28-07-2019, 06:51 PM
বাপের বাড়ী বিরাটি পৌঁছাতে পৌঁছাতে দুপুর হয়ে গেলো, আমার বাপের বড়িতে বাবা, মা , ভাই আর ভাইয়ের বৌ সঙ্গে ওদের মেয়ে এই কজন মেম্বার. আর ভাই ফোঁটার জন্য মাসি এসেছে মাসির সঙ্গে ছেলে আমি ওকে ওনেক ছোটো দেখেছিলাম এখন বেস বড় হয়ে গেছে. আমিও দেখে খুশি হলাম এইবারে দুটো ভাইকে ফোঁটা দেবো. আমাদের বিরাটি, বারাসাত এরিয়ায় জমাটি কালি পুজো হয় সন্ধ্যে বেলায় সবাই মিলে পুজো দেখতে বেরোলাম। সেখানে ভাইয়ের মানে মাসির ছেলে ওর নাম 'বাবিণ' এর আরো দুই বন্ধুর সঙ্গে আলাপ হলো এদের একজন লাল্টু', আর সুবীর. ঘোরা খাওয়া সব হলো বাড়ি ফিরবো ভাইয়ের বন্ধু দের বিদায় জানলাম হটাত্ সুবীর বললো কি বৌদি কালকে ভাই ফোঁটায় শুধু ভাইকেই খাওয়াবে আমরা বাদ ? আমি সঙ্গে সঙ্গে বললাম কালকে তোমাদেরও নেমন্তন্ন রইল ওরাও বলল আসবো. পরের দিন বাস্ত্যতায় মধ্যে কাটতে শুরু হলো 'বাবীনের' বন্ধুরা এলো তখন ফোঁটা দিচ্ছিলাম ওদের বললাম বসে পড়ো তোমাদেরও ফোঁটা দি সুবীর বলল নাগো বৌদি আমাদের ফোঁটা নিতে নেই। লাল্টু বসলো ওকেও ফোঁটা দিলাম। খাওয়া আড্ডা গল্প সব কিছুর মধ্যে দিন গড়িয়ে রাত হলো, রাতে আমার ছেলে মেয়ে ধরলো ঠাকুর দেখতে যাবে, আমার ইচ্ছে ছিলো না তাও বের হলাম ঠাকুর দেখতে। সঙ্গে বাবীন লাল্টু সুবীর ও আমাদের সঙ্গে এলো, ঠাকুর দেখতে দেখতে ওনেক রাত হলো সুবীর বলল বৌদি বিরিয়ানি খাবে আমার বিরিয়ানী খুব প্রিয় আমি বললাম খাওয়ালে ফ্রীতে বৃষ ও খেয়ে নেবো, আমরা বারাসাতের জনপ্রিয় দাদা বৌদির বিরিয়ানীর দোকানে গেলাম বিরিয়ানী খেতে. ওনেক লোকের ভীড় আমাদের নম্বর আসতে আসতে ওনেক দেরি হয়ে গেলো এমন সময় দেখি লাল্টু সুবীর কোথায় গেসলো ওরা আসছে, ওরা আসতে সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া শেষ করে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম বাড়ী আসতে আসতে রাত ২ টো হলো. লাল্টু সুবীর আমাদের বাড়িতে থেকে গেলো, কিন্তু একটা সমস্যা দেখা দিলো আমাদের ঘর মোটে ৩ টি একটা ঘরে ভাই থাকে একটা ঘরে মা বাবা আর একটা ঘর গেস্ট দের জন্য, তাই ৭ জন সোবো কোথায় সেটাই চিন্তা করছি শেষ মেষ ঠিক হলো, খাটে মাসি আমার মেয়ে আর আমি শুবো আর মেঝেতে ওরা তিনজন আমার ছেলে মার কাছে শুয়ে পড়ল. একটু ঘুম টা ধরেছে সারাদিনের ক্লান্তির জন্য খটখট কিছু একটা শব্দে ঘুম টা ভেঙ্গে গেলো নাইট ল্যাম্পের আলোতে দেখলাম সুবীর আর লাল্টু বসে বসে কিছু একটা খাচ্ছে, যেহেতু আমি খাটের এই ধারে শুয়ে ছিলাম তাই ফিস্ ফিস্ করে বললাম ' কিরে তোরা ঘুমাসনি' সুবীর বললো না বৌদি এই বিয়ার টা খেয়েই শুয়ে পড়ছি। আমি ত শুনে