Yesterday, 09:48 AM
মোটে সপ্তাহখানেক আগে সল্টলেকের এক বন্ধুর মুখে এই প্ল্যাটফর্মের কথা শুনে কৌতূহলবশে এখানে লিখে–পড়ে খানিকটা আমোদ পাব ভেবেই ঢুঁ মেরেছিলাম।
তারপর এসেই দেখি—এখানকার পুরনো দিনগুলোর নানা বিবরণ, আর এই থ্রেডে সময় সময় যে সব মহাযুদ্ধ অবতীর্ণ হয়েছে, তা রামায়ণ–মহাভারতের কীর্তিগাঁথাকেও হার মানায়। সেই সব দেখেশুনে একেবারে ছাপোষা, অজ্ঞ পাঠকের মতোই বুক ধড়ফড় করতে করতে দু-চার কথা বলবার ইচ্ছে হল।
অবশ্য এখানকার সম্মানীয় মহাশয়গণ যদি কিছু মনে না করেন, তবেই বলি। বিশ্বাস করুন—আপনাদের মতো সাহিত্য সমালোচনার জ্ঞান গরিমা কিছুই আমার নেই; আমি নিতান্তই ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে মাছের ঝুড়ি বেছে নেওয়া সস্তা ক্রেতার মতো—এসেছি, পড়েছি, হাসিঠাট্টা করেছি, চলে যাব। কাউকে অসম্মান করার তো প্রশ্নই নেই—সে দুঃসাহস আমার কবে হয়েছে!
তবু একান্ত বিনীত অনুরোধে কয়েকটি কথা পাড়তে চাই—
১. যে-যে ধারার সাহিত্যই কারো পছন্দ হোক না কেন, তার জন্য একে অপরকে জাতে ওঠা–নামার মতো অবাস্তব খাঁচায় বন্দি করারই বা প্রয়োজনটা কী? কেউ কোন সাহিত্য পড়বে—এ তো সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত স্বাধীনতার বিষয়। তা সত্ত্বেও এখানে দেখি—সাব-ফোরামের লেখক/পাঠক মানেই নাকি ‘অচ্ছুৎ’, আর মূল ফোরামের মানেই ‘',্য’—এ রকম ভয়ঙ্কর স্টেরিওটাইপ কেন? এতে কি সাহিত্যচর্চার স্বাভাবিক বিকাশই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে না? আপনি যদি প্যান্ট পরেন, আর আমি ধুতি—তাতে পাশাপাশি বসে সাহিত্যচর্চার বিরোধ কোথায়?
২. লক্ষ্য করলাম, বহু বিদগ্ধ, প্রতিভাবান লেখক–পাঠক নানা অন্তর্কলহে জড়িয়ে অভিমানে ফোরাম ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
ক) লেখকের প্রতি লেখকের ঈর্ষা, ব্যক্তিগত আক্রমণ, অযৌক্তিক সমালোচনা;
খ) আর কিছু সংকীর্ণমনা পাঠকের ধর্ম–বর্ণ–লিঙ্গ নিয়ে বিষোদ্গারের তো কথাই নেই—তুচ্ছতম বিষয়ে লেখককে গালমন্দ করে লেখার প্রতি বিতৃষ্ণা ধরিয়ে দেওয়া।
আমার সরল কথা—আপনারা যারা লেখক, সত্যিই যে-ক্যালিবার আপনাদের আছে, চাইলে বাংলা সাহিত্যের মূলধারাতেও অনায়াসে মননশীল, শক্তিশালী গল্প–উপন্যাস রচনা করতে পারেন। আপনারা উচ্চশিক্ষিত, সুচিন্তিত—লাইন দু’টো পড়লেই বোঝা যায়। তাহলে এতকিছু জেনেশুনে এই সামান্য মনোমালিন্যগুলো ঝেড়ে আবার একসঙ্গে ফিরে লেখার স্রোত বইয়ে দিচ্ছেন না কেন? ব্যস্ততা থাকলে আলাদা কথা, কিন্তু তুচ্ছ অভিমানে পাঠকদের বঞ্চিত করাই বা কেন?
