06-12-2025, 09:31 AM
পর্ব ২
-----
নানু বাড়ি পৌঁছাতে পৌঁছাতে সকাল আটটা বেজে গেছে। বাড়িতে চাকর বাকরের দৌড়ো-দৌড়ি শুরু হয়ে গেছে। রান্না ঘরে নাস্তা বানানোর টুং-টাং আওয়াজ আর ঘরের মহিলাদের গলা পাওয়া যাচ্ছে। মা তো এই সময়ে রান্না ঘরেই থাকার কথা। এক দৌড়ে রান্না ঘরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে মা বলে ডাক দিলাম। নানা বাড়িতে দীর্ঘ দিন ধরে রান্নার কাজ করে যিনি-মৌসুমী আপু ফিরে তাকালেন।
একটু পর একজন কাজের লোক এসে বাহিরের ঘরে নাস্তা দিয়ে গেল। রুটি, সবজি-ভাজি, ডাল। একটা রুটি শেষ করে আরেকটা রুটি মুখে দিবে, এমন সময় মায়ের ঘরে দরজা খোলার আওয়াজ পেলাম। উঠে দৌড় দিতে যাব এমন সময় শোভন হাত ধরল, খাওয়া শেষ করে উঠ। এমন সময় জাহিদ একটা সাদা স্যান্ডো গেঞ্জি পরে, লুঙ্গী ঠিক করতে করতে রুমে ঢুকল। বাহ, গত দুই বছরে আরো তাগড়াই হয়েছে। দেখলে আর আমাদের মত টিএনেজার মনে হয় না, একদম ব্যাটা মানুষ হয়ে গেছে।
একটু ইতস্তত করে শোভনকে জিজ্ঞেস করলাম, মা কাকে বিয়ে করেছে জানিস? শোভন রহস্যময় হাসি দিয়ে বললো, "এখনো বুঝিস নি?" এখনো ও বুঝি নি মানে? জাহিদ? না না, এ হতে পারে না। ছোট বেলায় আমি জাহিদকে আমার খেলনা ধরতে দিতাম না, সেই জাহিদ এখন আমার মাকে নিয়ে খেলে? না, এটা আমি বিশ্বাস করি না। তবে জাহিদ যদি না হয় আর কে? মা বিয়ে করে থাকলে শ্বশুর বাড়িতে না থাকে এই বাড়িতে কি করে? আমার আকাশ ভেঙ্গে কান্না পাচ্ছে।
-----
নানু বাড়ি পৌঁছাতে পৌঁছাতে সকাল আটটা বেজে গেছে। বাড়িতে চাকর বাকরের দৌড়ো-দৌড়ি শুরু হয়ে গেছে। রান্না ঘরে নাস্তা বানানোর টুং-টাং আওয়াজ আর ঘরের মহিলাদের গলা পাওয়া যাচ্ছে। মা তো এই সময়ে রান্না ঘরেই থাকার কথা। এক দৌড়ে রান্না ঘরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে মা বলে ডাক দিলাম। নানা বাড়িতে দীর্ঘ দিন ধরে রান্নার কাজ করে যিনি-মৌসুমী আপু ফিরে তাকালেন।
- -আরে জীবন, কখন আসছো? একটা খবর দিয়ে আসবে না? প্রশ্নের জবাব না দিয়ে পাল্টা জিজ্ঞেস করলাম মা কোথায়?-খালাম্মা তো দশটা এগারটার আগে ঘুম থেকে উঠেন না। তুমি হাত মুখ ধুঁয়ে নাস্তা করো, এর মধ্যে উঠে যাবে।
- -মায়ের কি শরীর খারাপ নাকি? উত্তরে না বলে মুচকি হাসলো সুমি আপু। -আরে প্রথম প্রথম এরকম একটু দেরীই হয়, গতরের উপর দিয়ে তো কম ধকল যায় না।পাশ থেকে বলে উঠল আলেয়া নানী (আলেয়া নানীও বাসার একজন কাজের লোক)। নানী কি বলতে চাইছে বুঝতে বাকি রইল না। আহ, নানি মুখে কিছু আটকায় না। সুমি আপু কপট রাগ দেখালো।
একটু পর একজন কাজের লোক এসে বাহিরের ঘরে নাস্তা দিয়ে গেল। রুটি, সবজি-ভাজি, ডাল। একটা রুটি শেষ করে আরেকটা রুটি মুখে দিবে, এমন সময় মায়ের ঘরে দরজা খোলার আওয়াজ পেলাম। উঠে দৌড় দিতে যাব এমন সময় শোভন হাত ধরল, খাওয়া শেষ করে উঠ। এমন সময় জাহিদ একটা সাদা স্যান্ডো গেঞ্জি পরে, লুঙ্গী ঠিক করতে করতে রুমে ঢুকল। বাহ, গত দুই বছরে আরো তাগড়াই হয়েছে। দেখলে আর আমাদের মত টিএনেজার মনে হয় না, একদম ব্যাটা মানুষ হয়ে গেছে।
- -এই আবুল, গোসলের পানি দে তো।-কিরে কেমন আছোস? (যদিও জাহিদ আমার থেকে বয়সে বছর দুয়েকের বড়, কিন্ত একেতো আমাদের বাসার কাজের লোক, তার উপর ছোটবেলার খেলার সাথী, তাও ওকে সবসময় তুই করেই বলতাম। যদিও জাহিদ আমাকে তুমি করে বলত। শত হলেও মনিব স্থানীয় লোককে তুই বলার সাহস গ্রামের লোকেদের থাকে না।)
- -সাব, বাথরুমে গোসলের পানি দেওয়া আছে। -আপনি কেন? আবুল কোথায়? -আবুল তো ওই ভোরে উঠেই মেকানিকের কাছে গেছে। এত দূরের রাস্তা যাবেন, গাড়িটা একবার চেক করিয়ে আনতে গেছে। -সে যাবে ফ্রি টাইমে।এখন এত কাজ। আপনি কি আর বয়সে সারাদিন আমার সাথে দৌড়াতে পারবেন?-পারবো সাব। সেই পনেরো বছর বয়স থেকে এই বাড়িতে কাজ করি।মাথায় কত বস্তা বস্তা ধান তুলছি, এখন তো ঝার পোছ ছাড়া কিছু করাই হয় না। বসে থাকতে থাকতে শরীরে জং ধরে গেছে। -হয়েছে থাক। এই বয়সে এত ছোটাছুটি করে আবার একবারে বিছানায় পরে যাইয়েন না।
একটু ইতস্তত করে শোভনকে জিজ্ঞেস করলাম, মা কাকে বিয়ে করেছে জানিস? শোভন রহস্যময় হাসি দিয়ে বললো, "এখনো বুঝিস নি?" এখনো ও বুঝি নি মানে? জাহিদ? না না, এ হতে পারে না। ছোট বেলায় আমি জাহিদকে আমার খেলনা ধরতে দিতাম না, সেই জাহিদ এখন আমার মাকে নিয়ে খেলে? না, এটা আমি বিশ্বাস করি না। তবে জাহিদ যদি না হয় আর কে? মা বিয়ে করে থাকলে শ্বশুর বাড়িতে না থাকে এই বাড়িতে কি করে? আমার আকাশ ভেঙ্গে কান্না পাচ্ছে।
- -বেশি ভনিতা না করে বলত।


![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png)