Thread Rating:
  • 22 Vote(s) - 3.05 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
নিষিদ্ধ বচন (Completed) -by bipulroy82
নিষিদ্ধ বচন ৬৪

আজগর সাহেব হাসপাতালে এসেছেন। রাতুল সারারাত ঘুমায় নি। রুপা মামি আজগর সাহেবের সাথে কথা বলছেন। রাতুল দুর থেকে দেখতে পাচ্ছে তাদের। রুপা মামি খুব উত্তেজিত হয়ে আজগর সাহেবের সাথে কথা বলছেন। টুম্পার নামটা তাদের মধ্যে বেশ আলোচিত হচ্ছে। রাতুল তাদের সাথে আলোচনায় অংশ নিতে পারছে না, কারণ তারা সেটা চাচ্ছেন না। তবে রাতুল বুঝে নিয়েছে বাবলির মিসিং এর সাথে টুম্পার কোন যোগসাজেশ আছে। নানা এসেছেন। তিনি রাতু্লকে নিয়ে হাসপাতালের বাইরে চলে এলেন। তিনি স্পষ্ট বললেন টুম্পা বারবিকে এবিউস করেছে। সেক্সুয়াল এ্যাবিউস। রাতুল বুঝতে পারছে না একটা মেয়ে কি করে আরেকটা মেয়েকে এ্যাবিউস করবে। নানা শুধু বললেন-মনে হচ্ছে ওরা কোন বন্ডেজ ফ্যান্টাসি বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছিল নিজেদের মধ্যে। রাতুল অবাক হল। নানা বললেন বিষয়টা নিজেদের মধ্যে হয়েছে তাই চেপে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। তিনি জামাল মামাকে থেমে যেতে বলার জন্য রাতুলকে বলে দিলেন। তারপরই নানা হাসপাতালে ঢুকে রুপা মামি আর আজগর মামার সাথে কথা বলে দ্রুত বাবলিকে বাসায় স্থানান্তর করার ব্যাবস্থা করতে বললেন। আজগর সাহেব কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেছেন টুম্পার নির্বুদ্ধিতায়। বাবলিকে সে ইয়াবা খাইয়ে তার গোপন কক্ষে নিয়ে তার প্যান্টের বেল্ট দিয়ে পাছাতে বেদম প্রহার করেছে। তিনি মেয়েকে সে রুমে ঢোকার চাবি দেন নি। কিন্তু মেয়েটা কি করে যেনো সে রুমের চাবি নিয়ে নিয়েছে। কাল তিনি দুইটা প্রজেক্ট ভিজিটে ঢাকার বাইরে গেছিলেন। তিনি আরেকটু দেরীতে ফিরলে বড় কোন অঘটন ঘটে যেতো। টুম্পা বাবলিকে কোন সেক্সুয়াল এপ্রোচ ছাড়াই মেয়েটাকে নির্যাতন করেছে ইয়াবা খাইয়ে। তিনি যখন রুমে ঢুকেন তখন মেয়েটা চিৎকার করে আর না আর না বলছিলো। কিন্তু টুম্পা নির্বিকার ভাবে ওর পাছাতে পেটাচ্ছিল। রুমটা খোলা সেটাই তিনি জানতেন না। তিনি ভাবছিলেন তার স্ত্রীকে রুমটার সাথে পরিচয় করিয়ে দেবেন। সে জন্যেই রুমটাতে সব ঠিক আছে কি না সেটা দেখতে ঢুকেছিলেন। রুমটার কেয়াটেকারটাকে তিনি রাতেই বিদায় করে দিয়েছেন। বাবলির চোখেমুখে আতঙ্ক দেখে তিনি ওকে ছাড়তে চান নি। টুম্পা ওকে তার স্কোয়ার সাইজের টেবিলে এটাচ্ড হ্যান্ডকাফ দিয়ে লক করে পেটাচ্ছিল। হ্যান্ডকাফটা বাইরে থেকে দেখা যায় না। এটাকে দৃশ্যমান করে ব্যাবহার করার টেকনিকটা তিনিই কন্যাকে দেখিয়েছেন। মেয়েটা বাবলির উপর সেটা প্রয়োগ করেছে। প্যান্টের বেল্ট দিয়ে এভাবে সে মেয়েটার পাছায় মেরেছে যে মেয়েটার মুর্ছা যাবার দশা হয়েছিলো। রুমে ঢুকে টুম্পাকে নিবৃত্ত করতেও তার অনেক কষ্ট হয়েছে। সে উন্মত্তের মত হয়ে গেছে। আজগর সাহেব ভাগ্নিকে হ্যান্ডকাফ থেকে মুক্ত করে মেয়েটার দিকে তাকাতে পারছিলেন না তিনি। স্ত্রীকেও তিনি বিষয়টা বিস্তারিত বলতে পারেন নি। বাবলি ছুটে পালিয়েছে। মামার পিছু ডাকে সে সাড়া দেয় নি। আজগর সাহেব সিনক্রিয়েট করেন নি। মেয়েটা ঠিক ডাইরেকশনে