Thread Rating:
  • 32 Vote(s) - 3.22 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
মহানগরের আলেয়া
#33
পর্ব চার – বলাকার ডানা মেলে (#4)



গ্রীষ্ম কালে সকাল সকাল উঠে স্নান করা ভীষণ আনন্দের ব্যাপার। ঠাণ্ডা বাতাস সেই সাথে মাথার ওপরে খোলা আকাশ। কালী পাড়ার বস্তির পুরুষদের স্নানের জায়গা হচ্ছে রাস্তার ধারের করপোরেশানের কল, বুড়ো কচি হদ্দ মদ্দ সবাই ওইখানে বালতি মগ নিয়ে স্নান করে। সকাল সকাল স্নান বেশি কতক লোকে করে না তাই দানা বেশ আয়েশ করে সাবান মেখে স্নান সেরে নিল। পাশের রাস্তা দিয়ে বাস গাড়ি মোটর চলে যায়, মাঝে মাঝে নোংরা জল ছিটে চলে আসে এইদিকে কিন্তু এত ভোরে সেই সবের বালাই নেই। মাথায় শ্যাম্পু করতেই বলাই জানতে চায় ভালো করে স্নানের কারন। দানাও হেসে বলে বলাইয়ের বৌকে সোহাগ করবে তাই এত ভালো করে স্নান সারছে। নাসির ওইদিকে গুনগুন করে গান গাইতে গাইতে এসে বলাইয়ের পাছায় এক লাথি মারে সঙ্গে সঙ্গে বলাইয়ের পরনের গামছা খুলে যায়, সেই নিয়ে ওদের কতক হাসাহাসি চলে।


স্নান সেরে কোমরে গামছা জড়িয়ে যখন ভেতরের দিকে পা বাড়াল, তখন অনেকেই উঠে গেছে এই কালী পাড়ার বস্তির বুকে। অন্যদিনের চেয়ে সেদিন সবাই অনেক চুপচাপ, বস্তির আবহাওয়া থমথমে। দুই রাত আগের ভয়ঙ্কর ঘটনার রেশ তখন কাটেনি। পায়খানার সামনে মেয়েরা জটলা বাঁধিয়ে কানাঘুষো করে। সেই সবের দিকে আড় চোখে একবার দেখে, নিজের মনে নিজের ঘরে ঢুকে পরে। বেশ কিছু মেয়েরা আবার ওকে দেখে চুপ করে যায়, এমন ভাব দেখায় যেন দানা দোষী। মনসা মাসি মারা যাওয়ার পর থেকেই এই কালী পাড়ার বস্তির কোন কিছুতে বিশেষ মাথা ব্যাথা ছিল না। অন্য কোথাও মাথা গোঁজার জায়গা নেই তাই রাতে এইখানে শুতে আসা। যদি অন্য কোথাও একটা মাথা গোঁজার জায়গা পেয়ে যেত তাহলে এই কালী পাড়ার বস্তি থেকে চলে যেত। এই কালী পাড়ার বস্তি ওর মাকে, ওর মনসা মাসিকে ছিনিয়ে নিয়েছে। 

নতুন জামা, কত জায়গায় পিন মারা, এক এক করে পিন খুলে ধোয়া গেঞ্জির ওপরে জামাটা চড়াল। গাড় বাদামি রঙের প্যান্ট পরে নিল সেই সাথে কোমরে বেল্ট। খুব ইচ্ছে নিজেকে একবার আপাদ মস্তক দেখে কিন্ত ছোট আরশিতে সেটা সম্ভব নয়। গত রাতে বাড়ির ফেরার পথে কমলের দোকান থেকে দাড়ি কেটে এসছিল। আজকে আর ট্যাক্সি চালান নেই, ইন্দ্রাণীর সাথে ব্যাঙ্কে যাওয়ার আছে, সেইখানে কত সময় লাগবে সেটা জানে না। যদি ইন্দ্রাণীর কাছ থেকে ছুটি পায় তবে ট্যাক্সি চালাতে যাবে। জামা জুতো পরে হাতা গুটিয়ে ঘরের দরজা থেকে বের হতেই অনেকের চোখ ওর দিকে চলে যায়। বস্তির লোক যে দানাকে রোজ দিন দেখে সেই দানা এই জামা কাপড়ের ভেতরে নেই। 

পথে বলাইয়ের সাথে দেখা, বলাই ওকে দেখে হাঁ করে তাকিয়ে প্রশ্ন করে, “ট্যাক্সি চালানো ছেড়ে দিয়েছিস নাকি রে? কোথাও চাকরি পেয়েছিস নাকি?”

