11-01-2019, 08:24 AM
পর্ব আট – বন্দিনীর মুক্তি (#2)
দানা সান্ত্বনা দিয়ে বলে, “লোকেশের সাথে সম্মুখ সমরে যাচ্ছি না মহুয়া, ওকে প্যাঁচে ফেলে মারব।”
দানা মহুয়ার হাতে নতুন ফোন ধরিয়ে বলে এরপর থেকে মহুয়া যেন ওকে এই নতুন ফোন থেকেই ফোন করে। ওর নিজেস্ব ফোন যদি কোনোদিন কারুর হাতে পরে তাহলে কেউ ওদের এই মেলামেশার ব্যাপারে জানতে পারবে না। রক্ত শুন্য ঠাণ্ডা গালের ওপরে দানার তপ্ত হাতের ছোঁয়া পেয়েই মহুয়া ওর জামা খামচে ধরে বুকের মধ্যে মাথা গুঁজে কেঁপে ওঠে। কিন্তু ওই পরশ ক্ষণস্থায়ী, কিছুপরেই লোকেশের ঘরে মহুয়ার ডাক পরে। মহুয়া কোনরকমে দানার হাত ছাড়িয়ে, চোখ মুছে, ঠোঁটে মেকি হাসি এঁকে নিয়ে শ্বশুরের ঘরের দিকে পা বাড়ায়। দানা, লোকেশের ঘরের বাইরে, পর্দার আড়ালে দাঁড়িয়ে মোবাইলে সব কিছু রেকর্ড করে নেয়। বারেবারে মনে হয় লোকেশকে এই রাতেই শেষ করে দিক, কিন্তু খুনের দায়ে তাহলে মহুয়া আর দানার জেল হয়ে যাবে। দানা যেইরকম ভাবে চুপচাপ মহুয়ার বাড়িতে এসেছিল, ঠিক সেই ভাবে মহুয়ার বাড়ি ছেড়ে চলে যায়।
পরেরদিন দানা, লোকেশের চিকিৎসক, ডক্টর মানস সোমের কাছে যায়। লোকেশের আত্মীয় হসাবে নিজের পরিচয় দিয়ে লোকেশের শরীর স্বাস্থের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করে। বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলার পরে দানা বুঝতে পারে, ডক্টর মানস সোম ভালো লোক, লোকেশ বাজপাইর সাথে শুধু মাত্র ডক্টর আর রুগীর সম্পর্ক তার চেয়ে বেশি কিছু নয়। হয়ত ডক্টর মানস সোমকে সব কিছু খুলে বললে মানস বাবু ওর সাহায্য করতে পারে।
দানা ঝুঁকি নিয়ে ডক্টর মানসকে বলে, “ডাক্তার বাবু আপনার সাথে একটা গোপন বিষয়ে কিছু কথাবার্তা আছে।”
ডক্টর মানস গোপন বিষয়ের ব্যাপারে চাইলে, মহুয়ার শ্লীলতা বাঁচিয়ে লোকেশের অত্যাচারের কথা কিছুটা জানায়। প্রথমে ডক্টর মানস কিছুতেই বিশ্বাস করতে চায় না দানার কথা। দানাকে হুমকি দেয় পুলিসে ধরিয়ে দেবে, সিকিউরিটি দিয়ে ওকে বার করে দেবে ইত্যাদি। নিরুপায় দানা, ডক্টর মানসকে শান্ত করে শেষ পর্যন্ত মোবাইলে তোলা ভিডিও দেখায়। ওই ভিডিও দেখার পরে ডক্টর মানস মাথায় হাত দিয়ে চেয়ারে বসে পড়েন তিনি।
বারেবারে মাথা ঝাঁকিয়ে অবিশ্বাসের সুরে বলে, “এতদিন তাহলে আমি এক পাপীর চিকিৎসা করছি। ছিঃ ধিক্কার আমাকে, একবার যদি মহুয়া আমাকে কোন ভাবে জানাত তাহলে।”
দানা ওকে বলে, “কি করে বলবে ডাক্তার বাবু, লোকেশ যে মহুয়াকে হুমকি দিয়েছে। কিছু হলেই মহুয়াকে কোন বেশ্যালয়ে বিক্রি করে দেবে আর ওর মেয়ে রুহিকে নিজের কাছে আটকে রেখে দেবে। কি করা যায় বলুন। লোকেশ যেমন ক্ষমতাশালী আর বিত্তশালী ব্যাক্তি তাতে আইনের সাহায্য নেওয়া যাবে না, হুমকি দেওয়া যাবে না, সরাসরি খুন করলেও মহুয়া ফেঁসে যাবে।” দানা ডক্টর মানসের হাত ধরে কাতর মিনতি করে, “সব কিছু আপনার হাতে ডাক্তার বাবু। আপনি লোকেশকে আবার প্যারালাইসি করে দিন, ও যেন আর বিছানা ছেড়ে উঠতে না পারে এমন করে দিন।”
ডক্টর মানস বেশ কিছুক্ষণ ভাবনা চিন্তা করে বলেন, “সেটাতে সমস্যার সমাধান হবে না মিস্টার দানা, বরঞ্চ সমস্যা আরো জটিল হয়ে উঠবে। ওর বড় ছেলে আমার ওপরে কেস করতে পারে। ওদের অনেক টাকা, বিদেশে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে ঠিক করিয়ে নিয়ে আসবে। ডাক্তারের কাজ মানুষের প্রান বাঁচানো আর রোগের নির্মূল করা। একটা কাজ আমি করতে পারি, দানা। কোন ভাবে আপনি যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটিয়ে লোকেশকে আমার অপারেশান টেবিলে ফেলতে পারেন তাহলে আমি কথা দিচ্ছি, ওর প্রাণহীন দেহ অপারেশান থিয়েটার থেকে বের হবে।”
