Thread Rating:
  • 38 Vote(s) - 3.45 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
বন্ধু (As collected from Net)
এর মধ্যে একদিন জুলিয়েটের বাতিক উঠল জাহাংগীর নগর যাবে সকালে একটা ক্লাস ছিল ক্লাসে এসে ছেলেপেলেরা দেখে স্যার আজকে আসবেন না সারাদিন আর ক্লাস নাই কি করা যায় এটা নিয়ে কথা বলতে বলতে নিচে নেমে আসলাম কেউ নাস্তা করে নায় তাই সবাই মিলে মহসীন হলের সামনের টঙ্গের দোকানের দিকে গেলাম কেউ ডিম পরোটা আর কেউ দই চিড়া খেতে খেতেই জুলিয়েট আচমকা বলে উঠল চল ঘুরে আসি কোথাও থেকে জুলিয়েটের বাতিকের শেষ নেই এটাও একটা ধরে নিয়ে সবাই যার যার মত খাওয়া আর কথাবার্তা চালিয়ে যেতে থাকল কার সাড়া না পেয়ে জুলিয়েট আবার বলল, আমি সিরিয়াস গাইস চল ঘুরে আসি সারাদিন ক্লাস নেই সকাল সকাল বের হলে বেড়া সাড়ে দশটার মধ্যে চলে যাব জাহাংগীর নগর ভার্সিটিতে সারাদিন ঘুরে, ওদের বটতালায় খাব তারপর আবার বিকালে ফিরে আসব বাসায় কাউকে বলার দরকার নাই আমরা আমরাই যাব কি বলিস প্রথমেই সাদিয়া সরে গেল সাধারণত এমন প্ল্যান গুলো থেকে সরে থাকে মিলির ক্লাস আর সুনীতির দুপুরে বাসায় যেতে হবে ফারিয়াও খুব একটা রাজি না আমি ভেবে দেখলাম যাওয়া যায় কিন্তু প্রায় এক ঘন্টা জার্নি করে গিয়ে এই গরমে কি লাভ আমি বললাম জাহাংগীর নগর যায় লোকে শীতে, অতিথি পাখি দেখতে আর এখন এই বর্ষার মধ্যে গিয়ে কি করবি আর আজকে যে গরম ঘুরেও মজা পাবি না ফারিয়া সায় দিল তবে জুলিয়েট তাতে দমার পাত্রী না বলল হঠাত করে যদি ঘুরতে না যাওয়া যায় তাহলে এই ভার্সিটি লাইফের দরকার কি এই বলে এক বিশাল আবেগময় বক্তৃতা ফেদে বসল তাতেও কেউ রাজি না এর মধ্যে সাদিয়া উঠে গেল মিলিও বলল কিছু কাজ আছে সুনীতি বুঝল বেশিক্ষণ বসে থাকলে জুলিয়েট আবার জোড়াজুড়ি শুরু করবে আর এতে না বলতে পারবে না তাই নিজে থেকেই উঠে বলল বাসায় যাওয়া দরকার রইলাম আমরা তিনজন এর মধ্যে সাড়ে নয়টা বেজে গেল আমিও উঠি উঠি করছি এইসময় জুলিয়েট ক্ষেপে উঠে গেল বলল তোদের মত এরকম ঘরকুনো লোকজন দিয়ে কিছু হবে না আমি দরকার হলে একাই যাব ট্রাম্প করল জুলিয়েট এইবার বাধ্য হয়ে ফারিয়া বলল ঠিক আছে আমিও যাব আমি অবশ্য রাজি হলাম না

এর মধ্যে ঠিক হল জুলিয়েট আর ফারিয়া জাহাংগীরনগর যাবে আমি যাব না ওরা নিউ মার্কেটের মোড় থেকে সাভার যাবার বাস ধরবে আমি ওদের কে উঠিয়ে দিয়ে চলে যাব হেটে হেটে আমরা মহসীন হলের মাঠ থেকে নিউ মার্কেটের দিকে যেতে থাকলাম এর মধ্যে জুলিয়েট অনেকভাবে আমাকে দলে টানার চেষ্টা করল ফারিয়াও সেখানে যোগ দিল তবে আমি আসলে অতটা ইচ্ছুক না এই গরমে জাহাংগীর নগর ভার্সিটিতে গিয়ে কি করব বুঝলাম না এমনিতে অবশ্য অন্য সময় হলে কথা ছিল না চমতকার জায়গা প্রচুর গাছপালা চমতকার ক্যাম্পাস ভাল পরিবেশ তবে আজকে এতে গরমে বাসে গিয়ে এইসব পোষাবে বলে মনে হয় না তাই ভেবেও বাদ দিলাম এর মধ্যে নিউ মার্কেটের মোড়ে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি গরম প্রচন্ড এর মধ্যে ঘেমে অবস্থা খারাপ জুলিয়েট আর ফারিয়া কে বললাম যাইস না আজকে দেখ কি গরম কিন্তু যাবেই এরা এমনিতেই জুলিয়েট নাচুনি বুড়ি তার উপর হঠাত করে ফারিয়ার ঢোলের বাড়ি পরাতে একদম লাফাচ্ছে ফারিয়া এখন যুক্তি হিসেবে দিচ্ছে অনেকদিন ঘোরাঘুরি করে না আজকে একটা আউটিং হয়ে যাবে এর মধ্যে জুলিয়েট আবার ফুসলানোর চেষ্টা করছে ফারিয়া শেষে বলল ভীতু এরে দিয়ে হবে না বাদ দে, গরমের ভয়ে যাবে না কোন পুরুষ মানুষ হইল দুইটা মেয়ে একা যাচ্ছে দেখেও যাচ্ছে না এইবার পুরুষ কার্ড খেলার চেষ্টা অন্যসব ছেলেদের মত এই অস্ত্রে আমি অবশ্য একটু টলে গেলাম যাওয়া নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্ব শুরু হল অবশ্য আসল অস্ত্র চালাল জুলিয়েট আমার কানের কাছে মুখ এনে বলল দেখলি কি বলল ভীতু আমি কি বলছিলাম মনে আছে সাহসী হতে হবে একমাত্র সাহসীরা পুরষ্কার পায় ফরচুন ফেভার দ্যা ব্রেভ এই ভাবতে ভাবতে হঠাত করে বাস চলে আসল জুলিয়েট আর ফারিয়া বাসে উঠে গেল জুলিয়েট বাসের জানালা দিয়ে মাথা বের করে বলল ফরচুন ফেবারস দ্যা ব্রেভ এই বলে একটা চোখ টিপ দিল সামনে গাড়ির ভিড় বাস বেশ আস্তে আস্তে সামনে এগুচ্ছে বাসের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে হঠাত করে কি মনে হল দৌড় দিয়ে বাসে উঠলাম 