বলাইয়ের প্রশ্নের উত্তরে বলল, “না রে একটু কাজ আছে তাই বের হচ্ছি।”

বলাই ওর কাছে এসে নাক কুঁচকে শুঁকে শুঁকে প্রশ্ন করে, “বাপরে বেশ দামী ডিও মেখেছিস মনে হচ্ছে, এই শারট প্যান্ট বেশ দামী, শালা আমার সারা মাসের টাকা মনে হয়।” তা বটে এই বস্তির অনেকে সারা মাসে যা কামায়, দানার পরনে সেই দামের পোশাক। দানাও যে এমন কিছু বেশি আয় করে সেটা নয়, ওর দিন আনা দিন খাওয়া, মাসে কত হয় সেটা নিজে কোন দিন হিসেব করেনি। বলাইকে “এই যাচ্ছি রে” বলে বেড়িয়ে যায়। 

ইন্দ্রাণী আগে থেকে ওকে ফোনে জানিয়ে দিয়েছিল কোন ব্যাঙ্কে যেতে হবে, সেই মতন সেই ব্যাঙ্কে পৌঁছে দেখে যে ইন্দ্রাণী তখন পর্যন্ত ব্যাঙ্কে পৌঁছায় নি। কারুর জন্য অপেক্ষা করতে হবে, ট্যাক্সি চালকের কাজ হচ্ছে অপেক্ষা করা কিন্তু ইন্দ্রাণীর জন্য অপেক্ষা করতে, দাঁত কিড়মিড় করে ওঠে, কেন ঠিক সময়ে আসতে পারে না, একটু তাড়াতাড়ি এলে কি হত, ব্যাঙ্কে ঢুকে যাবে না এইখানে দাঁড়িয়ে থাকবে। 

একটু পরেই ইন্দ্রাণীর কণ্ঠ স্বর শুনতে পায়, “হাই, তুমি কি অনেকক্ষণ থেকে দাঁড়িয়ে?” কথাটা জিজ্ঞেস করেই ওকে দেখে থমকে দাঁড়ায়, একবার আপাদমস্তক নিরীক্ষণ করে বিস্ফোরিত নয়নে তাকিয়ে থাকে তারপরে মিচকি হেসে ওর পাশে এসে বলে, “হাউ আর ইউ ডুইং হানি (কেমন আছ সোনা?)” ওর বাজুতে চিমটি কেটে চোখ টিপে ফিসফিস করে বলে, “দানা, কোথায়?”

সত্যি ত দানা কোথায়? সামনের কাঁচের দরজায় নিজের প্রতিফলন দেখে ঠিক কেমন যেন মনে হয়, দানা নেই, দানা হারিয়ে গেছে। দুই অসম বয়সী নর নারী, কিন্তু পাশা পাশি হাঁটলে ওদের বয়সের পার্থক্য ঠিক বোঝা যায় না। তার কারন ইন্দ্রাণী যে ভাবে নিজের যৌবন ধরে রেখেছে তাতে ওর বয়স সাতাসের আঠাসের বেশি কেউ বলতে পারবে না আর দানাকেও এই পোশাকে অনেক ভারিক্কী দেখায়। দুধ সাদা জামা আর গাড় নীল রঙের জিন্সে, অতীব সুন্দরী ইন্দ্রাণীকে দানার যথাযথ সঙ্গিনী বলেই মনে হয় সবার। দানার সাথে সাথে ইন্দ্রাণী ব্যাঙ্কে ঢুকে ওর কাগজপত্র ফর্ম ইত্যাদি লিখে দিয়ে জমা দিয়ে দিল। কালী পাড়ার বস্তির ঠিকানা দেখে ব্যাঙ্কের লোক একবার দানাকে দেখে তারপরে ইন্দ্রাণীকে, ইন্দ্রাণী হেসে ঠিকানা ঠিক করে দেয়, ওটা ভুল করে হয়ে গেছে, ইন্দ্রাণী নিজের ঠিকানা লিখে দেয়। ব্যাঙ্কের লোক ওর পোশাক আশাক দেখে প্রথমে স্যার স্যার করেছিল কিন্তু প্রথম ঠিকানা দেখে কি বলবে আর ভেবে পায়নি। পেশার জায়গায়, ইন্দ্রাণী সেলফ এমপ্লয়ড (নিজেস্ব কাজ ব্যাবসা) লিখে দেয়। ব্যাঙ্কের কাজ শেষ করে ডেস্কে বসা লোক জানায় যে সবকিছু নির্ধারিত ঠিকানায় কুরিয়ার করে দেওয়া হবে। 

