08-12-2025, 07:39 PM
(This post was last modified: 09-12-2025, 10:25 PM by hunt_ethan. Edited 3 times in total. Edited 3 times in total.)
ফাহমিদা আহমেদ, ৪৮ বছর বয়সী এক নারী, জীবনকে নিঃশব্দ ধূসরতার মতো স্বাভাবিকভাবে বয়ে নিয়ে চলতেন। তিনি থাকতেন সিলেট শহরের পুরোনো অংশে, যেখানে কাচের ছোট ছোট দোকানগুলো একে অপরকে ঘিরে দাঁড়ানো, ধুলোমাখা রাস্তার কোণগুলোতে নলকূপ, বারি-ঘেরা বাড়ি, আর মাঝে মাঝে রাস্তার ধারে দাঁড়ানো হকারদের ছায়া। সকাল হোক বা সন্ধ্যা, শহরের বাতাসে এক ধরনের মৃদু নিস্তব্ধতা ভেসে বেড়াত, যেন প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি পদক্ষেপ এবং প্রতিটি বাতাসের দোলা ফাহমিদার একাকীত্বের সঙ্গী। ভোরের কুয়াশায় বারান্দায় বসে চা খাওয়ার সময় সেই নিঃশব্দতা তাকে আলতো করে ছুঁয়ে যেত। সন্ধ্যার হালকা বৃষ্টি বা নরম বাতাস তার দীর্ঘ দিনের ক্লান্তি মুছে দিয়ে মনকে নরম করত, আর মাঝে মাঝে দূরের মোড়ে ঝকঝকে বাতি জ্বলে ওঠা তাকে অদ্ভুতভাবে প্রশান্তি দিত।
ফাহমিদার স্বামী ফয়সাল একজন কর্পোরেট আইনজীবী। চট্টগ্রামের ব্যস্ত অফিসে তার কেস ফাইল, সভা এবং ক্লায়েন্টের ফোনে প্রায়শই দিন কাটে। ঢাকায় বা সিলেটে আসা খুব কম। এ জন্য ফাহমিদার দিনগুলো একা কাটে। যেমন নদীর ধারে নিঃশব্দ পানি বয়ে চলে, কিন্তু তার কোনো দিক থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া থাকে না। ফাহমিদার জীবন মূলত সংসার এবং একমাত্র ছেলে শামিমের চারপাশে ঘোরে।
শামিম, ১৮ বছর বয়সী, প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহী। কলেজের পড়াশোনার চাপ, কম্পিউটার গেম, বন্ধুদের সঙ্গে মেসেজ। এই সব তাকে দিনের বড় অংশে ব্যস্ত রাখে। শান্ত প্রকৃতির হলেও তার চোখে মাঝে মাঝে অশান্ত আগ্রহের ঝলক ফাঁকি দেয় না। ফাহমিদা মাঝে মাঝে ভাবেন, শিশুটি এখন যুবক, কিন্তু তার চোখের গভীরতা এবং কৌতূহল কি শুধুই বাল্যস্মৃতি নাকি ভবিষ্যতের অজানা উত্তেজনার আভাস?
