26-08-2019, 08:11 AM
(This post was last modified: 26-08-2019, 08:11 AM by Newsaimon85. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
#পর্ব ৩
সুনিতি
সুনিতি হল বাংলা নারীর প্রতিরূপ। কথা টা জুলিয়েট প্রায় মজা করে বলত। ছায়ানট থেকে গান শেখা, চমতকার আবৃত্তি করে। সব সময় একদম ঠিক উচ্চারণে কথা বলে। মাঝে মাঝেই শাড়ি পরে। শাড়ি পরলে আসলে সুনিতি কে না দেখে উপায় থাকে না। এইসব কারণে জুলিয়েট প্রায় বাংলার বধু বলে ক্ষেপাত। আস্তে আস্তে আমরাও ক্ষেপানো শুরু করলাম এই বলে, বাংলার বধু সুনিতি ব্যানার্জী।
ঢাকায় বাসা। হলিক্রসের ছাত্রী ছিল। ডিপার্টমেন্টের প্রোগ্রামে গান গাওয়া বা উপস্থাপনা কিছু হলেই ফার্স্ট ইয়ার থেকে সুনিতির ডাক পরে। আমাদের জুনিয়রদের নবীন বরণ প্রোগ্রামে এক বড় ভাই মন্তব্য করেছিল তার এক বন্ধুর উদ্দ্যেশে, এই মেয়ে টা কে দেখ মনে হয় একটা নেশা আছে। আর ঐ বন্ধু মন্তব্য করেছিল পুরা পাওলি দাম ফিগার। পিছন থেকে বসে মন্তব্য শুনে অনুষ্ঠানের আলো আধারিতে মনে হয়েছিল আসলেই খেয়াল করা হয় নি কিন্তু সুনিতির বাংলার বধু আবরণের বাইরে একটা দিক আছে, মাদকতাময়। পাঁচ তিন হবে হাইটে। অনুষ্ঠানেই সুহাস ভাই আর তার বন্ধু সফিক ভাই আলোচনা করছিল সুনিতির ফিগার নিয়ে। দুই জনেই একমত সামনে বড় না হলেও পিছন না যাক্কাস। একদম গুরু নিতম্বনি। ছেলেদের হাত পরলে সামনেও জোয়ার আসবে। হাসতে হাসতে সুহাস ভাই বলছিলেন হাতে পেলে কিছুদিনেই একদম বক্ষ জোয়ার এনে দিবেন। শুনে সফিক ভাই বলছিলেন তাই এখন কি অবস্থা? সুহাস ভাইয়ের উত্তর ছিল, সামনে মরা কাটাল পিছনে ভরা কাটাল জোয়ার।
জুলিয়েট
জুলিয়েট হল আমাদের গ্রুপের অঘোষিত জ্ঞানদানকারী। হেন কিছু নেই যা তার জানা নেই। কিছু বললেই বলত জুলিয়েট রোজারিও জানে না এমন কিছু আছে নাকি। জিনস টপস বা স্কার্ট টপস হল প্রিয় পোষাক। কাল সৌন্দর্য বলে যদি কিছু থেকে থাকে তাহলে ঠিক তাই হল জুলিয়েট। প্রচলিত অর্থে গায়ের রঙ কাল হলেও জুলিয়েটের দিকে প্রথমেই চোখ না পরে উপায় নেই। অন্য রকম একম সৌন্দর্য এই কাল রঙের। টানা চোখ, ধারাল মুখ। ধারাল মুখ কথা টা আসলে জুলিয়েটের সাথে সবভাবেই যায়। ক্ষেপে গেলে চাবুকের মত কথা বলে। কথা বলে পার পাবার উপায় নেই। হেন কোন সংগঠন নাই যার সাথে সম্ভবত জড়িত না। আর ফারিয়া জুলিয়েটের কথার জন্য জুলিয়েট কে বলত ডার্টি মাউথ। কোন কথায় মুখে আটকায় না, শ্লীল বা অশ্লীল। পরিচয়ের কয়েকদিন পরেই এসে একদিন আমাকে বলে দেখ তো ফতুয়ার ভিতর দিয়ে ব্রা টা দেখা যায় কিনা। মফস্বল থেকে আগত আমার কাছে কোন মেয়ের মুখ থেকে এই কথা শোনা ছিল এক শক। আমার অভিব্যক্তি দেখে সেদিন জুলিয়েটের হাসি থামছিলই না। আরেকদিন আরেক স্যার সম্পর্কে মন্তব্য করছিল যে স্যার নাকি চোখ দিয়ে ফারিয়ার বুকে আর পাছায় হাত দেন। কথা সবার সামনে এভাবে বলায় ফারিয়া ক্ষেপে গেলেও ঐ স্যারের দৃষ্টি নিয়ে ডিপার্টমেন্টে অনেক গল্প প্রচলিত ছিল।
