11-01-2019, 08:23 AM
ক্ষোভে দুঃখে মহুয়া ফোন রেখে দিতে যায় কিন্তু দানা ওকে থামিয়ে বলে, “ম্যাডাম দয়া করে ফোন রেখে দেবেন না। এখন আর মরতে ভয় নেই ম্যাডাম। যদি মরতেই হয় তাহলে আপনাকে আর রুহিকে ওই নরক থেকে বাঁচিয়ে এনেই মরব। আমি আপনাকে কথা দিচ্ছি ম্যাডাম, একবার আমাকে বিশ্বাস করে দেখুন।” কিছুক্ষণ থেমে মহুয়াকে জিজ্ঞেস করে, “আচ্ছা একটা কথা আমাকে বলতে পারেন? আমার খবর আপনাকে কে দিয়েছিল?”
মহুয়া চোখ মুছে খানিকক্ষন চুপ থাকার পরে উত্তর দেয়, “আমার শশুরজি আমাকে বলেছিল, সেই আমাকে নির্দেশ দিয়েছিল ওই রেস্তুরেন্তে যেতে। সেই আমাকে নিজের মোবাইলে আপনার ফটো দেখিয়েছিল আর তাই আমি ওই রেস্তুরেন্তে আপনাকে চিনতে পেরেছিলাম। আমি আর কাউকে চিনিনা।”
দানার মাথার মধ্যে কেমন যেন সব তালগোল পাকিয়ে যায়, সত্যি কি মহুয়া, কঙ্কনা অথবা নাস্রিনকে চেনে না? অবশ্য মহুয়াকে দেখে মনে হয়না যে এই নারী, কঙ্কনা অথবা নাস্রিনকে চিনতে পারে। মহুয়া যদি ওর ফটো দেখে চিনেছিল তাহলে ওর পকেটের ওই পেনের কি দরকার ছিল? কঙ্কনা ওকে বলেছিল যে সব মহিলারা ওর পকেটের পেন দেখেই ওকে দেখে চিনবে কিন্তু মহুয়ার কাছে সত্য জানতে পেরে সন্দেহের উদ্রেক হয়। বাকি মহিলারাও নিশ্চয় ওর ফটো দেখেই ওকে চিনেছিল। লোকেশ বাজপাই যেমন লম্পট আর কামুক স্বভাবের মানুষ, তাতে কঙ্কনা আর নাস্রিনের সাথে পরিচয় থাকা কোন অসম্ভব ব্যাপার নয়। কুয়াশা কাটিয়ে দানা বেশ কিছু প্রশ্নের সমাধান খুঁজে পায়। কঙ্কনা আর নাস্রিনের পরিচয়ের পরিধি অনেক বিস্তৃত, সেই সুত্রে লোকেশ বহু শক্তিশালী ব্যাক্তিদের চেনে। এহেন শক্তিশালী মানুষের সাথে সম্মুখ সমরে জেতা অসম্ভব, কিন্তু মহুয়ার চোখের জলের প্রতিশোধ দানা নেবেই। দানা চিন্তা ভাবনা, পরিকল্পনা করার জন্য মহুয়ার কাছে কয়েকদিনের সময় চেয়ে নেয়।
সারা রাত ধরে দানা মাথা খাটায় কি করে এই লম্পট পশুর হাত থেকে মহুয়াকে বাঁচানো যায়। সম্মুখ সমরে নামলে লোকেশ, মহুয়া আর রুহির ক্ষতি করবেই। লোকেশকে প্যাঁচে ফেলতে হবে, কিন্তু কি ভাবে প্যাঁচে ফেলা যায়। আইন কানুন ওদের মতন ক্ষমতাশালী মানুষের পকেটে। সরাসরি ধমকি দিলে কোন কাজ হবে না, একমাত্র শঙ্কর রামিজকে নিয়ে হুমকি দেওয়া ছাড়া আর কোন পথ খোলা নেই, কিন্তু হুমকি দিতে গেলেও অসুবিধা আছে। পুলিস দিয়ে ঠিক দানাকে খুঁজে বের করে নেবে। হুমকি নয়, সরাসরি লোকেশকে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে, কিন্তু কি ভাবে?