ব্যাঙ্ক থেকে বেড়িয়ে এসে দানা, ইন্দ্রাণীকে জিজ্ঞেস করে, “আচ্ছা পাখী, এইসবের কি মানে?” 

ইন্দ্রাণী ওকে আবার নিজের সামনে দাঁড় করিয়ে আপাদ মস্তক দেখে হেসে বলে, “এই এই দাঁড়াও আগে তোমাকে একটু দেখি।” চারপাশের লোকজন ওদের দিকে একবার দেখে। ওইভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দানার লজ্জা করে কিন্তু ইন্দ্রাণী কিছুতেই ছাড়বে না, ওকে ব্যাঙ্কের সামনে দাঁড় করিয়ে মোবাইলে একটা ছবি তোলে। ছবি তোলার পরে ওর কাছে এসে বলে, “এবারে এই একাউন্টে টাকা জমাবে, বুঝলে? তুমি না পারলে আমি জমাবো, সেটা নিয়ে তোমার চিন্তা করতে হবে না।”

দানা ইন্দ্রাণীর এই মিষ্টি হাসি মুখ দেখে বড় বিবৃত বোধ করে, চাপা কণ্ঠে ওকে বলে, “পাখী বড্ড বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে এটা। কেন এমন স্বপ্ন দেখাচ্ছ যেটা আমরা কোনোদিন পূরণ করতে পারবো না।”

ইন্দ্রাণী এক দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে উত্তর দেয়, “মানুষ যদি স্বপ্ন দেখা ছেড়ে দেয় তাহলে কি নিয়ে বাঁচবে বলতে পারো? মানুষ পাখী দেখে ওড়ার স্বপ্ন দেখেছিল তাই আজকে এরোপ্লেন হয়েছে, মানুষ ঘোড়া দেখে দৌড়াতে চেষ্টা করেছিল তাই এই গাড়ি মোটর হয়েছে। আর আমি ...”

দানা ওকে বলে, “আমি সামান্য একটা ট্যাক্সি ড্রাইভার, পাখী।”

ইন্দ্রাণী ওর পাশে এসে ঝাঁঝিয়ে ওঠে, “আমার সাথে এখানে ঝগড়া করতে এসেছ? সামান্য ট্যাক্সি ড্রাইভার তুমি? সেই রাতে ট্যাক্সি থেকে ফ্লাটের সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে যেতে পারতে। অত দরদ দেখিয়ে কোলে তুলে ফ্লাটে নিয়ে গিয়েছিলে কেন? সেই রাতে ভুল করে আবেগের বশে অনেক কিছু করে ফেলেছিলাম, তাই না? তাহলে রাতের পর রাত জেগে আমার শরীরের আঁচর কামরের দাগের ওপরে সোফ্রামাইসিন লাগাতে কেন? ফেলে রাখতে পারতে ঘেয়ো কুকুরের মতন, ছেড়ে যাওনি কেন দানা?”