পাঁচ আট হাইটের জুলিয়েট ছিল আমাদের গ্রুপের সবচেয়ে লম্বা সদস্য। হাইটের কারণে সবসময় বলত বুঝলি আমি হলাম তোদেরে সবার বড় তাই সবাই আমার কথা মেনে চলবি। ড্রেস আর আচরণে আমাদের গ্রুপের টম বয়।
সাদিয়া
আমাদের মধ্যে একটু অন্যরকম হল সাদিয়া। অলওয়েজ পড়াশুনা আর পড়াশুনা। রেজাল্টও ভাল অনার্সে ক্লাসে ফোর্থ আর মাস্টার্সে থার্ড হয়েছিল। শুধু পড়াশুনা না ড্রেস আপেও অন্যরকম। * পড়ত। লম্বা ঝুল *। ফলে ফিগার বুঝার কোন উপায় ছিল না। চশমার কারণে চোখ আড়াল হয়ে যেত। তবে সুনিতি সব সময় বলে আমাদের গ্রুপের সবচেয়ে সুন্দর চোখ হল সাদিয়ার। সাদিয়া আশরাফি। আমাদের গ্রুপের সাথে কিভাবে বন্ধুত বজায় রাখতে পারল এটা ক্লাসের সবার কাছে এক বিরাট বিস্ময়। কারণ আমাদের উড়াধুড়া নানা কাজ কর্মের সাথে ওর ঠিক যায় না। কিন্তু ঐ যে বলে না সংগ দোষে লোহা ভাসে। সাদিয়ার ছিল ঐ অবস্থা। আর জুলিয়েট প্রায়ই আমার কানে কানে বলত আরে সাদিয়া আমাদের সহ্য করে খালি তোর কারণে, এই বলেই চোখ টিপ দিয়েই প্রতিবার একটা দুষ্ট হাসি দিত। সত্য কথা বলতে কি সাদিয়ার বিভিন্ন খারাপ সময়ে এই গ্রুপের লোক জন যেভাবে পাশে থেকে সাপোর্ট দিয়েছে তা আর কোথাও পেত না সাদিয়া। তাই বন্ধুত্ব না হয়ে উপায় ছিল না।
সুনিতি
সুনিতি হল বাংলা নারীর প্রতিরূপ। কথা টা জুলিয়েট প্রায় মজা করে বলত। ছায়ানট থেকে গান শেখা, চমতকার আবৃত্তি করে। সব সময় একদম ঠিক উচ্চারণে কথা বলে। মাঝে মাঝেই শাড়ি পরে। শাড়ি পরলে আসলে সুনিতি কে না দেখে উপায় থাকে না। এইসব কারণে জুলিয়েট প্রায় বাংলার বধু বলে ক্ষেপাত। আস্তে আস্তে আমরাও ক্ষেপানো শুরু করলাম এই বলে, বাংলার বধু সুনিতি ব্যানার্জী।
ঢাকায় বাসা। হলিক্রসের ছাত্রী ছিল। ডিপার্টমেন্টের প্রোগ্রামে গান গাওয়া বা উপস্থাপনা কিছু হলেই ফার্স্ট ইয়ার থেকে সুনিতির ডাক পরে। আমাদের জুনিয়রদের নবীন বরণ প্রোগ্রামে এক বড় ভাই মন্তব্য করেছিল তার এক বন্ধুর উদ্দ্যেশে, এই মেয়ে টা কে দেখ মনে হয় একটা নেশা আছে। আর ঐ বন্ধু মন্তব্য করেছিল পুরা পাওলি দাম ফিগার। পিছন থেকে বসে মন্তব্য শুনে অনুষ্ঠানের আলো আধারিতে মনে হয়েছিল আসলেই খেয়াল করা হয় নি কিন্তু সুনিতির বাংলার বধু আবরণের বাইরে একটা দিক আছে, মাদকতাময়। পাঁচ তিন হবে হাইটে। অনুষ্ঠানেই সুহাস ভাই আর তার বন্ধু সফিক ভাই আলোচনা করছিল সুনিতির ফিগার নিয়ে। দুই জনেই একমত সামনে বড় না হলেও পিছন না যাক্কাস। একদম গুরু নিতম্বনি। ছেলেদের হাত পরলে সামনেও জোয়ার আসবে। হাসতে হাসতে সুহাস ভাই বলছিলেন হাতে পেলে কিছুদিনেই একদম বক্ষ জোয়ার এনে দিবেন। শুনে সফিক ভাই বলছিলেন তাই এখন কি অবস্থা? সুহাস ভাইয়ের উত্তর ছিল, সামনে মরা কাটাল পিছনে ভরা কাটাল জোয়ার।