দুইদিন পরে গভীর রাতে মহুয়া ফোন করে দানাকে। দানা ওর কাছ থেকে ডাক্তারের নাম ধাম জেনে নেয় আর ওকে বলে, ওর আর লোকেশের সহবাসের একটা ভিডিও কোনরকমে যদি মহুয়া নিজের মোবাইলে তুলতে পারে তাহলে বেশ ভালো হয়। মহুয়া জানতে চায় দানা কি করতে চলেছে, দানা নিজের পরিকল্পনা খুলে বলে, জানায় ওই ভিডিও নিয়ে সংবাদ পত্রে দিতে চায়, জানাতে চায় সমগ্র দেশ বাসিকে কি ভাবে এক বিধবা নারী তাঁর শ্বশুরের হাতে নির্যাতিত হয় এই দেশে। মহুয়া আঁতকে ওঠে, নিজের উলঙ্গ ছবি, নিজের আত্ম সন্মান এই ভাবে বিলিয়ে দিতে রাজি নয়। দানা মহা ফাঁপরে পরে যায়, তাহলে কি করে কি করা যায়। মহুয়া জানায় ভিডিও দিতে পারে তবে একটা শর্তে, দানা ওই ভিডিও কোন সংবাদ পত্রে, কোন সংবাদ চ্যানেলে জানাতে পারবে না। দানা জানায় ওর পরিকল্পনা বদলাতে হবে কিন্তু ভিডিও দিলে খুব ভালো হয়।
দানা জানে মহুয়ার সাথে যোগাযোগ করতে হলে ওকে একটা ভিন্ন ফোন নাম্বার থেকে করতে হবে না হলে যদি কোন সময়ে মহুয়ার ফোন কেউ দেখে ফেলে তাহলে মহুয়া বিপদে পরবে। এই সব ভেবে দানা একটা নতুন ফোন কেনে আর একটা নতুন নাম্বার নেয়। পরেরদিন গভীর রাতে মহুয়ার বাড়ির দেয়াল টপকে ওর বাড়িতে ঢোকে। নিশুতি রাতের অন্ধকারের সাহায্যে গা ঢাকা দিয়ে পেছনের দরজায় দাঁড়িয়ে মহুয়াকে একটা ফোন করে। বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে যাওয়ার পরে, মহুয়া অতি সন্তর্পণে পেছনের দরজা খুলে দানাকে বাড়ির মধ্যে ঢুকায়। সামনে মহুয়াকে দেখে দানার গলা কেঁপে ওঠে, কয়েক মাস আগে দেখা সুন্দরী মহুয়া নিজের আব্রু লজ্জা খুইয়ে এক জ্যান্ত লাশের মতন ওর সামনে দাঁড়িয়ে। মহুয়ার মিষ্টি চেহারার যেটুকু অবশিষ্ট ছিল, লোকেশের নির্দেশে ঠোঁটে লিপ্সটিক মেখে, চোখের কোলে কাজল পরে, লাস্যময়ী সাজ সেজে শ্বশুরের কাম পিপাসা চরিতার্থ করার জন্য তৈরি। দানাকে দেখে মহুয়া ভেঙ্গে পরে, কাজল কালো চোখের কোল ভাঙ্গা বাঁধের মতন উপচে পরে।
“আপনি” ছেড়ে চোখের সামনে দানাকে দেখে ওর কলার ধরে জিজ্ঞেস করে, “কেন এসেছ এতরাতে? আমার অসহায় পরিস্থিতি দেখতে এসেছ?”
