26-08-2019, 09:25 PM
৮ম পর্ব
এরপর প্রায় দু মাস কেটে গেছে। শুভও ওর পড়াশোনা নিয়ে কিছুটা ব্যস্ত। তবে সেদিন দিব্যদের আড্ডা শোনার পর দোয়েল কাকিমার সাথে দিব্যদার হট সিনের কোনো দর্শন পায় নি। যাওয়া আসার পথে ওদের ক্লাবঘরটা বেশিরভাগ সময়ই বন্ধ দেখেছে। এক দুবার খোলা দেখে ভিতরে ঢুকলেও দিব্যর দেখা পায়নি। তবে ঐদিনের পরেও যে দিব্যদা আর দোয়েল কাকিমা সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছে সেই বিষয়ে শুভ নিশ্চিত, হয়তো সেটা শমীকদের বাড়িতেই। যদিও দোয়েল কাকিমার এই বিষয়টা শমীককে জানায়নি শুভ।
পুজোর পর পরীক্ষার চাপ মিটলে শুভ আর শতরূপা একদিন সন্ধ্যাবেলা রেনু কাকিমার বাড়িতে যায়। ডিনারের ইনভাইটেশন টা রেনু কাকিমাই শতরূপা কে ফোনে বলে। ওদের বাড়ি গিয়ে শুভ দেখে খাওয়া দাওয়ার এলাহি আয়োজন। মাছের ই তিন রকমের আইটেম, সাথে মাংস, ফ্রায়েড রাইস। শুভ বুঝতে পারে রেনু কাকিমা খাওয়াতে ভালোবাসেন। ওনার বর অরুন কাকু রেলে চাকরি করেন। পোস্টিং একটু দুরে হওয়ায় উইক এন্ডে বাড়ি আসেন। আর মেয়ে রূপকথা ক্লাস নাইনে পড়ে। শুভ আর শতরূপার অনুরোধে রেনু কাকিমা ওদের একটা আবৃত্তি শোনায়। ওরা দুজনেই তারিফ না করে পারে না। রেনু কাকিমার বাড়ি থেকে আসার সময় শতরূপা বারবার করে ওর বাড়িতে যাবার জন্য বলে "সত্যিই রেনুদি এরপর কিন্তু তোমাকে একদিন আসতেই হবে"
রেনু- হ্যাঁ রে অবশ্যই যাবো তোর বাড়ি, তোরা এলি খুব ভালো লাগলো।
এর কয়েকদিন পর এক বিকেলে রেনু কাকিমা শুভদের বাড়ি আসে। হঠাৎ করে না বলে আসাতে একটু অভিমানী হয় শতরূপা "কি গো রেনুদি তোমায় এত করে বললাম দাদাকে রূপকথাকে সঙ্গে করে আনতে"। রেনু- "আরে ওদের ভরসায় থাকলে আজও আসা হতো না, তাই নিজেই চলে এলাম"। শতরূপাও রেনু কাকিমাকে চা, মিষ্টি না খাইয়ে ছাড়ে না। বেরোনোর সময় কাকিমা বলেন "এই শোন তোর কলেজ আর বাড়িতে কাজ না থাকলে বলিস তো, একটু শপিংয়ে যাবো, সঙ্গীর অভাবে আর যাওয়া হয় না"। শতরূপা "হ্যাঁ হ্যাঁ নিশ্চই বলবো"।
এরপর থেকে শুভ দেখেছে কলেজ না থাকলে ওর মা আর রেনু কাকিমা মাঝে মধ্যেই শপিংয়ে যেত। কাকিমার শপিং করাটা সখ, তাই শতরূপাকে ডেকে নিলো। এরমধ্যেই একদিন একটা ঘটনা ঘটে। সেদিন শুভ কলেজে যায় নি, ওর মার ও কলেজ না থাকায় রেনু কাকিমা আর শতরূপা শপিংয়ে যায়। দুপুরের দিকে হঠাৎ দেখে দিব্যদা হাতে দুটো ব্যাগ নিয়ে শতরূপাকে ওদের সামনে অবধি এগিয়ে দেয়, শতরূপার হাতেও একটা ব্যাগ। শুভ ওদের গেটের সামনে আসতেই শোনে ওর মা দিব্যদাকে thank you বললো আর দিব্যদা একটু হাসিমুখ করে হাটতে হাটতে চলে গেল। শুভ ঐ ব্যাগ গুলো নিয়ে ঘরের ভেতর এসে জিজ্ঞেস করে "কি ব্যাপার দিব্যদা ব্যাগ গুলো নিয়ে এলো?"। "আর বলিস না বাড়িতে আসছি রিক্সা করে এমন সময় মোড়ের ওখানে টায়ার পাংচার হয়ে গেল, আর ব্যাগ দুটোও ভারী, ও মোড়ের ওখানে ছিলো, তাই ব্যাগ গুলো বাড়ি অবধি নিয়ে এলো"- শতরূপা উত্তর দেয়।
শুভ- কিন্তু তোমার সাথে হত রেনু কাকিমাও ছিলো!
