11-01-2019, 08:25 AM
বেশ কিছু পরে ডক্টর মানস সোমের অদ্ধতন একজন ডাক্তার, অপারেশান থিয়েটার থেকে বেড়িয়ে এসে লোকেশের আত্মীয় সজ্জনদের দুঃসংবাদ দেয়। প্রচুর রক্ত ক্ষরণ আর মাথার ঘিলু বেড়িয়ে যাওয়ার ফলে বহু চেষ্টা করেও মিস্টার লোকেশ বাজপাইকে তারা বাঁচাতে পারেনি। মহিষাসুর ন্যায়, এক নর পিশাচের হাত থেকে অবলা মহুয়াকে উদ্ধার করতে পেরে দানার মন খুশিতে ভরে ওঠে। অনেক আত্মীয় সজ্জনের চোখে হাসি কিন্তু মেকি কান্নায় ভেঙ্গে পরে, বড় ছেলে সোমেশ মাথায় হাত দিয়ে বসে পরে। ওর মনে হয় ইচ্ছে ছিল বাবার সম্পূর্ণ ব্যাবসা ধিরে ধিরে নিজেই হাতিয়ে নেবে, কিন্তু লোকেশের অকাল মৃত্যুর ফলে আর উইল অনুসারে মহুয়াকে ওর সম্পত্তির অর্ধেকের মালিকানা দিতে হবে। মহুয়া, মেয়েকে নিয়ে চুপচাপ এক কোনায় বসে থাকে, অনেকে ওর কাছে এসে সান্ত্বনা দেয়, অনেকে অনেক কথা বলে। গভীর রাতে লোকেশের শব দেহ হাস্পাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সবার অলক্ষ্যে মহুয়া দানাকে দেখে আলতো মাথা নত করে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে।
লোকেশের মৃত্যুর পরে, মহুয়া খুদেবাজারের লোকেশের বাড়ি ছেড়ে, নোনাঝিলের বিশাল ফ্লাটে চলে আসে। উইল অনুযায়ী, লোকেশের অর্ধেক সম্পত্তি, প্রায় আড়াইশ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিকানা সত্ত্বা পায়। পুরানো কাজের লোকদের ছাড়িয়ে দেওয়া হয়। নতুন ফ্লাটে নতুন ভাবে, কচি শিশু, রুহিকে নিয়ে নতুন জীবন শুরু করে মহুয়া। বিশেষ পড়াশুনা করেনি, এত টাকা কি ভাবে কোথায় লাগাবে কিছুই বুঝে উঠতে পারে না। টাকার লোভে প্রচুর আত্মীয় সজ্জন, মহুয়ার আশেপাশে মাছির মতন ভনভন করতে শুরু করে দেয়। বুদ্ধিমতী মহুয়া এই টুকু বুঝতে পারে যে এই আত্মীয় সজ্জন সবাই ওর টাকার জন্যেই ওর পাশে এসেছে তাই মিষ্টি কথায় সবাইকে এড়িয়ে যায়। শরতের শীতল হাওয়ায় আবার খুশির আমেজ ছড়িয়ে পরে। এতদিন বন্দিনী জীবন যাপন থেকে মুক্তি পেয়ে মহুয়া ডানা মেলে উড়তে চায়, এই খোলা আকাশে বিচরন করতে চায়।
লোকেশের মৃত্যুর পরে, মহুয়া খুদেবাজারের লোকেশের বাড়ি ছেড়ে, নোনাঝিলের বিশাল ফ্লাটে চলে আসে। উইল অনুযায়ী, লোকেশের অর্ধেক সম্পত্তি, প্রায় আড়াইশ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিকানা সত্ত্বা পায়। পুরানো কাজের লোকদের ছাড়িয়ে দেওয়া হয়। নতুন ফ্লাটে নতুন ভাবে, কচি শিশু, রুহিকে নিয়ে নতুন জীবন শুরু করে মহুয়া। বিশেষ পড়াশুনা করেনি, এত টাকা কি ভাবে কোথায় লাগাবে কিছুই বুঝে উঠতে পারে না। টাকার লোভে প্রচুর আত্মীয় সজ্জন, মহুয়ার আশেপাশে মাছির মতন ভনভন করতে শুরু করে দেয়। বুদ্ধিমতী মহুয়া এই টুকু বুঝতে পারে যে এই আত্মীয় সজ্জন সবাই ওর টাকার জন্যেই ওর পাশে এসেছে তাই মিষ্টি কথায় সবাইকে এড়িয়ে যায়। শরতের শীতল হাওয়ায় আবার খুশির আমেজ ছড়িয়ে পরে। এতদিন বন্দিনী জীবন যাপন থেকে মুক্তি পেয়ে মহুয়া ডানা মেলে উড়তে চায়, এই খোলা আকাশে বিচরন করতে চায়।