মহুয়ার বুকের ভাঙ্গা আওয়াজ দানার বুকের মধ্যে বড় বেজে ওঠে, ওর মুখ আঁজলা করে ধরে কপালে ঠোঁট চেপে ধরে সাহস দেয়, “ওই পশুটার হাত থেকে তোমাকে বাঁচাবোই মহুয়া। তুমি চিন্তা করোনা মহুয়া, আমার ওপরে একটু ভরসা রাখো। আমি কথা দিচ্ছি সব ঠিক করে দেব।”
মহুয়া জল ভরা চোখে ওর দিকে আতঙ্কত কণ্ঠে বলে, “কি ঠিক করে দেবে দানা, শশুরজি কোন ভাবে আঁচ করতে পারলে তোমাকে মেরে ফেলবে, আমাকে বিক্রি করে দেবে আর রুহিকে ধরে রাখবে।”
মহুয়া চোখ মুছে খানিকক্ষন চুপ থাকার পরে উত্তর দেয়, “আমার শশুরজি আমাকে বলেছিল, সেই আমাকে নির্দেশ দিয়েছিল ওই রেস্তুরেন্তে যেতে। সেই আমাকে নিজের মোবাইলে আপনার ফটো দেখিয়েছিল আর তাই আমি ওই রেস্তুরেন্তে আপনাকে চিনতে পেরেছিলাম। আমি আর কাউকে চিনিনা।”
দানার মাথার মধ্যে কেমন যেন সব তালগোল পাকিয়ে যায়, সত্যি কি মহুয়া, কঙ্কনা অথবা নাস্রিনকে চেনে না? অবশ্য মহুয়াকে দেখে মনে হয়না যে এই নারী, কঙ্কনা অথবা নাস্রিনকে চিনতে পারে। মহুয়া যদি ওর ফটো দেখে চিনেছিল তাহলে ওর পকেটের ওই পেনের কি দরকার ছিল? কঙ্কনা ওকে বলেছিল যে সব মহিলারা ওর পকেটের পেন দেখেই ওকে দেখে চিনবে কিন্তু মহুয়ার কাছে সত্য জানতে পেরে সন্দেহের উদ্রেক হয়। বাকি মহিলারাও নিশ্চয় ওর ফটো দেখেই ওকে চিনেছিল। লোকেশ বাজপাই যেমন লম্পট আর কামুক স্বভাবের মানুষ, তাতে কঙ্কনা আর নাস্রিনের সাথে পরিচয় থাকা কোন অসম্ভব ব্যাপার নয়। কুয়াশা কাটিয়ে দানা বেশ কিছু প্রশ্নের সমাধান খুঁজে পায়। কঙ্কনা আর নাস্রিনের পরিচয়ের পরিধি অনেক বিস্তৃত, সেই সুত্রে লোকেশ বহু শক্তিশালী ব্যাক্তিদের চেনে। এহেন শক্তিশালী মানুষের সাথে সম্মুখ সমরে জেতা অসম্ভব, কিন্তু মহুয়ার চোখের জলের প্রতিশোধ দানা নেবেই। দানা চিন্তা ভাবনা, পরিকল্পনা করার জন্য মহুয়ার কাছে কয়েকদিনের সময় চেয়ে নেয়।
সারা রাত ধরে দানা মাথা খাটায় কি করে এই লম্পট পশুর হাত থেকে মহুয়াকে বাঁচানো যায়। সম্মুখ সমরে নামলে লোকেশ, মহুয়া আর রুহির ক্ষতি করবেই। লোকেশকে প্যাঁচে ফেলতে হবে, কিন্তু কি ভাবে প্যাঁচে ফেলা যায়। আইন কানুন ওদের মতন ক্ষমতাশালী মানুষের পকেটে। সরাসরি ধমকি দিলে কোন কাজ হবে না, একমাত্র শঙ্কর রামিজকে নিয়ে হুমকি দেওয়া ছাড়া আর কোন পথ খোলা নেই, কিন্তু হুমকি দিতে গেলেও অসুবিধা আছে। পুলিস দিয়ে ঠিক দানাকে খুঁজে বের করে নেবে। হুমকি নয়, সরাসরি লোকেশকে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে, কিন্তু কি ভাবে?
