08-01-2019, 10:33 AM
রাজ বৈদ্য এসে ঔষধি দিয়ে চলে যেতেই মহারানী কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন যেন। মৈথিলীর হাত দুটো নিজের কপালে ঠেকিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন। মৈথিলী নিজের মাতৃ সম মহারানী কে নিজের বুকে টেনে নিয়ে হয়ত নিজের কান্না ও লোকাল। কিন্তু যুবরাজের দিকে তাকিয়ে মৈথিলী ও সামলাতে পারল না নিজেকে। ডান কাঁধে গভীর ক্ষত। এখনো রক্ত ক্ষরণ বন্ধ হয় নি। বাম উরু তে তরবারির আঘাতের গভীর গর্ত। অচেতন যুবরাজ। নিজের জমে থাকা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো শরীর কে থরথর করে আন্দোলিত করে। মৈথিলীর বুকে থাকা ক্রন্দনরতা মহারাণী ও অনুভব করলেন এই আন্দোলন।
“নাহ আর দেরি করা ঠিক হবে না। এখনি দাদার সাথে কথা না বললে হয়ত যুবরাজ কে বাঁচানো যাবে না”।
মহারানী কে যুবরাজের পাশে বসিয়ে রেখে, সাদা কাপড় টা মাথায় জড়িয়ে বেড়িয়ে এলো মৈথিলী।
রাজমহলের বাইরে এসে সারথী কে ইশারা করতেই এক ঘোড়ার রথ এসে হাজির হলো। হাতে একটা জলন্ত মশাল নিয়ে সোজা সভাসদ গ্রামের দিকে রথ চালানোর হুকুম দিলো মৈথিলী। বৃস্টি ভেজা পথে খানিক টা চলার পরেই সভাসদ গ্রামে উপস্থিত হল রথ। রথ থেকে নেমে একটু বেশ সাজানো গৃহের সামনে দাঁড়াতেই বেশ বলশালি এবং অধিক উচ্চতার পুরুষ বেড়িয়ে এলেন গৃহ থেকে। বেশ উষ্ণ অভ্যর্থনা করলেন তিনি মৈথিলী কে।
- আসুন দেবী। এই ভানু র গৃহে আসার কারন জানালে খুব আনন্দ পাব”।
এমন উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েও মৈথিলী বিশেষ আনন্দিত নয় সেটা বোঝাই গেল।সম্ভাষণের জবাবে প্রতি সম্ভাষণ এর ধার ধারলো না মৈথিলী। কিছুমাত্র অপেক্ষা না করে সোজা চলে এলো গৃহ মধ্যে।
ভানুপ্রতাপের দ্বার রক্ষী রা একটু অবাক ই হল। কারন মৈথিলী দেবী কে এই ভাবে কখন কোন পুরুষের গৃহে আসতে কোনদিন ও তারা দেখেনি। এবং ভানুপ্রতাপ কে কোন মহিলার সাথে বন্ধ কক্ষে ও তারা দেখেনি সেটা বলাই বাহুল্য।
