23-07-2019, 03:39 PM
২২
এভাবে দেখতে দেখতে ৩/৪ মাস চলে গেল। আমি লক্ষ্য করতে থাকি মায়ের অবস্থা দিন দিন খারাপ হতে থাকছে। কোন কাজেই মা মনোযোগ দিচ্ছে না। ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া করছে না, ব্যাপারটা নেহাও লক্ষ্য করেছে এবং মাকে ভাল ডাক্তারের কাছে নেওয়ার জন্য তাগিদ দিয়েছে। আমি মাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলাম। ডাক্তার বলল মা মানসিক যন্ত্রনায় ভুগছেন, হার্টে কিছু প্রবলেম আছে, ভয়ের কিছুই নেই, তিনি প্রয়োজনীয় ওষুধ দিয়ে সাবধানে চলাফেরা করার পরামর্শ দিলেন। বাড়ীতে এসে আমি মাকে জিজ্ঞাসা করলাম-মা তোমার এতো মানসিক যন্ত্রনা কিসের আমাকে খুলে বলো, আমাকে বলল ও কিছু না, মাঝে মাঝে তোর বাবার কথা আর..বলে থেমে গেল। আমি বললাম আর কি মা, আমাকে খুলে বলো, মা বললো-আর তেমন কিছু তোদের নিয়ে একটু চিন্তা করি এই আরকি। তুই চিন্তা করিস না, সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু মায়ের কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করলাম না। মায়ের স্বাস্থ্য দিন দিন ভেঙ্গে পড়ছে। এভাবে আরও কয়েকদিন কেটে গেল, হঠাৎ একদিন নেহা আমাকে ফোন করে বলল তুমি মা স্টোক করেছেন, জলদি চলে এসো, আমার মাথায় যেন বজ্রপাত হলো, আমি জ্ঞানশূণ্য হয়ে ছুটতে লাগলাম, যখন ডাক্তারের কাছে এসে জানলাম, ভয়ের কিছুই নেই তখন আমার দেহে প্রাণ ফিরে এলো। ডাক্তার অনেকগুলো টেস্ট করে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দিয়ে মাকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দিলেন। আর যদি সম্ভব হয় তাহলে সময় করে মাকে নিয়ে ব্যাজ্গালোরের একজন নামী ডাক্তারের নিকট থেকে চেকআপ করিয়ে আনার পরামর্শ দিলেন। মাকে নিয়ে বাড়ীতে চলে এলাম। মামা মামী সবাই এলো। সবাইকে ডাক্তারের সিদ্ধান্তের কথা জানালাম। নেহা কালই মাকে নিয়ে ব্যাজ্গালোর যাবার জন্য আমাকে বললো। আমার অফিসে কিছুটা কাজের চাপ ছিল, এক সপ্তাহের মধ্যে যাওয়া অসম্ভব ছিল, তাই আমি মামাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বললাম। তখন মা বললো আমার কিছুই হয়নি, তোরা শুধু শুধু চিন্তা করছিস, আমি এখন কিছুতেই ব্যাজ্গালোর যাবো না। নেহা, আমি, মামা মামী সবাই বোঝানার পরও মা রাজী হলো না। শুধু বললো কিছুদিন যাক পরে দেখবো। তখন আমি বললাম-ঠিক আছে মা ১ সপ্তাহ পরে আমি অফিস থেকে ১৫ দিনের ছুটি নিয়ে আমি আর নেহা তোমাকে ব্যাঙ্গালোর নিয়ে যাবো, ডাক্তার দেখানোর পাশাপাশি একটু ঘুরাঘুরি করলে তোমার মনটাও ভালো লাগবে। মা বললো, বললাম না আমার কিছু হয়নি, সব ঠিক হয়ে যাবে। তখন নেহা মাকে বলল মা আপনি অবশ্যই যাবেন। আর আমাকে বললো- সামনে আমার পরীক্ষার প্রস্তুতি আছে, আমি যেতে পারবো না, তুমি মাকে নিয়ে আগামী সপ্তাহে ব্যাঙ্গালোর যাচ্ছো। মা যখন নেহার মুখে তুমি আর মা ব্যাঙ্গালোর যাচ্ছো কথাটা শুনলো তখন খেয়াল করলাম মায়ের মুখটা উজ্জল হয়ে উঠলো। তখন আমি মাকে বললাম-মা আগামী রবিবার তুমি আমার সাথে ব্যাঙ্গালোর যাচ্ছো এটাই আমার শেষ কথা। মা তখন হেসে বলল-তোদের নিয়ে আর পারিনা। ঠিক আছে তাহলো যাবো।