দুইদিন পরে গভীর রাতে মহুয়া ফোন করে দানাকে। দানা ওর কাছ থেকে ডাক্তারের নাম ধাম জেনে নেয় আর ওকে বলে, ওর আর লোকেশের সহবাসের একটা ভিডিও কোনরকমে যদি মহুয়া নিজের মোবাইলে তুলতে পারে তাহলে বেশ ভালো হয়। মহুয়া জানতে চায় দানা কি করতে চলেছে, দানা নিজের পরিকল্পনা খুলে বলে, জানায় ওই ভিডিও নিয়ে সংবাদ পত্রে দিতে চায়, জানাতে চায় সমগ্র দেশ বাসিকে কি ভাবে এক বিধবা নারী তাঁর শ্বশুরের হাতে নির্যাতিত হয় এই দেশে। মহুয়া আঁতকে ওঠে, নিজের উলঙ্গ ছবি, নিজের আত্ম সন্মান এই ভাবে বিলিয়ে দিতে রাজি নয়। দানা মহা ফাঁপরে পরে যায়, তাহলে কি করে কি করা যায়। মহুয়া জানায় ভিডিও দিতে পারে তবে একটা শর্তে, দানা ওই ভিডিও কোন সংবাদ পত্রে, কোন সংবাদ চ্যানেলে জানাতে পারবে না। দানা জানায় ওর পরিকল্পনা বদলাতে হবে কিন্তু ভিডিও দিলে খুব ভালো হয়।
দানা জানে মহুয়ার সাথে যোগাযোগ করতে হলে ওকে একটা ভিন্ন ফোন নাম্বার থেকে করতে হবে না হলে যদি কোন সময়ে মহুয়ার ফোন কেউ দেখে ফেলে তাহলে মহুয়া বিপদে পরবে। এই সব ভেবে দানা একটা নতুন ফোন কেনে আর একটা নতুন নাম্বার নেয়। পরেরদিন গভীর রাতে মহুয়ার বাড়ির দেয়াল টপকে ওর বাড়িতে ঢোকে। নিশুতি রাতের অন্ধকারের সাহায্যে গা ঢাকা দিয়ে পেছনের দরজায় দাঁড়িয়ে মহুয়াকে একটা ফোন করে। বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে যাওয়ার পরে, মহুয়া অতি সন্তর্পণে পেছনের দরজা খুলে দানাকে বাড়ির মধ্যে ঢুকায়। সামনে মহুয়াকে দেখে দানার গলা কেঁপে ওঠে, কয়েক মাস আগে দেখা সুন্দরী মহুয়া নিজের আব্রু লজ্জা খুইয়ে এক জ্যান্ত লাশের মতন ওর সামনে দাঁড়িয়ে। মহুয়ার মিষ্টি চেহারার যেটুকু অবশিষ্ট ছিল, লোকেশের নির্দেশে ঠোঁটে লিপ্সটিক মেখে, চোখের কোলে কাজল পরে, লাস্যময়ী সাজ সেজে শ্বশুরের কাম পিপাসা চরিতার্থ করার জন্য তৈরি। দানাকে দেখে মহুয়া ভেঙ্গে পরে, কাজল কালো চোখের কোল ভাঙ্গা বাঁধের মতন উপচে পরে।
“আপনি” ছেড়ে চোখের সামনে দানাকে দেখে ওর কলার ধরে জিজ্ঞেস করে, “কেন এসেছ এতরাতে? আমার অসহায় পরিস্থিতি দেখতে এসেছ?”
মহুয়ার বুকের ভাঙ্গা আওয়াজ দানার বুকের মধ্যে বড় বেজে ওঠে, ওর মুখ আঁজলা করে ধরে কপালে ঠোঁট চেপে ধরে সাহস দেয়, “ওই পশুটার হাত থেকে তোমাকে বাঁচাবোই মহুয়া। তুমি চিন্তা করোনা মহুয়া, আমার ওপরে একটু ভরসা রাখো। আমি কথা দিচ্ছি সব ঠিক করে দেব।”
মহুয়া জল ভরা চোখে ওর দিকে আতঙ্কত কণ্ঠে বলে, “কি ঠিক করে দেবে দানা, শশুরজি কোন ভাবে আঁচ করতে পারলে তোমাকে মেরে ফেলবে, আমাকে বিক্রি করে দেবে আর রুহিকে ধরে রাখবে।”