14-12-2025, 03:33 PM
(10-11-2025, 12:59 PM)Ra-bby Wrote:(১১)
“তোমার কি হয়েছে বলো তো?” সারা রাস্তা প্রশ্ন করলাম, উত্তর দিলানা। বাসাই এসেও এখানে বসে আছো। আমি তোমার স্বামি না? তোমার জীবন্র যাইহোক, আমাকেই যদি না বলো, আর কাকে বলবা? এখন তো তোমার সবকিছুর দায়িত্বে আমি। আমাকেই এভাবে লুকানোর তো মানে দেখিনা।
“না বাবা ওর ব্যাপারে মন করোনা। আসলেই তোমাকে তো তখন বললাম ই। ঐ ছেলেটা নাকি আজ ক্যাম্পাসে এসে ডিস্টার্ব করছিলো। আর মিম তোমাকে বলতে ভয় পাচ্ছে। তাই।”
“কিন্তু আম্মা, আমি তো তার স্বামি। তার ভালোমন্দ সবকিছুই আমার দায়িত্বে। আমাকে ভয় পাবার তো কিছু নাই। নাকি আমাকে এখনো বিশ্বাস্কযোগ্য স্বামি হিসেবে ভাবতে পাচ্ছেনা?” মুখে যা আসছে তাই বলে দিচ্ছি। ভেতরটা রাগে ফেটে যাচ্ছে।
মিম নিচে মুখ করে আছে। চুপ। বুঝছিনা সে স্বাভাবিক নাকি কান্না করছে। শাশুড়িই আবার মুখ খুললেন।
“না বেটা। তুমি ভুল বুঝোনা প্লিজ। মিম সত্যিই তোমাকে ভয়েই কিছু বলতে পাচ্ছেনা। আমি অনেক ক্ষন ধরেই তাকে রুমে পাঠানোর চেস্টা করছি। সে ভয়েই যাচ্ছেনা। তুমি প্লিজ রাগ করোনা বেটা।”
“বুঝেছি। আমাকে ভয় পাচ্ছে। তার মানে আমাকে এখনো আপন ভাবতে পারেনি। আমাকে আপনারা কেউ এখনো নিজের ভাবতে পারেন নি। নয়তো আপন মানুষের কাছে কেউ ভয় পাই? বিপদ হলে আগেই আপন মানুষের কাছে আমরা দৌড়াই। তার কাছেই নিজেকে আশ্রয় দিই। আর সেখানে আমাকেই ভয় পাচ্ছে। অথচ আমি আপনাদের পরিবারটাকে বিয়েই আগে থেকেই কতটা আপন করে নিয়েছি তা আপনারা কখনোই জানবেনা না। আপনাদের জীবনের বিপদ ভেতর ভেতর কতটা ভয়ংকর ভাবে নেমে এসেছিলো তা কখনোই জানবেনা না। একমাত্র আমিই যেকিনা আপনাদের কেউ জাতে বিপদে ফেলতে না পারে সেজন্যে আমিই মিমকে বিয়ের জন্য তারা দিই। আপনাদের পরিবারটিতে সাথে থাকবো বলে।”
লম্বা একটা ভাষণ দিয়ে দিলাম। কি দিলাম নিজেও জানিনা। লাটাই ছেরে দিয়েছি। ঘুড়ি উড়ছে। যাক যেদিকে যাবে।
“কিসের বিপদ বেটা?” শাশুড়ির চোখে মুখে আতংকের ছাপ।
“আম্মা একটু এদিকে আসবেন?” শাশুড়িকে আমার পাশে ডাকলাম।
উনি আসলে আমি উনার ছবিটা বের করে উনার হাতে ফোনটা দিলাম যাতে উনি একাই দেখেন।
উনি নিজের ছবি দেখার পর হাত পা কাপা শুরু হয়ে গেছে। আমি উঠে উনাকে ধরে পাশে বসিয়ে দিলাম।
মিম উনার অবস্থা দেখে চমকে গেছে।
“কি হলো তোমার আম্মু?” মিম দৌড়ে এসে পাশে।
