সুখী ছেলে আর ছেলের বৌএর সম্পর্কে ফাটল ধরায়।তার একটাই সন্তান রাহুল, নেহা আধুনিক মেয়ে সন্তানের জন্য যদি অন্য পুরুষের দিকে ঝুঁকে পড়ে,দুজনের মাঝে যদি অন্য পুরুষ ঢুকে পড়ে,নিজের এই অক্ষমাতা কি রাহুলকে কুরে কুরে খাবে না?মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন অনিল,
"আমাকে ভাবার দুদিন সময় দাও,আর এ বিষয়ে নেহার সাথে কথা বলতে চাই আমি।"গম্ভীর গলায় বলেছিলেন অনিল।কথাটা শুনে স্বস্তির ছাপ ফুটে উঠেছিলো রাহুলের চোখে মুখে।
"ঠিক আছে বাবা,চলুন বাড়ী ফেরা যাক,নেহা মনে হয়..,"ছেলেকে বাধা দেন অনিল,
না আজ নয়,বিকেলের ফ্লাইটে পাটনা ফিরে যাব আমি,দুদিন পর শনিবার আসবো আবার,আর...মানে..,একটু দ্বিধা করেছিলেন অনিল,"আমি,একা কথা বলতে চাই নেহার সাথে।"
ঠিক আছে বাবা,আপনি যেভাবে চান,"তাড়াতাড়ি বলেছিলো রাহুল।(চলবে)
ডোনার
একটু জল দাও তো, উলঙ্গ দেহে ঘর্মাক্ত কলেবরে চেয়ারে হেলান দিয়ে বলেন অনিল।
"মাল আছে একটু খাবেন নাকি?"
"আছে নাকি,কিছুটা বিষ্মিত গলায় বলেন অনিল,"
"আপনার ছেলেকে ওর এক বিদেশী বন্ধু দিয়েছিলো"
"দেবে দাও'
"আনছি,বলে একটু হেঁসে মদ আনতে যায় নেহা।
পিছন থেকে উলঙ্গ পুত্রবধূর নগ্ন পিঠ বেয়ে নিচে গুরু নিতম্বে স্থির হয় অনিলের চোখ।সুন্দর ভরাট পাছা নেহার। তার ছোটখাটো ফ্রেমের তুলনায় বড় আর উথলানো।মাখনের তালের মত মাংসের নরম স্তুপ বড়ই লোভনীয় উত্তাপ জমিরে রেখেছে কোমরের নিচটায়। বাঙালী মেয়েদের চিরচারিত একপ্রস্থ মেদ জমা মেদের থাক পেটিতে কোমরে। নিচে ফর্সা নিতম্বের দাবনা মাঝের ফাটল চিরে ভাগ করেছে ফর্সা মাখনের দলার মত দুই সংঘবদ্ধ দাবনাকে ।
বেশ কামোদ্দীপক, নেহার শরীরের গোপোন ভাঁজে একবার বির্যপাত করার পরো উত্তেজনার ছোঁয়া লাগে অনিলের পৌড় দেহে।'ইচ্ছা করেই কি নিতম্বে একটু বেশি ঢেউ তুলছে নেহা,'ভাবে অনিল,তুলতেই পারে,হয়তো তৃপ্তি হয়নি,হয়তো আর একবার চায় তার যুবতী দেহ,আসলেই একসপ্তাহ পর নেহাকে করল অনিল। পিছন থেকে পুত্রবধূকে দেখতে দেখতে ভাবেন অনীল।উচ্চতায় ছোটখাটো নেহা টেনেটুনে পাঁচফুট। বেঁটেই বলা যায়।দারুণ ফর্শা হলুদাভ মাখনের মত গাত্রবর্ণ।উরু দুটো মাংসল ভরাট থামের মত গোলগাল ।মোটামোটা ফর্শা উরুর নির্লোম পেলব ত্বক,উজ্জ্বল আলোয় চকচক করছে রীতিমতো। ফ্রিজের সামনে দাঁড়িয়ে আছে নেহা,সম্পূর্ণ উলঙ্গ, নিতম্ব উরু বেয়ে নিচে নিটোল সুগঠিত নগ্ন পদযুগলে নেমে আসে অনিলের চোখ।উরুর মতই গোলগাল পায়ের গোছ লোমহীন কোমোল মসৃনতা ওখানেও।