যায় কি না সেটা দেখতে তিনি তার সবচে বিশ্বস্ত ড্রাইভারকে কেবল অনুসরন করতে বলেছেন। ডক্টররা কেউ ওর পাজামা খুলে দেখলে বিষয়টাা ফাঁস হয়ে যাবে, তার অনেক কিছু ব্যাখ্যা করতে হবে। তিনি সারা রাত নিজের মেয়েকে কাউন্সেলিং করেছেন। শায়লাকে তিনি কিছু জানান নি। এরকম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে তিনি কখনো পরেন নি। ভাগ্নির ট্রিটমেন্ট করাতে হবে গোপনে। রুপাকে সেটা কোনমতেই বোঝানো যাচ্ছে না।

আজগর সাহেব রাতুলতে একটা দীর্ঘ ব্যাখ্যা দিলেন। বলতে গেলে তিনি রাতুলের কাছে নিজেকে সারেন্ডার করলেন। বাবলিকে যখন টুম্পা মারছিলো সে কেবল চিৎকার করে বলছিলো আমি রাতুল ভাইয়ার কাছে যাবো। আজগর সাহেবের বদ্ধ ধারনা রাতুলের কাছাকাছি থাকলে বাবলির সুস্থ হতে সময় লাগবে না। আজগর সাহেব এখুনি ভাগ্নির সামনে যেতে চাচ্ছেন না। তিনি বাবলিকে রাতুলদের বাসায় রেখে ট্রিটমেন্ট করাতে আগ্রহি। লোকটা খারাপ নন। রাতুল সবকিছু শুনে বলল আঙ্কেল আপনি চলে যান। নানা যেহেতু ঘটনাটা জেনে গেছেন তখন এ নিয়ে আর বিব্রত হওয়ার কিছু নেই। আজগর সাহেব করুন চোখে রাতুলের দিকে চেয়ে বলেছেন- রাতুল এটা একটা প্রেষ্টিজ ইস্যু হলেও ভাগ্নির সুস্থতা আমার কাছে প্রায়োরিটি পাবে। তুমি যদি দায়িত্ব নাও তবে আমি একজন সাইক্রিয়াটিস্ট আর একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞকে বাবলির সাথে এটাচ্ড করে দিতে চাই। ওরা আমার বন্ধু, সিক্রেট রেখে তোমার বাসায় গিয়ে ট্রিটমেন্ট করে আসবে ওকে। হাসপাতালে রেখে বিষয়টা দশকান হোক সেটা চাই না। রাতুল অনেক ভেবে বলেছে-দেখুন আঙ্কেল নানা বাবলিকে নানার বাসায় রাখতে বলেছেন, তিনি যদি রাজি না হোন তবে আমি নিজে থেকে এটা এ্যাপ্রোচ করে বার্গেইনিং করব কি করে। নানার কাছে আমি একজন যুবক আর বাবলি যুবতি। আজগর সাহেব বুঝলেন বিষয়টা। আজগর সাহেব রাতুলকে ওয়েট করিয়ে রেখে চলে গেলেন পাটোয়ারী সাহেবের সাথে কথা বলতে। কিছুক্ষণের মধ্যে নানুই এলেন রাতুলের কাছে। তিনি খুব শান্ত গলায় বললেন-তোমার বাসায় কোন মেহমান এলাউ করা যাবে না বাবলি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত। রুপা বৌমা বারবিও সেখানে থাকবে। তিনি বিশ লক্ষ টাকার একটা চেক দিলেন রাতুলকে। বললেন এটা আজগর দিয়েছে ট্রিটমেন্ট আর আনুষঙ্গিক খরচ মেটাতে। ছেলেটা খুব বিব্রত। তুমি বিষয়টা টেকআপ করো। কোন স্বজনের সাথে বাবলি বিষয়ে কোন আলোচনা হবে না। কামাল ছাগলটাকে বলে দিচ্ছি, সে তোমাকে ডিস্টার্ব করবে না। আর শোন আজগর সাহেব একটা এ্যালিয়ন রেখে গেছেন নিচে, তুমি সেটা দিয়েই বাবলিকে নিয়ে যাবে বাসায়, সাথে রুপাকে নিও। গাড়ির ড্রাইভারকে বলা আছে সে ডক্টরদের সুবিধামত সময়ে তোমাদের বাসাতে নিয়ে যাবে। রাতুল এটা মেনে নিতে পারলো না। বাবলির পাছাতে ইনজুরি থাকতে পারে। সেখানে ড্রেসিং লাগতে পারে। সে চলে গেলো হাসপাতালের বাইরে।

