21-07-2019, 03:19 PM
১৭
মামা বাড়ীতে যেয়ে স্বাভাবিক হতে সময় লাগলো। আমি কিছুদিনের মধ্যে স্বাভাবিক হতে শুরু করলাম কিন্তু আমার মা আগের মতো স্বাভাবিক হলো না। মা সবসময় মনে হয় কিছু একটা চিন্তা করে আর চোখ দিয়ে অশ্রু বির্সজন দেন। প্রয়োজন ছাড়া কখনও রুম থেকে বের হন না এবং কথা বলেন না। মামা মামী দিদা অনেক বোঝানোর চেষ্টা করছে কিন্তু মায়ের মধ্যে কোন পরিবর্তন আসছে না। আমি মাঝে মাঝে মায়ের রুমে গিয়ে স্বাভাবিক কথা বলতে থাকি মাকে বোঝাতে থাকি, মা শুধু হা করে আমার কথা শুনে যায় কোন প্রতিক্রিয়া করে না। এভাবে আরো প্রায় ৩মাস কেটে গেল, এর মধ্যে আমার পরীক্ষার রেজাল্ট বের হলো, আমি ফাস্ট ক্লাস পেলাম। আজ আমার বাবার কথা খুবই মনে পড়ছে, কারণ বাবাই আমাকে কলকাতা এনে ভর্তি না করিয়ে দিলে হয়তো আমি এতো ভালো রেজাল্ট করতে পারতাম না, বাবার কথা মনে করে নিরবে চোখ দিয়ে অশ্রু বিসর্জন দিলাম। আমার রেজাল্টের কথা শুনে এই প্রথম মা কিছুটা স্বাভাবিক আচরণ করলো, আমার কপালে চুমু থেকে আমাকে আরও বড় হওয়ার জনা আর্শিবাদ করলো। এরপর থেকে আস্তে আস্তে মা স্বাভাবিক হতে শুরু করলো, তবে আগের মতো নয়। আমি তো আমার মাকে আগের মতো করে পেতে চাই, মাকে আমার মনের মতো করে আদর সোহাগ করতে চাই। তারপরও এখন মা আমার সাথে স্বাভাবিক কথা বার্তা বলছে এটাও আমার জন্য কম কিসের। মামা বাড়ীর মায়ের স্বাভাবিকতায় খুশি হলো। মামারা সিদ্ধান্ত নিলো আমাদের বসিরহাটের সম্পত্তি বিক্রি করে কলতাকায় বাড়ী করে দেবে, আমিও রাজী হয়ে গেলাম কারণ আমারও বসিরহাটে যাবার কোন ইচ্ছা ছিল না। পড়ালেখা শেষ এখন কলকাতায় কিছু একটা করে এখানেই সেটেল হওয়া আমার ইচ্ছা। মাও এতে কোন অমত করলো না। বসিরহাটে আমাদের বাড়ী ও অন্যান্য সম্পত্তি বিক্রি করে মোটা অর্থই পেলাম। কলকাতায় মামাদের অনেক জমি রয়েছে, বড় মামা আমার নামে একখন্ড জমি লিখে দিলেন এবং ঐ জমিতেই আমাদের জন্য একটি সুন্দর বাড়ী তৈরী করে দিলেন আর অবশিষ্ট টাকা মায়ের একাউন্টে জমা করে দিলেন। এর মধ্যে মামার বদৌলতে একটি ভাল চাকুরী পেয়ে গেলাম, মাইনে ভালই। সকাল ৯টা থেকে ৫ পর্যন্ত অফিস। সবকিছুই ঠিকঠাক চলতে লাগলো, কিন্তু আমার মনে হতে লাগল আমি আমার জীবনের মূল্যবান কিছু হারিয়ে ফেলেছি।
মামা বাড়ীতে যেয়ে স্বাভাবিক হতে সময় লাগলো। আমি কিছুদিনের মধ্যে স্বাভাবিক হতে শুরু করলাম কিন্তু আমার মা আগের মতো স্বাভাবিক হলো না। মা সবসময় মনে হয় কিছু একটা চিন্তা করে আর চোখ দিয়ে অশ্রু বির্সজন দেন। প্রয়োজন ছাড়া কখনও রুম থেকে বের হন না এবং কথা বলেন না। মামা মামী দিদা অনেক বোঝানোর চেষ্টা করছে কিন্তু মায়ের মধ্যে কোন পরিবর্তন আসছে না। আমি মাঝে মাঝে মায়ের রুমে গিয়ে স্বাভাবিক কথা বলতে থাকি মাকে বোঝাতে থাকি, মা শুধু হা করে আমার কথা শুনে যায় কোন প্রতিক্রিয়া করে না। এভাবে আরো প্রায় ৩মাস কেটে গেল, এর মধ্যে আমার পরীক্ষার রেজাল্ট বের হলো, আমি ফাস্ট ক্লাস পেলাম। আজ আমার বাবার কথা খুবই মনে পড়ছে, কারণ বাবাই আমাকে কলকাতা এনে ভর্তি না করিয়ে দিলে হয়তো আমি এতো ভালো রেজাল্ট করতে পারতাম না, বাবার কথা মনে করে নিরবে চোখ দিয়ে অশ্রু বিসর্জন দিলাম। আমার রেজাল্টের কথা শুনে এই প্রথম মা কিছুটা স্বাভাবিক আচরণ করলো, আমার কপালে চুমু থেকে আমাকে আরও বড় হওয়ার জনা আর্শিবাদ করলো। এরপর থেকে আস্তে আস্তে মা স্বাভাবিক হতে শুরু করলো, তবে আগের মতো নয়। আমি তো আমার মাকে আগের মতো করে পেতে চাই, মাকে আমার মনের মতো করে আদর সোহাগ করতে চাই। তারপরও এখন মা আমার সাথে স্বাভাবিক কথা বার্তা বলছে এটাও আমার জন্য কম কিসের। মামা বাড়ীর মায়ের স্বাভাবিকতায় খুশি হলো। মামারা সিদ্ধান্ত নিলো আমাদের বসিরহাটের সম্পত্তি বিক্রি করে কলতাকায় বাড়ী করে দেবে, আমিও রাজী হয়ে গেলাম কারণ আমারও বসিরহাটে যাবার কোন ইচ্ছা ছিল না। পড়ালেখা শেষ এখন কলকাতায় কিছু একটা করে এখানেই সেটেল হওয়া আমার ইচ্ছা। মাও এতে কোন অমত করলো না। বসিরহাটে আমাদের বাড়ী ও অন্যান্য সম্পত্তি বিক্রি করে মোটা অর্থই পেলাম। কলকাতায় মামাদের অনেক জমি রয়েছে, বড় মামা আমার নামে একখন্ড জমি লিখে দিলেন এবং ঐ জমিতেই আমাদের জন্য একটি সুন্দর বাড়ী তৈরী করে দিলেন আর অবশিষ্ট টাকা মায়ের একাউন্টে জমা করে দিলেন। এর মধ্যে মামার বদৌলতে একটি ভাল চাকুরী পেয়ে গেলাম, মাইনে ভালই। সকাল ৯টা থেকে ৫ পর্যন্ত অফিস। সবকিছুই ঠিকঠাক চলতে লাগলো, কিন্তু আমার মনে হতে লাগল আমি আমার জীবনের মূল্যবান কিছু হারিয়ে ফেলেছি।