21-07-2019, 03:17 PM
১৬
কখন বাড়ীতে পৌছালাম বলতে পারি না, বাড়ীতে অনেক ভিড় ছিল, আমি গাড়ী থেকে নামতেই সবাই আমার দিকে ছুটে এলো, মাকে কোথাও দেখতে পেলাম না, আমি দিগবিদিগ শূণ্য হয়ে বাবার কাছে গিয়ে কেদে কেদে মাটিতে লুটিয়ে পড়লাম। কিছুক্ষণ পর দুজন মহিলা মাকে ধরে আমার কাছে নিয়ে এলো, মায়ের অবস্থা দেহহীন প্রাণের মত, কাদতে কাদতে চোখ দুটি ফুলে গেছে আর কাদার শক্তি নাই। মা আমার গলা জড়িয়ে ধরে কাদতে লাগলো, আমিও মাকে জড়িয়ে ধরে কাদতে লাগলাম। আমাদের মা-ছেলের কান্না দেখে উপস্থিত সকলের চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরতে লাগল। এর মধ্যে আমার বোনও চলে এলো, সেও আমাদের ধরে হাউমাউ করে কাদল। তারপর দুজন মহিলা মা আর বোনকে আমার কাছ থেকে নিয়ে গেলে এবং অন্যরা বাবার সৎকারের প্রস্তুতি নিতে শুরু করল। সেদিনই সন্ধ্যায় যথাযথ নিয়মে বাবার সৎকার হলো। সেদিন মায়ের সাথে আমার আর দেখা হলো না। কিভাবে রাত পার হলো আমি বলতে পারবো না, সকালে মায়ের কাছে গেলাম মা আমার দিকে চেয়ে চেয়ে অশ্রু বিসর্জন দিতে লাগলো কিন্তু কোন কথা বললো না। আমিও নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না, মায়ের গলা জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কান্না শুরু করলাম, কিন্তু মা তখনও কোন কথা বলেনি কিংবা জোরো কান্নাও করেনি। এভাবে আরও একটা দিন কেটে গেল, মামারা সিদ্ধান্ত নিল তারা মাকে কিছুদিনের জন্য কলকাতায় তাদের কাছে নিয়ে যাবে, আর ছোট মামা আগামীকাল সকালে আমাকে নিয়ে ভার্সিটিতে যাবে, কারণ পরের দিন আমার শেষ পরীক্ষাটি ছিল। যথারীতি ভার্সিটিতে গেলাম, পরীক্ষা দিলাম, পরীক্ষা শেষে মামার বাড়ীতে মায়ের কাছে গেলাম। কত স্বপ্ন ছিল পরীক্ষা শেষ করে বাড়ীতে যাবো, মায়ের হাসিমাখা মায়াবি মুখটা দেখবো, মায়ের সাথে আনন্দ করবো, আরো কতকিছুর স্বপ্ন দেখেছিলাম, কিন্তু সব স্বপ্ন মুহূর্তের মধ্যে ধুলিশ্যত হয়ে গেল।
কখন বাড়ীতে পৌছালাম বলতে পারি না, বাড়ীতে অনেক ভিড় ছিল, আমি গাড়ী থেকে নামতেই সবাই আমার দিকে ছুটে এলো, মাকে কোথাও দেখতে পেলাম না, আমি দিগবিদিগ শূণ্য হয়ে বাবার কাছে গিয়ে কেদে কেদে মাটিতে লুটিয়ে পড়লাম। কিছুক্ষণ পর দুজন মহিলা মাকে ধরে আমার কাছে নিয়ে এলো, মায়ের অবস্থা দেহহীন প্রাণের মত, কাদতে কাদতে চোখ দুটি ফুলে গেছে আর কাদার শক্তি নাই। মা আমার গলা জড়িয়ে ধরে কাদতে লাগলো, আমিও মাকে জড়িয়ে ধরে কাদতে লাগলাম। আমাদের মা-ছেলের কান্না দেখে উপস্থিত সকলের চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরতে লাগল। এর মধ্যে আমার বোনও চলে এলো, সেও আমাদের ধরে হাউমাউ করে কাদল। তারপর দুজন মহিলা মা আর বোনকে আমার কাছ থেকে নিয়ে গেলে এবং অন্যরা বাবার সৎকারের প্রস্তুতি নিতে শুরু করল। সেদিনই সন্ধ্যায় যথাযথ নিয়মে বাবার সৎকার হলো। সেদিন মায়ের সাথে আমার আর দেখা হলো না। কিভাবে রাত পার হলো আমি বলতে পারবো না, সকালে মায়ের কাছে গেলাম মা আমার দিকে চেয়ে চেয়ে অশ্রু বিসর্জন দিতে লাগলো কিন্তু কোন কথা বললো না। আমিও নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না, মায়ের গলা জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কান্না শুরু করলাম, কিন্তু মা তখনও কোন কথা বলেনি কিংবা জোরো কান্নাও করেনি। এভাবে আরও একটা দিন কেটে গেল, মামারা সিদ্ধান্ত নিল তারা মাকে কিছুদিনের জন্য কলকাতায় তাদের কাছে নিয়ে যাবে, আর ছোট মামা আগামীকাল সকালে আমাকে নিয়ে ভার্সিটিতে যাবে, কারণ পরের দিন আমার শেষ পরীক্ষাটি ছিল। যথারীতি ভার্সিটিতে গেলাম, পরীক্ষা দিলাম, পরীক্ষা শেষে মামার বাড়ীতে মায়ের কাছে গেলাম। কত স্বপ্ন ছিল পরীক্ষা শেষ করে বাড়ীতে যাবো, মায়ের হাসিমাখা মায়াবি মুখটা দেখবো, মায়ের সাথে আনন্দ করবো, আরো কতকিছুর স্বপ্ন দেখেছিলাম, কিন্তু সব স্বপ্ন মুহূর্তের মধ্যে ধুলিশ্যত হয়ে গেল।