আজগর সাহেব এ্যালিয়নটার পাশেই দাঁড়ানো। তিনি নিজের মেয়েকে সম্ভোগ করেছেন এটা রাতুল জানে না, কিন্তু রাতুল বুদ্ধিমান ছেলে। তার রুমে টুম্পার এক্সেস নেয়া আর আজগর সাহেবের স্পাঙ্কিং এডিকশান দুটো মিলিয়ে চার হিসাব করাটা রাতুলের মত ছেলের কাছে তেমন বড় বিষয় হবে না। তাছাড়া কাল টুম্পার সাথে দীর্ঘ কাউন্সেলিং এ তিনি জানেন টুম্পা ডে ওয়ান থেকে বাবলির সাথে শেয়ার করেছে তার সাথে টুম্পার দৈহিক সম্পর্কের কথা। তিনি অবাক হয়েছেন টুম্পা তার নিজের সেকেন্ড অর্গাজমের জন্য অপেক্ষা করছিলো বাবলিকে প্রহার করার সময়। বাবলিকে মারতে মারতে তার নাকি প্রথম অর্গাজম হয়ে গেছিলো অনেক আগে। দ্বিতীয় অর্গাজম আসছি আসছি করেও আসছিলো না। মেয়েটা এতোটা ক্রুয়েল হল কি করে ভেবে পান নি তিনি। তিনি আরো জেনেছেন টুম্পা প্রতিদিন ফোনে ঘন্টার পর ঘন্টা বাবলির সাথে এসব নিয়ে কথা বলেছে। প্রথমে নিজের বাবার কথা না বললেও শেষে বলে দিয়েছে। বাবলির কাছেও তিনি কখনো সহজ হতে পারবেন না আর। বাবলি রাতুলের কাছাকাছি থাকবে কদিন। সে নিশ্চই রাতুলকে সব বলে দেবে। টুম্পাকে তিনি সম্ভোগ করা অব্যাহত রাখবেন কিনা সে নিয়ে তিনি দ্বিধাগ্রস্ত। অথচ তিনি রাতুলকে নিয়েই টুম্পাকে সম্ভোগের প্লেজার পেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেটা তার ভাগ্নি জানুক এটা তিনি চান নি। তাছাড়া টুম্পা রং ডাইরেকশনে রং অবজেক্ট নিয়ে বিডিএসএম করতে চেয়েছে। এটা যে কোন কিছুর লঙ্ঘন। এসব কারণে তিন বেশ কাচুমাচু হয়ে আছে রাতুলের সামনে। তিনি তার স্বাভাবিক ব্যাক্তিত্বে নেই। রাতুল কাছে যেতে তিনি শুধু বললেন, সরি বিগ বয়, নিজেকে তোমার সামনে এভাবে আনতে চাই নি আমি। এলিয়নটা থাক তোমার কাছে। বাবলি সুস্থ হলে এটা চালাবে। রাতুল বলল-আপনি এতো বড় চেক দিলেন কেনো। তিনি শুধু বললেন-আমি চাই বাবলি পুরো ঘটনা ভু্লে যাক। তুমি প্লিজ ওর সর্বোচ্চ ট্রিটমেন্ট নিশ্চিত করবে। যত টাকা লাগুক তুমি সেটা নিয়ে ভাববে না। আমি বাবলিকে আগের মত দেখতে চাই। রাতুল বলল- আই শ্যাল ট্রাই মাই ল্যাভেল বেস্ট। তবে আমার এখুনি মেডিসিন বিশেষজ্ঞকে দরকার। বাবলির কোন ইনজুরি থাকতে পারে। আমি একজন মহিলা ডক্টর চাইছি যিনি সিক্রেট রাখবেন সবকিছু। আজগর সাহেব রাতুলের সিনসিয়ারিটি আর বিচক্ষণতায় মুগ্ধ হয়ে গেলেন। তিনি বললেন একঘন্টার মধ্যে তেমন কেউ চলে যাবে তোমাদের বাসায়। তিনি রাতুলদের বাসার ঠিকানা টুকে নিলেন তার মোবাইল ফোনের নোটপ্যাডে। তারপর একটা সিএনজি নিয়ে চলে গেলেন।

ল্যাব এইডে পেমেন্ট দিয়ে রাতুল মাকে ফোন করে বলল-মা বাসাটা বাবলি আর রুপা মামির জন্য ছেড়ে দিতে হবে। বারবিও থাকবে সেখানে। তুমি ব্যাবস্থা করো। মা অবশ্য জানালেন নানা সেটা তাকে আগেই বলেছেন। নানার প্রতি শ্রদ্ধায় মন ভরে গেলো রাতুলের। তিনি হাসপাতাল থেকে চলে গেছেন। এমন ভান করছেন যেনো কিছুই হয় নি। রাতুল রুপা মামি আর বাবলিকে নিয়ে নিজের বাসায় ফিরলো। সমস্যা হয়েছে আজগর সাহেবের গাড়িটা রাখার জন্য এখানে কোন গারাজ নেই। সরকারি কোয়ার্টারগুলো এমনভাবে বানানো হয়েছে যে ধরেই নেয়া হয়েছে তাদের কোন গাড়ি থাকবে না। গাড়ি রাখার জন্য একটা ফ্ল্যাটে গারাজ ভাড়া নিতে হল রাতুলকে। যে মহিলা ডক্টর বাবলিকে দেখে গ্যাছেন তিনি ইনজুরি দেখে আঁৎকে উঠেছেন। বলেছেন কালই এটার ট্রিটমেন্ট হওয়া দরকার ছিলো। বাবলির জন্য মা রাতুলের রুমটা গুছিয়ে দিয়েছেন। মেয়েটা বেঘোরে ঘুমাচ্ছে। চোখমুখ থেকে আতঙ্কটা চলে যায় নি এখনো তার।