বুকের ভেতর কেমন যেন কেঁপে ওঠে। ইন্দ্রাণীকে যতবার ছেড়ে আসে ততবার এই কাঁপুনি ওর বুকের মধ্যে জেগে ওঠে। চোয়াল শক্ত করে সেই হৃদ কম্পনকে সংবরণ করে নেয়। ইন্দ্রাণীর কাজল কালো চোখ দুটি উপচে পড়ার অপেক্ষায়, চোখের পাতা ভিজে, নাকের পাটা ফুলে ফুলে উঠেছে। দানা কি করবে ভেবে পেল না, এহেন সর্ব সমক্ষে কি ওর হাত ধরবে? এই এলাকায় ওকে কি কেউ চেনে, চিনতেও পারে, সামনেই কত গুলো ট্যাক্সি দাঁড়িয়ে, নিমাই, পাচু, হেবো, নাসির কত শত ট্যাক্সি চালককে ও চেনে। ওই দাঁড়িয়ে থাকা ট্যাক্সির মধ্যে কেউ যদি ওকে চিনে ফেলে তাহলে কি হবে কি বলবে ওদের? একটা ট্যাক্সি চালকের সঙ্গিনী বড় জোর কোন বাড়ির কাজের মেয়ে অথবা হস্পিটালের আয়া এর বেশি দুর নয়। ইন্দ্রাণীর মতন সুন্দরী ধনী শিক্ষিতা রমণী ওর সঙ্গিনী, কেউ বিশ্বাস করতে চাইবে না, বরঞ্চ একটা বদনাম সম্পর্ক বানিয়ে নেবে। কিন্তু এই বদনাম সম্পর্কের পেছনে প্রগাড় ভালোবাসা ফল্গু ধারার মতন বয়ে চলেছে সেটা কি আর কেউ জানে?

অবশেষে সেই সব দ্বিধা কাটিয়ে ইন্দ্রাণীর কাঁধে হাত রেখে ওকে প্রবোধ দিয়ে বলে, “পাখী সবাই দেখছে, এইভাবে এইখানে দাঁড়িয়ে থাকা উচিত নয়।”

ইন্দ্রাণী চুপচাপ অন্যদিকে তাকিয়ে সবার অলক্ষ্যে চোখের কোনা মুছে নিয়ে ব্যাগ থেকে একটা সানগ্লাস বের করে চোখ ঢেকে নেয়। তারপরে ওর থেকে একটু তফাতে দাঁড়িয়ে ওকে জিজ্ঞেস করে, “তোমার এখন কি কোন কাজ আছে?”

দানা উত্তর খুঁজে পায় না, কিছুক্ষণ ওর মুখের দিকে তাকিয়ে বলে, “না তেমন কিছু নেই, এই ট্যাক্সি নিয়ে বেড়িয়ে পড়ব আর কি।”

ইন্দ্রাণী ঝাঁঝিয়ে উঠে ওকে বলে, “তাহলে তাই কর গে যাও, আমি আসছি...”

দানার ফাঁকা বুক চেঁচিয়ে ওঠে, “পাখী যেও না, পাখী একটু দাঁড়াও।” সেকথা মুখে আনতে পারল না দানা, মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইল কিছুক্ষণ। ইন্দ্রাণী ওর উত্তরের অপেক্ষা না করে হেঁটে চলে যায়। দানার দু’পা কে যেন পেরেক দিয়ে মাটির সাথে গেঁথে দেয়, নড়াচড়ার শক্তি হারিয়ে ইন্দ্রাণীর যাওয়ার পথের দিকে নির্বাক হয়ে চেয়ে থাকে। পাঁজর ভেঙ্গে এক চিৎকার ঠিকরে বেড়িয়ে আসে, “পাখী যেও না, পাখী, প্লিস আমাকে ছেড়ে যেও না।” সেই আওয়াজ পাঁজরের খাঁচায় শেষ পর্যন্ত আটকা পরে যায়।

ইন্দ্রাণী কয়েক পা এগিয়ে ওর দিকে ঘাড় বেঁকিয়ে মৃদু ঝাঁঝিয়ে ওঠে, “কি হল, সারাদিন কি ওইখানে দাঁড়িয়ে থাকবে নাকি আর কোন কাজ নেই?”

