26-07-2019, 12:33 AM
২৮
প্রথম সাইকেল চালানো বা সাতার শেখার কথা মনে আছ কার? প্রথম বার যখন আপনি বুঝতে পারেন যে প্যাডেল মেরে নিজে নিজেই সাইকেলের স্টায়ারিং আপনি কন্ট্রোল করে নিতে পারছেন বা পানিতে হাত পা ছুড়ে ভেসে থাকতে পারছেন সেই মূহুর্তের কথা কি আপনার মনে আছে? দারুণ এক দৃঢ় আত্মবিশ্বাস জন্ম নেয় মনে। কিছু সময় আগে মনে হওয়া অসম্ভব কাজটাই মনে হয় সম্ভব। আর চেষ্টা করলে বেশ ভাল ভাবেই সম্ভব। মিলির সাথে ক্লাসরুমের ঘটনার পর আমার মনে ঠিক সেই রকম এক আত্মবিশ্বাসের জন্ম হল সেই মূহুর্তে। সেদিনের কথা যতই মনে হল ততই মনে হতে থাকল আমি চাইল পারব। বাকিদেরও তাদের মনের ভিতরের খোলস থেকে বের করে আনতে পারব। মিলি হয়ত এখনো পুরোপুরি খোলস ছেড়ে বের হয় নি কিন্তু ওকে এই খোলস থেকে বের করে আনা সম্ভব। এই যে মিলি বা বাকিদের কিভাবে খোলস থেকে বের করে আনব এই ব্যাপারে আমার কোন ধারণা বা পরিকল্পনা না থাকলেও মনে সাহস জন্মাল যে আমি চেষ্টা করল এটা সম্ভব। আসলে মিলির সাথে এর আগের যা ঘটেছে বা জুলিয়েটের সাথে নেটে চ্যাট বা চা বাগানের ঘটনা কিছুই আমি তেমন পরিকল্পনা মাফিক ঘটাই নি। অনেকসময় ওদের ভূমিকা ছিল, কখনো আমি সময়ের সাথে ঠিক সুযোগ নিয়েছি। কিন্তু এখানে মিলির ক্ষেত্রে আমি ওকে একটা নির্দিষ্ট দিকে নিয়ে গেছি। আর এটাই আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণে। আমার মনে হল যদি অপেক্ষা করি আর ঠিকমত পরিকল্পনা করি তাহলে এই সমাজের দেওয়া খোলস থেকে এদের সবাই কে আমি মুক্ত করতে পারব। কখন, কোথায় বা কিভাবে জানি না তবে একদিন না একদিন আমি সুযোগ পাব। সুযোগের ঠিক ব্যবহার করতে পারলে উদ্দ্যেশ পূরণ হবেই।
সবাই কে এই সমাজের খোলস থেকে মুক্ত করার চিন্তা আসার পর থেকে আমার দৃষ্টিভংগীর পরিবর্তন আসল। সবাই কে আর ভালভাবে লক্ষ্য করা শুরু করলাম। এতদিন মিলি আর জুলিয়েটের সাথে আমার কর্মকান্ড কে বলতে পারেন আকস্মিক তাড়না দ্বারা আক্রান্ত মানুষের কাজ। তবে এখন সেটা হল নির্দিষ্ট লক্ষ্যে। আর এই যে সামাজিক খোলস থেকে মুক্ত করার মহৎ চিন্তা তা আমার লক্ষ্য সম্পর্কে আমাকে একটা মহৎ ধারণা দিল। আসলে নিজেকে যদি নিজে কনভিন্স করা যায় যে আমার কাজের সাথে মহৎ উদ্দ্যেশ আছে তাহলে দেখবেন কতটা মোটিভেটেড হবেন। তাই হল আমার ক্ষেত্রে। আমি এখন অন্য চোখে বাকিদের দেখতে শুরু করলাম। শুরুটা হয়ত আর আগেই হয়েছিল তবে এখন আর গভীর ভাবে পর্যবেক্ষেণ করতে থাকলাম।
মিলির সাথে সেইদিন দুপুরের পর আবার যোগাযোগ বন্ধ। মিলি ক্লাসে দেখলে এমন ভব করছে যেন খেয়াল করে নি। আর অন্যদের সামনে দুই একটা কথার বাইরে বলছে না। এমনিতে মিলি কম কথা বলে তাই অন্যরা ব্যাপারটা ধরতে না পারলেও আমি বুঝতে পারলাম। খেয়াল করে দেখলাম আমার সাথে প্রত্যেকটা ঘটনার পর মিলি এমন করেছে আবার কয়েকদিন পর ঠিকও হয়ে গেছে। তাই অত চিন্তা করলাম না। তবে বিশ্লেষণ করে যা বুঝলাম মিলি এই ঘটনা গুলোর পর দোমনা অবস্থায় পরে। সমাজের পাপ পূণ্যের হিসেব নিশ্চয় কনফিউজড করে দেয়। আগের ঠিক করা উদ্দ্যেশ অনুযায়ী এইবার আমি ঠিক করলাম আমি নিজেই চেষ্টা করব যেন মিলি এই দোমনা থেকে আমার সাহায্যে বের হয়ে আসতে পারে। অবশ্য এই সুযোগ পেতে পেতে আমার আর কয়েকদিন লেগেছিল।