রুপা মামি থেকে থেকে জানতে চাইছেন পুরো ঘটনাটা। রাতুল বলেছে আমি আসলে পুরো ঘটনা জানি না। রাতু্ল বুঝেছে আজগর সাহেব বোনকে শুধু বলেছেন টুম্পার সাথে বাবলির ঝামেলা হয়েছে কিছু নিয়ে তাই ওকে বাসায় ডেকে নিয়ে মেরেছে টুম্পা। রুপা মামী কিছুই বুঝতে পারেন নি। নানাকে কিছু খুলে বলতে হয় না কাউকে। তিনি বন্ডেজ ফ্যান্টাসি শব্দদুটো দিয়ে সব বুঝিয়ে দিয়েছেন রাতুলকে। কিন্তু নানা কি করে জানলেন সেটা রাতুল বুঝতে পারে নি। রাতুলের অনুমান পুলিশ ইনভেস্টিগেট করে আজগর সাহেব পর্যন্ত পৌঁছে গেছিলো। নানা সম্ভবত সেটা থামিয়ে দিয়েছেন। কামাল মামা হাউমাউ করে কেঁদেছেন ফোন করে। রাতুলরে আমার মেয়েটার কাছে আমি যেতে পারবো না ক্যান, তোরা আমার মেয়েটারে কি করেছিস এসব বলেছেন তিনি। রাতুল বলেছে মামা তুমি এখুনি চলে আসো -চাইলে তুমি আমাদের বাসাতেই থাকতে পারো। তিনি এসেছিলেন সেই সকাল ছেলেটাকে নিয়ে। তবে মিনিট দশেক পরেই তিনি বেরিয়ে গ্যাছেন। সকাল ছেলেটার সাথে দিনে রাতে মিশে থাকেন তিনি। যাবার আগে রুপা মামিকে বলে গেছেন-তুমি কোন চিন্তা করবা না আমাদের নিয়ে। সকাল একটা বুয়া যোগাড় করছে সে রান্নাবান্না করে দিয়ে যাচ্ছে দুইবেলা। রাতুল বুঝলো সকাল মামার সাথে রাতে বাসাতেই থাকছে এই কদিন। কামাল মামার কথায় মনে হল আরো কিছুদিন এভাবে থাকার সুযোগ পেয়ে যেনো তার সুবিধেই হয়েছে। দুপুরের মধ্যে সাইক্রিয়াটিস্টট এলেন। রাতুল রুমেই ছিল বাবলির সাথে। নানা কি এক অজ্ঞাত কারণে বারবিকে সারাদিন সে বাসাতে থাকতে বলেছেন। রাতে সে এখানে এসে থাকবে। সাইক্রিয়াটিস্টকে দেখে মনে হল তিনি ঘটনার আদ্যোপান্ত জানেন। তিনি বাবলিকে ঘুম থেকে উঠালেন। কেমন বিভ্রান্তর মত তাকাচ্ছে মেয়েটা। রাতুলের দিকে তাকায় নি একবারও। তবে চেহারার পেইল ভাবটা কিছুটা কমেছে। সাইক্রিয়াটিস্ট তাকে কিছু জিজ্ঞেস করেন নি। তিনি কতগুলো ইনফর্মেশন দিয়েছেন কেবল পেশেন্টকে। যেমন নিজের পরিচয় দিলেন। নিজেকে আজগর সাহেবের ঘনিষ্ট বন্ধু বলে জানালেন। তিন আগেও টুম্পার ট্রিটমেন্ট করেছেন। মেয়েটার আবার ট্রিটমেন্ট দরকার। কিন্তু মেয়েটা সহযোগিতা করছে না। টুম্পা খুব ভালো মেয়ে। ইত্যাদি তথ্য দিচ্ছিলেন ডক্টর রুগীকে। রাতুলের মনে হল তিনি টুম্পাকে বাবলির কাছে মানসিক রোগি প্রতিপন্ন করতে চাইলেন। টুম্পা নামটা ভদ্রলোক ইচ্ছে করেই বারবার রিপিট করছেন। বাবলি মানসিক ভাবে সুস্থ এটাও বাবলিকে বারবার জানালেন। আগের সব ঘুমের ওষুধ বাদ দিলেন তিনি। নিজে কিছু ওষুধ দিলেন। তারপর তিনি রাতু্লকে নিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ কথা বলে জানালেন মেন্টালি মারত্মকভাবে ডিস্টার্বড আছে মেয়েটা। পুরোপুরি সেরে উঠতে সময় লাগবে। তবে টুম্পার একটা পুরোনো হিস্ট্রি তিনি রাতুলকে বললেন। জানালেন সেটা কাউকে শেয়ার না করতে। হিষ্ট্রিটা শুনে রাতুলের লোম দাঁড়িয়ে গেলো। টুম্পার ছোটবেলার হিস্ট্রি সেটা। মেয়েটা যাকে তাকে আই লাভ ইউ বলছিলো। আর সেটা ছিলো অশ্লীল টাইপের। একটা শিশুর এমন আচরনে অনেকেই বিব্রত হচ্ছিলো। সে সময় টুম্পার বাবা তার স্মরনাপন্ন হয়েছিলেন। ভদ্রলোক ইনভেষ্টিগেশন করে জেনেছিলেন তাকে যে ড্রাইভার লোকটা স্কুলে আনা নেয়া করত সে লোকটা তাকে এ্যাবিউস করছিলো। স্কুল ছুটির পর লোকটা তাকে নিয়ে