দানার প্রান হীন দেহ যেন হটাত করে প্রান ফিরে পায়, মন নেচে ওঠে যাক তাহলে ইন্দ্রাণী রাগেনি। সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত পায়ে ওর পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে বলে, “আমি না...”

ইন্দ্রাণী হেসে ফেলে, “তুমি না যাচ্ছেতাই একটা মানুষ, শুধু কাঁদাতেই জানো। যাই হোক, শোনো, আগামী সপ্তাহে আমার ছেলে মেয়ের গরমের ছুটি শুরু হচ্ছে। তখন হয়ত আমরা বেড়াতে যেতে পারি।” 

দানা মজা করে জিজ্ঞেস করল, “আমি যাবো সঙ্গে?”

ইন্দ্রাণী নাক কুঁচকে ঠোঁট উল্টে ভেংচি কেটে বলে, “ছেলের শখ দেখো, আমি যাবো সঙ্গে? আমি যাতে তাড়াতাড়ি গলায় দড়ি দিতে পারি তার ব্যাবস্থা করছ?”

দানা ওর কাঁধে আলতো ধাক্কা মেরে বলে, “দুটো ফাঁস লাগিও, একটা তুমি ঝুলবে অন্যটাতে আমি।”

ইন্দ্রাণী আবার ঝাঁঝিয়ে ওঠে, “সব সময়ে যাচ্ছেতাই কথাবার্তা। আমার কথা শোনো, দেড় মাসের মতন আমাদের দেখা হবে না বুঝলে।”

দানা মৃদু হেসে বলল, “হ্যাঁ বুঝেছি, শুচিস্মিতা আর দেবাদিত্যের সাথে আমার পরিচয় করিয়ে দেবে না?”

ইন্দ্রাণী হেসে উত্তর দেয়, “দানা নয়, তবে মিস্টার বিশ্বজিৎ মন্ডল আমার বাড়িতে আসতেই পারে।”

দানা হেসে উত্তরে বলে, “নিশ্চয় দেখা করব। তা এখন মহারাজ্ঞী কোথায় নিয়ে যেতে চান?”

হটাত সব বাধা কাটিয়ে ওর বাজু দুইহাতে জড়িয়ে ধরে ওর সাথে হাঁটতে হাঁটতে ইন্দ্রাণী বলে, “তুমি আজ সারাদিন আমার সাথে কাটাবে। দুপুরে আমার এক বান্ধবী আসার কথা আছে, বাড়িতেই একসাথে লাঞ্চ করা যাবে। তারপরে আমরা রাতে একটা পার্টিতে যাবো।”

দানা ওকে জিজ্ঞেস করল, “হটাত পার্টিতে? তুমি পাগল হয়েছ নাকি যে আমাকে নিয়ে পার্টিতে যাবে? সেখানে আমি কি করব পাখী?” 

“আরে এত চিন্তা করছ কেন? আমার কলেজের বান্ধবী সাংবাদিক রমলা বিশ্বাসের পার্টি। পার্টিতে শুধু মদ গেলা আর এরতার সাথে গায়ে ঢলে পরে গল্প করা ছাড়া আর কিছু হয় না বুঝলে।” দানার হাতখনি শক্ত করে ধরে আবেগ মাখা কণ্ঠে বলে, “তুমি শুধু আমাকে আগলে রেখো...”

দানা জানাল এই এলাকা থেকে ট্যাক্সি চাপতে নারাজ। ইন্দ্রাণী হেসে ওর হাতে গাড়ির চাবি ধরিয়ে দিল। দানা অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞস করে, “কই তুমি ত বলনি যে তোমার গাড়ি আছে?” 

ইন্দ্রাণী হেসে বলে, “গাড়ির কথা বললে কি আর তুমি আসতে? আর রাতের বেলা মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালাতে পারিনা তাই কোনোদিন গাড়ি নিয়ে বের হইনা।”
Like Reply


Messages In This Thread
RE: মহানগরের আলেয়া - by Nilpori - 08-01-2019, 02:50 PM



Users browsing this thread: 8 Guest(s)