08-01-2019, 10:32 AM
খোলা প্রান্তরে তখন ও লড়ে চলেছে যুবরাজের ছোট সেনার টুকরি টা। যুবরাজের তরবারির আঘাতে প্রান হারিয়েছে বেশ কিছু ঘাতক। কিন্তু এখনো বেশ বড় টুকরি টার জীবন। যুবরাজ বুঝে গেছেন তার মৃত্যু আসন্ন।আসন্ন রাত্রি যেন যুবরাজের জীবনেও রাত্রি ডেকে নিয়ে এল। ওর দুজন দেহরক্ষী ওকে পালানোর সুযোগ করে দিয়ে নিজেরা ভিড়ে গেছে যুদ্ধে। যুবরাজ কোনরকমে নিজের আহত শরির টা নিয়ে এগিয়ে চলেছেন পা ঘষটে ঘষটে সাম্নের দিকে। যদি সামনে কোন সাহায্য পাওয়া যায় এই আশায় যুবরাজ এগিয়ে চলেছেন কোনরকমে।
জম্বুদ্বীপের এই বিশাল ভূখণ্ডে একটি ছোট্ট দেশের যুবরাজ। তোমর রাজ্যের রাজার এই অতর্কিত আক্রমনের জন্য প্রস্তুত ছিল না উল্লম রাজ্য। প্রধান যুদ্ধেও মনে হয় মহারাজ পরাস্ত হয়েছেন। কথাটা ভেবেই যেন যুবরাজ আর ও ভেঙ্গে পড়লেন। কেন যে মৈথিলীর কথা শুনলেন না সেই নিয়েই আক্ষেপ হচ্ছে যুবরাজের এখন। হয়ত না বেরলে ধরা পড়ত না সে নিজে, আর তাকে বন্দী করে তোমর রাজা যুদ্ধে জিতেও জেত না। এখন তাকেই পালাতে হবে যাতে তাকে বন্দী করতে না পারে তোমর রাজ্যের সেনা রা। রুক্ষ মাটিতে বৃষ্টি মাটিকে পিচ্ছিল করে দিয়েছে। আহত পায়ে দৌড়তে গিয়ে বার বার পড়ে যাচ্ছেন যুবরাজ। মাত্র সাত জন সেনা নিয়ে প্রহর খানেক লড়াই করা মুখের কথা নয়। কিন্তু ওরা অনেক জন ছিল। যুবরাজ কে মেরে ফেলা ওদের উদ্দেশ্য ছিল না। বন্দী করার উদ্দেশ্য ছিল,না হলে হয়ত মেরেই ফেলত।
আর সেটা বুঝে যেতেই যুবরাজ পালিয়ে এসেছেন লড়াই এর জায়গা থেকে দূরে একটু। উদ্দেশ্য ওদের হাতে না পরা। কিন্তু সেশ রক্ষা হবে না বলেই মনে হচ্ছে। কারন পিছনে অনেক গুলো ঘোড়ার ক্ষুরের আওয়াজ যুবরাজ পাচ্ছেন। ওর দেহরক্ষী রা যে সবাই মৃত সেটা বুঝতে সময় নিলেন না যুবরাজ। কিন্তু ওদের হাতে নিজেকে তুলে দেবেন না। লড়বেন। লড়াই করেই মরবেন যুবরাজ। নিজেকে তুলে দাঁড়িয়ে পড়লেন যুবরাজ। এই অষ্টাদশ বছরে নিজের মৃত্যু মানতে না পারলেও দেশের জন্য এই টা তাকে করতেই হবে। বিদ্যুতের আলোয় সামনে থেকে আগিয়ে আসা বিশাল ঘোড়সওয়ার গুলর দিকে তাকিয়ে চোয়াল টা শক্ত করে তলোয়ার টা বের করে দাঁড়িয়ে পড়লেন যুবরাজ। লড়বেন আজ, আমৃত্যু!!!!!!
