Thread Rating:
  • 38 Vote(s) - 3.45 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
বন্ধু (As collected from Net)
#99
২৪

জুলিয়েটের সাথে ঘটনার পর কয়েকদিন পুরা ঘোরে কাটালাম কি হচ্ছে না হচ্ছে আশে পাশে তার খেয়াল নেই মিলির ব্যাপারটাও মাথায় নেই তখন এর মধ্যে কোথায় কি হচ্ছে তা পাত্তা দিচ্ছি না মাথায় ঢুকছে না কিছু জুলিয়েট একদিন ক্লাস শেষে বাসায় যাবার জন্য ভার্সিটির বাস ধরবে আমি এগিয়ে দিতে গেলাম ক্লাসের আর কয়েক জন রুটে যায় সবাই কিছুক্ষণ গল্প করার পর বাস আসল হুড়াহুড়ি করে বাসে উঠার জন্য সবাই দৌড় দিল সিট বাসে দূর্লভ বস্তু জুলিয়েট বাসে কিছু না বলেই উঠে গেল জুলিয়েট এমন কখন কি করে ঠিক নেই আমি উলটা ঘুরে হাটা দিলাম একটু দূরে যেতেই দেখি বাস পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে জুলিয়েটের গলা শোনা গেল চিতকার করে আমার নাম ধরে ডাকছে মাহি, মাহি তাকাতেই বলল কল দিস আমি জোরে হ্যা বলে হাত নাড়াতেই আবার বলল স্কাইপেতে আমি আবার হাসি দিলাম এইভাবে সাপ্তাহে অন্তত দুই দিন স্কাইপে আড্ডা আর দিনের বেলা ঘোরের মাঝে চলাফেরা করতে করতে একমাস চলে গেল সেকেন্ড ইয়ারের শেষের দিকে আমাদের একটা ফিল্ড ট্রিপ হয় সিলেটে তিন দিন বা চার দিন থাকে একাডেমিক কাজের সাথে প্লেজার ট্রিপ ফিল্ড ভিজিটের সাথে সাথে ঘোরাঘুরি এর মাঝে একদিন শুনি আগামী পরশু নাকি ফিল্ড ট্রিপ শুরু ঘোরের কারণে কোন কাজ ভালভাবে করা হয় নি তাই টাকা জমা দেওয়া হয় নি, অন্য প্রস্তুতিও নেওয়া হয় নি দ্রুত ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যানের পারমিশন নিয়ে শেষ মূহুর্তে টাকা জমা দিয়ে নাম লিখালাম সবাই ট্রিপ নিয়ে উত্তেজিত আমার অবশ্য বিরক্ত লাগছিল কারণ এই কয়দিন অন্তত স্কাইপেতে কথা বলার উপায় নেই 

ট্রিপের প্রথম দিন সকাল বেলা রওনা দিয়ে দুপুরের দিকে সিলেট পৌছালাম যে হোটেলে থাকার কথা সেখানে উঠে ফ্রেস হয়ে দুপুরের খাবারের পর বিকালে যে যে যার যার মত ঘুরতে বের হল আমরা সবাই একসাথে বের হলাম সাদিয়া মাজারে যাবে তাই যাওয়া হল পরে সবাই কেনাকাটার জন্য ঘোরাঘুরি করল মনিপুরি জিনিসপত্র কিনল আমি বাসার সবার জন্য টুকটাক জিনিসপত্র কিনলাম এদিকে বেড়াতে এসে খালি মেয়েদের সাথে ঘোরার জন্য রাতে রুমে ফিরে বাকি ছেলেদের ভালো একটা টিজ খাওয়া লাগল পাত্তা দিলাম না 

