26-11-2025, 02:04 PM
(24-11-2025, 05:37 PM)sarkardibyendu Wrote:খুবই সুন্দর গ্রাম্য ছবি। আলপনা। তাদের মনোভাব। পল্লবী কি সারক্ষণই অনামিকাওকে নিয়ে ভাবে? তার কি কোনও ইনসিকিওরিটি আছে। উন্নত মনা বিদ্রোহিনী ছবি কি তার কেবলই মুখোশ মাত্র। আদতে সে একজন চিরাচরিত রমণী যে তার পুরুষকে নিয়ে সংসার করার স্বপন দেখে? সন্তান সন্ততি লালন করার স্বপ্ন। তাকে মুখোশ কে পরাল?।। এক নিষিদ্ধ প্রেমের উপাখ্যান ।।
আপনি এখানে থাকতে পারবেন মিসেস মিত্র! " পুলোকেশ একটু বিস্ময় প্রকাশ করে বলে।
' কেনো, আমি তো কোনো অসুবিধা দেখছি না..... মাথা গোজার একটা ঠাঁই নিয়ে তো কথা ' অনামিকা বলে।
" হুঁ সেটা ঠিক..... কিন্তু আমাদের ওখানে আপনার সমস্যাটা কি হচ্ছিলো? ' পুলকেশ বলেন।
' আসলে আমি একটু একান্তে নিজের মত করে থাকতে চাই' অনামিকা বলে।
' দেখুন..... আপনার সমস্যা না হলেই হল। "
কলেজের পাশেই একটা একতলা বিল্ডিং এ অনামিকা আর আরো এক ফিমেল স্টাফ এর একসাথে থাকার ব্যাবস্থা করা ছিলো। কিন্তু অনামিকার সেটা পছন্দ না। কারো সাথে রুম শেয়ার করে থাকাটা ভালো লাগে না ওর। কাজের বাইরে ব্যাক্তিগত জীবনটা একটু একাকী থাকতেই ভালো লাগে। সেই কারনে কলেজের আশেপাশে একটা ঘর চাইছিলো। এখানে পাকা বাড়ি প্রায় নেই বললেই চলে। কাছেই একটা গ্রাম আছে। সেখানে সবাই প্রায় আদিবাসী। স্কু*লের রান্নার লোক ফুলমনি খুব ভালো মহিলা। বছর ত্রিশের ফুলমনি অনামিকাকে এই ঘরের সন্ধান দেয়। এখানে কেউ ঘরভাড়া দেয় না। দেবে কি, দেওয়ার মত ঘরই নেই কারো। গ্রামের একেবারে প্রান্তে এই ঘরের মালিক ছিলেন এক বৃদ্ধা। গত এক বছর তিনি মারা যাওওয়ার পর এই ঘর এভাবেই পড়ে ছিলো। সম্পর্কে ফুলমনির আত্মীয়া ছিলেন ওই মহিলা। তিনকুলে কেউ নেই। ফুলমনি গ্রামের সবাইকে বলে অনামিকার এখানে থাকার ব্যাবস্থা করে দিয়েছে। শহরের দিদিমনি তাদের গাঁয়ে তাদের সাথে থাকবে এটা যেনো গ্রামের মানুষের কাছে বিরাট গর্বের। সবাই মিলে এই বাড়ি পরিষ্কার করে দেয়। মাটির সুন্দর করে লেপা দেএয়ালে রঙ দিয়ে আলপনা আঁকা। উপরে খাপড়ির টালির চাল। ফুলমনি নিজের হাতে ঘর বারান্দা উঠান লেপে পুছে সুন্দর করে দেয়। অনামিকা এর আগে মানুষের এতোটা ভালোবাসা কখনো দেখে নি। কেউ না অনামিকা ওদের, কোনো স্বার্থ নেই.... তবুও প্রত্যেকে কত খুশী ও এখানে থাকবে বলে।


![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png)