সামনের বিশাল দেহি লোকটা তলোয়ার নিয়ে সামনে আসতেই নিজের পাশে রাখা বল্লম টা ছুঁড়লেন যুবরাজ। আহত হবার জন্য সেই রকম শক্তি না দিতে পারলেও বল্লম টা সামনের লোকটার কাঁধ ছুয়ে বেড়িয়ে যেতেই টাল সামলাতে না পেরে পড়ে গেল ঘোড়া থেকে। ততক্ষনে ঠিক তার পিছনের জন এসে তলোয়ার টা সোজা যুবরাজের মুণ্ডু লক্ষ করে চালাতেই যুবরাজ বসে পড়লেন। পিছনের গাছটার দেহ কেটে বসে গেল অনেকটা তলোয়ার টা। ততক্ষনে আর ও দুজন এসে উপস্থিত। নিজের তলোয়ার টা অভ্যস্ত হাতে চালাতেই যন্ত্রণায় মুখ টা কুঁচকে বসে পড়লেন যুবরাজ। কাঁধের কাছে ভয়ঙ্কর ক্ষত তাকে নিজের প্রিয় তলোয়ারটা চালানর যোগ্য ও রাখেনি। কোনরকমে তলোয়ারের আঘাত টা সামলালেন নিজের তলোয়ার দিয়ে। এতই জোরে চালিয়েছিল তলোয়ার টা সামনের সৈনিক টা যুবরাজের তলোয়ার টা কেটে গিয়ে শিরস্ত্রাণ এ আঘাত করল সেটা। পড়ে গেলেন যুবরাজ মাটিতে। পড়ে গিয়ে রক্তাক্ত হয়ে বসে পড়লেন, দেখলেন বেশ কিছু সেনা ওকে ঘিরে ফেলেছে। অর্ধেক কাটা তরবারি টা নিয়ে উঠতে যেতেই একটি ভয়ংকর পদাঘাত যুবরাজ কে যেন মিশিয়ে দিল মাটির সাথে। মুখ টা মাটিতে মিশে গেছিল যেন। ওদের মধ্যে একজন ঘোড়া থেকে নেমে যুবরাজ কে গলা টিপে ধরে তুলে গাছে সাথে চেপে ধরল বেশ শক্তির সাথে। যুবরাজ ছটফট করতে শুরু করলেন। আহত যুবরাজ কে বেঁধে নিয়ে যাওয়াতে আর কোন বাধাই রইল না সামনে।
যুবরাজের চোখ টা যেন বুজে আসছিল অপমানে। ঠিক তখন ই যেন কি একটা হল। যুবরাজ দেখলেন যে যে সৈন্য টা ওকে গলা টিপে ধরে চেপে ধরেছিল সেই গাছের সাথে লেগে গেছে অবিছেদ্য ভাবে। একটা তীর সেনা টার গলায় বিধে গাছের সাথে লেপটে নিয়ে গাছ টা কেই এফোঁড় ওফোঁড় করে দিয়েছে।
চোখ গুলো বড় বড় হয়ে গেল যুবরাজের নিজের ই অজান্তে। এতো ভয়ঙ্কর শক্তিশালী!!! ততক্ষনে সামনের সেনা দের মধ্যে একটা ব্যস্ততা। চোখের পলকেই আর ও দুটো সেনা ঘোড়া থেকে মাটিতে পড়ে ধরাশায়ী হল। মেঘের ফাঁকে উঁকি দেওয়া কঠিন শীতল আলোয় ঠিক দেখা না গেলেও এটা বুঝতে সমস্যা হচ্ছে না যে তীর গুলো যেন শরীর টা ফুঁড়ে বেড়িয়ে চলে যাচ্ছে কোথাও। এতো ভয়ঙ্কর শক্তিধর উল্লম রাজ্যে কেউ আছে বলে যুবরাজ জানেন না। অল্প সময়েই প্রায় জনা দশেক সেনা কে নরকে পাঠিয়ে দিল অজানা তীরন্দাজ।