জুলিয়েট
জুলিয়েট হল আমাদের গ্রুপের অঘোষিত জ্ঞানদানকারী। হেন কিছু নেই যা তার জানা নেই। কিছু বললেই বলত জুলিয়েট রোজারিও জানে না এমন কিছু আছে নাকি। জিনস টপস বা স্কার্ট টপস হল প্রিয় পোষাক। কাল সৌন্দর্য বলে যদি কিছু থেকে থাকে তাহলে ঠিক তাই হল জুলিয়েট। প্রচলিত অর্থে গায়ের রঙ কাল হলেও জুলিয়েটের দিকে প্রথমেই চোখ না পরে উপায় নেই। অন্য রকম একম সৌন্দর্য এই কাল রঙের। টানা চোখ, ধারাল মুখ। ধারাল মুখ কথা টা আসলে জুলিয়েটের সাথে সবভাবেই যায়। ক্ষেপে গেলে চাবুকের মত কথা বলে। কথা বলে পার পাবার উপায় নেই। হেন কোন সংগঠন নাই যার সাথে সম্ভবত জড়িত না। আর ফারিয়া জুলিয়েটের কথার জন্য জুলিয়েট কে বলত ডার্টি মাউথ। কোন কথায় মুখে আটকায় না, শ্লীল বা অশ্লীল। পরিচয়ের কয়েকদিন পরেই এসে একদিন আমাকে বলে দেখ তো ফতুয়ার ভিতর দিয়ে ব্রা টা দেখা যায় কিনা। মফস্বল থেকে আগত আমার কাছে কোন মেয়ের মুখ থেকে এই কথা শোনা ছিল এক শক। আমার অভিব্যক্তি দেখে সেদিন জুলিয়েটের হাসি থামছিলই না। আরেকদিন আরেক স্যার সম্পর্কে মন্তব্য করছিল যে স্যার নাকি চোখ দিয়ে ফারিয়ার বুকে আর পাছায় হাত দেন। কথা সবার সামনে এভাবে বলায় ফারিয়া ক্ষেপে গেলেও ঐ স্যারের দৃষ্টি নিয়ে ডিপার্টমেন্টে অনেক গল্প প্রচলিত ছিল।
পাঁচ আট হাইটের জুলিয়েট ছিল আমাদের গ্রুপের সবচেয়ে লম্বা সদস্য। হাইটের কারণে সবসময় বলত বুঝলি আমি হলাম তোদেরে সবার বড় তাই সবাই আমার কথা মেনে চলবি। ড্রেস আর আচরণে আমাদের গ্রুপের টম বয়।
সাদিয়া
আমাদের মধ্যে একটু অন্যরকম হল সাদিয়া। অলওয়েজ পড়াশুনা আর পড়াশুনা। রেজাল্টও ভাল অনার্সে ক্লাসে ফোর্থ আর মাস্টার্সে থার্ড হয়েছিল। শুধু পড়াশুনা না ড্রেস আপেও অন্যরকম। * পড়ত। লম্বা ঝুল *। ফলে ফিগার বুঝার কোন উপায় ছিল না। চশমার কারণে চোখ আড়াল হয়ে যেত। তবে সুনিতি সব সময় বলে আমাদের গ্রুপের সবচেয়ে সুন্দর চোখ হল সাদিয়ার। সাদিয়া আশরাফি। আমাদের গ্রুপের সাথে কিভাবে বন্ধুত বজায় রাখতে পারল এটা ক্লাসের সবার কাছে এক বিরাট বিস্ময়। কারণ আমাদের উড়াধুড়া নানা কাজ কর্মের সাথে ওর ঠিক যায় না। কিন্তু ঐ যে বলে না সংগ দোষে লোহা ভাসে। সাদিয়ার ছিল ঐ অবস্থা। আর জুলিয়েট প্রায়ই আমার কানে কানে বলত আরে সাদিয়া আমাদের সহ্য করে খালি তোর কারণে, এই বলেই চোখ টিপ দিয়েই প্রতিবার একটা দুষ্ট হাসি দিত। সত্য কথা বলতে কি সাদিয়ার বিভিন্ন খারাপ সময়ে এই গ্রুপের লোক জন যেভাবে পাশে থেকে সাপোর্ট দিয়েছে তা আর কোথাও পেত না সাদিয়া। তাই বন্ধুত্ব না হয়ে উপায় ছিল না।