শতরূপা- হ্যাঁ রেনুদি আবার ওর মেয়েকে টিউশন থেকে আনতে গেল, তাই আমি একাই ফিরলাম।
তবে একটা বিষয় শুভ খেয়াল করলো ওর মা দিব্যদাকে ঘরের ভেতরে আসতে বললো না। এখানে দিব্যদার জায়গায় অন্য কেউ থাকলে শতরূপা যে বাড়ির ভিতরে এসে বসতে বলতো এই বিষয়ে শুভ নিশ্চিত।
এভাবেই দিন কেটে যাচ্ছিলো শুভর। এর মধ্যে সেরকম কোনো ঘটনাও আর ওর চোখে পড়েনি। দিব্যদা হয়তো সেদিন ওদের আড্ডাতে ঠিকই বলেছিলো যে ও আপাতত বিশ্রাম নেবে। সত্যিই এর মধ্যে ওকে তেমন একটা দেখেনি শুভ। মাঝে অবশ্য এক দুবার অপর্না কাকিমার সাথে কথা বলতে দেখেছিলো, তবে সেটা ওদের পাড়ার মোড়েই। অবশ্য দিব্যদার মাথায় কি অাছে সেটা শুভও জানেনা। এদিকে রেনু কাকিমার আসা যাওয়া বেড়েছে ওদের বাড়িতে। মাঝে মধ্যেই বিকেলে চলে আসেন গল্প করতে। শুভ বোঝে ওর মা একটু গম্ভীর ধরনের হওয়ায় সবার সাথে তেমন একটা মেশেন না। কিন্তু রেনু কাকিমার সাথে খুব ভালো ভাবেই মিশে গেছে । শতরূপাও ফ্রি টাইম পেলে ওদের বাড়ি যায়।
এরমধ্যে একদিন সন্ধ্যায় শুভর টিউশন থেকে বাড়ি ফিরতে দেরি হয়ে যায়। টিউশন ছুটির কিছু আগে মুষলধারে বৃষ্টি নামে, বেশ খানিকক্ষন ধরে বৃষ্টি হয়। বাড়ি ফিরতেই শুভ দেখে ওদের বাড়িটা অন্ধকার, পাওয়ারের কাট হয়নি কারন রাস্তার লাইট আর অন্য বাড়ি গুলোতে আলো জ্বলছে। কিন্তু এই সময় ওর মার বাড়িতেই থাকার কথা, কারন শতরূপা বাইরে গেলে শুভকে বলে যায়। শুভ দেখে গেটে আর দরজায় তালা দেওয়া নেই, তার মানে ওর মা বাড়িতেই অাছে। শুভ দরজা খুলে ভেতরে ঢুকতেই শতরূপার আওয়াজ "কিরে শুভ এলি?"। শুভ ওর মায়ের রুমে এসে লাইট জ্বালিয়ে দেখে শতরূপা বিছানায় শুয়ে। "কি ব্যাপার, লাইট নেভানো শুয়ে আছো, শরীর টরীর খারাপ নাকি?"। "নারে, কলেজ থেকে ফেরার পর থেকে একটু মাথা ব্যাথা করছিলো, তাই শুয়ে আছি"।
তবে এরপর থেকে শুভ শতরূপার মধ্যে একটু পরিবর্তন লক্ষ্য করে। একটু অন্যমনস্ক , সবচেয়ে বেশি অবাক হয় এরপর একদিন রেনু কাকিমা ফোন করে শপিংয়ে যেতে বললে শতরূপা কলেজের কাজ আছে বলে সেটা এড়িয়ে যাওয়ায়। সাধারনত ওর মা কখনোই রেনু কাকিমার সাথে বেরোতে না করে। বাড়িতে কাজ থাকলেও সেটা ম্যানেজ করে ঠিকই রেনু কাকিমার সাথে চলে যায়। আজ না বলাটা শুভর কেমন যেন দৃষ্টিকটু লাগে। হয়তো কলেজের কোনো ব্যাপারে ডিস্টারবর্ড আছে মনে হয়। তবে শুভ শতরূপাকে এসব ব্যাপার নিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করে না, ঠিক করে আবার এমন কিছু হলে তখন জিজ্ঞেস করবে।
