26-08-2019, 08:09 AM
(This post was last modified: 12-04-2023, 02:39 AM by Newsaimon85. Edited 2 times in total. Edited 2 times in total.)
# পর্ব ২
আমাদের সিলেটে বেশ ভাল ব্যবসা ছিল। ছিল বলছি কারন বাবা মা ব্যবসার বেশির ভাগ গুটিয়ে নিয়েছেন। বয়স হয়েছে। আমি তাদের শেষ বয়সের সন্তান। তাই বড় ভাই আর বোন থেকে ১৬ আর ১৪ বছরের ব্যবধ। ভাই মাস্টার্স করে পড়তে কানাডা গেল পরে ঐখানেই থিতু। বিয়ে করেছে বাবার এক বন্ধুর মেয়ে কে। বছরে এক বার আসে। বোনের বিয়ে হয়েছিল প্রেমের। বাবা মা প্রথমে রাজি হয় নি পরে এক সময় রাজি হয়ে গেল। চাকরি সূত্রে বোন আর দুলাভাই আজকে এই জেলায় তো আরেকদিন আরেক জেলায় থাকতে হয়। বদলির চাকরি। আর আমি পড়াশুনা করার সূত্রে ঢাকায়।
বিনোয়গের ব্যাপারে বাবা সব সময় বেশ হিসেবি। তাই অংক কষে হিসেবমত জমি ফ্ল্যাট কিনেছেন। ঢাকায় বাবা চার টা ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। কলাবাগানে দুই টা, ধানমন্ডিতে একটা আর একটা একটু অদ্ভুত জায়গায়। আজিজ মার্কেটের উপরে। আসলে ফ্ল্যাট টা ছিল বাবার এক বন্ধুর। আংকেলের হঠাত টাকার দরকার হলে ফ্ল্যাট টা বিক্রি করার দরকার হয়। ঠিক সেই সময় আমি কোচিং এ ভর্তি হলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য। কোথায় থাকব? বাবা ফ্ল্যাট টা কিনে নিলেন। চার বন্ধু মিলে উঠেছিলাম। প্রথম কিছুদিন মা বাবা এসে থেকে ছিলেন। কিন্তু এই শহরে তাদের মন টিকে না। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার কিছুদিন পরেই চলে গেলন। আর বন্ধুরা কেউ ঢাকায় চান্স পেল না। এক জন রাজশাহী, একজন কুয়েট আর বাকি জন নিজেদের শহর সিলেটের সাস্টে। আর এইভাবে এই অচেনা ঢাকা শহরে আসার মাস সাতেকের মধ্যেই আমি একা হয়ে গেলাম। মাহিদুল আলম মাহি এই শহরে একা হয়ে গেল।
একা থাকা বেশ কষ্টকর। তাই বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকি। বুয়া কে বলা আছে খাবার রান্না করে যায় সাপ্তাহে চার দিন। বেশির ভাগ দিন বাইরে খাওয়া হয় আসলে। টাকা টা সমস্যা হয় না। ছোট বলে না চাইতেই অনেক কিছু পাই, আর বাজে খরচ বা অভ্যাস না থাকায় বাবা মা বিশ্বাস করে প্রচুর। আর এই সময় কাটাতে গিয়ে আমাদের বন্ধুতের শুরু।
আসলে এইবার বাকি চরিত্রদের সাথে পরিচয় করে দেবার দরকার।
মিলি
মিলি হল আমাদের গ্রুপের দ্বিতীয় মফস্বল। আমি হলাম প্রথম মফস্বলের পাবলিক। পাঁচ ফিট এক বা দেড় হবে হয়ত। পড়াশুনায় সিরিয়াস। হলে থাকে। ওজন বড়জোর ৪০ কেজি। চশমা পরে। ছেলেরা মেয়েদের যা যা দেখতে চায় তা হয়ত অতটা দৃশ্যমান নয় বলে ছেলেদের নজরে অতটা পরে না। লাজুক। সালোয়ার কামিজে অভ্যস্ত। গ্রুপের ভিতর মিলির সাথেই প্রথম খাতির। কোচিং এ দেখতাম তাই ক্লাসে এসে প্রথমেই চোখে পরল। তারপর ঢাকার বাইরের বলে নিজেদের ভিতর মিল খুজে পেলাম তাই দেখা হলে নিজে থেকেই গিয়ে কথা বলতাম। আগ বাড়িয়ে যেতাম বলেই বন্ধুত হল। আর মিলির মাধ্যমে বাকিদের সাথে।
ফারিয়া ।
