এক
মিমের জবানিতে:
১৩ তারিখ, রবিবার।
আমার নাম মিম। উম্মে কুলসুম মিম। উম্মে কুলসুম শব্দটা আব্বু মারা যাবার পর হারিয়ে গেছে। এই নামটা শুধু আব্বুই ডাকতো। আমার জীবনের সর্বেসর্বা ছিলেন উনি।
কথায় আছে খোদাতালা কখনো শুন্যস্থান রাখেন না। উনি আমাকে আমার আব্বুর শুন্যস্থান পুরন করে দিয়েছেন রাব্বীলকে দিয়ে। এই পরিবারের মাথার ছাদ এখন সে। একজন জামাই হয়ে পরিবারটির জন্য যা করছে–---প্রসংশানীয়।
বিদেশের মাটিতে পা দেবার পরের দিন থেকেই আমি ডায়েরি লিখা শুরু করি। দেশ থেকেই অনেক গুলা ডায়েরি কিনে এনেছি। আমার খুউব ইচ্ছা, আমার সখের মানুষটিকে ভেবে ডায়েরি লিখবো।আমি ওকে অনেক ভালোবাসি। হয়তো কাজেকর্মে তা প্রকাশ করা হয়ে উঠেনি। কিন্তু আমার কাছে সে সাক্ষাত ভগবান। না না, শুধু আমার কাছেই না, আমার পরিবারটার কাছে। আমার মায়ের মুখের দিকে দেখে সে দেশ ছারতেও পিছ পা হয়নি। অবশ্য মায়ের এটা পাগলামি। নয়তো এই বয়সে এমন কর্মকান্ড কেউ করে!!! আমার নিজের ই রাগ মাথায় উঠে গেছিলো। রাব্বীল শেষ মেস এই সিদ্ধান্ত নিলো যে চলেন সবাই মিলে একটা বছরের জন্য বিদেশ পাড়ি দিই। আমার জবের খরচ থেকেই থাকা হয়ে যাবে। এদিকে মানুষের অপবাদ থেকেও বাচা যাবে।
এখন আমার একাডেমিক কোনো পড়ার চাপ নাই। পরিক্ষার কোনো টেনশান নাই। যেদিন দেশ ছারার প্লান করি সেদিন ই সব ছেরে দিসি। এখন একটাই কাজ মায়ের সেবা করা, যেন মায়ের পেটের পুচকি ভাই/বোন যেকিনা দুনিয়ায় আসার পর দুনিয়ার কাছে আমার সন্তান হিসেবে পরিচিতি পাবে। দেশের বাড়িতে সিদ্ধান্ত নেবার পর থেকেই আমার নিজের মধ্যে ওই বাচ্চাটির জন্য একটা ভালোবাসা তৈরি হয়ে গেছে। আমার পেটে না জন্মিলেও নিজেকে কেমন একজন “মা” “মা” ফিল হচ্ছে। যদিও এই ব্যাপারটা কাউকে বলিনি।বললে রাব্বীল আর আম্মু হাসাহাসি করতে পারে।
অসমাপ্ত আত্মজীবনী
প্রথম সিজন আমার দুনিয়া
দ্বিতীয় সিজন মিমের দুনিয়া
***************************************************



![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png)