কক্ষে প্রবেশ করেই মৈথিলী কে যেন একটু অধৈর্য মনে হল। ভানু জলন্ত প্রদীপ গুলর দিকে তাকাতেই উজ্জ্বল হয়ে জ্বলতে থাকা প্রদীপ গুলো নিজেদের যেন গুটিয়ে নিল। খুব স্তিমিত হয়ে এলো আলো। সাদা কাপড় টা মাথা থেকে খুলতেই স্তিমিত হয়ে যেতে থাকা আলোতে দেখা গেলো, মৈথিলীর নারি রূপ যেন বদলে যাচ্ছে। তন্বী শরীর টা বদলে ভীষণ রূপবান একজন পুরুষে বদলে গেল মুহূর্তেই। আজানুলম্বিত বাহুর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হত পুরুষ রা সেই বাহু এখন কঠিন মেদহীন নির্লোম পেশীবহুল। যে রক্তিম কেশরাশি মৈথিলীর প্রধান সম্পদ ছিল সেখানে ঘাড় অব্দি পুরুষ কেশ। উন্নত কেশরীর মতন গ্রীবা।
- এখানে আসা উচিৎ হয় নি তোমার জিষ্ণু”! ভানু প্রতাপ বিশেষ ভাবে একটু ভয়ার্ত ভাবে কথা টা বললেন মৈথিলী কে। বোঝা গেল নারী বেশি এই মৈথিলীর আসল নাম জিষ্ণু।
- জানি দাদা। কিন্তু যে রাজ বংশে আমরা এতদিন সুখে বাস করছি সেই রাজপরিবারে আজ ভয়ঙ্কর বিপদ।
- তাতে আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের জিবনের উদ্দ্যেশ্য অনেক বড়। এই ভাবে সামনে এসে সেটাকে নষ্ট করতে পারব না”
দাদার কথা শুনে জিষ্ণু বলে উঠল
- কি? সবার আগে আমরা মানুষ কি নই দাদা? মানবিকতা কি সব উদ্দেশ্য আর লক্ষ্যের আগে নয়? যে রাজা আমাদের আশ্রয় দিল সেই রাজার আশ্রয় না পেলে আমাদের উদ্যেশ্য কি পুরন হত দাদা!
- তুমি আমাকে এই সব বলবে না জিষ্ণু। আমি জানি মানবিকতা কি আর তার প্রয়োজন কতটা। আর আমি মানবিকতা কে কি ভাবে দেখি সেটা তোমার থেকে ভাল করে কেউ জানে না, তাই না?” ভানুর তপ্ত স্বরে জিষ্ণু যেন একটু লজ্জিত হল আর তার সাথে ভয়ার্ত দেখালো জিষ্ণু কে।মনে মনে ভাবল “উফ কি করছে সে? সে তার প্রানাধিক প্রিয় দাদা কে এই সব বলছে কি করে? যে দাদা কে নিজের পিতার থেকে বেশী ভক্তি করে তাকে এই সব কথা বলছে কি করে? সত্যি দাদাকে এই ভাবে বলা উচিৎ হয় নি” । এদিকে ভানু বলে চলেছেন
- “ একজন মাত্র যোদ্ধা জনা তিরিশ সেনা কে কয়েক লহমায় হত্যা করে দিয়েছে, তোমার কি মনে হয় জিষ্ণু এই খবর টা চাপা থাকবে? আমাদের মহান শত্রুর কথা ছেড়ে দাও সাধারন মানুষ ও জানে এই টা করার ক্ষমতা একমাত্র কার আছে। আর তুমি নিজেদের কথা সামান্য ও ভাবলে না? চলে গেলে যুবরাজ কে বাঁচাতে? আমাদের মা বন্দী জিষ্ণু, তার জন্য আমাদের বেঁচে থাকতে হবে! আর তুমি এক লহমায় সব ভাবনা সব চিন্তা সেশ করে দিলে”?
