13-10-2019, 11:27 PM
আমি একটু এটা করিস না ওটা করিস না বলে কাটিয়ে দিতাম। নিজের বালের ঠিক নেই ওদের প্রব্লেম কে শুনতে চায়। সাইটে প্রায় ছ মাস হয়ে গেছে। হু হু করে কাজ উঠতে শুরু করেছে। যা কাজের বহর তাতে করে পুরো শেষ করতে প্রায় ৫ বছর লেগে যাবে। সাথে আবার পাওয়ার প্লান্ট আছে। এর মধ্যে তনু ফোন করল, ‘কিরে কাজের চাপে ভুলে গেলি নাকি আমাদের? ফোন করিস না এখন যখন তখন?’ সত্যি বলতে কি কাজের প্রেসারে প্রায় ভুলে যেতাম ওদের ফোন করতে। ওরা ফোন করলে পরেই কথা বলতাম। আর ফোন করবই বা কখন। রোজই তো প্রায় দশটা সাড়ে দশটা নাগাদ বাড়ী ফিরতাম। তারপর একটু মদ আর টিভি দেখে খেয়ে দেয়ে শুয়ে পরতাম। ক্লান্তি যেন সারা গায়ে লেগে থাকতো। আমি উত্তর দিলাম, ‘নারে ঠিক তা না। আসলে এতো প্রেসার আর বাড়ী ফিরি এতো দেরিতে তারপর আর ফোন করার ইচ্ছে থাকে না। কিন্তু এটা বলিস না যে তোরা ফোন করলে কথা বলি না।‘ তনু বলল, ‘না তা নয় অবশ্য। যাহোক, তোর যদি সময় থাকে তাহলে কোলকাতা ঘুরে যা। আমি আর স্নেহা কোলকাতায় আছি।‘ আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘কেন, হঠাৎ কোলকাতায় কেন?’ তনু উত্তর দিল, ‘হঠাৎ বাবার শরীর খারাপ হয়ে যাওয়াতে আসতে হোল। দাদার পক্ষে সম্ভব নয় বাবাকে দেখার, তাই।‘ আমি বললাম, ‘ঠিক আছে দেখি, আসতে পারলে খবর দেব।‘ তনু অনুনয় করে বলল, ‘নারে বাবা, আসার চেষ্টা কর। কতদিন যেন তোকে দেখিনি মনে হয়। আয় নারে একটু।‘ আমি ওর গলার স্বর শুনে আর থাকতে পারলাম না, বললাম, ‘ঠিক আছে আসবো। দুদিন বাদে।‘ সাইটে বলে দিলাম, আমি দুদিন ছুটিতে যাচ্ছি। কাজের যেন কোন ক্ষতি না হয়।‘ ছুটিতে যাবার আগে হঠাৎ প্রেসিডেন্ট ফোন করে বলল, ‘তোমার বন্ধুকে চাকরি করে দিয়েছি কোম্পানিতে। ওকে পাঠাচ্ছি দারলাঘাটে। কেমন কাজ করে ও?’ আমি কি বলব ও কাজ জানে না। তাই বলা যায় নাকি? আমিই তো সুপারিশ করেছি ওকে চাকরি দেবার জন্য। বললাম, ‘না কোন চিন্তা করবেন না, ম্যানেজ করে নেবে ও ঠিক। তবে একটু নজর বেশি রাখবেন।‘ প্রেসিডেন্ট বলল, ‘ও তোমাকে বলতে হবে না। আমি দেখব।‘ এটা আমার কাছে খবর। পার্থ কোম্পানিতে চাকরি পেয়েছে এটা তনু পার্থ বলতে পারল না? কেন বলল না? আমাকে লোকাবার জন্য? না আমি হিংসে করবো? আমিই তো ঠিক করে দিলাম ওর চাকরিটা। জিজ্ঞেস করতে হবে তনুকে পার্থকে। বেড়িয়ে গেলাম কোলকাতার উদ্দেশ্যে তনুর কাছে। রিস্ক ফ্যাক্টর ছিল, বর্ষাকে জানাইনি। তবে বর্ষা খুব একটা কোলকাতায় বেরোয় না, এটাই একটা ব্যাপার। এটাও ভেবেছিলাম, যাবো বেহালা, থাকব ওখানে। আমাদের পাড়ার লোকেরা তো এইদিকে আসেই না। ভয়ের কিছু থাকবে বলে মনে হয় না। তনু বলে রেখেছিল আমি পৌঁছে যেন ওকে ফোন করে। বাস স্ট্যান্ড থেকে হাঁটা পথে মিনিট তিনেক।