থ মেরে গেলাম আর বললাম তোমরা ঘরের মধ্যে খেও না ছাদে চলে যাও। সুবীর বলল ওকে, সঙ্গে বলল বৌদি তুমি খেতে চাও? আমি বললাম না না কেউ জানলে কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে। সুবীর বললো কেউ জানবে না খেয়ে শুয়ে পড়বে, আমার ইচেছ হচ্ছে কিন্তু ভয় ও লাগছে, সুবীর হটাত্ দেখি একটা গ্লাস আমার দিকে বাড়িয়ে দিচ্ছে, আমি না না করতে করতে ওর হাত থেকে গ্লাসটা নিয়ে এক ঢোকে বিয়ার খেয়ে নিয়ে চুপ করে শুয়ে পড়লাম, কিছুক্ষন পরে গা টা কেমন গোলাচ্ছে উঠে বসলাম। লাল্টু জ্জিগাসা করলো বৌদি কী হলো, ' আমি বললাম গা টা গোলাচ্ছে' সুবীর বললো তুমি খেয়েই শুয়ে পড়লে সেই জন্যে - আমি ভাবলাম হয়তো তাই হবে। সুবীর বলল বৌদি ওখানে বসে থেকো না মাসিজেগে যাবে তুমি নীচে এসে বসো। আমি নীচে নেমে এসে ওদের সঙ্গে বসলাম, ওরা বিয়ার খাওয়া চালু রেখেছে সুবীর আমাকে বলল বৌদি আগে খেয়েছো কখোনো? আমি বললাম হা হোলি তে বেস কয়েকবার আর তোমার দাদার সঙ্গে জখন ও আসে এই আরকি। আর একটু খাবে আমাদের সঙ্গে? ওরা আর একগ্লাস দিলো এক ঢোকে খেয়ে নিলাম, সুবীর বললো আস্তে আস্তে খাও, এই রকম করে ৪ টে গ্লাস খেলাম মাথাটা একটু ঝিম্ ঝিম্ করতে শুরু করেছে, আমি বাবীন কে বললাম ভাই কাউকে বলিস না কিন্তু। বাবীন বলল তুমি চিন্তা করো না সঙ্গীতা দি কেউ জানতে পারবে না, আমি শোবার জন্যে উঠে দাঁড়ালাম, লাল্টু বললো বৌদি এখনি শুয়ো না একটু পরে শুবে না হলে আবার গা গোলাবে। আমি বললাম এখন ঠিক আছি কিছু হবে না, বলে শুয়ে পড়লাম কখন ঘুম ধরে গেছে বুজতে পারিনি, সকালে ঘুম ভাঙ্গতে দেখি আমার ব্লাউজের হুক গুলো, আর শাড়ি টা সায়ার মধ্যে গোঁজা ছিলো সেটাও খোলা আমি একটু ওবাক হলাম মনে মনে ভাবলাম নেশার ঘোরে হইতো খুলে ফেলেছি আমি নিজেই। সকালে ঘুম থেকে উঠে বসে বসে মনে না না রখ্ম চিন্তা আসছে , ব্লাউজের হুক গুলো খুলল কি করে জাই হোক ব্রা টা ঠিক থাক ছিলো না হলে ছেলে গুলো দেখে ফেললে ইসস্ জা তা, হটাত্ সুবীর পিছন থেকে এসে বললো কি বৌদি সকাল সকাল বসে বসে কি চিন্তা করছো? আমি বললাম কই কিছু না ত কেনো? লাল্টু বলল কালকে ঘুম কেমন হলো বৌদি, আমি বললাম ভালোই ত হলো, কিন্তু সুবীরের মুখ চোখ কেমন একটা মনে হলো আমার কিছু একটা বলতে চাইছে যেনো। সুবীর বললো বৌদি তোমাদের বাড়ি থেকে দিঘা কতদূর? আমি বললাম ঘণ্টা দুয়েক লাগে, কেনো গো দীঘা যাচ্ছো নাকি ? সুবীর বললো হা কালকে যাবো। আমি বললাম আমিও ত কালকে বাড়ি ফিরবো, তোমরা কখন যাবে আর কে কে যাবে, সুবীর বললো আমরা তিনজন যাবো কালকে সকালে ঠিক আছে গাড়ি নিয়ে যাবো তুমিও আমাদের সঙ্গে চলে যেও. বললাম ঠিক আছে ।