ফাহমিদার জীবন একটি নিখুঁত নিয়মে বাঁধা। তিনি পছন্দ করতেন পুরোনো বাংলা কবিতা, শান্ত সন্ধ্যা, বারান্দায় বসে প্রার্থনা, এবং মাঝে মাঝে দিনের ধোঁয়াটে কাগজপত্রের ভিড়ে নিজেকে হারিয়ে দেওয়া। প্রতিটি কাজের আগে অন্তঃস্থলে নাম উচ্চারণ করা তার অভ্যাস। তার ধর্মীয়তা গভীর, কিন্তু এটি কোনো জোর বা রুটিন নয়। এটি ছিল তার আত্মার শান্তি, তার অন্তর ও মানসিক দৃঢ়তার চাবিকাঠি।
ফাহমিদা নিজেই রহস্যময়। মানুষ তার সঙ্গে কথা বললেও, কেউ তার অন্তরঙ্গ মনস্তত্ত্ব বুঝতে পারে না। তার চোখে এমন কিছু থাকে যা দেখলে মনে হয় সে সবকিছু জানে, কিন্তু কোন শব্দে প্রকাশ পায় না। শিক্ষিত,মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছে, তার জীবনবোধ এবং বুদ্ধি তাকে কঠিন পরিস্থিতিতেও এক ধীর, স্থির এবং সংযমী মনোভাব দিয়েছে।
এক সন্ধ্যায়, ফাহমিদা বারান্দায় বসে ছিল, হাতে গরম চা। শহরের ধূসর আলো, হালকা বৃষ্টি, এবং দূরের গলির নীরব শব্দ তাকে চারপাশের নিস্তব্ধতায় ডুবিয়ে দিল। হঠাৎ ফোনের স্ক্রিনে অজানা নামের বার্তা এল। বার্তায় লেখা ছিল,
“আমি জানি আপনি একা থাকেন। আজ রাতটা ভিন্ন হবে।”
ফাহমিদা স্থির হয়ে গেলেন। ভয়, উত্তেজনা, বিস্ময়, কিছুই নয়। কেবল গভীর কৌতূহল। বার্তাটি রহস্যময় ছিল, এতটাই যে তার হৃদয় কিছুক্ষণের জন্য দ্রুত ধড়ফড় করল। সে ফোনটি রাখলেন, কিন্তু মন এক অদ্ভুত উত্তেজনায় ভরে গেল।
ফাহমিদা জানতেন, কেউ তার জীবনের প্রতি সূক্ষ্মভাবে নজর রাখছে। এটি কে হতে পারে? কারা তাকে চায়? কিন্তু তার ধর্মীয়তা তাকে সতর্ক করল। তিনি জানতেন, স্মরণে ধৈর্য, শান্তি এবং বুদ্ধি সবসময় বিপদ এড়াতে সাহায্য করে।
শহরের বাতাস ধীরে ধীরে তার চুলে লেগে গেল। চায়ের বাষ্প ছড়িয়ে পড়ল, কিন্তু সে তা আর পান করতে পারল না। বার্তার অজানা প্রেরক, নিঃশব্দ অন্ধকার এবং ধূসর আলো, সব মিলিয়ে যেন তার জীবনের এক নতুন অধ্যায়ের দরজা খুলেছে।
ফাহমিদা ফোনটি আবার হাতের কাছে রাখলেন। আজ রাতটা শুধু চা বা একাকীত্বের রাত নয়, আজ রাতটা হবে তার জন্য এক রহস্যময় পরীক্ষার রাত। তিনি জানতেন, এই রাতের পর তার জীবন আর আগের মতো থাকবে না। কিন্তু তিনি প্রস্তুত ছিলেন। নিঃশব্দে, ধীর, ঈমানের শক্তি নিয়ে, এবং অজানা উত্তেজনার সঙ্গে।
তার চোখে এক অদ্ভুত আলো ফুটল। বার্তার প্রেরক যে কেউ হোক, ফাহমিদা এক ধীরে ধীরে ধ্বংসাত্মক কিন্তু মনস্তাত্ত্বিক চ্যালেঞ্জের জন্য অপেক্ষা করছিল। শহরের নিঃশব্দ রাস্তায় বাতাসের সাথে কোনো অদ্ভুত ফিসফিসনির শব্দ মিলিত হলো। সে শুনতে পেলদূরের কোনো অজানা ফিসফিসনি, যেন তার নাম উচ্চারণ করছে, কিন্তু শব্দটি খুবই দূর।