ততক্ষনে সামনের সেনারা নিজেদের গুছিয়ে ঢাল সামনে এনে নিজেদের একটা সারি তে এনে ফেলেছে। কারন তীরন্দাজ এক সাথে দুটি তিনটি করে তীর বর্ষণ করছিল। যুবরাজ নিস্তেজ হয়ে পড়েছিলেন আর দেখছিলেন একটি বিশাল কাল ঘোড়ায় তীর বর্ষণ করতে করতে এগিয়ে আসছে একজন কেউ। অসম্ভব ক্ষিপ্র গতিতে ধনুক থেকে তীর বর্ষণ করে চলেছিল যোদ্ধা টি। নিক্ষেপিত দুটি তীরের মাঝে বিশেষ জায়গা ছিল না বললেই চলে। মুহূর্তেই বেঁচে থাকা সেনার দল নিজেদের এক সারি তে করে নিয়ে যুবরাজের দিক থেকে উলটো দিকে চলে গেল। ততক্ষনে তীরন্দাজ যুবরাজের সামনে এসে ঘোড়া থেকে নেমে যুবরাজ কে আড়াল করে দাঁড়িয়ে পড়েছে।
নিজের ধনুক টা যুবরাজের পাশে রেখে কোশ থেকে বেশ বলিষ্ঠ একটি তলোয়ার বের করে নিয়েছে। চোখ বুজে আসছে যুবরাজের। রক্ত ক্ষরণ হয়েছে বেশ। শরীরে আর কোন শক্তি অবশিষ্ট নেই বললেই চলে। সামনে আবছা ভাবে দেখছেন ভীষণ, ভীষণ ক্ষিপ্রতায় তলোয়ার চালাচ্ছে দেব পুরুষ টি। মনে হচ্ছে শত শত সেনা তলোয়ার চালাচ্ছে একসাথে। “ধপ” করে একটা আওয়াজে পাশে তাকাতেই একটা রক্ত মাখা কাটা মুণ্ডু দেখেই চোখ বুঝলেন যুবরাজ।
জম্বুদ্বীপের এই বিশাল ভূখণ্ডে একটি ছোট্ট দেশের যুবরাজ। তোমর রাজ্যের রাজার এই অতর্কিত আক্রমনের জন্য প্রস্তুত ছিল না উল্লম রাজ্য। প্রধান যুদ্ধেও মনে হয় মহারাজ পরাস্ত হয়েছেন। কথাটা ভেবেই যেন যুবরাজ আর ও ভেঙ্গে পড়লেন। কেন যে মৈথিলীর কথা শুনলেন না সেই নিয়েই আক্ষেপ হচ্ছে যুবরাজের এখন। হয়ত না বেরলে ধরা পড়ত না সে নিজে, আর তাকে বন্দী করে তোমর রাজা যুদ্ধে জিতেও জেত না। এখন তাকেই পালাতে হবে যাতে তাকে বন্দী করতে না পারে তোমর রাজ্যের সেনা রা। রুক্ষ মাটিতে বৃষ্টি মাটিকে পিচ্ছিল করে দিয়েছে। আহত পায়ে দৌড়তে গিয়ে বার বার পড়ে যাচ্ছেন যুবরাজ। মাত্র সাত জন সেনা নিয়ে প্রহর খানেক লড়াই করা মুখের কথা নয়। কিন্তু ওরা অনেক জন ছিল। যুবরাজ কে মেরে ফেলা ওদের উদ্দেশ্য ছিল না। বন্দী করার উদ্দেশ্য ছিল,না হলে হয়ত মেরেই ফেলত।
আর সেটা বুঝে যেতেই যুবরাজ পালিয়ে এসেছেন লড়াই এর জায়গা থেকে দূরে একটু। উদ্দেশ্য ওদের হাতে না পরা। কিন্তু সেশ রক্ষা হবে না বলেই মনে হচ্ছে। কারন পিছনে অনেক গুলো ঘোড়ার ক্ষুরের আওয়াজ যুবরাজ পাচ্ছেন। ওর দেহরক্ষী রা যে সবাই মৃত সেটা বুঝতে সময় নিলেন না যুবরাজ। কিন্তু ওদের হাতে নিজেকে তুলে দেবেন না। লড়বেন। লড়াই করেই মরবেন যুবরাজ। নিজেকে তুলে দাঁড়িয়ে পড়লেন যুবরাজ। এই অষ্টাদশ বছরে নিজের মৃত্যু মানতে না পারলেও দেশের জন্য এই টা তাকে করতেই হবে। বিদ্যুতের আলোয় সামনে থেকে আগিয়ে আসা বিশাল ঘোড়সওয়ার গুলর দিকে তাকিয়ে চোয়াল টা শক্ত করে তলোয়ার টা বের করে দাঁড়িয়ে পড়লেন যুবরাজ। লড়বেন আজ, আমৃত্যু!!!!!!
