11-10-2019, 12:09 AM
আমি দরজা খুলতেই দেখি একমুখ হাসি নিয়ে দাস দাঁড়িয়ে আছে দরজার সামনে। আমাকে দরজা খুলতে দেখেই বলল কোন অসুবিধে নেই তো আমার যদি ও কিছুটা সময় আমার বাড়ীতে কাটায়। ও বলল ও নাকি ছুটি নিয়েছে। আমি দরজা ভেজাতে ভেজাতে ভাবলাম কি কাজ করে এমন যে মাসে চোদ্দ দিন ছুটিতেই কাটায়। আমি ওকে মনে করালাম আরে দাসদা, আজ নাকি আপনাদের সাইটে খুব বড় ঢালাই আছে। আর আজ আপনি ছুটিতে? যেন কত গর্ব ওর এমনভাবে আমাকে বলল যদি ওকে সাইটে সময় দিতে হয় তাহলে বাকিরা কি করতে আছে। আজ ও নাকি ছুটি নিয়েছে শুধু আমার সাথে সময় কাটাবার জন্য। চিন্তা কর কি ধরনের অফেন্সিভ কথা। স্পষ্ট বলছে আমার জন্য ও ছুটি নিয়েছে। আমি ওকে বিঁধবার জন্য বললাম আরে আপনি দেখছি আমার বদনাম করে দেবেন। সবার সামনে এইভাবে অন্য এক স্ত্রীর ঘরে সময় কাটানো। হয়তো আপনাকে কেউ কিছু বলবে না কিন্তু আমার কি হবে সে খেয়াল আছে আপনার? ও কি আর ওই কথা শুনে চলে যেতে এসেছে? ও হেসে বলল আরে চিন্তা কি আপনার। কে আপনার বদনাম দেবে। তোর নাম নিয়ে বলল ওই যে দীপ কতদিন এই বাড়ীতে সময় কাটিয়েছে কে কত বদনাম দিয়েছে আপনাদের? আর করলেও কত পাত্তা আপনারা দিয়েছেন সেই কথায়? আমার মনে পড়লো তুই একদিন বলেছিলি তোর আসা নিয়ে অনেকে অনেক কিছু বলছে। তার উত্তরে পার্থ বলেছিল বলতে দে। ওদের মুখ আছে ওরা বলছে। আমরা না পাত্তা দিলেই হোল। সেটা যে এরকমভাবে বুমেরাং হবে জানতে পারিনি। ভয়ে খুব বেশি কিছু বলতেও পারছি না পাছে পার্থর ক্যারিয়ারের ক্ষতি যদি করে বসে ও। কারন ওর যা পাওয়ার তাতে ও করতেই পারে। তাই দরজা ভেজানটাই যুক্তিসংগত বলে আমি তাই করতে লাগলাম। ও সেটা দেখে বলল আরে বন্ধই করে দিন। নিজের থেকে যেচে বাঁশ নেবার কি দরকার। কেউ এসে পড়লে হয়তো উল্টোপাল্টা কিছু ভেবে বসবে। দরজা বন্ধ থাকলে ভাববে আপনি ব্যস্ত আছেন। বলে আমাকে সরিয়ে নিজেই দরজা বন্ধ করে দিল। আমি ভয়ে কাঁপছি। ভাবছি যদি বিপদ কিছু দেখি তাহলে চিৎকার করবো কিনা। আবার এও ভাবছি যদি চিৎকার করি আর লোক এসে পড়ে তাহলে তো আমার আর পার্থর মুখ দেখানো দুস্কর হয়ে যাবে। ভগবানকে ডাকতে থাকলাম যাতে কোন অঘটন না ঘটে। ওদিকে দাস ঘরের ভিতর বসে ডাকছে কি হোল ভয় পেয়ে গেলেন নাকি? আসুন একটু গল্প করি। সত্যি বলছি দীপ এতো ডেস্পারেট ছেলে আমি আগে দেখিনি। তুই তো জানিস আমি খুব ডেয়ারিং। আমিও থতমত খেয়ে গেছি দাসের ওই ব্যবহার দেখে। নিজের দিকে তাকিয়ে দেখলাম যে আমি খুব একটা ভদ্র ড্রেসে নেই। একটা নাইটি, হাঁটু পর্যন্ত, তাও খুব পাতলা। কে জানতো যে এই লোকটা আসবে। তবে একটা ব্যাপারে ভয়টা কম আমার সেটা হোল আমার নিচে জানি না কেন ব্রা আর প্যান্টি পরা আছে। আমি ভিতরে গিয়ে দেখি ও খাটে বসে আছে। স্পর্দা দেখ ওর। বাইরের থেকে এসে কোন ইনভিটেশন ছাড়াই খাটের উপর উঠে বসেছে। আমি ভদ্রতার খাতিরে বললাম কি খাবেন চা না জল। আমি চমকে উঠলাম এর পড়ে ও যা করলো দেখে। পকেট থেকে একটা নিপ বার করে আনল, কালার দেখে বুঝলাম রাম। বোতলটা