09-11-2025, 03:22 PM
(08-11-2025, 12:34 PM)sarkardibyendu Wrote: আপনার অভিযোগ আংশিক সত্য এটা আমিও মানছি, তবে লেখার জীবনের উথাল পাথাল নিয়ে আর এগোনো মানে জোর করে টেনে নিয় যাওয়া, মাধবের ব্যাপারটা কাহিণীতে আগেই রেখেছিলাম শেষটা ওকে দিয়েই করবো এটা ভেবেই...... তাই এক্ষত্রে জট বোধহয় বেশী নেই...... বাকি থাকলো সুধাময়, আসলে সুধাময়ের চরিত্র আরো একটু বিশ্লেষন করার প্রয়োজন ছিলো, কিন্তু তাতে অযথা লম্বা হয়ে যাবে বলে এড়িয়ে গেলাম......তবে সুধাময় মানসিক ভাবে বিপর্যিস্ত একথা আগেই বলেছি, তার ভালোবাসার মানুষ সুধা, তাকে পাওয়াতে তার কৈশরের আকাঙ্খা পূর্ণ হয়, কিন্তু সে জানতো যে সেই সুধার জন্যই তার মা আত্মঘাতি হয়েছেন...... একদিকে সুধাকে ভালোবাসে সে, আবার তাকেই তার মায়ের হত্যাকারী ভাবে..... এই দোটানার মাঝে সুধাময়ের নিজেকে শেষ করা ছাড়া আর পথ ছিলো না....... আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এভাবে মন দিয়ে গল্পটা পড়ার জন্য, আপনাদের মত সুক্ষ্ণ বিশ্লেষক পাঠকের জন্যই বার বার লিখতে ইচ্ছা করে।
সুধাময়ের বয়েসটা মনে রাখতে হবে। ৩৫ বছর আর ১৬ বছর এক নয়। ৩৫ বছরে অনেক স্থৈর্য আসে। বিশেষ করে প্রেমাস্পদাকে কাছে পেয়ে তাকে জড়িয়ে ধরা, অনেকদিন একইসঙ্গে বসবাস আবার পরক্ষণেই সেই টান অবহেলায় ছুঁড়ে ফেলে আত্মহত্যার ভিতর একটি উদ্ভ্রান্ত ব্যাপার আছেই।মাকে সুধা নিজের হাতে খুন করেনি। তাকে সম্পূর্ণ দোষী করাটা অতি মূর্খ না হলে কেউ ভাববে না। ৩৫ বছরে একটুকু বুদ্ধি ও বাস্তব সচেতনতা আশা করাই যায়। সুধাময়ের বরং মাকেই দোষী করার কথা ভাবলে সঠিক বিচার হত। বৈষ্ণব ধর্মে আত্মহত্যা মহাপাপ। এবং কলঙ্কময়। সেই কলঙ্ক মাকে না দিয়ে সুধার উপর অবলেপন করা নির্বুদ্ধিতা। সুধাময়কে নির্বোধ বলে মনে হয়নি। তাই খাপ খায় না।


![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png)