08-01-2019, 10:31 AM
তীব্র ঝোড়ো হাওয়ার সাথে হাল্কা ফিনফিনিয়ে বৃষ্টি আর সাথে বিদ্যুতের তীব্র ঝলকানির মাঝেই মৈথিলী রাজপ্রাসাদের সাত মহল থেকে বেরিয়ে এলো চুপিসারে। কাউকে জানাতে চায় না তার বহিরাগমন।বিদেশী আক্রমণের এই খারাপ সময়ে প্রাসাদের প্রহরীরা প্রাচীরের ওপরে তীব্র ধারাল তীর আর বল্লম নিয়ে প্রহরা দিচ্ছে। এই অবস্থায় মৈথিলীর এই ভাবে লুকিয়ে যাওয়া দেখতে পেলেই মৃত্যু অনিবার্য। শত শত বিষাক্ত তীর বুকে বিঁধতে মূহুর্ত ও লাগবে না। কিন্তু এই প্রাসাদের প্রতিটা ধুলো কে চেনে মৈথিলী, ও জানে কি ভাবে প্রহরী দের চোখ এড়িয়ে বেরিয়ে আসা যায়।
প্রাসাদের বাইরে যখন বেরিয়ে এলো তখন ঝড়ের গতি বেশ তীব্র। রাজপ্রাসাদের বাইরের নগরী কে দেখে চেনাই যায় না। সম্পূর্ণ নগর যেন কোন অজানা ভয়ে সিটিয়ে আছে। যে নগরী এই সান্ধ্যকালীন সময়েও জমজমাট থাকে, আজকে এখন যেন কোন ভয়ার্ত মৃত্যুপুরী। কোন ঘরে বা দোকানেই আলো জ্বলে নি। নিঝুম নগরে যেন মৃত্যুর কালো ছায়া।
মৈথিলী গতি বাড়িয়ে দৌড়তে শুরু করেই সাথে সাথে একটি তীব্র শীষ দিল। অন্ধকার ফুঁড়ে যেন একটি বিশাল ঘোড়া এগিয়ে এলো মৈথিলীর দিকে। অদ্ভুত কায়দায় নিজেকে প্রতাপের পীঠে চড়িয়ে নিতে মৈথিলীর এক লহমা ও লাগলো না। রেকাবের ওপরে নিজেকে দাঁড় করিয়ে লাগাম টা হ্যাঁচকা টানে প্রতাপ কে জানান দিল মৈথিলী , - এবারে চল।।
মহা শ্মশান এর ভিতর দিয়ে দুলকি চালে প্রতাপ এগোতে এগোতে একদম সেশ প্রান্তে এসে উপস্থিত হল। একটা ন্যাড়া গাছের ঠিক পাশেই। সেখানে কিছু একটা চিহ্ন দেখে একটু এগিয়ে গিয়েই একটি গর্তে হাত নামিয়ে একটা লম্বা নোংরা বস্তা তুলে আনল মৈথিলী অবলীলায়। দড়ি দিয়ে বাঁধা বস্তা টা খুলেই সাদা রঙের সরু একটা ধনুক খুলে পিঠে নিয়ে নিল মৈথিলী। তূণীর টা বেধে নিল তন্বী কোমরে শক্ত করে। তলোয়ার টা খাপ থেকে খুলতেই বিদ্যুতের আলোয় যেন মনে হল বিদ্যুৎ চমকাল তলোয়ারের ওপরেই। ঢুকিয়ে নিল খাপের ভিতরে মৈথিলী তরবারি টা। বেঁধে নিল কোমরে। সময় নষ্ট না করে চড়ে বস্ল প্রতাপের পিঠে। - হাইয়্য্যাআআআআআ” বলে আওয়াজ দিতেই বিদ্যুতের মতই ছিটকে বেরল প্রতাপ।
প্রাসাদের বাইরে যখন বেরিয়ে এলো তখন ঝড়ের গতি বেশ তীব্র। রাজপ্রাসাদের বাইরের নগরী কে দেখে চেনাই যায় না। সম্পূর্ণ নগর যেন কোন অজানা ভয়ে সিটিয়ে আছে। যে নগরী এই সান্ধ্যকালীন সময়েও জমজমাট থাকে, আজকে এখন যেন কোন ভয়ার্ত মৃত্যুপুরী। কোন ঘরে বা দোকানেই আলো জ্বলে নি। নিঝুম নগরে যেন মৃত্যুর কালো ছায়া।
মৈথিলী গতি বাড়িয়ে দৌড়তে শুরু করেই সাথে সাথে একটি তীব্র শীষ দিল। অন্ধকার ফুঁড়ে যেন একটি বিশাল ঘোড়া এগিয়ে এলো মৈথিলীর দিকে। অদ্ভুত কায়দায় নিজেকে প্রতাপের পীঠে চড়িয়ে নিতে মৈথিলীর এক লহমা ও লাগলো না। রেকাবের ওপরে নিজেকে দাঁড় করিয়ে লাগাম টা হ্যাঁচকা টানে প্রতাপ কে জানান দিল মৈথিলী , - এবারে চল।।
মহা শ্মশান এর ভিতর দিয়ে দুলকি চালে প্রতাপ এগোতে এগোতে একদম সেশ প্রান্তে এসে উপস্থিত হল। একটা ন্যাড়া গাছের ঠিক পাশেই। সেখানে কিছু একটা চিহ্ন দেখে একটু এগিয়ে গিয়েই একটি গর্তে হাত নামিয়ে একটা লম্বা নোংরা বস্তা তুলে আনল মৈথিলী অবলীলায়। দড়ি দিয়ে বাঁধা বস্তা টা খুলেই সাদা রঙের সরু একটা ধনুক খুলে পিঠে নিয়ে নিল মৈথিলী। তূণীর টা বেধে নিল তন্বী কোমরে শক্ত করে। তলোয়ার টা খাপ থেকে খুলতেই বিদ্যুতের আলোয় যেন মনে হল বিদ্যুৎ চমকাল তলোয়ারের ওপরেই। ঢুকিয়ে নিল খাপের ভিতরে মৈথিলী তরবারি টা। বেঁধে নিল কোমরে। সময় নষ্ট না করে চড়ে বস্ল প্রতাপের পিঠে। - হাইয়্য্যাআআআআআ” বলে আওয়াজ দিতেই বিদ্যুতের মতই ছিটকে বেরল প্রতাপ।