বাসায় না ফিরে কোন নির্জন স্থানে নিয়ে যেত গাড়ি দাঁড় করিয়ে মেয়েটাকে কোলে বসাত। আর তাকে দিয়ে এই ডায়লগ দেয়াত। তার যৌনাঙ্গে হাতাহাতি করত লোকটা। নিজের যৌনাঙ্গও ধরিয়ে দিতো টুম্পার হাতে। আজগর সাহেব লোকটাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। দেন নি কারণ তিনি জানতেন লোকটার টুম্পার বয়েসি একটা মেয়ে আছে। তিনি কেসটা হ্যান্ডেল করতে জামাল মামাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। জামাল মামা লোকটা মাসখানেক জনশূণ্য স্থানে আটকে যন্ত্রণা দিয়েছে। তারপর ছেড়ে দিয়ে বলেছে ঢাকা শহরে কেনো দুনিয়ার বুকে যদি লোকটা কোনদিন এমন কাজ করে তবে তাকে দুনিয়াছাড়া করে দেবে। সাইক্রিয়াটিস্ট লোকটা নাকি জামাল মামার ক্লাসমেট। তিনিই কেসটা হ্যান্ডেল করতে জামাল মাকে ইনভল্ভ করার জন্য আজগর সাহেবকে পরামর্শ দিয়েছিলেন বলে জানালেন। রাতুলের মনে হল আজগর সাহেব রাতুলের সিমপ্যাথি নিতে ঘটনাটা তার কাছে প্রকাশ করার জন্য সাইক্রিয়াটিস্টকে বলে দিয়েছেন। ঘটনাটা শুনে অবশ্য রাতুল টুম্পাকে ক্ষমা করে দিয়েছে। নয়তো সামনে পেলে অন্তত কানের গোড়ায় একটা চড় বসাতো। সব শুনে রাতুলের মেয়েটার জন্য মায়া হচ্ছে। সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেয়েটার সাথে দেখা হলে তাকে ড্রাগস ছেড়ে দেয়ার জন্য ইনসপায়ার করবে।


সারারাত না ঘুমিয়ে রাতুল ক্লান্ত ছিলো। কিন্তু কিছু করার নেই। দুপুর জুড়ে বৌভাতের আয়োজনের নানা কাজ সেরেছে। সমীরনকে ডেকে ওকেও কিছু কাজ দিয়েছে। বিকেলটাও সে শুতে পারে নি। স্বজনদের যতই বলে বাবলির কিছু হয় নি ততই তাদের কিওরিসিটি বেড়ে যাচ্ছে। তাই সে সবাইকে বলে দিয়েছে সে রাগ করে সুইসাইড করতে বিষ খেয়েছিলো। তাকে চিকিৎসায় রাখা হয়েছে। সেই থেকে মানুষজনের কিউরিসিটি কমেছে। কিন্তু নানা বাড়িতে মানুষের আনাগোনা কমছে না কোনমতে। বারবিটা সারারাত কেঁদে সারদিন কামাল মামার রুমে ঘুমিয়েছে। সন্ধায় সে বিছানা ছাড়তে রাতুল সেটা দখল করেছে। সত্যি তার শরীর চলছে না। কিন্তু সবাই একে একে আসছে রাতু্লের কাছে বাবলির খবর নিতে। কিছু করার নেই শুয়ে থেকেই রাতুল সবার সাথে নানা বুঝ দিয়েছে। কিন্তু শিরিন মামি যেনো নতুন করে রাতুলের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছেন। তিনি বিছানায় উঠে বসেছেন রাতুলের পাশে। তিনি তার বিশাল স্তন নাচিয়ে যেনো রাতুলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন বারবার। তিনি চা এনে খাইয়েছেন রাতুলকে। রাতুল চা খেতে চায় নি। কিন্তু নতুন মামির আকুল আবেদন প্রত্যাখ্যান করতে পারেনি। ঘুমের রেশ কেটে গেলেও ক্লান্তি কেটে যায় নি তার। মামি নানা গল্প জুড়ে দিয়েছেন রাতুলের সাথে। বেচারির দোষ দিতে পারে না রাতুল। জামাল মামা তাকে সময় দিচ্ছেন না। তিনি এ বাড়িতে আপন কাউকে খুঁজছেন। মা থাকলে তাকে সরিয়ে নিতেন। কিন্তু তিনি বাসায় রুপা মামিকে সামলাচ্ছেন। রুপা মামি সন্তানদের এতো ভালোবাসেন সেটা বোঝা যায় না। বাবলির ঘটনার পর রাতুল বুঝেছে মা এর কোন তুলনা নেই। রুপা মামির কাছে বিয়ে বাড়ির কোন আমেজ নেই আর। টুম্পাকে পেলে তিনি মেরেই ফেলবেন। ভাইঝিটা এমন বর্বর হলো কি করে সে নিয়ে তার কাছে