শাশুড়ি চুপ। মিম আমার ফোন দেখতে চাচ্ছে। তাকে বললাম, ওয়েট। আমাকে আগে কথা বলতে দাও।
আমি বলা শুরু করলাম, “আম্মা এই ব্যাপার টা আমি আমার বিয়ের আগেই জানতে পারি। Shahjahan Mia নামের ঐ প্রতারকের খোজ বের করি। কিভাবে জেনেছি জানতে চায়েন না। সে অনেক বড় কাহিনি। আমি উনার পরিচয় বের করে জানতে পারি সে একজন বস্তির ঘরের নুংরা ছেলে। আমি আর আমার দুজন বন্ধু গিয়ে তার ফোন কেড়ে দিই। সেখান থেকে সব কথা জানতে পারি। তাকে পুলিশের ভয় দিলে সে আর আপনাকে ডিস্টার্ব করবেনা বলে জানাই।
কিন্তু আমিই বলি, তোমরা এতো দূর পর্যন্ত পৌছে গেছো, ঐ মহিলা(তখন তো আপনি আমার শাশুড়ি হননি) যদি আবেগে কিছু করে ফেলে তাহলে সমস্যা। তাই তোমাকে আমি ৩মাস সময় দিলাম। এই ৩মাসে তুমি কলা কৌশলে উনার জীবন থেকে বেরিয়ে আসবা। আর যদি এমনটা না করেছো তো তোমাকে বাকি জীবন পুলিশের আশ্রমে কাটাতে হবে। এই বলে ঐ বাটপারকে শায়েস্তা করে আসি।
আর মিমের জন্য আমি কিছু করিনি ভেবেছেন?”----বলেই ফোন থেকে মিমের ছবি বের করে তার হাতে দিলাম।
মিম শাশুড়ির পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তার অতীত দেখছে। এদিকে শাশুড়ি সোফাই বসে বসে চোখ বেয়ে টপটপ করে জল ফেলেই যাচ্ছেন।
আমি আবার মিমের হাত থেকে ফোনটা নিলাম। বললাম, “মিম জানো, আমি তোমার এসব কখন জানতে পারি??? জানোনা। তুমি তো আমাকে সব গোপন রেখেছিলাম। আমি এসব জানার পর তোমাকে বিন্দু মাত্র কষ্ট দিয়েছি? বিন্দু মাত্র বুঝতে দিয়েছি?? তুমি কষ্ট পাও এমন কিছু বলেছি??? নাহ। কিছু বুঝতে দেইনি তোমাদের। কেন জানো?? কারণ এই পরিবারকে আমি নিজের ভেবেই এই পরিবারে এসেছি। আমি ভেবেছিলাম আমি তোমাদের অনেক আপন হয়ে আছি এই পরিবারে। আর অতী আপনের সঙ্গ্যা কি জানো??? নিজেরা নিজেদের থেকে গোপন না রাখা। বিপদে আপদে পাশে থাকা। তোমার অতীত কি আমি জানিনা? তাহলে কেন আমাকে এতো ভয়??
[/font][/size]
চ্যাট হিস্ট্রি থেকে যা মনে হচ্ছে তাতে সমস্যার শুরু কলেজের ডিস্টার্ব থেকে ব্লাকমেইল করা ।
কিন্তু কলেজের ডিস্টার্ব এর দিন রাব্বিল তো মীমকে বলেছিল সে তার অতীত সম্পর্কে জানে । তাহলে মীম রাব্বিলকে ব্লাকমেইল সম্পর্কে কিছু বলেনি কেন ??????
মীম এর বোকামির জন্য মনে হচ্ছে সে দুইদিক থেকে ব্লাকমেইল এর শিকার হয়েছে ।
এখন দেখা যাক সমস্যার সমাধান রাব্বিল কিভাবে করে ।


![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png)