11-01-2019, 08:24 AM
খুশিতে দানার চোখে জল চলে আসে, ডক্টর মানসের দুই হাত ধরে ধন্যবাদ জানিয়ে বেড়িয়ে আসে। কিন্তু লোকেশ বাড়ি থেকে বিশেষ বের হয় না। বাড়ির মধ্যেই হুইল চেয়ারে বসে এদিক ওদিক ঘোরাফেরা করে। চাকর বাকর সবসময়ে সাথে থাকে, বাইরে গেলেও এক চাকর সাথে থাকে। কিছু করে যদি লোকেশকে বাড়ির বাইরে বের করা যায় তাহলে ওর গাড়ির দুর্ঘটনা ঘটানো যেতে পারে, অথবা বাড়ির ভেতরেই কোন ভাবে দুর্ঘটনা ঘটাতে হবে যাতে লোকেশ আহত হয়ে হসপিটালে ভর্তি হয়।
প্রথমে লোকেশের চাকর আর ড্রাইভারকে সরাতে হবে আর তার জন্য ওর লোকবলের প্রয়োজন। দানা সোজা মহেন্দ্র বাবুর কাছে গিয়ে সব ঘটনা খুলে বলে। সব শুনে মহেন্দ্র বাবু দানাকে বেশ কয়েকটা থাপ্পড় কষিয়ে বলেন, দানা কেন শুরুতেই লোকেশকে খুন করেনি, এক অবলা নারীর অত্যাচার কেন জেনে বুঝেও হতে দিয়েছে। দানা মহেন্দ্র বাবুকে মহুয়ার জটিল পরিস্থিতির কথা বুঝিয়ে বলাতে তিনি শান্ত হন। দানা আরও জানায় যে আগে ওই ড্রাইভার আর চাকরকে লোকেশের বাড়ি থেকে সরাতে হবে তবে বাকি কাজ করা যাবে।
শঙ্কর আর রামিজ কোমরে পিস্তল গুঁজে ওর পাশে দাঁড়িয়ে বলে, “তুই শুধু এক বার দেখিয়ে দে কার মাথা নামাতে হবে, বাকি কাজ আমাদের।”
পুজোর ভিড়ে যখন বাকি লোকজন পুজোর আনন্দে মেতে তখন দানা মহুয়াকে কি ভাবে উদ্ধার করবে সেই চিন্তায় ডুবে। না মহুয়ার রূপের মোহের বশে মহুয়াকে বাঁচাতে চায় না, ওর করুণ পরিস্থিতি থেকে ওকে বাঁচাতে চায়। পরের দিন সকাল থেকে দানা আর বাকি ছেলেরা, লোকেশের বাড়ির আশেপাশে ছায়ার মতন মানুষের ভিড়ে গা ঢাকা দিয়ে থাকে। ড্রাইভার আর ওই কাজের মেয়েকে আগে সরাতে হবে না হলে লোকেশকে বাগে ফেলা সম্ভবপর হয়ে উঠবে না। সুযোগ চলে আসে সন্ধ্যেবেলার পরে, কাজের মেয়েকে নিয়ে ড্রাইভার গাড়ি নিয়ে বাজারের দিকে বের হয়। একটা গাড়িতে দানা, শঙ্কর রামিজ আর কয়েকটা ছেলে নিয়ে ওদের গাড়ি অনুসরন করে, দ্বিতীয় গাড়িতে কেষ্ট নাসির শক্তি ওদের গাড়ি অনুসরন করে। পরিকল্পনা মাফিক দানার গাড়ি আর কেষ্টর গাড়ি, লোকেশের গাড়িকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যায়। কেষ্টর গাড়ি একদম সামনে গিয়ে ব্রেক কষে আর তারফলে দানার গাড়ি ব্রেক চেপে দেয়। পেছনে থাকা লোকেশের গাড়ি আচমকা ব্রেক কষতে না পেরে দানাদের গাড়ির পেছনে ধাক্কা মারে। কোন কিছু বলার আগেই দুই