ফারিয়ার একটা ব্যাপার খেয়াল করলাম এতদিনে যে অনেকে ওর সাথে প্রেম করতে চায়, ফ্ল্যার্ট করে। পালটা ফ্লার্ট ফারিয়াও করে কিন্তু কোন ব্যাপারটা শেষ পর্যন্ত প্রেম পর্যন্ত গড়ায় না। বাইরে থেকে সবাই বলে ফারিয়ার নাক উচু। কিন্তু গ্রুপের ভিতর অন্তত আমরা জানি ব্যাপারটা সেটা না। ওর মত সুন্দরী মেয়েদের কাছে বেশির ভাগ ছেলেই যায় একটা কারণে। শরীর। আর কম বয়স থেকে ছেলেদের কাছ থেকে এই এক ধরনের এটেনশন পেয়ে পেয়ে সতর্ক হয়ে গেছে। যদি বুঝে ছেলের উদ্দ্যেশ একটাই তাহলে আস্তে করে সরে আসে। এটা আমার মত। অবশ্য কিছু কিছু ছেলের ক্ষেত্রে কেন সরে আসে এটা আমার ধারণা নেই। যেমন জহির ভাই। অন্য ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র। আমাদের সাথে বেশ ভাল খাতির। আমাদের মধ্যে যে ফারিয়া কে উনি একটু অন্য চোখে দেখেন তা বুঝা যায়। ভাল লোক। কিন্তু ফারিয়া ঠিক কাছে ঘেষতে দেয় না। তাই ফারিয়া আসলে কি টাইপ ছেলে চায় বুঝা কঠিন। সবার সাথে কথা বলে হয়ত একটু আক্টূ ফ্লার্ট করে কিন্তু কাছে ঘেষতে দেয় না। জুলিয়েটের ভাষায় খাটি ইংরেজিতে নাই এটাকে বলে "টিজ"। আর ক্লাসের পোলাপাইনের ভাষায় যত বড় দুধ তার তত বড় পাছা আর তার থেকে বড় নাক।
প্রথম সাইকেল চালানো বা সাতার শেখার কথা মনে আছ কার? প্রথম বার যখন আপনি বুঝতে পারেন যে প্যাডেল মেরে নিজে নিজেই সাইকেলের স্টায়ারিং আপনি কন্ট্রোল করে নিতে পারছেন বা পানিতে হাত পা ছুড়ে ভেসে থাকতে পারছেন সেই মূহুর্তের কথা কি আপনার মনে আছে? দারুণ এক দৃঢ় আত্মবিশ্বাস জন্ম নেয় মনে। কিছু সময় আগে মনে হওয়া অসম্ভব কাজটাই মনে হয় সম্ভব। আর চেষ্টা করলে বেশ ভাল ভাবেই সম্ভব। মিলির সাথে ক্লাসরুমের ঘটনার পর আমার মনে ঠিক সেই রকম এক আত্মবিশ্বাসের জন্ম হল সেই মূহুর্তে। সেদিনের কথা যতই মনে হল ততই মনে হতে থাকল আমি চাইল পারব। বাকিদেরও তাদের মনের ভিতরের খোলস থেকে বের করে আনতে পারব। মিলি হয়ত এখনো পুরোপুরি খোলস ছেড়ে বের হয় নি কিন্তু ওকে এই খোলস থেকে বের করে আনা সম্ভব। এই যে মিলি বা বাকিদের কিভাবে খোলস থেকে বের করে আনব এই ব্যাপারে আমার কোন ধারণা বা পরিকল্পনা না থাকলেও মনে সাহস জন্মাল যে আমি চেষ্টা করল এটা সম্ভব। আসলে মিলির সাথে এর আগের যা ঘটেছে বা জুলিয়েটের সাথে নেটে চ্যাট বা চা বাগানের ঘটনা কিছুই আমি তেমন পরিকল্পনা মাফিক ঘটাই নি। অনেকসময় ওদের ভূমিকা ছিল, কখনো আমি সময়ের সাথে ঠিক সুযোগ নিয়েছি। কিন্তু এখানে মিলির ক্ষেত্রে আমি ওকে একটা নির্দিষ্ট দিকে নিয়ে গেছি। আর এটাই আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণে। আমার মনে হল যদি অপেক্ষা করি আর ঠিকমত পরিকল্পনা করি তাহলে এই সমাজের দেওয়া খোলস থেকে এদের সবাই কে আমি মুক্ত করতে পারব। কখন, কোথায় বা কিভাবে জানি না তবে একদিন না একদিন আমি সুযোগ পাব। সুযোগের ঠিক ব্যবহার করতে পারলে উদ্দ্যেশ পূরণ হবেই।