পরের দিন প্রথমে সকালে ফিল্ড এক্টিভিটিস আর এরপর বিছানাকান্দি ভ্রমণ সকাল সাতটায় বাস ছাড়ল ফিল্ডে পৌছে কাজ করতে করতে বেলা একটা প্রায় এরপর ছুটি ছেলেপেলে পানিতে নামবে নামব না নামবা না করেও শেষ পর্যন্ত নেমে গেলাম পানিতে ঝাপাঝাপি দাপাদাপি ভাল পরিমানেই হল বর্ষা মোটে শেষ তাই পানি ভাল পরিমানে আছে স্রোত আছে তবে খুব বেশি না সাতার জানি তাই অন্যদের মত তীরে না থেকে বেশ সাতার দিলাম একটু পরে সবাই বেশ ছাড়াছাড়া হয়ে গেল যে যে যার যার মত বা গ্রুপে পানিতে দাপাদাপি করতে থাকল বেশ ঠান্ডা পানি বেশ পরিষ্কার নিচের পাথর বোঝা যায় আমাদের গ্রুপের বাকিরা আর ক্লাসের আর কয়েকজন সহ পানিতে ভেসে বেড়াচ্ছে আমিও কিছুক্ষণ গ্রুপের বাকিদের সাথে পানিতে দাপাদাপি করলাম এর মধ্যে পানিতে সবার জামা কাপড় ভিজে লেপ্টে গেছে খেয়াল করলাম ভেজা কাপড়ে সবার শরীরে কাপড় চামড়ার মত লেগে আছে অবয়ব বোঝা যাচ্ছে সবার সবাই ঝাপাঝাপিতে ব্যস্ত, কেউ কার দিকে তেমন খেয়াল করছে না সাজ্জাদ আর শায়লা একটা বল নিয়ে ঝাপাঝাপি করছে বল নিয়ে খেলতে গিয়ে সাজ্জাদের হাত বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করছে শায়লা ব্যাপারটা খেয়াল করছে বা করলেও কিছু মনে করছে বলে মনে হয় না আশেপাশে তাকিয়ে দেখি আমাদের গ্রুপের মেয়েরা আর শায়লা সাজ্জাদ ছাড়া বাকিরা বেশ দূরে তাকাতেই দেখি ফারিয়া, সুনিতি, সাদিয়া, মিলি আর জুলিয়েট মিলে সাতার কাটার চেষ্টা করছে আসলে সাদিয়া ছাড়া বাকিরা কেউ সাতার জানে না, পানি কম তাই সাতার কাটার একটা চেষ্টা করছে হাত পা ছেড়ে ভেসে থাকার চেষ্টা করতে গিয়ে ঢুবে যাচ্ছে আবার ভেসে উঠছে, সাদিয়া আবার টিপস দিচ্ছে কিভাবে ভেসে থাকতে হবে আমি একটু কাছে যেতেই সাদিয়া বলল দেখ গাধা গুলা একদিনেই সাতার শিখে ফেলতে চায় একদিনে কি সাতার শেখা যায় বল? উত্তর না দিয়ে আমিও এই সাতার শেখানোর মিশনে যোগ দিলাম জুলিয়েট প্যান্ট আর শার্ট পরা ফারিয়া, মিলি আর সুনিতি সালোয়ার কামিজ আর সাদিয়া স্বভাবসুলভ বোরকা পানিতে ভিজে সবার ড্রেস গায়ের সাথে লেগে আছে এমনিতেই জুলিয়েটের সাথে স্কাইপে তে সেক্স চ্যাটিং হচ্ছে না তাই মাথা গরম এখন পানির মাঝে সবার অবস্থা দেখে আমার তখন আসলে পুরা চমকানোর মত অবস্থা এতদিনে মিলি বা জুলিয়েটের সাথে যাই হোক না কেন পুরো গ্রুপের এরকম অবস্থা এই প্রথম আমার জন্য একেতো পানিতে ভিজে কাপড় লেগে আছে গায়ের সাথে আবার সেইদিকে বাকিদের কোন খেয়াল নেই সবাই যার যার মত মজা করছে মাথার ভিতর খালি দুষ্ট চিন্তা নড়াচড়া করে উঠছে 
Like Reply


Messages In This Thread
RE: বন্ধু (As collected from Net) - by dweepto - 23-07-2019, 04:34 PM



Users browsing this thread: 1 Guest(s)