গাড়ি থেকে ছেলেরা নেমে ড্রাইভারকে গাড়ি থেকে নামিয়ে উত্তম মধ্যম মারতে শুরু করে দেয়, কাজের মেয়েটা বাধা দিতে এলে ওকেও অকথ্য গালিগালাজ শুরু করে দেয়। গাড়ি ভাঙচুর করে, লোকেশের গাড়ির ড্রাইভারকে মারতে মারতে আধমরা করে ওইখানে রেখে চলে যায়। কাজের মেয়েটা লোকেশের বাড়িতে খবর দেয় কিন্তু ততক্ষণে দানা আর বাকি ছেলেরা ওইখান থেকে সরে যায়। সব ছেলেরাই নকল দাড়ি গোঁফ লাগিয়ে ছদ্মবেশে এসেছিল, এমনকি নিজেদের গাড়ির নাম্বার বদলে নকল নাম্বার লাগিয়ে এনেছিল তাই পুলিসে খবর দিলেও এক রাতে ওদের ধরা সম্ভব হয়ে ওঠে না।
সেদিন রাতে দানা মহুয়াকে ডক্টর সোমের কথা জানায়, ড্রাইভারকে কেমন ভাবে সরানো হয়েছে সেই বিষয়ে জানায়। কাজের মেয়েটাকে সরাতে পারেনি শুধু এই টুকু আক্ষেপ। সব শুনে মহুয়া ভয়ে কেঁপে ওঠে, সেইসাথে মুক্তির এক ক্ষীণ আলো দুর অন্ধকার গগনে দেখতে পায়।
মহুয়া ধরা গলায় বলে কানের কাছে ফোন চেপে ধরে, “তোমাকে কি ভাবে ধন্যবাদ জানাবো জানিনা দানা।”
দানা মহুয়াকে শান্তনা দিয়ে বলে, “কেঁদো না, মন শক্ত কর আর শুধু এইটুকু ভাবতে চেষ্টা কর কি ভাবে লোকেশকে বাড়ির বাইরে আনা যায় অথবা ঘরের মধ্যে একটা বড় দুর্ঘটনা ঘটানো যায়। এমন ভাবে কাজ করতে হবে যাতে কোন ভাবে সন্দেহের তীর যেন তোমার দিকে না যায়, তাহলেই বড় সমস্যা হয়ে যাবে। তোমার ড্রাইভার ঠিক হওয়ার আগেই আমাদের কাজ সারতে হবে আর ওই কাজের মেয়েটাকে ফাঁসাতে হবে।”
প্রথমে লোকেশের চাকর আর ড্রাইভারকে সরাতে হবে আর তার জন্য ওর লোকবলের প্রয়োজন। দানা সোজা মহেন্দ্র বাবুর কাছে গিয়ে সব ঘটনা খুলে বলে। সব শুনে মহেন্দ্র বাবু দানাকে বেশ কয়েকটা থাপ্পড় কষিয়ে বলেন, দানা কেন শুরুতেই লোকেশকে খুন করেনি, এক অবলা নারীর অত্যাচার কেন জেনে বুঝেও হতে দিয়েছে। দানা মহেন্দ্র বাবুকে মহুয়ার জটিল পরিস্থিতির কথা বুঝিয়ে বলাতে তিনি শান্ত হন। দানা আরও জানায় যে আগে ওই ড্রাইভার আর চাকরকে লোকেশের বাড়ি থেকে সরাতে হবে তবে বাকি কাজ করা যাবে।
শঙ্কর আর রামিজ কোমরে পিস্তল গুঁজে ওর পাশে দাঁড়িয়ে বলে, “তুই শুধু এক বার দেখিয়ে দে কার মাথা নামাতে হবে, বাকি কাজ আমাদের।”