এরপর প্রায় দু মাস কেটে গেছে। শুভও ওর পড়াশোনা নিয়ে কিছুটা ব্যস্ত। তবে সেদিন দিব্যদের আড্ডা শোনার পর দোয়েল কাকিমার সাথে দিব্যদার হট সিনের কোনো দর্শন পায় নি। যাওয়া আসার পথে ওদের ক্লাবঘরটা বেশিরভাগ সময়ই বন্ধ দেখেছে। এক দুবার খোলা দেখে ভিতরে ঢুকলেও দিব্যর দেখা পায়নি। তবে ঐদিনের পরেও যে দিব্যদা আর দোয়েল কাকিমা সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছে সেই বিষয়ে শুভ নিশ্চিত, হয়তো সেটা শমীকদের বাড়িতেই। যদিও দোয়েল কাকিমার এই বিষয়টা শমীককে জানায়নি শুভ।
পুজোর পর পরীক্ষার চাপ মিটলে শুভ আর শতরূপা একদিন সন্ধ্যাবেলা রেনু কাকিমার বাড়িতে যায়। ডিনারের ইনভাইটেশন টা রেনু কাকিমাই শতরূপা কে ফোনে বলে। ওদের বাড়ি গিয়ে শুভ দেখে খাওয়া দাওয়ার এলাহি আয়োজন। মাছের ই তিন রকমের আইটেম, সাথে মাংস, ফ্রায়েড রাইস। শুভ বুঝতে পারে রেনু কাকিমা খাওয়াতে ভালোবাসেন। ওনার বর অরুন কাকু রেলে চাকরি করেন। পোস্টিং একটু দুরে হওয়ায় উইক এন্ডে বাড়ি আসেন। আর মেয়ে রূপকথা ক্লাস নাইনে পড়ে। শুভ আর শতরূপার অনুরোধে রেনু কাকিমা ওদের একটা আবৃত্তি শোনায়। ওরা দুজনেই তারিফ না করে পারে না। রেনু কাকিমার বাড়ি থেকে আসার সময় শতরূপা বারবার করে ওর বাড়িতে যাবার জন্য বলে "সত্যিই রেনুদি এরপর কিন্তু তোমাকে একদিন আসতেই হবে"
রেনু- হ্যাঁ রে অবশ্যই যাবো তোর বাড়ি, তোরা এলি খুব ভালো লাগলো।
এর কয়েকদিন পর এক বিকেলে রেনু কাকিমা শুভদের বাড়ি আসে। হঠাৎ করে না বলে আসাতে একটু অভিমানী হয় শতরূপা "কি গো রেনুদি তোমায় এত করে বললাম দাদাকে রূপকথাকে সঙ্গে করে আনতে"। রেনু- "আরে ওদের ভরসায় থাকলে আজও আসা হতো না, তাই নিজেই চলে এলাম"। শতরূপাও রেনু কাকিমাকে চা, মিষ্টি না খাইয়ে ছাড়ে না। বেরোনোর সময় কাকিমা বলেন "এই শোন তোর কলেজ আর বাড়িতে কাজ না থাকলে বলিস তো, একটু শপিংয়ে যাবো, সঙ্গীর অভাবে আর যাওয়া হয় না"। শতরূপা "হ্যাঁ হ্যাঁ নিশ্চই বলবো"।
এরপর থেকে শুভ দেখেছে কলেজ না থাকলে ওর মা আর রেনু কাকিমা মাঝে মধ্যেই শপিংয়ে যেত। কাকিমার শপিং করাটা সখ, তাই শতরূপাকে ডেকে নিলো। এরমধ্যেই একদিন একটা ঘটনা ঘটে। সেদিন শুভ কলেজে যায় নি, ওর মার ও কলেজ না থাকায় রেনু কাকিমা আর শতরূপা শপিংয়ে যায়। দুপুরের দিকে হঠাৎ দেখে দিব্যদা হাতে দুটো ব্যাগ নিয়ে শতরূপাকে ওদের সামনে অবধি এগিয়ে দেয়, শতরূপার হাতেও একটা ব্যাগ। শুভ ওদের গেটের সামনে আসতেই শোনে ওর মা দিব্যদাকে thank you বললো আর দিব্যদা একটু হাসিমুখ করে হাটতে হাটতে চলে গেল। শুভ ঐ ব্যাগ গুলো নিয়ে ঘরের ভেতর এসে জিজ্ঞেস করে "কি ব্যাপার দিব্যদা ব্যাগ গুলো নিয়ে এলো?"। "আর বলিস না বাড়িতে আসছি রিক্সা করে এমন সময় মোড়ের ওখানে টায়ার পাংচার হয়ে গেল, আর ব্যাগ দুটোও ভারী, ও মোড়ের ওখানে ছিলো, তাই ব্যাগ গুলো বাড়ি অবধি নিয়ে এলো"- শতরূপা উত্তর দেয়।
শুভ- কিন্তু তোমার সাথে হত রেনু কাকিমাও ছিলো!