ফারিয়া আর জুলিয়েট কে সবার প্রথমে মানুষের চোখে পরবে যদি কেউ আমাদের দিকে তাকায়। দুই জনেই ঢাকাইয়া, ভিকি। ফ্যাশনে কেতা দুরস্ত। হালের যা ফ্যাশন হয় সব কিছুতেই ফারিয়া কে মানিয়ে যায়। সালোয়ার কামিজ পরে বেশির ভাগ সময়। মাঝে মাঝে জিনস আর ফতুয়া। সালোয়ার কামিজে কোমর পর্যন্ত কাটা। কথা হবার আগেই প্রথম চোখে পরেছিল এক ছেলের মন্তব্যে। ক্লাসের পিছনে বসে ছিলাম। ফারিয়া কে ঢুকতে দেখেই সুজন পাশ থেকে বলছিল দেখ দেখ। কি যায়। বেচারা সুজন একবারে ছেলেদের স্ক্ল কলেজে পরে মেয়েদের ক্লাসে পেয়ে মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। দেখ পিছন টা দেখ। কি উচু। কামিজের কোন পর্যন্ত কাটা দেখছিস। এমনিতেই এইসব কথায় তেমন একটা অভ্যস্ত না তার উপর ক্লাসের মাঝে সুজন রাখঢাক না করেই যেমনে বলছে কে শুনে ফেলে এই ভয়ে আর জড়শড় হয়ে গেলাম। এড়ানোর জন্য বললাম এত কথার দরকার কি যদি ভাল লাগে তাইলে সামনে যা গিয়ে কথা বল। সুজন এইবার বলল এইবার সামনে দেখ। দেখ না, পিছনে যেমন উচু সামনেও তেমন। জামা তো পুরা গায়ের সাথে লেগে আছে। আমি উঠে যাচ্ছি দেখে বলল, আরে কথা বলার চেষ্টা করে লাভ নাই। যেমন উচু তেমন ভাব। এই বলেই একটা পিছলা হাসি দিল।
আসলে ফারিয়া এমন। ফারিয়া চৌধুরী। একটু মুডি তবে খুব ভাল মন টা। একবার ইজি হলে কথা বলা কোন ব্যাপার না। গড়পড়তা বাংগালিরা সুন্দরি বলতে যা বোঝায় ফারিয়া তা। ফর্সা, পাঁচ পাঁচ হবে হাইট। যদিও একটু বাল্কি তবে সেই ফ্যাট মনে হয় আর সৌন্দর্য খুলে দিয়েছে। আর ফিগারের বর্ণনা তো সুজনের মুখে শুনলেন- হট।
আমাদের সিলেটে বেশ ভাল ব্যবসা ছিল। ছিল বলছি কারন বাবা মা ব্যবসার বেশির ভাগ গুটিয়ে নিয়েছেন। বয়স হয়েছে। আমি তাদের শেষ বয়সের সন্তান। তাই বড় ভাই আর বোন থেকে ১৬ আর ১৪ বছরের ব্যবধ। ভাই মাস্টার্স করে পড়তে কানাডা গেল পরে ঐখানেই থিতু। বিয়ে করেছে বাবার এক বন্ধুর মেয়ে কে। বছরে এক বার আসে। বোনের বিয়ে হয়েছিল প্রেমের। বাবা মা প্রথমে রাজি হয় নি পরে এক সময় রাজি হয়ে গেল। চাকরি সূত্রে বোন আর দুলাভাই আজকে এই জেলায় তো আরেকদিন আরেক জেলায় থাকতে হয়। বদলির চাকরি। আর আমি পড়াশুনা করার সূত্রে ঢাকায়।
বিনোয়গের ব্যাপারে বাবা সব সময় বেশ হিসেবি। তাই অংক কষে হিসেবমত জমি ফ্ল্যাট কিনেছেন। ঢাকায় বাবা চার টা ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। কলাবাগানে দুই টা, ধানমন্ডিতে একটা আর একটা একটু অদ্ভুত জায়গায়। আজিজ মার্কেটের উপরে। আসলে ফ্ল্যাট টা ছিল বাবার এক বন্ধুর। আংকেলের হঠাত টাকার দরকার হলে ফ্ল্যাট টা বিক্রি করার দরকার হয়। ঠিক সেই সময় আমি কোচিং এ ভর্তি হলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য। কোথায় থাকব? বাবা ফ্ল্যাট টা কিনে নিলেন। চার বন্ধু মিলে উঠেছিলাম। প্রথম কিছুদিন মা বাবা এসে থেকে ছিলেন। কিন্তু এই শহরে তাদের মন টিকে না। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার কিছুদিন পরেই চলে গেলন। আর বন্ধুরা কেউ ঢাকায় চান্স পেল না। এক জন রাজশাহী, একজন কুয়েট আর বাকি জন নিজেদের শহর সিলেটের সাস্টে। আর এইভাবে এই অচেনা ঢাকা শহরে আসার মাস সাতেকের মধ্যেই আমি একা হয়ে গেলাম। মাহিদুল আলম মাহি এই শহরে একা হয়ে গেল।