কোন ব্যাখ্যা নেই। বারবি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। সে তার নিজের মুডে ফিরে গ্যাছে। ঘুম থেকে উঠে পরীর মত সেজেছে মেয়েটা। শিরিন মামির সাথে বসে রাতুলের কাছে কাল সারারাতের বর্ণনা শুনেছে। তারপর প্রসঙ্গ ঘুরে ভিন্ন দিকে চলে গ্যাছে। বারবি রাতুলের মাথার কাছে বসেছে। মামি কোমরের দিকটাতে। মেয়েটার শরীর থেকে ভুর ভুর করে মেয়েলী ঘ্রান বেরুচ্ছে। রাতুলের ঘুম দরকার। তবু ঘ্রানটা নিতে নিতে ঘুমাতে পারলে যেনো ভালো হবে তেমনি মনে হচ্ছিল রাতুলের। বারবি যেনো সেটা বুঝতে পেরেছে। সে আনমনে রাতুলের মাথায় চুল ধরে বিলি কাটছে আর মামির সাথে নানা কথা বলছে। বারবির ছোট্ট পাছাটা সে রেখেছে রাতুলের মাথার পিছনে। খুব সুন্দর করে শিরদারা সোজা রেখে বসে সে। মেয়েটার হাতে যেনো যাদু আছে। রাতু্লের চোখ বন্ধ হয়ে আসছে আবেশে। আঙ্গুলগুলো মাঝে মাঝে কপালে স্পর্শ দিচ্ছে। রাতুলের মন ভরে যায় নরোম মেয়েলি আদরে। সমস্যা হচ্ছে মাঝে মাঝে ধনও ভরে যাচ্ছে। কারন রাতুল শিরিন মামির দুদুগুলোকে নেচে উঠতে দেখছে তার কথা বলার সাথে সাথে। নানান চালে দোলে তার দুদুগুলো। মহিলা দুদু নাচানোর কায়দা জানেন। এমনভাবে নাচান যেনো মনে হবে কথার তালে নাচছে সেগুলো।নকিন্তু রাতুল শরীরের অন্য অংশে মনোযোগ দিয়ে বুঝেছে তিনি বেশ কায়দা করে নাচান সেগুলো। তিনি এ বিষয়ে আঅট রপ্ত করে নিয়েছেন। শিরিন মামির গায়ের রংটা সত্যি অদ্ভুত। ঘিয়া কালার। ঠিক ঘিয়া নয় । মামির গায়ের রং এর বর্ণনা করার জন্য নতুন রং এর নাম দিতে হবে। ঘুমের আবেশে রাতুলের ইচ্ছে করে শিরিন মামির দুদুতে মুখ চেপে ধরতে। শিয়রে বাবলির ঘ্রান আর চোখের কাছে শিরিন মামির স্তনের নাচুনি এসব রাতুলকে মাতিয়ে রাখছে। তবে তার ইচ্ছে করছে শিরিন মামিকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে বারবিকে বুকে ঠেসে ঘুমাতে। সঙ্গম দরকার নেই তার এখন।তবে বারবির ঘ্রানটা মাতাল করে দিচ্ছে, বুকের মধ্যে চেপে ওকে নিয়ে শুয়ে থাকতে পারলে ভালো হত খুব। শিরিন মামি যেনো ওর কথা বুঝতে পারেন। তিনি বলেন চলো বারবি আমরা রাতুলকে একটু ঘুমাতে দেই। বেচারা সারারাত ঘুমায় নি। শুনে বিরক্ত হল রাতুল। মনে মনে বলে-আপনি যাচ্ছেন যান, ওকে ডাকছেন কেনো। বারবির গন্ধটা দরকার ওর এখন। তাই সে বলে -সমস্যা নেই মামি আমার খারাপ লাগছে না বারবির চুলে বিলি কাটা। বারবি ভাইয়কে বুঝতে পারে যেনো। সে বলে কাকি তুমি যাও রেষ্ট করো। আমি ভাইয়ার সাথে থাকি কিছুক্ষন। অবশেষে মামি গেলেন রুম থেকে। যাবার সময় বলে গেলেন-রাতুল কিছু খেতে চাইলো বোলো কেমন? জ্বি মামি বলে রাতুল চিৎ হয়ে শোয়ার ভঙ্গি বদলে কাত হয়ে গেল।


বারবি ভাইয়ার মাথার পিছনের চুলগুলো নিয়ে বিলি করতে লাগলো। তোর ঘ্রানটা অনেক সুন্দর বারবি, রাতুল চোখ বন্ধ রেখে বলল। দরজাটা তিনভাগের একভাগ খোলা। রাতুলের খুব ইচ্ছে করছে দরজাটা বন্ধ করে বারবিকে জড়িয়ে ওর ঘ্রান নিতে। কিন্তু পরিবেশটা এলাউ করছে না। রুমনের সাথে দরজা বন্ধ করে থাকা যায়,কিন্তু বারবির সাথে থাকা যায় না। তবু কেনো যেনো মামি চলে যেতে বারবিকে রুমে একা পেয়ে রাতুলের সোনার রগ বেড়ে উঠতে লাগলো। বারবি ফিসফিস করে বলল- তোমার ভালো লাগে ভাইয়া আমার ঘ্রান