Yesterday, 07:50 AM
এরপর একটা বিষয় আমি স্পষ্টভাবে টের পেতে শুরু করলাম—উনি আমাকে খুঁজতেন। শুধু টিউশনের সময় নয়, তার বাইরেও। কখনো পড়া শুরুর আগে ফোন, কখনো আবার আমি দেরি করলে একটা মেসেজ—“সব ঠিক তো?” প্রশ্নগুলো সাধারণ ছিল, কিন্তু নিয়মিত হওয়ায় আলাদা করে চোখে পড়ত।
উনি অনেক সময় শারমিনের অজুহাত ছাড়াই কথা শুরু করতেন। নিজের দিনের ছোটখাটো ঘটনা, বাসার একাকীত্ব, কিংবা হঠাৎ মন খারাপের কারণ—সবকিছুই আমাকে জানাতে চাইতেন। আমি বুঝতে পারছিলাম, উনি ধীরে ধীরে আমাকে এমন একজন মানুষ ভাবছেন, যার কাছে না বললে অস্বস্তি লাগে।
আমি তখন আর আগের মতো সাবধান থাকতাম না। আগে যেসব কথার উত্তর এড়িয়ে যেতাম, সেগুলোর উত্তর দিতাম। আগে যেটা “শোনা” পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল, সেটা এখন “থেকে যাওয়া”তে রূপ নিচ্ছিল। আমি আর ঘড়ির দিকে তাকিয়ে সময় মিলিয়ে উঠতাম না।
একদিন খেয়াল করলাম, উনি আমার মতামত জানতে চাইছেন—ছোট ছোট বিষয়ে। আগে যেটা নিজেই ঠিক করতেন, এখন সেখানে আমার উপস্থিতি দরকার হয়ে পড়ছে। এই প্রয়োজনীয়তার অনুভূতিটা আমাকে অস্বস্তিতে ফেলেছিল, আবার অকারণ ভালোও লাগছিল।
আমি নিজেকে বোঝাতাম, এতে দোষের কিছু নেই। কেউ যদি বিশ্বাস করে, সেটা তো খারাপ না। কিন্তু গভীরে কোথাও বুঝতাম—এই বিশ্বাসটা আর নিরপেক্ষ নেই। এখানে দায়িত্ব আর ব্যক্তিগত টান একসাথে মিশে যাচ্ছে।
সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার ছিল, আমি আর নিজেকে প্রশ্ন করছিলাম না আগের মতো। যেটা একসময় আমাকে থামিয়ে দিত, সেটা এখন নীরব হয়ে গেছে। আর ঠিক তখনই বুঝলাম—কিছু সীমা ভাঙে না হঠাৎ করে, তারা ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয়ে যায়।
উনি অনেক সময় শারমিনের অজুহাত ছাড়াই কথা শুরু করতেন। নিজের দিনের ছোটখাটো ঘটনা, বাসার একাকীত্ব, কিংবা হঠাৎ মন খারাপের কারণ—সবকিছুই আমাকে জানাতে চাইতেন। আমি বুঝতে পারছিলাম, উনি ধীরে ধীরে আমাকে এমন একজন মানুষ ভাবছেন, যার কাছে না বললে অস্বস্তি লাগে।
আমি তখন আর আগের মতো সাবধান থাকতাম না। আগে যেসব কথার উত্তর এড়িয়ে যেতাম, সেগুলোর উত্তর দিতাম। আগে যেটা “শোনা” পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল, সেটা এখন “থেকে যাওয়া”তে রূপ নিচ্ছিল। আমি আর ঘড়ির দিকে তাকিয়ে সময় মিলিয়ে উঠতাম না।
একদিন খেয়াল করলাম, উনি আমার মতামত জানতে চাইছেন—ছোট ছোট বিষয়ে। আগে যেটা নিজেই ঠিক করতেন, এখন সেখানে আমার উপস্থিতি দরকার হয়ে পড়ছে। এই প্রয়োজনীয়তার অনুভূতিটা আমাকে অস্বস্তিতে ফেলেছিল, আবার অকারণ ভালোও লাগছিল।
আমি নিজেকে বোঝাতাম, এতে দোষের কিছু নেই। কেউ যদি বিশ্বাস করে, সেটা তো খারাপ না। কিন্তু গভীরে কোথাও বুঝতাম—এই বিশ্বাসটা আর নিরপেক্ষ নেই। এখানে দায়িত্ব আর ব্যক্তিগত টান একসাথে মিশে যাচ্ছে।
সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার ছিল, আমি আর নিজেকে প্রশ্ন করছিলাম না আগের মতো। যেটা একসময় আমাকে থামিয়ে দিত, সেটা এখন নীরব হয়ে গেছে। আর ঠিক তখনই বুঝলাম—কিছু সীমা ভাঙে না হঠাৎ করে, তারা ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয়ে যায়।



![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png)