একা থাকা বেশ কষ্টকর। তাই বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকি। বুয়া কে বলা আছে খাবার রান্না করে যায় সাপ্তাহে চার দিন। বেশির ভাগ দিন বাইরে খাওয়া হয় আসলে। টাকা টা সমস্যা হয় না। ছোট বলে না চাইতেই অনেক কিছু পাই, আর বাজে খরচ বা অভ্যাস না থাকায় বাবা মা বিশ্বাস করে প্রচুর। আর এই সময় কাটাতে গিয়ে আমাদের বন্ধুতের শুরু।
আসলে এইবার বাকি চরিত্রদের সাথে পরিচয় করে দেবার দরকার।
মিলি
মিলি হল আমাদের গ্রুপের দ্বিতীয় মফস্বল। আমি হলাম প্রথম মফস্বলের পাবলিক। পাঁচ ফিট এক বা দেড় হবে হয়ত। পড়াশুনায় সিরিয়াস। হলে থাকে। ওজন বড়জোর ৪০ কেজি। চশমা পরে। ছেলেরা মেয়েদের যা যা দেখতে চায় তা হয়ত অতটা দৃশ্যমান নয় বলে ছেলেদের নজরে অতটা পরে না। লাজুক। সালোয়ার কামিজে অভ্যস্ত। গ্রুপের ভিতর মিলির সাথেই প্রথম খাতির। কোচিং এ দেখতাম তাই ক্লাসে এসে প্রথমেই চোখে পরল। তারপর ঢাকার বাইরের বলে নিজেদের ভিতর মিল খুজে পেলাম তাই দেখা হলে নিজে থেকেই গিয়ে কথা বলতাম। আগ বাড়িয়ে যেতাম বলেই বন্ধুত হল। আর মিলির মাধ্যমে বাকিদের সাথে।
ফারিয়া ।
ফারিয়া আর জুলিয়েট কে সবার প্রথমে মানুষের চোখে পরবে যদি কেউ আমাদের দিকে তাকায়। দুই জনেই ঢাকাইয়া, ভিকি। ফ্যাশনে কেতা দুরস্ত। হালের যা ফ্যাশন হয় সব কিছুতেই ফারিয়া কে মানিয়ে যায়। সালোয়ার কামিজ পরে বেশির ভাগ সময়। মাঝে মাঝে জিনস আর ফতুয়া। সালোয়ার কামিজে কোমর পর্যন্ত কাটা। কথা হবার আগেই প্রথম চোখে পরেছিল এক ছেলের মন্তব্যে। ক্লাসের পিছনে বসে ছিলাম। ফারিয়া কে ঢুকতে দেখেই সুজন পাশ থেকে বলছিল দেখ দেখ। কি যায়। বেচারা সুজন একবারে ছেলেদের স্ক্ল কলেজে পরে মেয়েদের ক্লাসে পেয়ে মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। দেখ পিছন টা দেখ। কি উচু। কামিজের কোন পর্যন্ত কাটা দেখছিস। এমনিতেই এইসব কথায় তেমন একটা অভ্যস্ত না তার উপর ক্লাসের মাঝে সুজন রাখঢাক না করেই যেমনে বলছে কে শুনে ফেলে এই ভয়ে আর জড়শড় হয়ে গেলাম। এড়ানোর জন্য বললাম এত কথার দরকার কি যদি ভাল লাগে তাইলে সামনে যা গিয়ে কথা বল। সুজন এইবার বলল এইবার সামনে দেখ। দেখ না, পিছনে যেমন উচু সামনেও তেমন। জামা তো পুরা গায়ের সাথে লেগে আছে। আমি উঠে যাচ্ছি দেখে বলল, আরে কথা বলার চেষ্টা করে লাভ নাই। যেমন উচু তেমন ভাব। এই বলেই একটা পিছলা হাসি দিল।
আসলে ফারিয়া এমন। ফারিয়া চৌধুরী। একটু মুডি তবে খুব ভাল মন টা। একবার ইজি হলে কথা বলা কোন ব্যাপার না। গড়পড়তা বাংগালিরা সুন্দরি বলতে যা বোঝায় ফারিয়া তা। ফর্সা, পাঁচ পাঁচ হবে হাইট। যদিও একটু বাল্কি তবে সেই ফ্যাট মনে হয় আর সৌন্দর্য খুলে দিয়েছে। আর ফিগারের বর্ণনা তো সুজনের মুখে শুনলেন- হট।