জিষ্ণু ঘুরে ভানুর দিকে তাকাতেই ভানু দেখল জিষ্ণুর চোখে জল। জিষ্ণু কি ভাবে দাদাকে বোঝায়, যে সে কেন গেছিল যুবরাজ কে বাঁচাতে? জিষ্ণু ভানুর পা দুটো কে নিজের দু হাতে নিয়ে হাউ হাউ করে ক্রন্দনরত অবস্থায় বলল “ দাদা আমাকে ক্ষমা করে দাও, যুবরাজ কে ওরা মেরে ফেলত দাদা, মেরে ফেলত! আমি না গেলে আজকে এই সম্পূর্ণ রাজ্যে অন্ধকার নেমে আসত দাদা, আমাকে ক্ষমা করে দাও”। ভানু চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলেন জিষ্ণু কে নিজের পা থেকে তুলে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। বললেন
- তোমাকে আমার ভাই হিসাবে পেয়ে আমি গর্বিত জিষ্ণু, আমাকে ভাবতে দাও।
- দাদা আগে যুবরাজ কে বাঁচাও তুমি দয়া করে।
- হুম্ম সেটা বড় ব্যাপার নয়। তোমাকে ঔষধি দিচ্ছি, মহারানীর অলক্ষ্যে ওকে সেবা করবে। দুই দিনেই ও ঠিক হয়ে যাবে। বাকি রইল যুদ্ধ। তোমাকে বেরতে হবে না, আমি বালি কে বলছি ও ই যাবে কালকের যুদ্ধে। কালকে না গেলে যুদ্ধ তোমর রা সেশ করে দেবে কালকেই”
জিষ্ণু, ভানুর কথা শুনে ভানু কে জড়িয়ে ধরে কাঁদল অনেকক্ষন। ও জানত দাদা ওর কথা ফেলতে পারবে না। দাদার সাথে কথায় জড়িয়ে পরার জন্য নিজেকেই দোষী ভেবে ওর এই কান্না। আর তাছাড়া নিজের ভাই দের কে ছেড়ে থাকতে কার ই বা ভাল লাগে? ভানুও যেন মুছে নিল নিজের চোখের জল , নিজের প্রাণপ্রিয় ভাই কে বুকে নিয়ে। কতক্ষন কাটলো কে জানে!দুই ভাই প্রায় এক বৎসর পরে একে অপর কে দেখছে।জিষ্ণু আবেগে ভেসে গেলেও, ভানু নিজেকে সামলে নিয়ে জিষ্ণু কে অনুরোধ করল কক্ষ ত্যাগ করতে।
সামনের চারপায়া তে রাখা দুটো কাঁচের শিশি তে রাখা একটা গোলাপি রঙের শিশি উঠিয়ে জিষ্ণু পান করে নিল। আর অন্য টা হাতে নিতেই ততক্ষনে নিজের পুরুষ রূপ বদলে গিয়ে মৈথিলী হতে সময় লাগলো না। পুনর্বার মাথায় সাদা কাপড় দিয়ে কেশরাশি ঢেকে নিলো মৈথিলী রূপী জিষ্ণু।
- “আপনার যাত্রা শুভ হোক দেবী”।ভানুর সম্ভাষণে, ভানুর দিকে তাকিয়ে দুই হাত জড়ো করে প্রনাম করে রথে উঠল মৈথিলী।
“নাহ আর দেরি করা ঠিক হবে না। এখনি দাদার সাথে কথা না বললে হয়ত যুবরাজ কে বাঁচানো যাবে না”।
মহারানী কে যুবরাজের পাশে বসিয়ে রেখে, সাদা কাপড় টা মাথায় জড়িয়ে বেড়িয়ে এলো মৈথিলী।
রাজমহলের বাইরে এসে সারথী কে ইশারা করতেই এক ঘোড়ার রথ এসে হাজির হলো। হাতে একটা জলন্ত মশাল নিয়ে সোজা সভাসদ গ্রামের দিকে রথ চালানোর হুকুম দিলো মৈথিলী। বৃস্টি ভেজা পথে খানিক টা চলার পরেই সভাসদ গ্রামে উপস্থিত হল রথ। রথ থেকে নেমে একটু বেশ সাজানো গৃহের সামনে দাঁড়াতেই বেশ বলশালি এবং অধিক উচ্চতার পুরুষ বেড়িয়ে এলেন গৃহ থেকে। বেশ উষ্ণ অভ্যর্থনা করলেন তিনি মৈথিলী কে।
- আসুন দেবী। এই ভানু র গৃহে আসার কারন জানালে খুব আনন্দ পাব”।