ফাহমিদা নিজের বারান্দার চেয়ারে আরও গভীরভাবে বসে গেলেন। রাতের অন্ধকার তার চোখে আরও ঘন হয়ে উঠল। বার্তার প্রেরক, শহরের নিঃশব্দ এবং তার নিজের রহস্যময় মন, সব মিলিয়ে এমন একটি মুহূর্ত তৈরি করেছিল যেখানে তার জীবন একেবারেই বদলে যেতে চলেছে।
ঠিক তখনই তার ফোন আবার কম্পন করল। স্ক্রিনে এবার শুধু একটি সংখ্যা, কোনো নাম নেই। নিঃশব্দের মধ্যে সেই সংখ্যা যেন ধ্বনিত হলো, একটা নতুন খেলা, নতুন রহস্য।
ফাহমিদা নিঃশব্দে হাসলেন, স্বাভাবিক, রহস্যময় এবং স্থির হাসি। রাতটা সত্যিই ভিন্ন হতে চলেছে। বার্তার রহস্য এবং অন্ধকারের আভা তাকে এমন এক উত্তেজনায় ভরিয়ে দিয়েছিল, যা বহু বছর ধরে অনুভব করেনি। সে জানত, এই রাতটি কেবল শুরু, আর শেষ কোথায় হবে, তা সে নিজেও জানে না।
ফাহমিদার স্বামী ফয়সাল একজন কর্পোরেট আইনজীবী। চট্টগ্রামের ব্যস্ত অফিসে তার কেস ফাইল, সভা এবং ক্লায়েন্টের ফোনে প্রায়শই দিন কাটে। ঢাকায় বা সিলেটে আসা খুব কম। এ জন্য ফাহমিদার দিনগুলো একা কাটে। যেমন নদীর ধারে নিঃশব্দ পানি বয়ে চলে, কিন্তু তার কোনো দিক থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া থাকে না। ফাহমিদার জীবন মূলত সংসার এবং একমাত্র ছেলে শামিমের চারপাশে ঘোরে।
শামিম, ১৮ বছর বয়সী, প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহী। কলেজের পড়াশোনার চাপ, কম্পিউটার গেম, বন্ধুদের সঙ্গে মেসেজ। এই সব তাকে দিনের বড় অংশে ব্যস্ত রাখে। শান্ত প্রকৃতির হলেও তার চোখে মাঝে মাঝে অশান্ত আগ্রহের ঝলক ফাঁকি দেয় না। ফাহমিদা মাঝে মাঝে ভাবেন, শিশুটি এখন যুবক, কিন্তু তার চোখের গভীরতা এবং কৌতূহল কি শুধুই বাল্যস্মৃতি নাকি ভবিষ্যতের অজানা উত্তেজনার আভাস?
ফাহমিদার জীবন একটি নিখুঁত নিয়মে বাঁধা। তিনি পছন্দ করতেন পুরোনো বাংলা কবিতা, শান্ত সন্ধ্যা, বারান্দায় বসে প্রার্থনা, এবং মাঝে মাঝে দিনের ধোঁয়াটে কাগজপত্রের ভিড়ে নিজেকে হারিয়ে দেওয়া। প্রতিটি কাজের আগে অন্তঃস্থলে নাম উচ্চারণ করা তার অভ্যাস। তার ধর্মীয়তা গভীর, কিন্তু এটি কোনো জোর বা রুটিন নয়। এটি ছিল তার আত্মার শান্তি, তার অন্তর ও মানসিক দৃঢ়তার চাবিকাঠি।
ফাহমিদা নিজেই রহস্যময়। মানুষ তার সঙ্গে কথা বললেও, কেউ তার অন্তরঙ্গ মনস্তত্ত্ব বুঝতে পারে না। তার চোখে এমন কিছু থাকে যা দেখলে মনে হয় সে সবকিছু জানে, কিন্তু কোন শব্দে প্রকাশ পায় না। শিক্ষিত,মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছে, তার জীবনবোধ এবং বুদ্ধি তাকে কঠিন পরিস্থিতিতেও এক ধীর, স্থির এবং সংযমী মনোভাব দিয়েছে।
