11-01-2019, 08:26 AM
পর্ব আট – বন্দিনীর মুক্তি (#3)
এই কয়দিনে লোকেশ নামক লম্পট অসুর নিধনে খুব ব্যাস্ত ছিল দানা। ফারহানের সাথে এই এক কয়দিনে বিশেষ দেখা হয়নি, দেখা হলেও ওর বাড়িতে আর যাওয়া হয়ে ওঠেনি। জারিনার মাঝে মাঝেই ফোন আসে, ইয়ার্কি মেরে জিজ্ঞেস করে দানা নামক বাঘ আবার কোন নতুন নারীর খোঁজ পেয়েছে। দানা ইয়ার্কি মেরে উত্তর দেয়, নতুন কাউকে পেলে ওদের সাথেই সহবাস করবে। মাস ফুরাতে যায়, কয়েক দিনের মধ্যে নয়না বোসের কাছে গাড়ি চালানোর কাজে লাগতে হবে। এই কয়দিনে মহুয়ার বাড়িতে লোকজন আত্মীয় সজ্জন থাকার ফলে ঠিক ভাবে কথাবার্তা বলতে পারেনি। সবসময়ে ওর কণ্ঠস্বর শোনার জন্য কান অধীর হয়ে থাকত, ফোন পেলেই গলা শুকিয়ে আসত প্রথমে। বুকের ধুকপুকানি বেড়ে উঠত, কি বলবে কি বলবে। আগে হলে না হয় কোন পরিকল্পনা, অথবা ওকে সাহস জোগান। কিন্তু লোকেশের মৃত্যুর পরে আর সেই সবের বালাই নেই।
বুদ্ধি বলে লোকেশকে পরাজিত করার পরে, দানার মনে সাহস জেগে ওঠে। কঙ্কনা আর নাস্রিনের সাথেও বুদ্ধির লড়াইয়ে পরাস্ত করতে চায়। পরিকল্পনা মাফিক একদিন নাসিরকে কঙ্কনার ঠিকানা দিয়ে ওর বাড়িতে পাঠায়। বেশ কয়েকদিন পরে নাসির হতাশার খবর নিয়ে দানার কাছে পৌঁছায়। দানার দেওয়া ঠিকানায়, কঙ্কনা দেবনাথ অথবা নাস্রিন আখতার নামে কেউ থাকে না। সেখানে এক সাহা পরিবার থাকে, ওদের আগে এক এন আর আই, কোন চ্যাটারজি ওই বাড়ির মালিক ছিলেন তিনি মাস তিনেক আগে সাহা পরিবারকে বাড়ি বিক্রি করে দিয়ে চলে গেছেন। দানার কাছে শুধু মাত্র ওই বাড়ির ঠিকানা আর ফোন নাম্বার ছাড়া আর কিছুই ছিল না। এমন কি কঙ্কনা নাস্রিনের ফটো পর্যন্ত ছিল না যে ওদের খোঁজে। দানা ওই ফোনে ফোন করে দেখে যে ফোন নাম্বার অচল হয়ে গেছে। হাল ছেড়ে দিলেও মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে প্রতিশোধ একদিন নেবেই নেবে।
বেশ কিছুদিন পরে একদিন রাতের বেলা মহুয়া, দানাকে নিমন্ত্রন করার জন্য ফোন করে। এতদিন দানাও অন্য পাশে ছটফট করছিল একাকী মহুয়াকে পাওয়ার, হয়ত বা এক অদৃশ্য আকর্ষণ অথবা একটু বন্ধুত্ত।
মোবাইলে মহুয়ার ফোন নাম্বার দেখেই বিছানায় টানটান হয়ে বসে, “কেমন আছো, তুমি?”
