11-01-2019, 08:23 AM
রুহির নাম শুনতেই মহুয়ার বুক কেঁপে ওঠে, ধরা গলায় হাসি টেনে বলে, “শুধু ওর মুখ চেয়ে বেঁচে আছি না হলে কবে আত্মহত্যা করতাম।” কথাটা শুনেই মহুয়ার প্রতিকূল অবস্থার কথা মনে পরে যায়। ইতর লম্পট শ্বশুরের কাছে নির্যাতিতা বন্দিনীর জীবন যাপন করছে এই মহিলা। পাঁজর নিঙরে চাপা ক্রন্দন মহুয়ার গলার কাছে দলা পাকিয়ে উঠে আসে, “একা একা কোথাও যেতে পারি না জানেন। আমি সবসময়ে চাকর ড্রাইভারের নজরবন্দি। পুজোর কেনা কাটা করতে যাবো তাও ওদের সাথে নিয়ে যেতে হয়। আজ বিকেলেও দুইজনে পাশে ছিল তাই আপনার সাথে ওইখানে কথা বলতে পারিনি। এই একটু আগে শ্বশুরজির ইতর ইচ্ছের তালিম করে তবে একটু ছুটি পেয়েছি। তবে ভাগ্য ভালো আপনার পরে আর কারুর সাথে আমাকে সহবাস করতে বলেনি শ্বশুরজি। যদি জোর করত তাহলে আমি মেয়েকে নিয়েই বিষ খেতাম। তবে কি জানেন যত দিন গেছে ওর অত্যাচার আরও বেড়ে গেছে। বাড়িতে শুধু মাত্র ছোট গাউন পড়িয়ে রাখে, ভেতরে কিছুই পড়তে দেয় না। আজকাল সময় ক্ষণ দেখে না, ইচ্ছে হলেই ঘরের মধ্যে ডেকে শুরু হয়ে যায়। আমি ওর কাছে একটা প্রানহীন রক্ত মাংসের খেলার পুতুল। কোন কোনোদিন সারা রাত ধরে আমার এই শরীর নিয়ে জঘন্য খেলায় মেতে থাকে। সারা রাত মেয়েটা একা ঘুমায়, মাঝে মাঝে কেঁদে উঠলে ওই উলঙ্গ অবস্থাতেই ওকে ঘুম পাড়িয়ে আবার শ্বশুরের কাম পিপাসা চরিতার্থ করতে হয়। একবার চলাফেরা করতে পারলে নাকি আমাকে নিয়ে কোন রেড এন্ড ব্লু ক্লাব আছে সেখানে নিয়ে যাবে।” কথা গুলো বলতে বলতে মহুয়া কেঁদে ফেলে, “আমি আর পারছি না দানা, আর পারছি না। কিন্তু মেয়েটাকে কার কাছে রেখে যাই সেটাই চিন্তা।” এর আগেও দানা, কঙ্কনা নাস্রিনের কাছে ওই রেড এন্ড ব্লু ক্লাবের নাম শুনেছে। মহুয়ার কান্না শুনে দানার রক্ত গরম হয়ে যায়, প্রচন্ড ক্রোধে মাথার শিরা ফেটে পড়ার যোগাড় হয়। মহুয়ার চোখের জলের একটা বিহিত করতেই হবে ওকে। মহুয়া ফুঁপাতে ফুঁপাতে বলে, “একটা বাঁচোয়া, শশুরজি রুহির নামে, নোনাঝিলে একটা বিশাল ফ্লাট কিনে দিয়েছেন। শশুরজির মৃত্যুর পরে ব্যাবসার বেশ কিছু অংশ আমার নামে হয়ে যাবে, সেই মতন উইল করেছেন। এমন শয়তান বুড়ো যে প্রচুর সাক্ষী সাবুদের সামনে, ভিডিও করে উইল তৈরি করেছে যাতে আমি পালাতে না পারি। বুড়োর শারীরিক অবস্থা দিন দিন যেমন ভাবে উন্নতি হচ্ছে তাতে মনে হয় না আমার এই অদৃষ্ট জীবন খুব শীঘ্র শেষ হবে। মনে হয় আরও বিশ বাইশ বছর আমার শ্বশুরজি আমার ওপরে নির্যাতন চালিয়ে যাবেন।”
রক্তাক্ত বেদনার কাহিনী শুনে দানার চোখ জ্বালা করে ওঠে। বুক ভরে শ্বাস নিয়ে প্রবোধ দিয়ে বলে, “আমি আপনাকে কথা দিচ্ছি ওই ইতর পশুর হাত থেকে আপনাকে বাঁচাব।”
মহুয়া চাপা আঁতকে ওঠে, “না, না, ভুলেও আমার দিকে হাত বাড়াবেন না, দানা। আপনি আমাকে বাঁচাতে পারবেন না, দানা। আমার শ্বশুরজি বিশাল বড়লোক, অনেক শক্তিশালী। এই মহানগরের প্রচুর ক্ষমতাশালী ব্যাক্তির সাথে তাঁর পরিচয় আছে। লোক লাগিয়ে আমার শশুরজি আপনাকে মেরে ফেলবে, আমাকে মেরে ফেলবে আর রুহির কি হবে জানি না। দানা, আমি ভেবেছিলাম আপনাদের এই পেশায় কেউ কারুর বিষয়ে নাক গলায় না, তাই মনের ভার হাল্কা করার জন্য আপনাকে বলেছিলাম। এখন মনে হচ্ছে সত্যি ভুল করেছিলাম আমি, কেন যে মরতে আপনাকে বলতে গেলাম... যাই হোক আমি ফোন রাখছি।”
রক্তাক্ত বেদনার কাহিনী শুনে দানার চোখ জ্বালা করে ওঠে। বুক ভরে শ্বাস নিয়ে প্রবোধ দিয়ে বলে, “আমি আপনাকে কথা দিচ্ছি ওই ইতর পশুর হাত থেকে আপনাকে বাঁচাব।”
মহুয়া চাপা আঁতকে ওঠে, “না, না, ভুলেও আমার দিকে হাত বাড়াবেন না, দানা। আপনি আমাকে বাঁচাতে পারবেন না, দানা। আমার শ্বশুরজি বিশাল বড়লোক, অনেক শক্তিশালী। এই মহানগরের প্রচুর ক্ষমতাশালী ব্যাক্তির সাথে তাঁর পরিচয় আছে। লোক লাগিয়ে আমার শশুরজি আপনাকে মেরে ফেলবে, আমাকে মেরে ফেলবে আর রুহির কি হবে জানি না। দানা, আমি ভেবেছিলাম আপনাদের এই পেশায় কেউ কারুর বিষয়ে নাক গলায় না, তাই মনের ভার হাল্কা করার জন্য আপনাকে বলেছিলাম। এখন মনে হচ্ছে সত্যি ভুল করেছিলাম আমি, কেন যে মরতে আপনাকে বলতে গেলাম... যাই হোক আমি ফোন রাখছি।”