৩. কার কত লাইক, কত রেপুটেশন, কত স্টার—এসব নিয়েও দেখি প্রবল আলোড়ন। অথচ অসংখ্য দুর্দান্ত লেখা আছে যেগুলোতে পাঁচটা লাইকও নেই; আবার হাজারে হাজার লাইক পাওয়া লেখাও পড়ে হাঁ করে ভাবি—“আচ্ছা, এটা নিয়েই লোকের এত মাতামাতি?” যে যার আনন্দে লিখুক—তাতে প্রকৃত ক্ষতি কী? কেউ যদি শ’খানেক জিমেইল খুলে ফেক আইডি বানিয়ে নিজের পোস্টে লাইক চড়ায়—তা করতে দিন না। দিনশেষে তো যার যার লেখা, যার যার পড়া—এই-ই তো মূল কথা। সেখানে কে কার কাজে বাগড়া দেবে কেন?
৪. যেসব প্রথিতযশা লেখক অভিমান করে সরে গিয়েছেন—তাদের কি আর একবার ডেকে আনা যায় না? তাদের লেখার ঢেউয়েই তো একসময় এই ফোরামের গৌরব। এখানে আসার পর শুধু শুনছি—“সেই একসময় ছিল সোনালি দিন।” আমরা যারা নাবালক পাঠক, হাঁটতে শিখছি, তাদের জন্য কি সেই সোনালি যুগটুকু ফিরিয়ে আনা যায় না? আপনারা যারা সিনিয়র, বিদগ্ধ—টেলিগ্রামে একটু আলাপ–আলোচনা করে পুরনো লেখকদের যথাযোগ্য মর্যাদায় ফিরিয়ে আনুন না, প্লিজ।
ছোট মুখে বৃহৎ কথা বলে ফেললাম—হয়তো অনেককিছু না জেনেই বলেছি। ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আপনাদের সকলের মঙ্গল, সুস্বাস্থ্য এবং সাহিত্যচর্চার ধারাবাহিক বিকাশ কামনা করি।
তারপর এসেই দেখি—এখানকার পুরনো দিনগুলোর নানা বিবরণ, আর এই থ্রেডে সময় সময় যে সব মহাযুদ্ধ অবতীর্ণ হয়েছে, তা রামায়ণ–মহাভারতের কীর্তিগাঁথাকেও হার মানায়। সেই সব দেখেশুনে একেবারে ছাপোষা, অজ্ঞ পাঠকের মতোই বুক ধড়ফড় করতে করতে দু-চার কথা বলবার ইচ্ছে হল।
অবশ্য এখানকার সম্মানীয় মহাশয়গণ যদি কিছু মনে না করেন, তবেই বলি। বিশ্বাস করুন—আপনাদের মতো সাহিত্য সমালোচনার জ্ঞান গরিমা কিছুই আমার নেই; আমি নিতান্তই ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে মাছের ঝুড়ি বেছে নেওয়া সস্তা ক্রেতার মতো—এসেছি, পড়েছি, হাসিঠাট্টা করেছি, চলে যাব। কাউকে অসম্মান করার তো প্রশ্নই নেই—সে দুঃসাহস আমার কবে হয়েছে!
তবু একান্ত বিনীত অনুরোধে কয়েকটি কথা পাড়তে চাই—
১. যে-যে ধারার সাহিত্যই কারো পছন্দ হোক না কেন, তার জন্য একে অপরকে জাতে ওঠা–নামার মতো অবাস্তব খাঁচায় বন্দি করারই বা প্রয়োজনটা কী? কেউ কোন সাহিত্য পড়বে—এ তো সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত স্বাধীনতার বিষয়। তা সত্ত্বেও এখানে দেখি—সাব-ফোরামের লেখক/পাঠক মানেই নাকি ‘অচ্ছুৎ’, আর মূল ফোরামের মানেই ‘',্য’—এ রকম ভয়ঙ্কর স্টেরিওটাইপ কেন? এতে কি সাহিত্যচর্চার স্বাভাবিক বিকাশই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে না? আপনি যদি প্যান্ট পরেন, আর আমি ধুতি—তাতে পাশাপাশি বসে সাহিত্যচর্চার বিরোধ কোথায়?