মহুয়ার কণ্ঠে মুক্তির উচ্ছলতা ছলকে ওঠে, মিষ্টি হেসে উত্তর দেয়, “উফফফ জানো আমি খুব ভালো আছি। এই জন্মে ওই নরক থেকে মুক্তি পাবো আশা করিনি। তুমি না থাকলে কি যে হত জানি না, তুমি না থাকলে এক সময়ে ওই পশুটা আমাকে সত্যি সত্যি বেশ্যা পাড়ায় বিক্রি করে দিত।”
এই কয়দিনে লোকেশ নামক লম্পট অসুর নিধনে খুব ব্যাস্ত ছিল দানা। ফারহানের সাথে এই এক কয়দিনে বিশেষ দেখা হয়নি, দেখা হলেও ওর বাড়িতে আর যাওয়া হয়ে ওঠেনি। জারিনার মাঝে মাঝেই ফোন আসে, ইয়ার্কি মেরে জিজ্ঞেস করে দানা নামক বাঘ আবার কোন নতুন নারীর খোঁজ পেয়েছে। দানা ইয়ার্কি মেরে উত্তর দেয়, নতুন কাউকে পেলে ওদের সাথেই সহবাস করবে। মাস ফুরাতে যায়, কয়েক দিনের মধ্যে নয়না বোসের কাছে গাড়ি চালানোর কাজে লাগতে হবে। এই কয়দিনে মহুয়ার বাড়িতে লোকজন আত্মীয় সজ্জন থাকার ফলে ঠিক ভাবে কথাবার্তা বলতে পারেনি। সবসময়ে ওর কণ্ঠস্বর শোনার জন্য কান অধীর হয়ে থাকত, ফোন পেলেই গলা শুকিয়ে আসত প্রথমে। বুকের ধুকপুকানি বেড়ে উঠত, কি বলবে কি বলবে। আগে হলে না হয় কোন পরিকল্পনা, অথবা ওকে সাহস জোগান। কিন্তু লোকেশের মৃত্যুর পরে আর সেই সবের বালাই নেই।
বুদ্ধি বলে লোকেশকে পরাজিত করার পরে, দানার মনে সাহস জেগে ওঠে। কঙ্কনা আর নাস্রিনের সাথেও বুদ্ধির লড়াইয়ে পরাস্ত করতে চায়। পরিকল্পনা মাফিক একদিন নাসিরকে কঙ্কনার ঠিকানা দিয়ে ওর বাড়িতে পাঠায়। বেশ কয়েকদিন পরে নাসির হতাশার খবর নিয়ে দানার কাছে পৌঁছায়। দানার দেওয়া ঠিকানায়, কঙ্কনা দেবনাথ অথবা নাস্রিন আখতার নামে কেউ থাকে না। সেখানে এক সাহা পরিবার থাকে, ওদের আগে এক এন আর আই, কোন চ্যাটারজি ওই বাড়ির মালিক ছিলেন তিনি মাস তিনেক আগে সাহা পরিবারকে বাড়ি বিক্রি করে দিয়ে চলে গেছেন। দানার কাছে শুধু মাত্র ওই বাড়ির ঠিকানা আর ফোন নাম্বার ছাড়া আর কিছুই ছিল না। এমন কি কঙ্কনা নাস্রিনের ফটো পর্যন্ত ছিল না যে ওদের খোঁজে। দানা ওই ফোনে ফোন করে দেখে যে ফোন নাম্বার অচল হয়ে গেছে। হাল ছেড়ে দিলেও মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে প্রতিশোধ একদিন নেবেই নেবে।
বেশ কিছুদিন পরে একদিন রাতের বেলা মহুয়া, দানাকে নিমন্ত্রন করার জন্য ফোন করে। এতদিন দানাও অন্য পাশে ছটফট করছিল একাকী মহুয়াকে পাওয়ার, হয়ত বা এক অদৃশ্য আকর্ষণ অথবা একটু বন্ধুত্ত।
মোবাইলে মহুয়ার ফোন নাম্বার দেখেই বিছানায় টানটান হয়ে বসে, “কেমন আছো, তুমি?”
মহুয়ার কণ্ঠে মুক্তির উচ্ছলতা ছলকে ওঠে, মিষ্টি হেসে উত্তর দেয়, “উফফফ জানো আমি খুব ভালো আছি। এই জন্মে ওই নরক থেকে মুক্তি পাবো আশা করিনি। তুমি না থাকলে কি যে হত জানি না, তুমি না থাকলে এক সময়ে ওই পশুটা আমাকে সত্যি সত্যি বেশ্যা পাড়ায় বিক্রি করে দিত।”