(৫৮)
সকালে উঠেই মিটিং এ বসেছি। ফ্রেস হবার সময় পর্যন্ত পাইনি। ৭টা বেজে গেছিলো।
মিটিং চলাকালে ফাউজিয়া রুমে আসলো। হাসিমুখ।
আমি তাকে হাতের ইশারাই চায়ে চুমুক দেওয়ার ভঙ্গিতে ইশারা করলাম, “এক কাপ চা খাওয়াতে পারবা?”
ফাউজি মুচকি হেসে মাথা ‘'হ্যা’’ সুচক দুলিয়েই আবার চলে গেলো।
সকাল সকাল শাশুড়ি মিমকে নিয়ে কলেজ চলে গেছে।
১০ মিনিট পর চা নিয়ে এলো। দুই কাপ। ফাউজিয়া আমার পাশেই বসলো। আমাকে এক কাপ দিলো। সে নিজে এক কাপ নিল।
চা খাচ্ছি, মিটিং চলছে। ফাউজিয়া শুধু বসে বসে দেখছে আমার মিটিং।
হঠাৎ শাশুড়ির নাম্বার থেকে ফোন। লে বাড়া, শাশুড়ি আবার কি বলবে? মিটিং মিউট করে ফোনটা রিসিভ করলাম।
যাস্ট রিসিভ করেছি, ওপার থেকে পুরুষ কন্ঠ–---- “আপনি কি রাব্বীল বলছেন?”
“জ্বী। কে বলছেন?” বুকের ভেতরটা ধুক্ক করে উঠলো। শাশুড়ির ফোনে পুরুষ কন্ঠ!
“আপনি কি রানীমোড়ে, সোহেল টাউয়ারের কাছে আসতে পারবেন এখন?”
“কেন কি হয়েছে?” আর আপনিই বা কে?
“আসুন। জরুরি।” বলেই ফোন কেটে দিলো।
বুক যেন ধুক্ক করে উঠলো। রানীমোড় আমার বাসা থেকে ১০ মিনিটের রাস্তা। মা বেটির যাওয়া ৩০ মিনিট পার হয়ে গেছেম। কে হতে পারে? আর ডাকছেই বা কেন?”
অতো চিন্তার সময় নাই। ল্যাপটপ ওভাবেই রেখে ফাউজিয়াকে বললাম, তুমি থাকো। আমি আসছি।
বাইক নিয়েই ছুটলাম রানীমোড়। সোহেল টাওয়ারের পাশে সিটি করপোরেশনের ময়লা ফেলার সামনে এক জটলা মানুষ দাঁড়িয়ে।
বাইক থামিয়ে ভিড়ের কাছে গেলাম। আমার বুকের কাপুনি বেরে গেছে। আল্লাহ আল্লাহ করছি।
ভীড়ের লোকজন সরিয়ে ভেতরে গেলাম। মা মেয়ের রক্তাক্ত নিথর দেহ এলোপাতাড়ি ভাবে পড়ে আছে। আমার দুনিয়া। আমার চোখের সামনে। লাশ হয়ে পড়ে আছে।
চোখে অন্ধকার দেখছি। মাথা টালমাটাল হচ্ছে। শরীর হেলে যাচ্ছে। ভেতর থেকে চিৎকার করছি, “কেউ আমাকে ধরেন।” মনে হয় কেউ শুনতে পাচ্ছেনা। নিথর দুইটা দেহের উপর আছড়ে পড়লো আমার অচেতন এই শরীর।
![[Image: Screenshot-1.png]](https://i.ibb.co/HTjkjx9s/Screenshot-1.png)
আমার দুনিয়া
অসমাপ্ত আত্মজীবনী
*******************************



![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png)