এমন উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েও মৈথিলী বিশেষ আনন্দিত নয় সেটা বোঝাই গেল।সম্ভাষণের জবাবে প্রতি সম্ভাষণ এর ধার ধারলো না মৈথিলী। কিছুমাত্র অপেক্ষা না করে সোজা চলে এলো গৃহ মধ্যে।
ভানুপ্রতাপের দ্বার রক্ষী রা একটু অবাক ই হল। কারন মৈথিলী দেবী কে এই ভাবে কখন কোন পুরুষের গৃহে আসতে কোনদিন ও তারা দেখেনি। এবং ভানুপ্রতাপ কে কোন মহিলার সাথে বন্ধ কক্ষে ও তারা দেখেনি সেটা বলাই বাহুল্য।
কক্ষে প্রবেশ করেই মৈথিলী কে যেন একটু অধৈর্য মনে হল। ভানু জলন্ত প্রদীপ গুলর দিকে তাকাতেই উজ্জ্বল হয়ে জ্বলতে থাকা প্রদীপ গুলো নিজেদের যেন গুটিয়ে নিল। খুব স্তিমিত হয়ে এলো আলো। সাদা কাপড় টা মাথা থেকে খুলতেই স্তিমিত হয়ে যেতে থাকা আলোতে দেখা গেলো, মৈথিলীর নারি রূপ যেন বদলে যাচ্ছে। তন্বী শরীর টা বদলে ভীষণ রূপবান একজন পুরুষে বদলে গেল মুহূর্তেই। আজানুলম্বিত বাহুর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হত পুরুষ রা সেই বাহু এখন কঠিন মেদহীন নির্লোম পেশীবহুল। যে রক্তিম কেশরাশি মৈথিলীর প্রধান সম্পদ ছিল সেখানে ঘাড় অব্দি পুরুষ কেশ। উন্নত কেশরীর মতন গ্রীবা।
- এখানে আসা উচিৎ হয় নি তোমার জিষ্ণু”! ভানু প্রতাপ বিশেষ ভাবে একটু ভয়ার্ত ভাবে কথা টা বললেন মৈথিলী কে। বোঝা গেল নারী বেশি এই মৈথিলীর আসল নাম জিষ্ণু।
- জানি দাদা। কিন্তু যে রাজ বংশে আমরা এতদিন সুখে বাস করছি সেই রাজপরিবারে আজ ভয়ঙ্কর বিপদ।
- তাতে আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের জিবনের উদ্দ্যেশ্য অনেক বড়। এই ভাবে সামনে এসে সেটাকে নষ্ট করতে পারব না”
দাদার কথা শুনে জিষ্ণু বলে উঠল
- কি? সবার আগে আমরা মানুষ কি নই দাদা? মানবিকতা কি সব উদ্দেশ্য আর লক্ষ্যের আগে নয়? যে রাজা আমাদের আশ্রয় দিল সেই রাজার আশ্রয় না পেলে আমাদের উদ্যেশ্য কি পুরন হত দাদা!
- তুমি আমাকে এই সব বলবে না জিষ্ণু। আমি জানি মানবিকতা কি আর তার প্রয়োজন কতটা। আর আমি মানবিকতা কে কি ভাবে দেখি সেটা তোমার থেকে ভাল করে কেউ জানে না, তাই না?” ভানুর তপ্ত স্বরে জিষ্ণু যেন একটু লজ্জিত হল আর তার সাথে ভয়ার্ত দেখালো জিষ্ণু কে।মনে মনে ভাবল “উফ কি করছে সে? সে তার প্রানাধিক প্রিয় দাদা কে এই সব বলছে কি করে? যে দাদা কে নিজের পিতার থেকে বেশী ভক্তি করে তাকে এই সব কথা বলছে কি করে? সত্যি দাদাকে এই ভাবে বলা উচিৎ হয় নি” । এদিকে ভানু বলে চলেছেন
- “ একজন মাত্র যোদ্ধা জনা তিরিশ সেনা কে কয়েক লহমায় হত্যা করে দিয়েছে, তোমার কি মনে হয় জিষ্ণু এই খবর টা চাপা থাকবে? আমাদের মহান শত্রুর কথা ছেড়ে দাও সাধারন মানুষ ও জানে এই টা করার ক্ষমতা একমাত্র কার আছে। আর তুমি নিজেদের কথা সামান্য ও ভাবলে না? চলে গেলে যুবরাজ কে বাঁচাতে? আমাদের মা বন্দী জিষ্ণু, তার জন্য আমাদের বেঁচে থাকতে হবে! আর তুমি এক লহমায় সব ভাবনা সব চিন্তা সেশ করে দিলে”?