আজকালকার মেয়ে অবাঞ্চিত লোম নাশের কত কিছুই তো বেরিয়েছে আজকাল। নিয়মিত ওয়াক্সিং করায় হয়তো,ঘর থেকে দেখা যায় ডাইনং স্পেস,নিচু হয়ে ফ্রিজ থেকে মদের বোতোল বের করছে নেহা,'উত্তোলিত গোলগাল সুডৌল নিতম্ব বিশাল নরম বৃত্তে গোল হয়ে উঠে আছে পিছন দিকে।একটা ঢোক গলেন অনিল।দৃশ্যটা অশ্লীল রকম লোভনীয়।একটা যুবতী মেয়ে উলঙ্গ হয়ে ওভাবে উপুড় হলে যা ঘটে তাই ঘটেছে এক্ষেত্রে । দাবনা ফাঁক হয়ে বিশ্রী ভাবে মেলে যেয়ে ফাঁক হয়ে গেছে চেরাটা ফাটলের নিচের দিকে নারী যৌনাঙ্গের রমনীয় লোমোশ পুরু কোয়া ঠোঁট দুটো লোমের ঝাট নিয়ে কড়ির মত জেগে উঠেছে উরুর কিনারায়।ঠিক একটা পিদিমের মত ঘর থেকেই বেশ দেখতে পাচ্ছেন তিনি। নিজের মধ্যে আবার কমনার উত্তাপ অনুভব করেন তিনি সেইসাথে দু পায়ের ফাঁকে দির্ঘ পুরুষাঙ্গটা পূর্ণ উত্থিত হয়ে যায় তার।এ কি বিড়ম্বনা,'ভাবেন অনিল,বিড়ম্বনাই,প্রথমেই ছেলে আর ছেলের বৌ যেদিন এই বিটকেলে আব্দার করেছিলো সেদিন বিড়ম্বনা আর বিব্রতবোধে নিজেকে বড় অসহায় মনে হয়েছিলো তার।রাহুল তার একমাত্র ছেলে নেহার সাথে চার বছর হল বিয়ে হয়েছে তার। প্রেমের বিয়ে,চরম অসবর্ণ, তারা * নেহা ক্রিশ্চান।একটা এতিমখানায় মানুষ মেয়েটা।উচ্চশিক্ষিতা কোলকাতার একটা কলেজে পড়ায়।রাহুলও পাটনা তথেকে এসে একি কলেজের শিক্ষক হিসাবে যোগদানের পর ইণ্টার কলেজ পিকনিকে পরিচয় তার পর প্রেম সবশেষে পরিনয়।ছেলের পছন্দ তাছাড়া মেয়েও বেশ স্বাস্থ্যবতি সুন্দরী, বিপত্নীক অনিল খুব একটা আপত্তি করেননি বিয়েতে।কোলকাতায় পুত্র পুত্রবধূকে বালিগঞ্জের এই দু কামরার ফ্লাটটা কিনে সাজিয়ে দিয়ে পাটনায় ফিরে গেছিলেন অনিল।ছুটিছাটায় ছেলে বৌ বেড়াতে যেত,তিনিও মাসে একবার এসে দেখে যেতেন দুজনকে।বেশ সুখী দম্পতী দুজনেরই চৌত্রিশ পঁয়ত্রিশ বছর বয়ষ।বিয়ের চার বছর হতে চলল,বাচ্চা না হওয়ায় অনিল মনে করেছিলেন হয়তো সংসার গুছিয়ে নিচ্ছে সেজন্য বাচ্ছা কাচ্চার ঝামেলায় যাচ্ছেনা ছেলে ছেলের বৌ,কিন্তু দেখতে দেখতে চার বছর,এর মধ্যে জানতে পারেন অনিল আসলে বাচ্চার খুব শখ নেহার।নিজে পিতৃমাতৃহীন হওয়ায় একাটা বাচ্চার জন্য প্রথম থেকেই টান নেহার প্রথম বছর তারপর পরের বছর স্বাভাবিক ভাবে না হওয়ায় ডাক্তারের পরামর্শ আর চিকিৎসা কিন্তু কিছুতেই কোনো ফললাভ হয়নি। শেষপর্যন্ত জানা গেছিলো আসলে দোষটা বৌ মার নয় স্পার্ম কাউন্ট কম রাহুলের,নেহা রিতিমত কান্নাকাটি করে তার কাছে।তারপর অনেক চেষ্টা,কিন্তু সব ফলাফলই ব্যার্থ।শেষ পর্যন্ত টেষ্টটিব বেবি নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
"এটা কি বলছ তুমি,বৌমা জানে?"