দানা সান্ত্বনা দিয়ে বলে, “লোকেশের সাথে সম্মুখ সমরে যাচ্ছি না মহুয়া, ওকে প্যাঁচে ফেলে মারব।”
দানা মহুয়ার হাতে নতুন ফোন ধরিয়ে বলে এরপর থেকে মহুয়া যেন ওকে এই নতুন ফোন থেকেই ফোন করে। ওর নিজেস্ব ফোন যদি কোনোদিন কারুর হাতে পরে তাহলে কেউ ওদের এই মেলামেশার ব্যাপারে জানতে পারবে না। রক্ত শুন্য ঠাণ্ডা গালের ওপরে দানার তপ্ত হাতের ছোঁয়া পেয়েই মহুয়া ওর জামা খামচে ধরে বুকের মধ্যে মাথা গুঁজে কেঁপে ওঠে। কিন্তু ওই পরশ ক্ষণস্থায়ী, কিছুপরেই লোকেশের ঘরে মহুয়ার ডাক পরে। মহুয়া কোনরকমে দানার হাত ছাড়িয়ে, চোখ মুছে, ঠোঁটে মেকি হাসি এঁকে নিয়ে শ্বশুরের ঘরের দিকে পা বাড়ায়। দানা, লোকেশের ঘরের বাইরে, পর্দার আড়ালে দাঁড়িয়ে মোবাইলে সব কিছু রেকর্ড করে নেয়। বারেবারে মনে হয় লোকেশকে এই রাতেই শেষ করে দিক, কিন্তু খুনের দায়ে তাহলে মহুয়া আর দানার জেল হয়ে যাবে। দানা যেইরকম ভাবে চুপচাপ মহুয়ার বাড়িতে এসেছিল, ঠিক সেই ভাবে মহুয়ার বাড়ি ছেড়ে চলে যায়।
পরেরদিন দানা, লোকেশের চিকিৎসক, ডক্টর মানস সোমের কাছে যায়। লোকেশের আত্মীয় হসাবে নিজের পরিচয় দিয়ে লোকেশের শরীর স্বাস্থের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করে। বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলার পরে দানা বুঝতে পারে, ডক্টর মানস সোম ভালো লোক, লোকেশ বাজপাইর সাথে শুধু মাত্র ডক্টর আর রুগীর সম্পর্ক তার চেয়ে বেশি কিছু নয়। হয়ত ডক্টর মানস সোমকে সব কিছু খুলে বললে মানস বাবু ওর সাহায্য করতে পারে।
দানা ঝুঁকি নিয়ে ডক্টর মানসকে বলে, “ডাক্তার বাবু আপনার সাথে একটা গোপন বিষয়ে কিছু কথাবার্তা আছে।”
ডক্টর মানস গোপন বিষয়ের ব্যাপারে চাইলে, মহুয়ার শ্লীলতা বাঁচিয়ে লোকেশের অত্যাচারের কথা কিছুটা জানায়। প্রথমে ডক্টর মানস কিছুতেই বিশ্বাস করতে চায় না দানার কথা। দানাকে হুমকি দেয় পুলিসে ধরিয়ে দেবে, সিকিউরিটি দিয়ে ওকে বার করে দেবে ইত্যাদি। নিরুপায় দানা, ডক্টর মানসকে শান্ত করে শেষ পর্যন্ত মোবাইলে তোলা ভিডিও দেখায়। ওই ভিডিও দেখার পরে ডক্টর মানস মাথায় হাত দিয়ে চেয়ারে বসে পড়েন তিনি।
বারেবারে মাথা ঝাঁকিয়ে অবিশ্বাসের সুরে বলে, “এতদিন তাহলে আমি এক পাপীর চিকিৎসা করছি। ছিঃ ধিক্কার আমাকে, একবার যদি মহুয়া আমাকে কোন ভাবে জানাত তাহলে।”
দানা ওকে বলে, “কি করে বলবে ডাক্তার বাবু, লোকেশ যে মহুয়াকে হুমকি দিয়েছে। কিছু হলেই মহুয়াকে কোন বেশ্যালয়ে বিক্রি করে দেবে আর ওর মেয়ে রুহিকে নিজের কাছে আটকে রেখে দেবে। কি করা যায় বলুন। লোকেশ যেমন ক্ষমতাশালী আর বিত্তশালী ব্যাক্তি তাতে আইনের সাহায্য নেওয়া যাবে না, হুমকি দেওয়া যাবে না, সরাসরি খুন করলেও মহুয়া ফেঁসে যাবে।” দানা ডক্টর মানসের হাত ধরে কাতর মিনতি করে, “সব কিছু আপনার হাতে ডাক্তার বাবু। আপনি লোকেশকে আবার প্যারালাইসি করে দিন, ও যেন আর বিছানা ছেড়ে উঠতে না পারে এমন করে দিন।”
ডক্টর মানস বেশ কিছুক্ষণ ভাবনা চিন্তা করে বলেন, “সেটাতে সমস্যার সমাধান হবে না মিস্টার দানা, বরঞ্চ সমস্যা আরো জটিল হয়ে উঠবে। ওর বড় ছেলে আমার ওপরে কেস করতে পারে। ওদের অনেক টাকা, বিদেশে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে ঠিক করিয়ে নিয়ে আসবে। ডাক্তারের কাজ মানুষের প্রান বাঁচানো আর রোগের নির্মূল করা। একটা কাজ আমি করতে পারি, দানা। কোন ভাবে আপনি যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটিয়ে লোকেশকে আমার অপারেশান টেবিলে ফেলতে পারেন তাহলে আমি কথা দিচ্ছি, ওর প্রাণহীন দেহ অপারেশান থিয়েটার থেকে বের হবে।”