জিষ্ণু ঘুরে ভানুর দিকে তাকাতেই ভানু দেখল জিষ্ণুর চোখে জল। জিষ্ণু কি ভাবে দাদাকে বোঝায়, যে সে কেন গেছিল যুবরাজ কে বাঁচাতে? জিষ্ণু ভানুর পা দুটো কে নিজের দু হাতে নিয়ে হাউ হাউ করে ক্রন্দনরত অবস্থায় বলল “ দাদা আমাকে ক্ষমা করে দাও, যুবরাজ কে ওরা মেরে ফেলত দাদা, মেরে ফেলত! আমি না গেলে আজকে এই সম্পূর্ণ রাজ্যে অন্ধকার নেমে আসত দাদা, আমাকে ক্ষমা করে দাও”। ভানু চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলেন জিষ্ণু কে নিজের পা থেকে তুলে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। বললেন
- তোমাকে আমার ভাই হিসাবে পেয়ে আমি গর্বিত জিষ্ণু, আমাকে ভাবতে দাও।
- দাদা আগে যুবরাজ কে বাঁচাও তুমি দয়া করে।
- হুম্ম সেটা বড় ব্যাপার নয়। তোমাকে ঔষধি দিচ্ছি, মহারানীর অলক্ষ্যে ওকে সেবা করবে। দুই দিনেই ও ঠিক হয়ে যাবে। বাকি রইল যুদ্ধ। তোমাকে বেরতে হবে না, আমি বালি কে বলছি ও ই যাবে কালকের যুদ্ধে। কালকে না গেলে যুদ্ধ তোমর রা সেশ করে দেবে কালকেই”
জিষ্ণু, ভানুর কথা শুনে ভানু কে জড়িয়ে ধরে কাঁদল অনেকক্ষন। ও জানত দাদা ওর কথা ফেলতে পারবে না। দাদার সাথে কথায় জড়িয়ে পরার জন্য নিজেকেই দোষী ভেবে ওর এই কান্না। আর তাছাড়া নিজের ভাই দের কে ছেড়ে থাকতে কার ই বা ভাল লাগে? ভানুও যেন মুছে নিল নিজের চোখের জল , নিজের প্রাণপ্রিয় ভাই কে বুকে নিয়ে। কতক্ষন কাটলো কে জানে!দুই ভাই প্রায় এক বৎসর পরে একে অপর কে দেখছে।জিষ্ণু আবেগে ভেসে গেলেও, ভানু নিজেকে সামলে নিয়ে জিষ্ণু কে অনুরোধ করল কক্ষ ত্যাগ করতে।
সামনের চারপায়া তে রাখা দুটো কাঁচের শিশি তে রাখা একটা গোলাপি রঙের শিশি উঠিয়ে জিষ্ণু পান করে নিল। আর অন্য টা হাতে নিতেই ততক্ষনে নিজের পুরুষ রূপ বদলে গিয়ে মৈথিলী হতে সময় লাগলো না। পুনর্বার মাথায় সাদা কাপড় দিয়ে কেশরাশি ঢেকে নিলো মৈথিলী রূপী জিষ্ণু।
- “আপনার যাত্রা শুভ হোক দেবী”।ভানুর সম্ভাষণে, ভানুর দিকে তাকিয়ে দুই হাত জড়ো করে প্রনাম করে রথে উঠল মৈথিলী।