নাচিয়ে বলল ভাবছি আজ এটাই খাই। এবারে আর পারলাম না। বলে দিলাম দাসদা বোধহয় একটু বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে আপনার। আমি একা এই ঘরে। আপনার ইতস্তত হচ্ছে না এই ঘরে মদ খেতে। ওর কথা শুনলে তুই অবাক হয়ে যাবি। আমাকে বলল কিসের ইতস্তত? দীপও তো এখানে খেয়েছে। খায় নি? আমি উত্তর দিয়েছিলাম ঢোঁক গিলে হ্যাঁ খেয়েছে। তবে আমার সামনে নয়। পার্থর সাথে। একা ও কোনদিন সাহস করে নি এখানে খাবার। ওর উত্তর শুনে আমি খুব স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। তারমানে ও অনেক কিছু লক্ষ্য করেছে আমাদের। আমি ওর পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে রয়েছি। দাস আমাকে বলল আরে দাঁড়িয়ে আছেন কেন বৌদি যান একটা গ্লাস নিয়ে আসুন। আরে একটা কেন যদি খেতে চান তো দুটো নিয়ে আসতে পারেন। আমার ধৈর্যর সীমা পার হয়ে গেছে। আমি ওকে সাবধান করলাম আপনি এখানে মদ খাবেন না। আমার একদম ভালো লাগছে না। যদি খেতে হয় তাহলে বাইরে গিয়ে খান। দাস শুনল না, আমাকে বলল আরে বৌদি আবার রাগ করে দেখি। এইজন্য শালা দীপটাই দায়ী। ওর মধ্যে যে কি ভালো দেখেছিলেন। যান যান নিয়ে আসুন। আচ্ছা আপনার খাবার ইচ্ছে না হলে পাশে বসে থাকুন। দুদণ্ড গল্প করি। আমি শেষ বারের মত চেষ্টা করলাম। বললাম পার্থ এলে কিন্তু আমি বলে দেবো ওকে সব। তাহলে...... দাস আমার মুখের কথা কেড়ে নিয়ে বলল তাহলে কি? ভয় দেখাচ্ছেন নাকি? ভয় পেলে আর বোতল নিয়ে ঘরে ঢুকতাম? দীপও আনত আমিও এনেছি। যান নিয়ে আসুন। আমি আরেকবার চেষ্টা করে দেখলাম। ওকে বললাম ঠিক আছে আমি বাইরে যাচ্ছি। লোকেদেরকে ডেকে বলছি। দাস হাসতে হাসতে বিছানায় শুয়ে পড়লো, বলল লোককে আর ডেকে বলবেন না। ওরা জানে এই বাড়ীটা কি।“ তনুকে থামিয়ে আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘আচ্ছা একটা কথা বল, আমি চলে যাবার পর চক্রবর্তী কি তোদের ঘরে আসতো?’ আমি বাজিয়ে দেখতে চাইলাম যে লোকেরা কতটা জানে। তনু বোধহয় আমার মতলব ধরতে পারে নি। ও বলল, ‘তুই আমাদের বন্ধুত্ব কাটার পর থেকেই ও আসতে লেগেছিল আমাদের বাড়ীতে।‘ আমি মনে মনে এঁকে নিলাম, তাহলে লোকেরা ঠিকই ধরেছে তনুদের সম্বন্ধে। চক্রবর্তীর সাথে ফষ্টিনষ্টিটা আমি থাকাকালীনই দেখে গেছিলাম। আর ওরা বাইরেই যা সাহস দেখিয়ে যাতা করতো লোকেরা নিশ্চয়ই দেখেছে বা লক্ষ্য করে থাকবে। দাস আর কি ভুল বলেছে। আমি বললাম, ‘হুম, তারপর বল।‘ তনু আমার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো, ‘হঠাৎ তুই চক্রবর্তীর কথা জিজ্ঞেস করলি? কেন রে?’হু হু বাবা, চোরের মন পুলিশ পুলিশ। চক্রবর্তীর নাম শুনতেই অস্থির হয়ে উঠেছে। আমি ঘোরালাম কথাকে, ‘না মানে এইটা বলতে চাইছিলাম তুই চক্রবর্তীর ভয় দেখাতে পারতিস। ও তো প্রায় লোকাল। ওর কোন ভয় ছিল না। ও ঠিক করে দিতে পারতো দাসকে।‘ তনু বলল, ‘আরে নারে কোন কিছুই ও তো শুনতে চাইছে না। আর চক্রবর্তীর কি ভয় দেখাব। ও তখন কোথায়?’ “আবার তনু শুরু করলো।