এভাবে দেখতে দেখতে ৩/৪ মাস চলে গেল। আমি লক্ষ্য করতে থাকি মায়ের অবস্থা দিন দিন খারাপ হতে থাকছে। কোন কাজেই মা মনোযোগ দিচ্ছে না। ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া করছে না, ব্যাপারটা নেহাও লক্ষ্য করেছে এবং মাকে ভাল ডাক্তারের কাছে নেওয়ার জন্য তাগিদ দিয়েছে। আমি মাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলাম। ডাক্তার বলল মা মানসিক যন্ত্রনায় ভুগছেন, হার্টে কিছু প্রবলেম আছে, ভয়ের কিছুই নেই, তিনি প্রয়োজনীয় ওষুধ দিয়ে সাবধানে চলাফেরা করার পরামর্শ দিলেন। বাড়ীতে এসে আমি মাকে জিজ্ঞাসা করলাম-মা তোমার এতো মানসিক যন্ত্রনা কিসের আমাকে খুলে বলো, আমাকে বলল ও কিছু না, মাঝে মাঝে তোর বাবার কথা আর..বলে থেমে গেল। আমি বললাম আর কি মা, আমাকে খুলে বলো, মা বললো-আর তেমন কিছু তোদের নিয়ে একটু চিন্তা করি এই আরকি। তুই চিন্তা করিস না, সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু মায়ের কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করলাম না। মায়ের স্বাস্থ্য দিন দিন ভেঙ্গে পড়ছে। এভাবে আরও কয়েকদিন কেটে গেল, হঠাৎ একদিন নেহা আমাকে ফোন করে বলল তুমি মা স্টোক করেছেন, জলদি চলে এসো, আমার মাথায় যেন বজ্রপাত হলো, আমি জ্ঞানশূণ্য হয়ে ছুটতে লাগলাম, যখন ডাক্তারের কাছে এসে জানলাম, ভয়ের কিছুই নেই তখন আমার দেহে প্রাণ ফিরে এলো। ডাক্তার অনেকগুলো টেস্ট করে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দিয়ে মাকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দিলেন। আর যদি সম্ভব হয় তাহলে সময় করে মাকে নিয়ে ব্যাজ্গালোরের একজন নামী ডাক্তারের নিকট থেকে চেকআপ করিয়ে আনার পরামর্শ দিলেন। মাকে নিয়ে বাড়ীতে চলে এলাম। মামা মামী সবাই এলো। সবাইকে ডাক্তারের সিদ্ধান্তের কথা জানালাম। নেহা কালই মাকে নিয়ে ব্যাজ্গালোর যাবার জন্য আমাকে বললো। আমার অফিসে কিছুটা কাজের চাপ ছিল, এক সপ্তাহের মধ্যে যাওয়া অসম্ভব ছিল, তাই আমি মামাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বললাম। তখন মা বললো আমার কিছুই হয়নি, তোরা শুধু শুধু চিন্তা করছিস, আমি এখন কিছুতেই ব্যাজ্গালোর যাবো না। নেহা, আমি, মামা মামী সবাই বোঝানার পরও মা রাজী হলো না। শুধু বললো কিছুদিন যাক পরে দেখবো। তখন আমি বললাম-ঠিক আছে মা ১ সপ্তাহ পরে আমি অফিস থেকে ১৫ দিনের ছুটি নিয়ে আমি আর নেহা তোমাকে ব্যাঙ্গালোর নিয়ে যাবো, ডাক্তার দেখানোর পাশাপাশি একটু ঘুরাঘুরি করলে তোমার মনটাও ভালো লাগবে। মা বললো, বললাম না আমার কিছু হয়নি, সব ঠিক হয়ে যাবে। তখন নেহা মাকে বলল মা আপনি অবশ্যই যাবেন। আর আমাকে বললো- সামনে আমার পরীক্ষার প্রস্তুতি আছে, আমি যেতে পারবো না, তুমি মাকে নিয়ে আগামী সপ্তাহে ব্যাঙ্গালোর যাচ্ছো। মা যখন নেহার মুখে তুমি আর মা ব্যাঙ্গালোর যাচ্ছো কথাটা শুনলো তখন খেয়াল করলাম মায়ের মুখটা উজ্জল হয়ে উঠলো। তখন আমি মাকে বললাম-মা আগামী রবিবার তুমি আমার সাথে ব্যাঙ্গালোর যাচ্ছো এটাই আমার শেষ কথা। মা তখন হেসে বলল-তোদের নিয়ে আর পারিনা। ঠিক আছে তাহলো যাবো।