Thread Rating:
  • 38 Vote(s) - 3.45 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
বন্ধু (As collected from Net)
#37
#১৫ 

ঐদিন রাতে বাসায় বসে যখন বিকালের কথা মনে করছিলাম তখন বুঝতে পারলাম আমার এই জীবনে ফ্যান্টাসি শব্দটার যত কাছে যাওয়া যায় আজকে ততটাই কাছে গিয়েছি সারাজীবন মেয়েদের সাথে কথা বলতে যে আমার সংকোচ হত সেই আমাকে আজকে এক মেয়ে বলেছে তার পুসির কথা পুসি শব্দটা মাথায় আসতেই মনে হল জুলিয়েট তো ডার্টি মাউথ আর তারপর হর্নি হয়ে আছে ওকে যদি আরেকটু খারাপ শব্দ বলতাম তাহলে কি হত? আসলে বিকেল থেকেই ঘোরগ্রস্ত হয়ে আছি মাস্টারবেটও করা হয় নি তাই মনে হয় পুরা মাথা ঘোলাটে হয়ে আছে ভূতগ্রস্তের মত এমএসএন খুললাম ( সময় ফেসবুক মেসেঞ্জার এত জনপ্রিয় হয় নি, এমএসএন বা ইয়াহু মেসেঞ্জার ছিল ভরসা) দেখলাম Jhappy90 অফলাইন কয়েকবার নক দিলাম উত্তর নেই মেসেজ করা যায় তবে সাহস করলাম না আসলে আজকের বিকেলে কি হল আর তাতে আমার কতটা অবদান তাও বুঝছি না জুলিয়েট কি মাইন্ড করল কিনা তাও বুঝতে পারলাম না অন্যদিন এইসময় মেসেঞ্জারে থাকে কথা হয় ফারিয়া মেসেঞ্জারে নক করল জুলিয়ার ফোন বন্ধ কেন জানতে আমি বললাম জানি না বিকালের পর দেখা হয় নি ফারিয়ার সাথে টুকটাক কথা হচ্ছিল এইসময় হঠাত করে দেখি জুলিয়েট অনলাইন হল 

একটু পরে আমাকে নক করল, কি করিস আমি উত্তর দিলাম ফারিয়ার সাথে কথা বলি জুলিয়েট বলল শোন বিকাল বেলা যে কি হল, আমি আসলে বেসামাল হয়ে কি কি যে বলে ফেলছি মাইন্ড করিস না তুই ভাল ছেলে হাসির ইমো দিলাম বললাম ভাল ছেলে কিনা জানি না তবে আমার খারাপ লাগে নাই চোখ টিপির ইমো দিলাম এতদিন পর্যন্ত এইরকম ডাবল মিনিং কথা চ্যাটে জুলিয়েট বলত আজকে আমাকে বলতে দেখে হাসির ইমো দিলাম আমি লিখলাম মাথা ঠান্ডা হইছে হর্নিনেস কমছে উত্তর আসল না আমি বললাম কেন? রুমে কাজিন থাকে বললাম না আমি বললাম তাইলে তো মাস্টারবেট করতে পারিস নাই একটা কান্নার ইমো দিল জুলিয়েট আবার বলল তুই খারাপ কিছু মনে করিস নাই তো আমি লিখলাম আমাদের মধ্যে না শপথ হইল আমরা আমাদের গোপন কথা শেয়ার করব আর কেউ তা জানবে না তুই আমাকে তোর টা জানাইছিস এটাতে জাজ করার কিছু নাই আর এটা তো ঔষধেরে প্রভাব তুই পারলে মাস্টারবেট করে ফেল মাথা ঠান্ডা হবে জুলিয়েট বলল আজকে সম্ভব না আর শোন হর্নি থাকলে আমার মুখ দিয়ে খারাপ কথা বেশি বের হয় আমি লিখলাম যেমন উত্তর এল গালাগালি, স্ল্যাং এইসব বেশি ব্যবহার হয়ে যায় তখন ঠিক সেই মূহুর্তে কারেন্ট চলে গেল আসল ঠিক এক ঘন্টা পর ততক্ষণে জুলিয়েট অফলাইনে আবার

পরেরদিন জুলিয়েট ক্লাসে আসল না সাদিয়া ফোন দিল উত্তর দিল শরীর ভাল না তাই আমার মনে হল হয়ত আমাকে এড়াতে চাইছে আসলে যত সাহসী হই না কেন বৃত্ত ভাংগা অতটা সহজ নয় সেইদিন বাকিরাও তাড়াতাড়ি চলে গেল বিকালে মিলির সেইদিন টিউশনী না থাকায় বের হল হল থেকে সাদিয়া কে ফোন দিয়েছিলাম কিন্তু বলল আজকে বের হবে না তাই আমি আর মিলি বের হলাম মিলি বলল চল হাটি ফুলার রোড হয়ে বুয়েটের পাশ দিয়ে জগন্নাথ হল কে ডানে রেখে টিএসসিতে ফিরে এলাম রাস্তায় এক ধরনের স্যুপ বিক্রি হয় তাই কিনে খেলাম শীত পরছে বেশ আমি একটা হালকা সোয়েটার পরে বের হয়েছি জানুয়ারি মাস মাঝখানে কয়দিন একটু গরম লাগলেও আজকে বিকেল থেকে শীত আবার জাকিয়ে বসেছে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হবে হয়ত 

টিএসসির সামনের জায়গায় ক্লাসের কয়েকজনের সাথে দেখা হয়ে গেল ওদের সাথে কিছুক্ষণ কথা হল ঠান্ডা ঠান্ডা দেখে ওরাও আস্তে আস্তে চলে গেল তখন মোটে সোয়া সাতটা বাজে কিন্তু ঠান্ডার কারণে লোকজন একটু কম হঠাত করে ঠান্ডা পরলে যা হয় কেউ হয়ত সেভাবে শীতের প্রস্তুতি নিয়ে বের হয় নি তাই সবার বাসায় ফেরার তাড়া আমাদের কিছু করার নেই মিলি হলে ফিরতে চাইল না বলল অনেকদিন পর সন্ধ্যায় আড্ডার সময় করতে পেরেছে শীত গরম যাই হোক রাত সাড়ে নয়টায় হল বন্ধ হবার আগে ফিরছে না আমার কাজ নেই তাই আমিও রইলাম শীতের কারণে টিএসসির বাইরে না থেকে ভিতরে গিয়ে বসলাম ভিতরে অডেটোরিয়ামের পাশে যে ফোয়ারা টা আছে তার উলটো দিকে টেবিল টেনিসের রুমের পাশে অন্যদিন ভিতরে এই সময় বেশ লোক থাকে আজকে মানুষ অনেক কম বিভিন্ন কোনায় কয়েক জোড়া কাপল ছাড়া আর তেমন কাউকে দেখা যাচ্ছে না অন্যদিন বড়বড় গ্রুপের আড্ডার মত আজকে কিছু নেই তেমন আমরা তাই বসে পড়লাম 
Like Reply


Messages In This Thread
RE: বন্ধু (As collected from Net) - by dweepto - 11-07-2019, 01:31 AM



Users browsing this thread: 3 Guest(s)