সবাই কে এই সমাজের খোলস থেকে মুক্ত করার চিন্তা আসার পর থেকে আমার দৃষ্টিভংগীর পরিবর্তন আসল। সবাই কে আর ভালভাবে লক্ষ্য করা শুরু করলাম। এতদিন মিলি আর জুলিয়েটের সাথে আমার কর্মকান্ড কে বলতে পারেন আকস্মিক তাড়না দ্বারা আক্রান্ত মানুষের কাজ। তবে এখন সেটা হল নির্দিষ্ট লক্ষ্যে। আর এই যে সামাজিক খোলস থেকে মুক্ত করার মহৎ চিন্তা তা আমার লক্ষ্য সম্পর্কে আমাকে একটা মহৎ ধারণা দিল। আসলে নিজেকে যদি নিজে কনভিন্স করা যায় যে আমার কাজের সাথে মহৎ উদ্দ্যেশ আছে তাহলে দেখবেন কতটা মোটিভেটেড হবেন। তাই হল আমার ক্ষেত্রে। আমি এখন অন্য চোখে বাকিদের দেখতে শুরু করলাম। শুরুটা হয়ত আর আগেই হয়েছিল তবে এখন আর গভীর ভাবে পর্যবেক্ষেণ করতে থাকলাম।
মিলির সাথে সেইদিন দুপুরের পর আবার যোগাযোগ বন্ধ। মিলি ক্লাসে দেখলে এমন ভব করছে যেন খেয়াল করে নি। আর অন্যদের সামনে দুই একটা কথার বাইরে বলছে না। এমনিতে মিলি কম কথা বলে তাই অন্যরা ব্যাপারটা ধরতে না পারলেও আমি বুঝতে পারলাম। খেয়াল করে দেখলাম আমার সাথে প্রত্যেকটা ঘটনার পর মিলি এমন করেছে আবার কয়েকদিন পর ঠিকও হয়ে গেছে। তাই অত চিন্তা করলাম না। তবে বিশ্লেষণ করে যা বুঝলাম মিলি এই ঘটনা গুলোর পর দোমনা অবস্থায় পরে। সমাজের পাপ পূণ্যের হিসেব নিশ্চয় কনফিউজড করে দেয়। আগের ঠিক করা উদ্দ্যেশ অনুযায়ী এইবার আমি ঠিক করলাম আমি নিজেই চেষ্টা করব যেন মিলি এই দোমনা থেকে আমার সাহায্যে বের হয়ে আসতে পারে। অবশ্য এই সুযোগ পেতে পেতে আমার আর কয়েকদিন লেগেছিল।
ফারিয়ার একটা ব্যাপার খেয়াল করলাম এতদিনে যে অনেকে ওর সাথে প্রেম করতে চায়, ফ্ল্যার্ট করে। পালটা ফ্লার্ট ফারিয়াও করে কিন্তু কোন ব্যাপারটা শেষ পর্যন্ত প্রেম পর্যন্ত গড়ায় না। বাইরে থেকে সবাই বলে ফারিয়ার নাক উচু। কিন্তু গ্রুপের ভিতর অন্তত আমরা জানি ব্যাপারটা সেটা না। ওর মত সুন্দরী মেয়েদের কাছে বেশির ভাগ ছেলেই যায় একটা কারণে। শরীর। আর কম বয়স থেকে ছেলেদের কাছ থেকে এই এক ধরনের এটেনশন পেয়ে পেয়ে সতর্ক হয়ে গেছে। যদি বুঝে ছেলের উদ্দ্যেশ একটাই তাহলে আস্তে করে সরে আসে। এটা আমার মত। অবশ্য কিছু কিছু ছেলের ক্ষেত্রে কেন সরে আসে এটা আমার ধারণা নেই। যেমন জহির ভাই। অন্য ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র। আমাদের সাথে বেশ ভাল খাতির। আমাদের মধ্যে যে ফারিয়া কে উনি একটু অন্য চোখে দেখেন তা বুঝা যায়। ভাল লোক। কিন্তু ফারিয়া ঠিক কাছে ঘেষতে দেয় না। তাই ফারিয়া আসলে কি টাইপ ছেলে চায় বুঝা কঠিন। সবার সাথে কথা বলে হয়ত একটু আক্টূ ফ্লার্ট করে কিন্তু কাছে ঘেষতে দেয় না। জুলিয়েটের ভাষায় খাটি ইংরেজিতে নাই এটাকে বলে "টিজ"। আর ক্লাসের পোলাপাইনের ভাষায় যত বড় দুধ তার তত বড় পাছা আর তার থেকে বড় নাক।