এক সন্ধ্যায়, ফাহমিদা বারান্দায় বসে ছিল, হাতে গরম চা। শহরের ধূসর আলো, হালকা বৃষ্টি, এবং দূরের গলির নীরব শব্দ তাকে চারপাশের নিস্তব্ধতায় ডুবিয়ে দিল। হঠাৎ ফোনের স্ক্রিনে অজানা নামের বার্তা এল। বার্তায় লেখা ছিল,
“আমি জানি আপনি একা থাকেন। আজ রাতটা ভিন্ন হবে।”
ফাহমিদা স্থির হয়ে গেলেন। ভয়, উত্তেজনা, বিস্ময়, কিছুই নয়। কেবল গভীর কৌতূহল। বার্তাটি রহস্যময় ছিল, এতটাই যে তার হৃদয় কিছুক্ষণের জন্য দ্রুত ধড়ফড় করল। সে ফোনটি রাখলেন, কিন্তু মন এক অদ্ভুত উত্তেজনায় ভরে গেল।
ফাহমিদা জানতেন, কেউ তার জীবনের প্রতি সূক্ষ্মভাবে নজর রাখছে। এটি কে হতে পারে? কারা তাকে চায়? কিন্তু তার ধর্মীয়তা তাকে সতর্ক করল। তিনি জানতেন, স্মরণে ধৈর্য, শান্তি এবং বুদ্ধি সবসময় বিপদ এড়াতে সাহায্য করে।
শহরের বাতাস ধীরে ধীরে তার চুলে লেগে গেল। চায়ের বাষ্প ছড়িয়ে পড়ল, কিন্তু সে তা আর পান করতে পারল না। বার্তার অজানা প্রেরক, নিঃশব্দ অন্ধকার এবং ধূসর আলো, সব মিলিয়ে যেন তার জীবনের এক নতুন অধ্যায়ের দরজা খুলেছে।
ফাহমিদা ফোনটি আবার হাতের কাছে রাখলেন। আজ রাতটা শুধু চা বা একাকীত্বের রাত নয়, আজ রাতটা হবে তার জন্য এক রহস্যময় পরীক্ষার রাত। তিনি জানতেন, এই রাতের পর তার জীবন আর আগের মতো থাকবে না। কিন্তু তিনি প্রস্তুত ছিলেন। নিঃশব্দে, ধীর, ঈমানের শক্তি নিয়ে, এবং অজানা উত্তেজনার সঙ্গে।
তার চোখে এক অদ্ভুত আলো ফুটল। বার্তার প্রেরক যে কেউ হোক, ফাহমিদা এক ধীরে ধীরে ধ্বংসাত্মক কিন্তু মনস্তাত্ত্বিক চ্যালেঞ্জের জন্য অপেক্ষা করছিল। শহরের নিঃশব্দ রাস্তায় বাতাসের সাথে কোনো অদ্ভুত ফিসফিসনির শব্দ মিলিত হলো। সে শুনতে পেলদূরের কোনো অজানা ফিসফিসনি, যেন তার নাম উচ্চারণ করছে, কিন্তু শব্দটি খুবই দূর।
ফাহমিদা নিজের বারান্দার চেয়ারে আরও গভীরভাবে বসে গেলেন। রাতের অন্ধকার তার চোখে আরও ঘন হয়ে উঠল। বার্তার প্রেরক, শহরের নিঃশব্দ এবং তার নিজের রহস্যময় মন, সব মিলিয়ে এমন একটি মুহূর্ত তৈরি করেছিল যেখানে তার জীবন একেবারেই বদলে যেতে চলেছে।
ঠিক তখনই তার ফোন আবার কম্পন করল। স্ক্রিনে এবার শুধু একটি সংখ্যা, কোনো নাম নেই। নিঃশব্দের মধ্যে সেই সংখ্যা যেন ধ্বনিত হলো, একটা নতুন খেলা, নতুন রহস্য।
ফাহমিদা নিঃশব্দে হাসলেন, স্বাভাবিক, রহস্যময় এবং স্থির হাসি। রাতটা সত্যিই ভিন্ন হতে চলেছে। বার্তার রহস্য এবং অন্ধকারের আভা তাকে এমন এক উত্তেজনায় ভরিয়ে দিয়েছিল, যা বহু বছর ধরে অনুভব করেনি। সে জানত, এই রাতটি কেবল শুরু, আর শেষ কোথায় হবে, তা সে নিজেও জানে না।


![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png)