নিতে? রাতুল একটা বালিশ পাশ থেকে নিয়ে সেটাকে বুকে ঠেসে বলে- হ্যারে পাকনা বোন খুব ভালো লাগছে। বারবি দরজার দিকে চেয়ে ঝুকে পরে নিজের চোখা বুকদুটো রাতুলের গালে ঠেসে বলে -নাও ভাইয়া, ঘ্রান নাও । বোনের সাহস দেখে রাতুল অবাক হয়। জামার উপর দিয়ে ওর শক্ত বোটার অনুভুতি লেগেছে রাতুলের গালে। অবশ্য সাথে সাথেই তুলে নিয়েছে সে বুকটা। তার স্থানে মিষ্টি আঙ্গুলগুলো দিয়ে সে রাতুলের গালে আলতো বুলিয়ে দিচ্ছে। ড্রয়িং রুমে জামাল মামার বন্ধুদের আগমন শুনতে পাচ্ছে রাতুল। কেউ একজন দরজাটা বাইরে থেকে ভেজিয়ে দিলো প্রায় পুরোপুরি। রাতুল চোখ বন্ধ করে ছিলো। সে দেখতে পায় নি দরজা ভেজানো টা। মামি ড্রয়িংরুমে সবার মধ্যমনি হয়েছেন। ভাবির সাথে মস্করা করছে সবাই। রাতুল টের পেলো বারবির ঠোঁট লাগছে ওর গালে। একেবারে মামনির ঠোটদুটো যেনো লাগলো ওর গালে। একটু আতঙ্ক বোধ করল রাতুল দরজাটা খোলা সেজন্যে। কিন্তু সে জানে বারবি কাঁচা কাজ করবে না। রাতুল চিত হতে হতে বারবির ঠোঁট দুটো পেয়ে গেলো। ঠোঁটে ঠোঁট ডুবাতে ডুবাতে আড়চোখে দেখলো দরজাটাতে একটু ফাঁকা আছে। সেই ফাঁকাতে চেয়ে সে বুঝল দরজায় চেয়ার রেখে কেউ বসেছেন ঠিক দরজাতে।হাত তুলে সে বারবির সুন্দর মুখমন্ডল ছাড়িয়ে মাথা পেচিয়ে ধরে কিস থামালো। ফিসফিস করে জিজ্ঞেস করল এতো মায়া করিস কেন ভাইয়াকে? বারবি কোন কথা বললনা। সে নিজের ঠোঁট দিয়ে রাতুলের ঠোঁট চুষতে লাগলো। এইটুকুন মেয়ে কেমন কামুকের মত রাতুলের সাথে ফ্রেঞ্চ কিস করছে। লম্বা ঘাড় পেঁচিয়ে সে ভাইয়ার সাথে নিজের ঠোট খেলাচ্ছে। রাতুল জিভ ঢুকিয়ে দিলো বারবির ঠোঁটে। বারবি প্রফেশনাল ভঙ্গিতে সেটার মর্যাদা দিলো। মাথা ছেড়ে দিয়ে রাতু্ল বলল-অনেক পাকনা হইসিস্ বারবি। বারবির নাক ফুলে উঠছে। গালে ঠোটে একরাশ রক্ত জমে অদ্ভুত সুন্দর করে দিয়েছে মেয়েটাকে। শরীরটা কেমন যেসো ঝুঁকে আছে শিরদ্বারা খাড়া করে। অদ্ভুত আবেদন চোখেমুখে। যৌনাবেদন এতো সুন্দর হতে পারে রাতুল কখনো কল্পনাই করেনি। মেয়েটা হাসলে সুন্দর লাগে, অভিমান করলে সুন্দর লাগে, এই যে এখন কামোন্মুখ হয়ে গেছে মনে হচ্ছে সে তার নিজের সব সৌন্দর্যকে অতিক্রম করে নতুন করে সেজেছে। মেয়েটা যে কামে ফেটে যাচ্ছে সেটা বুঝতে রাতুলকে দ্বিতীয়বার তাকাতে হয়নি। হয় নি মানে সে পারেনি দ্বিতীয়বার তাকাতে ওর দিকে,কারণ বারবি রাতুলের দিকে পুরোপুরি ঝুকে ওকে পাগলের মত কিস করা শুরু করেছে। কিছু কিছু সেক্স আছে যেগুলোতে ভূমীকার দরকার হয় না, বর্ণনা দরকার হয় না, কেবল উপসংহার থাকে সেখানে। সে উপসংহার নিজেই ভূমীকা, নিজেই বর্ণনা নিজেই পটভূমী হয়ে যায় কোন পরিণতি ছাড়াই-ভাবে রাতুল। কারন বারবির কর্মকান্ডে রাতুলের নিজেকে মনে হচ্ছে বারবির পুতুল সে। কোন বোঝাপরা ছাড়াই সবকিছু হয়ে যাচ্ছে বারবির সাথে। বাবলির জন্য খারাপ লাগলো। মেয়েটা নিতে জানে না বারবির মত করে। নিজেকে বারবির কর্মকান্ডে ছেড়ে দেয়া ছাড়া কিছু করার থাকে না তার। বারবি অবশ্য বেশীদুর যাচ্ছে না। সে পাগলের মত ভাইয়াকে কিস করছে আর একটা হাত রাতুলের লোমশ বুকে ঘষে দিচ্ছে জামার নিচে নিয়ে। রাতুল সেই চুম্বনের বর্ষায় নিজেকে ভেজাচ্ছে। দরজার ফাঁকটা এমন যে বাইরে থেকে কেউ রাতুলের