২. লক্ষ্য করলাম, বহু বিদগ্ধ, প্রতিভাবান লেখক–পাঠক নানা অন্তর্কলহে জড়িয়ে অভিমানে ফোরাম ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
ক) লেখকের প্রতি লেখকের ঈর্ষা, ব্যক্তিগত আক্রমণ, অযৌক্তিক সমালোচনা;
খ) আর কিছু সংকীর্ণমনা পাঠকের ধর্ম–বর্ণ–লিঙ্গ নিয়ে বিষোদ্গারের তো কথাই নেই—তুচ্ছতম বিষয়ে লেখককে গালমন্দ করে লেখার প্রতি বিতৃষ্ণা ধরিয়ে দেওয়া।
আমার সরল কথা—আপনারা যারা লেখক, সত্যিই যে-ক্যালিবার আপনাদের আছে, চাইলে বাংলা সাহিত্যের মূলধারাতেও অনায়াসে মননশীল, শক্তিশালী গল্প–উপন্যাস রচনা করতে পারেন। আপনারা উচ্চশিক্ষিত, সুচিন্তিত—লাইন দু’টো পড়লেই বোঝা যায়। তাহলে এতকিছু জেনেশুনে এই সামান্য মনোমালিন্যগুলো ঝেড়ে আবার একসঙ্গে ফিরে লেখার স্রোত বইয়ে দিচ্ছেন না কেন? ব্যস্ততা থাকলে আলাদা কথা, কিন্তু তুচ্ছ অভিমানে পাঠকদের বঞ্চিত করাই বা কেন?
৩. কার কত লাইক, কত রেপুটেশন, কত স্টার—এসব নিয়েও দেখি প্রবল আলোড়ন। অথচ অসংখ্য দুর্দান্ত লেখা আছে যেগুলোতে পাঁচটা লাইকও নেই; আবার হাজারে হাজার লাইক পাওয়া লেখাও পড়ে হাঁ করে ভাবি—“আচ্ছা, এটা নিয়েই লোকের এত মাতামাতি?” যে যার আনন্দে লিখুক—তাতে প্রকৃত ক্ষতি কী? কেউ যদি শ’খানেক জিমেইল খুলে ফেক আইডি বানিয়ে নিজের পোস্টে লাইক চড়ায়—তা করতে দিন না। দিনশেষে তো যার যার লেখা, যার যার পড়া—এই-ই তো মূল কথা। সেখানে কে কার কাজে বাগড়া দেবে কেন?
৪. যেসব প্রথিতযশা লেখক অভিমান করে সরে গিয়েছেন—তাদের কি আর একবার ডেকে আনা যায় না? তাদের লেখার ঢেউয়েই তো একসময় এই ফোরামের গৌরব। এখানে আসার পর শুধু শুনছি—“সেই একসময় ছিল সোনালি দিন।” আমরা যারা নাবালক পাঠক, হাঁটতে শিখছি, তাদের জন্য কি সেই সোনালি যুগটুকু ফিরিয়ে আনা যায় না? আপনারা যারা সিনিয়র, বিদগ্ধ—টেলিগ্রামে একটু আলাপ–আলোচনা করে পুরনো লেখকদের যথাযোগ্য মর্যাদায় ফিরিয়ে আনুন না, প্লিজ।
ছোট মুখে বৃহৎ কথা বলে ফেললাম—হয়তো অনেককিছু না জেনেই বলেছি। ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আপনাদের সকলের মঙ্গল, সুস্বাস্থ্য এবং সাহিত্যচর্চার ধারাবাহিক বিকাশ কামনা করি।


![[Image: b98w5.gif]](https://s12.gifyu.com/images/b98w5.gif)
![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png)