পুজোর ভিড়ে যখন বাকি লোকজন পুজোর আনন্দে মেতে তখন দানা মহুয়াকে কি ভাবে উদ্ধার করবে সেই চিন্তায় ডুবে। না মহুয়ার রূপের মোহের বশে মহুয়াকে বাঁচাতে চায় না, ওর করুণ পরিস্থিতি থেকে ওকে বাঁচাতে চায়। পরের দিন সকাল থেকে দানা আর বাকি ছেলেরা, লোকেশের বাড়ির আশেপাশে ছায়ার মতন মানুষের ভিড়ে গা ঢাকা দিয়ে থাকে। ড্রাইভার আর ওই কাজের মেয়েকে আগে সরাতে হবে না হলে লোকেশকে বাগে ফেলা সম্ভবপর হয়ে উঠবে না। সুযোগ চলে আসে সন্ধ্যেবেলার পরে, কাজের মেয়েকে নিয়ে ড্রাইভার গাড়ি নিয়ে বাজারের দিকে বের হয়। একটা গাড়িতে দানা, শঙ্কর রামিজ আর কয়েকটা ছেলে নিয়ে ওদের গাড়ি অনুসরন করে, দ্বিতীয় গাড়িতে কেষ্ট নাসির শক্তি ওদের গাড়ি অনুসরন করে। পরিকল্পনা মাফিক দানার গাড়ি আর কেষ্টর গাড়ি, লোকেশের গাড়িকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যায়। কেষ্টর গাড়ি একদম সামনে গিয়ে ব্রেক কষে আর তারফলে দানার গাড়ি ব্রেক চেপে দেয়। পেছনে থাকা লোকেশের গাড়ি আচমকা ব্রেক কষতে না পেরে দানাদের গাড়ির পেছনে ধাক্কা মারে। কোন কিছু বলার আগেই দুই গাড়ি থেকে ছেলেরা নেমে ড্রাইভারকে গাড়ি থেকে নামিয়ে উত্তম মধ্যম মারতে শুরু করে দেয়, কাজের মেয়েটা বাধা দিতে এলে ওকেও অকথ্য গালিগালাজ শুরু করে দেয়। গাড়ি ভাঙচুর করে, লোকেশের গাড়ির ড্রাইভারকে মারতে মারতে আধমরা করে ওইখানে রেখে চলে যায়। কাজের মেয়েটা লোকেশের বাড়িতে খবর দেয় কিন্তু ততক্ষণে দানা আর বাকি ছেলেরা ওইখান থেকে সরে যায়। সব ছেলেরাই নকল দাড়ি গোঁফ লাগিয়ে ছদ্মবেশে এসেছিল, এমনকি নিজেদের গাড়ির নাম্বার বদলে নকল নাম্বার লাগিয়ে এনেছিল তাই পুলিসে খবর দিলেও এক রাতে ওদের ধরা সম্ভব হয়ে ওঠে না।
সেদিন রাতে দানা মহুয়াকে ডক্টর সোমের কথা জানায়, ড্রাইভারকে কেমন ভাবে সরানো হয়েছে সেই বিষয়ে জানায়। কাজের মেয়েটাকে সরাতে পারেনি শুধু এই টুকু আক্ষেপ। সব শুনে মহুয়া ভয়ে কেঁপে ওঠে, সেইসাথে মুক্তির এক ক্ষীণ আলো দুর অন্ধকার গগনে দেখতে পায়।
মহুয়া ধরা গলায় বলে কানের কাছে ফোন চেপে ধরে, “তোমাকে কি ভাবে ধন্যবাদ জানাবো জানিনা দানা।”
দানা মহুয়াকে শান্তনা দিয়ে বলে, “কেঁদো না, মন শক্ত কর আর শুধু এইটুকু ভাবতে চেষ্টা কর কি ভাবে লোকেশকে বাড়ির বাইরে আনা যায় অথবা ঘরের মধ্যে একটা বড় দুর্ঘটনা ঘটানো যায়। এমন ভাবে কাজ করতে হবে যাতে কোন ভাবে সন্দেহের তীর যেন তোমার দিকে না যায়, তাহলেই বড় সমস্যা হয়ে যাবে। তোমার ড্রাইভার ঠিক হওয়ার আগেই আমাদের কাজ সারতে হবে আর ওই কাজের মেয়েটাকে ফাঁসাতে হবে।”