হাওড়ায় নেমে পোস্ট পেড ট্যাক্সি নিয়ে দ্বিতীয় ব্রিজ ধরে চললাম বেহালা। কোলকাতায় থাকতে এইদিকে আসা হয় না, তাই ট্যাক্সিতে বসে থাকতে থাকতে সব কিছু কেমন নতুন মনে হচ্ছিল। প্রায় ৫০ মিনিট পরে বেহালা পৌঁছে বাস স্ট্যান্ডে চলে গেলাম। ট্যাক্সি ভাড়া মিটিয়ে একটা সিগারেট ধরিয়ে তনুকে ফোন লাগিয়ে খবর দিলাম আমি পৌঁছে গেছি। তনু আমাকে অপেক্ষা করতে বলল, ও জাস্ট পৌঁছুবে। সিগারেট শেষ হয় নি, দূর থেকে দেখলাম একটা হাল্কা হলুদ রঙের শাড়ি পরে তনু আসছে। ভাবলাম স্নেহাকে দেখছি না। তাহলে কি তনু একা এসেছে কোলকাতায়। মনটা একটু খারাপ লাগতে শুরু করল। স্নেহার সাথে জমে বেশি বলেই হয়তো, কিংবা মনে অন্য কোন পাপ ঢুকে রয়েছে বলে নাকি বুঝলাম না। তনু সামনে এসে হেসে দিল আমাকে দেখে। আমি বললাম, ‘কেমন আছিস রে?’ তনু আমার একটা হাত ধরে বলল, ‘ভালোই আছি। তুই?’ আমি জবাব দিলাম, ‘কেমন দেখছিস?’ তনু আমার দিকে তাকিয়ে আবার মিষ্টি হাসল, উত্তর দিল, ‘হিরো ছিলি, হিরো আছিস আর হিরো থাকবি। তোকে দেখলেই কেমন যেন প্রেমে পরে যাই বারবার। চল। দে ব্যাগটা দে।‘ আমি বললাম, ‘সেকিরে, এই তো বললি আমি একটা হিরো, আর ব্যাগ বইবি তুই? যাহ্*।‘আমি একটু এটা করিস না ওটা করিস না বলে কাটিয়ে দিতাম। নিজের বালের ঠিক নেই ওদের প্রব্লেম কে শুনতে চায়। সাইটে প্রায় ছ মাস হয়ে গেছে। হু হু করে কাজ উঠতে শুরু করেছে। যা কাজের বহর তাতে করে পুরো শেষ করতে প্রায় ৫ বছর লেগে যাবে। সাথে আবার পাওয়ার প্লান্ট আছে। এর মধ্যে তনু ফোন করল, ‘কিরে কাজের চাপে ভুলে গেলি নাকি আমাদের? ফোন করিস না এখন যখন তখন?’ সত্যি বলতে কি কাজের প্রেসারে প্রায় ভুলে যেতাম ওদের ফোন করতে। ওরা ফোন করলে পরেই কথা বলতাম। আর ফোন করবই বা কখন। রোজই তো প্রায় দশটা সাড়ে দশটা নাগাদ বাড়ী ফিরতাম। তারপর একটু মদ আর টিভি দেখে খেয়ে দেয়ে শুয়ে পরতাম। ক্লান্তি যেন সারা গায়ে লেগে থাকতো। আমি উত্তর দিলাম, ‘নারে ঠিক তা না। আসলে এতো প্রেসার আর বাড়ী ফিরি এতো দেরিতে তারপর আর ফোন করার ইচ্ছে থাকে না। কিন্তু এটা বলিস না যে তোরা ফোন করলে কথা বলি না।‘ তনু বলল, ‘না তা নয় অবশ্য। যাহোক, তোর যদি সময় থাকে তাহলে কোলকাতা ঘুরে যা। আমি আর স্নেহা কোলকাতায় আছি।‘ আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘কেন, হঠাৎ কোলকাতায় কেন?’ তনু উত্তর দিল, ‘হঠাৎ বাবার শরীর খারাপ হয়ে যাওয়াতে আসতে হোল। দাদার পক্ষে সম্ভব নয় বাবাকে দেখার, তাই।