সামনের বিশাল দেহি লোকটা তলোয়ার নিয়ে সামনে আসতেই নিজের পাশে রাখা বল্লম টা ছুঁড়লেন যুবরাজ। আহত হবার জন্য সেই রকম শক্তি না দিতে পারলেও বল্লম টা সামনের লোকটার কাঁধ ছুয়ে বেড়িয়ে যেতেই টাল সামলাতে না পেরে পড়ে গেল ঘোড়া থেকে। ততক্ষনে ঠিক তার পিছনের জন এসে তলোয়ার টা সোজা যুবরাজের মুণ্ডু লক্ষ করে চালাতেই যুবরাজ বসে পড়লেন। পিছনের গাছটার দেহ কেটে বসে গেল অনেকটা তলোয়ার টা। ততক্ষনে আর ও দুজন এসে উপস্থিত। নিজের তলোয়ার টা অভ্যস্ত হাতে চালাতেই যন্ত্রণায় মুখ টা কুঁচকে বসে পড়লেন যুবরাজ। কাঁধের কাছে ভয়ঙ্কর ক্ষত তাকে নিজের প্রিয় তলোয়ারটা চালানর যোগ্য ও রাখেনি। কোনরকমে তলোয়ারের আঘাত টা সামলালেন নিজের তলোয়ার দিয়ে। এতই জোরে চালিয়েছিল তলোয়ার টা সামনের সৈনিক টা যুবরাজের তলোয়ার টা কেটে গিয়ে শিরস্ত্রাণ এ আঘাত করল সেটা। পড়ে গেলেন যুবরাজ মাটিতে। পড়ে গিয়ে রক্তাক্ত হয়ে বসে পড়লেন, দেখলেন বেশ কিছু সেনা ওকে ঘিরে ফেলেছে। অর্ধেক কাটা তরবারি টা নিয়ে উঠতে যেতেই একটি ভয়ংকর পদাঘাত যুবরাজ কে যেন মিশিয়ে দিল মাটির সাথে। মুখ টা মাটিতে মিশে গেছিল যেন। ওদের মধ্যে একজন ঘোড়া থেকে নেমে যুবরাজ কে গলা টিপে ধরে তুলে গাছে সাথে চেপে ধরল বেশ শক্তির সাথে। যুবরাজ ছটফট করতে শুরু করলেন। আহত যুবরাজ কে বেঁধে নিয়ে যাওয়াতে আর কোন বাধাই রইল না সামনে।
যুবরাজের চোখ টা যেন বুজে আসছিল অপমানে। ঠিক তখন ই যেন কি একটা হল। যুবরাজ দেখলেন যে যে সৈন্য টা ওকে গলা টিপে ধরে চেপে ধরেছিল সেই গাছের সাথে লেগে গেছে অবিছেদ্য ভাবে। একটা তীর সেনা টার গলায় বিধে গাছের সাথে লেপটে নিয়ে গাছ টা কেই এফোঁড় ওফোঁড় করে দিয়েছে।
চোখ গুলো বড় বড় হয়ে গেল যুবরাজের নিজের ই অজান্তে। এতো ভয়ঙ্কর শক্তিশালী!!! ততক্ষনে সামনের সেনা দের মধ্যে একটা ব্যস্ততা। চোখের পলকেই আর ও দুটো সেনা ঘোড়া থেকে মাটিতে পড়ে ধরাশায়ী হল। মেঘের ফাঁকে উঁকি দেওয়া কঠিন শীতল আলোয় ঠিক দেখা না গেলেও এটা বুঝতে সমস্যা হচ্ছে না যে তীর গুলো যেন শরীর টা ফুঁড়ে বেড়িয়ে চলে যাচ্ছে কোথাও। এতো ভয়ঙ্কর শক্তিধর উল্লম রাজ্যে কেউ আছে বলে যুবরাজ জানেন না। অল্প সময়েই প্রায় জনা দশেক সেনা কে নরকে পাঠিয়ে দিল অজানা তীরন্দাজ।
ততক্ষনে সামনের সেনারা নিজেদের গুছিয়ে ঢাল সামনে এনে নিজেদের একটা সারি তে এনে ফেলেছে। কারন তীরন্দাজ এক সাথে দুটি তিনটি করে তীর বর্ষণ করছিল। যুবরাজ নিস্তেজ হয়ে পড়েছিলেন আর দেখছিলেন একটি বিশাল কাল ঘোড়ায় তীর বর্ষণ করতে করতে এগিয়ে আসছে একজন কেউ। অসম্ভব ক্ষিপ্র গতিতে ধনুক থেকে তীর বর্ষণ করে চলেছিল যোদ্ধা টি। নিক্ষেপিত দুটি তীরের মাঝে বিশেষ জায়গা ছিল না বললেই চলে। মুহূর্তেই বেঁচে থাকা সেনার দল নিজেদের এক সারি তে করে নিয়ে যুবরাজের দিক থেকে উলটো দিকে চলে গেল। ততক্ষনে তীরন্দাজ যুবরাজের সামনে এসে ঘোড়া থেকে নেমে যুবরাজ কে আড়াল করে দাঁড়িয়ে পড়েছে।
নিজের ধনুক টা যুবরাজের পাশে রেখে কোশ থেকে বেশ বলিষ্ঠ একটি তলোয়ার বের করে নিয়েছে। চোখ বুজে আসছে যুবরাজের। রক্ত ক্ষরণ হয়েছে বেশ। শরীরে আর কোন শক্তি অবশিষ্ট নেই বললেই চলে। সামনে আবছা ভাবে দেখছেন ভীষণ, ভীষণ ক্ষিপ্রতায় তলোয়ার চালাচ্ছে দেব পুরুষ টি। মনে হচ্ছে শত শত সেনা তলোয়ার চালাচ্ছে একসাথে। “ধপ” করে একটা আওয়াজে পাশে তাকাতেই একটা রক্ত মাখা কাটা মুণ্ডু দেখেই চোখ বুঝলেন যুবরাজ।