শতরূপা- হ্যাঁ রেনুদি আবার ওর মেয়েকে টিউশন থেকে আনতে গেল, তাই আমি একাই ফিরলাম।
তবে একটা বিষয় শুভ খেয়াল করলো ওর মা দিব্যদাকে ঘরের ভেতরে আসতে বললো না। এখানে দিব্যদার জায়গায় অন্য কেউ থাকলে শতরূপা যে বাড়ির ভিতরে এসে বসতে বলতো এই বিষয়ে শুভ নিশ্চিত।
এভাবেই দিন কেটে যাচ্ছিলো শুভর। এর মধ্যে সেরকম কোনো ঘটনাও আর ওর চোখে পড়েনি। দিব্যদা হয়তো সেদিন ওদের আড্ডাতে ঠিকই বলেছিলো যে ও আপাতত বিশ্রাম নেবে। সত্যিই এর মধ্যে ওকে তেমন একটা দেখেনি শুভ। মাঝে অবশ্য এক দুবার অপর্না কাকিমার সাথে কথা বলতে দেখেছিলো, তবে সেটা ওদের পাড়ার মোড়েই। অবশ্য দিব্যদার মাথায় কি অাছে সেটা শুভও জানেনা। এদিকে রেনু কাকিমার আসা যাওয়া বেড়েছে ওদের বাড়িতে। মাঝে মধ্যেই বিকেলে চলে আসেন গল্প করতে। শুভ বোঝে ওর মা একটু গম্ভীর ধরনের হওয়ায় সবার সাথে তেমন একটা মেশেন না। কিন্তু রেনু কাকিমার সাথে খুব ভালো ভাবেই মিশে গেছে । শতরূপাও ফ্রি টাইম পেলে ওদের বাড়ি যায়।
এরমধ্যে একদিন সন্ধ্যায় শুভর টিউশন থেকে বাড়ি ফিরতে দেরি হয়ে যায়। টিউশন ছুটির কিছু আগে মুষলধারে বৃষ্টি নামে, বেশ খানিকক্ষন ধরে বৃষ্টি হয়। বাড়ি ফিরতেই শুভ দেখে ওদের বাড়িটা অন্ধকার, পাওয়ারের কাট হয়নি কারন রাস্তার লাইট আর অন্য বাড়ি গুলোতে আলো জ্বলছে। কিন্তু এই সময় ওর মার বাড়িতেই থাকার কথা, কারন শতরূপা বাইরে গেলে শুভকে বলে যায়। শুভ দেখে গেটে আর দরজায় তালা দেওয়া নেই, তার মানে ওর মা বাড়িতেই অাছে। শুভ দরজা খুলে ভেতরে ঢুকতেই শতরূপার আওয়াজ "কিরে শুভ এলি?"। শুভ ওর মায়ের রুমে এসে লাইট জ্বালিয়ে দেখে শতরূপা বিছানায় শুয়ে। "কি ব্যাপার, লাইট নেভানো শুয়ে আছো, শরীর টরীর খারাপ নাকি?"। "নারে, কলেজ থেকে ফেরার পর থেকে একটু মাথা ব্যাথা করছিলো, তাই শুয়ে আছি"।
তবে এরপর থেকে শুভ শতরূপার মধ্যে একটু পরিবর্তন লক্ষ্য করে। একটু অন্যমনস্ক , সবচেয়ে বেশি অবাক হয় এরপর একদিন রেনু কাকিমা ফোন করে শপিংয়ে যেতে বললে শতরূপা কলেজের কাজ আছে বলে সেটা এড়িয়ে যাওয়ায়। সাধারনত ওর মা কখনোই রেনু কাকিমার সাথে বেরোতে না করে। বাড়িতে কাজ থাকলেও সেটা ম্যানেজ করে ঠিকই রেনু কাকিমার সাথে চলে যায়। আজ না বলাটা শুভর কেমন যেন দৃষ্টিকটু লাগে। হয়তো কলেজের কোনো ব্যাপারে ডিস্টারবর্ড আছে মনে হয়। তবে শুভ শতরূপাকে এসব ব্যাপার নিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করে না, ঠিক করে আবার এমন কিছু হলে তখন জিজ্ঞেস করবে।