‘ আমি বললাম, ‘ঠিক আছে দেখি, আসতে পারলে খবর দেব।‘ তনু অনুনয় করে বলল, ‘নারে বাবা, আসার চেষ্টা কর। কতদিন যেন তোকে দেখিনি মনে হয়। আয় নারে একটু।‘ আমি ওর গলার স্বর শুনে আর থাকতে পারলাম না, বললাম, ‘ঠিক আছে আসবো। দুদিন বাদে।‘ সাইটে বলে দিলাম, আমি দুদিন ছুটিতে যাচ্ছি। কাজের যেন কোন ক্ষতি না হয়।‘ ছুটিতে যাবার আগে হঠাৎ প্রেসিডেন্ট ফোন করে বলল, ‘তোমার বন্ধুকে চাকরি করে দিয়েছি কোম্পানিতে। ওকে পাঠাচ্ছি দারলাঘাটে। কেমন কাজ করে ও?’ আমি কি বলব ও কাজ জানে না। তাই বলা যায় নাকি? আমিই তো সুপারিশ করেছি ওকে চাকরি দেবার জন্য। বললাম, ‘না কোন চিন্তা করবেন না, ম্যানেজ করে নেবে ও ঠিক। তবে একটু নজর বেশি রাখবেন।‘ প্রেসিডেন্ট বলল, ‘ও তোমাকে বলতে হবে না। আমি দেখব।‘ এটা আমার কাছে খবর। পার্থ কোম্পানিতে চাকরি পেয়েছে এটা তনু পার্থ বলতে পারল না? কেন বলল না? আমাকে লোকাবার জন্য? না আমি হিংসে করবো? আমিই তো ঠিক করে দিলাম ওর চাকরিটা। জিজ্ঞেস করতে হবে তনুকে পার্থকে। বেড়িয়ে গেলাম কোলকাতার উদ্দেশ্যে তনুর কাছে। রিস্ক ফ্যাক্টর ছিল, বর্ষাকে জানাইনি। তবে বর্ষা খুব একটা কোলকাতায় বেরোয় না, এটাই একটা ব্যাপার। এটাও ভেবেছিলাম, যাবো বেহালা, থাকব ওখানে। আমাদের পাড়ার লোকেরা তো এইদিকে আসেই না। ভয়ের কিছু থাকবে বলে মনে হয় না। তনু বলে রেখেছিল আমি পৌঁছে যেন ওকে ফোন করে। বাস স্ট্যান্ড থেকে হাঁটা পথে মিনিট তিনেক।হাওড়ায় নেমে পোস্ট পেড ট্যাক্সি নিয়ে দ্বিতীয় ব্রিজ ধরে চললাম বেহালা। কোলকাতায় থাকতে এইদিকে আসা হয় না, তাই ট্যাক্সিতে বসে থাকতে থাকতে সব কিছু কেমন নতুন মনে হচ্ছিল। প্রায় ৫০ মিনিট পরে বেহালা পৌঁছে বাস স্ট্যান্ডে চলে গেলাম। ট্যাক্সি ভাড়া মিটিয়ে একটা সিগারেট ধরিয়ে তনুকে ফোন লাগিয়ে খবর দিলাম আমি পৌঁছে গেছি। তনু আমাকে অপেক্ষা করতে বলল, ও জাস্ট পৌঁছুবে। সিগারেট শেষ হয় নি, দূর থেকে দেখলাম একটা হাল্কা হলুদ রঙের শাড়ি পরে তনু আসছে। ভাবলাম স্নেহাকে দেখছি না। তাহলে কি তনু একা এসেছে কোলকাতায়। মনটা একটু খারাপ লাগতে শুরু করল। স্নেহার সাথে জমে বেশি বলেই হয়তো, কিংবা মনে অন্য কোন পাপ ঢুকে রয়েছে বলে নাকি বুঝলাম না। তনু সামনে এসে হেসে দিল আমাকে দেখে। আমি বললাম, ‘কেমন আছিস রে?’ তনু আমার একটা হাত ধরে বলল, ‘ভালোই আছি। তুই?’ আমি জবাব দিলাম, ‘কেমন দেখছিস?’ তনু আমার দিকে তাকিয়ে আবার মিষ্টি হাসল, উত্তর দিল, ‘হিরো ছিলি, হিরো আছিস আর হিরো থাকবি। তোকে দেখলেই কেমন যেন প্রেমে পরে যাই বারবার। চল। দে ব্যাগটা দে।‘ আমি বললাম, ‘সেকিরে, এই তো বললি আমি একটা হিরো, আর ব্যাগ বইবি তুই? যাহ্*।‘