হঠাত করে আমার এই দৌড় দিয়ে বাসে উঠা দেখে জুলিয়েট, ফারিয়া সবাই বেশ অবাক হল আমি কিছু না বলে হাসি দিলাম ওরা বসে আছে আপাতত জায়গা খালি নেই তাই ওদের পাশে দাঁড়িয়ে রওনা দিলাম বাস চলছে বেশ ধীরে জ্যাম নেই তবে গাড়ির ভীড় তাই আস্তে যাচ্ছে আমাদের বাসের ভিতর আড্ডা শুরু হল হাবিজাবি থেকে গূরুত্বপূর্ন সব বিষয়ে কথা চলতে থাকল এরমধ্যে শ্যামলী পার হবার পর জুলিয়েটের পাশে একটা সিট খালি হল পাশাপাশি তিন সিট ফারিয়া জানালার কাছে, জুলিয়েট মাঝে আর আমি মাঝের হাটার জায়গার পাশে আমাদের কথা চলতে থাকল এর মধ্যে বাস আমিন বাজার ক্রস করেছে এইবার রাস্তা বেশ ফাকা তাই বাস বেশ ফার্স্ট যাচ্ছে ফারিয়া জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে আমি আর জুলিয়েট আড্ডা চালিয়ে যাচ্ছি জুলিয়েট বলল কিরে হঠাত করে কি মনে করে আসলি গরম কমে গেল না জাহাংগীর নগরে শীতের পাখি আসল? আমি বললাম কিছুই না ফরচুন ফেবারস দ্যা ব্রেভ তাই আসলাম জুলিয়েট চোখ ছোট করে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকল তারপর গলার স্বর একটু নামিয়ে আস্তে করে বলল, শালা শয়তান হয়ে গেছিস না খালি এইসব মাথায় ঘুরে আমি বললাম তুই বললি, ফারিয়া বলল আর আমি বললেই দোষ জুলিয়েট এইবার হাসি দিয়ে বলল শালা এই কথা 

বারটার দিকে আমরা জাহাংগীর নগর ভার্সিটির গেটের সামনে নামলাম আস্তে আস্তে ভিতর দিয়ে হেটে ওদের সোশ্যাল সায়েন্স ফ্যাকাল্টির সামনে আসলাম ফারিয়ার কয়েকটা বন্ধু আছে এইদিকে ফোনে কথা হয়েছে তাই ওদের সাথে দেখা করতে আসলাম অবশ্য ওদের সাথে বেশিক্ষণ কথা হল না সবাই বাসায় ফিরবে ওদের মিডটার্ম হচ্ছে সবাই ঢাকা থাকে বাসে আসে আজকের মিডটার্ম শেষ তাই আগে আগে বাসে চলে যাচ্ছে আধা ঘন্টা আড্ডা দিয়ে ওরা চলে গেল এইবার আমরা একা এইবার কি করব এটা নিয়ে কথা উঠল দেখা গেল কোন ফিক্সড প্ল্যান নাই আমি জিজ্ঞেস করলাম তাহলে আসলি কেন? জুলিয়েট উত্তর দিল খালি প্ল্যান করে কি ঘুরা হয় আজকে প্ল্যান নাই যখন যেখানে যেতে ইচ্ছা হবে সেখানে যাব এসেই যখন পরেছি তখন তর্ক করে লাভ নাই তাই মেনে নিলাম 
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.


Messages In This Thread
RE: বন্ধু (As collected from Net) - by dweepto - 26-07-2019, 12:36 AM



Users browsing this thread: 2 Guest(s)