কোমরের নীচটা দেখতে পাবে। শিয়রে বসে থাকা বোনের পাগলামি দেখতে হলে দরজার ফাঁকা স্থানের পরিমান আরো বাড়াতে হবে। বারবি রাতুলকে কিস করতে করতেই নিজের বসার ভঙ্গি বদলে ফেলল। সে রাতুলের মাথার দুপাশ দিয়ে তার দিয়ে দুটো ছড়িয়ে দিয়েছে। রাতুলের মাথার বালিশটা টেনে সরিয়ে নিজের একটা রানের উপর রাতুলের মাথাটা রাখলো খুব ব্যাস্ত হয়ে। বারবির শরীরের ঘ্রানটা যেনো বেড়ে গেলো রাতুলের কাছে। ঘ্রানটা এতোক্ষন উষ্ণ ছিলো সেটা উত্তপ্ত ঘ্রানে পরিনত হল। রাতুলের পক্ষে সম্ভব হল না নিজেকে ধরে রাখার। সে বারবির মুখ সরিয়ে উপুর হয়ে গেলো আর বারবির দুই রানের চিপায় নিজের নাক মুখ চেপে ধরে উত্তপ্ত ঘ্রান নিতে গিয়ে টের পেলো গড়ম বোনটা নিচটা ভিজিয়ে ফেলেছে ভাইয়াকে কিস করতে করতে।যদিও সে টের পেল পাজামা আর বারবির যোনিদেশের মধ্যে ভিন্ন কিছু আছে। সেখানে নাক ডলতে ডলতে একবার প্রশ্নবোধক ভাবে বোনের দিকে তাকালো রাতুল। বারবি পাজামার নিচে পেন্টির মধ্যে হাত গলিয়ে দিয়ে একদলা টিস্যু বের করে আনলো। ফিসফিস করে বলল সেফ পিরিয়ড ভাইয়া, ভিজে যাই বলে টিস্যু দিয়ে রাখি সবসময়। বোনের সাবলীল উপস্থাপনায় মুগ্ধ রাতুল। সে খেয়াল করল মেয়েদের পাজামার জঙ্ঘাতে রং জ্বলা যে ভাবটা দেখা যায় বারবির ক্ষেত্রে তেমন কিছু দেখা যাচ্ছে না। রাতুল মুখ হা করে বোনের গুদ আন্দাজ করে ছোট্ট স্থানটাতে মুখ চেপে সেখানে গড়ম ভাপ দিতে লাগলো। বারবি হিসিয়ে উঠলো। ফিসফিস করে বলল ‘ভাইয়া’।রাতুল উঠে বসল বারবির মুখোমুখি। অপরুপ সুন্দরী বোনকে দেখতে লাগলো।বারবির চোখেমুখে কাম লজ্জা ভয় উত্তেজনা পাপ সবকিছুর বিশাল এক সমাহার দেখতে পেলো সে। বলল-পাগলা ভাইয়াকে সামাল দিতে পারবি মনে দেহে? বারবির নিঃশ্বাস দ্রুত হল। সে কিছু বলল না। তার অভিব্যাক্তি রাতুলকে জানাচ্ছে তার অনেক কিছু চাই, আর সেটা দিতেই হবে তাকে। রাতুল বোনকে জড়িয়ে ধরল শক্ত করে, বলল কোন শব্দ করিসনা বোন। শুধু জড়িয়ে থেকে বারবির ঘাড়ের লবনাক্ত স্বাদ নিতে নিতে রাতুল টের পেলো বোনের শরীর কেঁপে কেঁপে উঠছে। কানে কানে রাতুল বলল-সারাদিন ভিজে থাকিস মনে হচ্ছে। বারবি রাতুলের গালে গাল ঘষতে ঘষতে বলে- ভাইয়া জীবনের প্রথম সত্যিকারের সুখ তোমার কাছ থেকে নিতে চাই, দেবে কখনো সময় করে? রাতুলের মাথা বনবন করে উঠে সুন্দরী সেক্সি কচি বোনটার কথায়। সে বলে অনেক পেকেছিস, না দিয়ে উপায় আছে? তবে আর যেতে পারেনি রাতুল। শিরিন মামি সবাইকে খাওয়াচ্ছিলেন তিনি রাতুলকেও সে খাওয়ার ভাগ দেবেন কারণ মামার বন্ধু পোড়া বাড়ির চমচম এনেছেন। শিরিন মামি দরজার সামনে বসা লোকটাকে বলছেন-ভাই চেয়ারটা একটু সরিয়ে বসবেন আমার নতুন আব্বুটাকে একটু মিষ্টি খাওয়াবো আমি। রাতুলকে শিরিন মামি নতুন আব্বু বলছেন। অগত্যা রাতুল বোনকে ছেড়ে দিয়ে বিছানার একেবারে শেষ কিনারে দেয়ালের পাশ ফিরে শুয়ে পরল। সে অবাক হল বারবি যেনো নিজেকে গুছিয়ে নিতেও চেষ্টা করছেনা। আসলে রাতুল টের পায় নি যে বোন সাথে সাথেই তার ভেজা পাজামা ঢাকতে বাথরুমে চলে গ্যাছে।
Reply


Messages In This Thread
RE: নিষিদ্ধ বচন (Completed) -by bipulroy82 - by manas - 05-01-2019, 11:40 AM



Users browsing this thread: 11 Guest(s)