"হ্যা,ওর কোন আপত্তি নেই,আর বাবা অনেক ভেবে চিন্তেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।"
"কিন্তু..."
"আপনি আর আপত্তি করবেন না অনিলের হাতের উপর হাত রেখে বলেছিলো রাহুল,"আর কারো স্পার্ম নিতে রাজি নয় ও,একমাত্র আপনি ছাড়া ওর কথা হল আমাদের সন্তান যাতে আমাদের মানে আমার আদল পায়।
"দেখ সে আমার পুত্রবধু যদিও গর্হিত তবুও তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে টেস্টটিউব বেবির জন্য ডোনেট করব আমি।"
"কিন্তু বাবা মানে বলছিলাম কি,ডাক্তার বলছিলো জটিল পক্রিয়া,আর তাছাড়া আপনাদের দুজনকেই ম্যাঙ্গালোরে গিয়ে থাকতে হবে একটা বছর.."
"সো হোয়াট যাব,"
"না মানে বলছিলাম কি,"একটা ঢোক গিলে বলেছিলো রাহুল,"মানে আপনার বৌমা বলছিলো এই কলেজে নতুন জয়েন করেছি আমরা,এত ভালো বেতন,একসাথে চাকরী, আর একটা বছর কোলকাতার বাহিরে ছুটি দেবেনা কলেজ কতৃপক্ষ..,"
"তাহলে?" হতাশ গলায় বলেছিলো অনিল।
"মানে বলছিলাম কি এই ডোনেশন টা যদি সরাসরি হয়,স্বাভাবিক পক্রিয়ায় আরকি..."
"মানে!"
"মানে আপনি আর নেহা..."
কথাটা শুনে ফর্সামুখটা লাল হয়ে ওঠে অনিলের,প্রায় ধমকের সুরে
"তোমাদের মাথাটাতা ঠিক আছে তো"
"প্লিজ বাবা,এছাড়া আমাদের আর কোনো পথ ছিলনা"
"তাই বলে,ইটস হরিবল,"বলে হতাশায় মাথা নাড়ায় অনিল
"তাহলে আমি নেহাকে কি বলব...একটা বাচ্চার জন্য পাগল হয়ে আছে ও"
কিছুক্ষণ গুম হয়ে থাকেন অনিল,ছেলে কাতর আশার চোখে তার দিকে চেয়ে আছে দেখে
"নেহা জানে,মানে ওর সাথে এই বিষয়ে..,"অনিলকে বাধা দেয় রাহুল
"বাবা,নেহা আর আমি দুজনে মিলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি,ইনফ্যাক্ট নেহাই আমাকে ইনসিস্ট করেছে,বলে যায় রাহুল, আর তাছাড়া কেউ তো জানছে না,একই ব্লাড থাকবে বাচ্চার শরীরে।"কথাটা শুনে কিছুক্ষণ গুম হয়ে ছিলেন অনিল।অসম্ভব এক প্রস্তাব,কত লোকেরই তো বাচ্চা হচ্ছেনা।কিন্তু এই সন্তানহীনতা যদি সুখী ছেলে আর ছেলের বৌএর সম্পর্কে ফাটল ধরায়।তার একটাই সন্তান রাহুল, নেহা আধুনিক মেয়ে সন্তানের জন্য যদি অন্য পুরুষের দিকে ঝুঁকে পড়ে,দুজনের মাঝে যদি অন্য পুরুষ ঢুকে পড়ে,নিজের এই অক্ষমাতা কি রাহুলকে কুরে কুরে খাবে না?মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন অনিল,
"আমাকে ভাবার দুদিন সময় দাও,আর এ বিষয়ে নেহার সাথে কথা বলতে চাই আমি।"গম্ভীর গলায় বলেছিলেন অনিল।কথাটা শুনে স্বস্তির ছাপ ফুটে উঠেছিলো রাহুলের চোখে মুখে।
"ঠিক আছে বাবা,চলুন বাড়ী ফেরা যাক,নেহা মনে হয়..,"ছেলেকে বাধা দেন অনিল,
না আজ নয়,বিকেলের ফ্লাইটে পাটনা ফিরে যাব আমি,দুদিন পর শনিবার আসবো আবার,আর...মানে..,একটু দ্বিধা করেছিলেন অনিল,"আমি,একা কথা বলতে চাই নেহার সাথে।"
ঠিক আছে বাবা,আপনি যেভাবে চান,"তাড়াতাড়ি বলেছিলো রাহুল।(চলবে)