04-11-2025, 08:57 PM
(This post was last modified: 04-11-2025, 09:01 PM by indonetguru. Edited 2 times in total. Edited 2 times in total.)
গল্প: "ছায়ার আড়ালে আগুন" (পার্ট-২: গ্যাংওয়ার)
চতুর্বিংশ পরিচ্ছেদ: লাশ নিতে অস্বীকার
বিকেল চারটা বেজে কুড়ি মিনিট। পার্ক স্ট্রিট থানার মর্গে একটা ঠান্ডা, ধাতব টেবিলের উপর শুয়ে আছে নাসিরের মৃতদেহ—২৯ বছরের ফর্সা, সুদর্শন, মজবুত শরীর, এখন নিথর। তার বুকে গুলির গর্ত, রক্ত শুকিয়ে কালো হয়ে গেছে। চারদিকে ফরমালিনের গন্ধ, দেয়ালে সাদা টাইলসে রক্তের ছিটে। অংশুমান সেন দাঁড়িয়ে আছে, তার ৬ ফুট লম্বা ফর্সা শরীরে খাকি ইউনিফর্ম, চোখে একটা শীতল দৃঢ়তা। তার পাশে কমিশনার অজয়প্রসাদ সেন—তার বাবা—তার মুখে কর্তৃত্বের ছাপ। "পরিবারকে খবর দাও," অজয়প্রসাদ নির্দেশ দিলেন।
ঘন্টাখানেক পরে দরজা খুলে ঢুকল রুবিনা—৪৩ বছরের ধবধবে ফর্সা, ছিপছিপে দীর্ঘাঙ্গী শরীর, কালো শাড়িতে মোড়া। তার চোখে কোনো অশ্রু নেই, শুধু ঠান্ডা রাগ। তার পেছনে রোশনী (১৯, বিবাহিতা)—তার মেয়ে—চোখ লাল, হাত কাঁপছে। রুবিনা লাশের কাছে গেল, তার ফর্সা হাতে পান্নার আংটি ঝিলিক দিল। সে নাসিরের মুখের দিকে তাকাল—যে মুখ একদিন তার চিফ কমান্ডার ছিল, তার মেয়ের স্বামী। কিন্তু তার ঠোঁট বেঁকে উঠল ঘৃণায়।
"এ বিশ্বাসঘাতক আমার পরিবারের নয়," রুবিনা শীতল কণ্ঠে বলল, তার চোখে কোনো দুঃখ নেই। "চম্পার সঙ্গে শুয়েছে, আমার গ্যাংকে বেচেছে। কবর দেব না। এর লাশ পচে যাক।
"রোশনী এগিয়ে আসতে গেল, তার চোখে অশ্রু। "মা... সে আমার স্বামী ছিল..." সে ফুঁপিয়ে কাঁদল, তার হাত নাসিরের ঠান্ডা হাত স্পর্শ করতে চাইল। কিন্তু রুবিনা তার কলার ধরে টেনে নিল। "চুপ! এ বিশ্বাসঘাতক তোকে ছেড়ে চম্পার কাছে গিয়েছিল। কাঁদবি না!" রুবিনা ধমকাল, তার কণ্ঠে বিষ। রোশনী পিছিয়ে গেল, তার মুখ ফ্যাকাশে।
অংশুমানের চোখ সরু হল। সে রুবিনার দিকে তাকাল—তার ফর্সা ত্বক, তার রাগী চোখ। অজয়প্রসাদ মাথা নাড়লেন। "ঠিক আছে। পরিবার অস্বীকার করলে পুলিশ কবরস্থ করবে।" তার নির্দেশে লাশ তোলা হল—সাদা কাপড়ে মোড়া।
থানার পেছনে একটা সাধারণ কবরস্থানে, কোনো নামপ্লেট ছাড়া, নাসিরকে কবর দেওয়া হল। মাটি চাপা পড়ল, রক্তের দাগ মুছে গেল—কিন্তু গ্যাংওয়ারের আগুন জ্বলতে থাকল।
চতুর্বিংশ পরিচ্ছেদ: লাশ নিতে অস্বীকার
বিকেল চারটা বেজে কুড়ি মিনিট। পার্ক স্ট্রিট থানার মর্গে একটা ঠান্ডা, ধাতব টেবিলের উপর শুয়ে আছে নাসিরের মৃতদেহ—২৯ বছরের ফর্সা, সুদর্শন, মজবুত শরীর, এখন নিথর। তার বুকে গুলির গর্ত, রক্ত শুকিয়ে কালো হয়ে গেছে। চারদিকে ফরমালিনের গন্ধ, দেয়ালে সাদা টাইলসে রক্তের ছিটে। অংশুমান সেন দাঁড়িয়ে আছে, তার ৬ ফুট লম্বা ফর্সা শরীরে খাকি ইউনিফর্ম, চোখে একটা শীতল দৃঢ়তা। তার পাশে কমিশনার অজয়প্রসাদ সেন—তার বাবা—তার মুখে কর্তৃত্বের ছাপ। "পরিবারকে খবর দাও," অজয়প্রসাদ নির্দেশ দিলেন।
ঘন্টাখানেক পরে দরজা খুলে ঢুকল রুবিনা—৪৩ বছরের ধবধবে ফর্সা, ছিপছিপে দীর্ঘাঙ্গী শরীর, কালো শাড়িতে মোড়া। তার চোখে কোনো অশ্রু নেই, শুধু ঠান্ডা রাগ। তার পেছনে রোশনী (১৯, বিবাহিতা)—তার মেয়ে—চোখ লাল, হাত কাঁপছে। রুবিনা লাশের কাছে গেল, তার ফর্সা হাতে পান্নার আংটি ঝিলিক দিল। সে নাসিরের মুখের দিকে তাকাল—যে মুখ একদিন তার চিফ কমান্ডার ছিল, তার মেয়ের স্বামী। কিন্তু তার ঠোঁট বেঁকে উঠল ঘৃণায়।
"এ বিশ্বাসঘাতক আমার পরিবারের নয়," রুবিনা শীতল কণ্ঠে বলল, তার চোখে কোনো দুঃখ নেই। "চম্পার সঙ্গে শুয়েছে, আমার গ্যাংকে বেচেছে। কবর দেব না। এর লাশ পচে যাক।
"রোশনী এগিয়ে আসতে গেল, তার চোখে অশ্রু। "মা... সে আমার স্বামী ছিল..." সে ফুঁপিয়ে কাঁদল, তার হাত নাসিরের ঠান্ডা হাত স্পর্শ করতে চাইল। কিন্তু রুবিনা তার কলার ধরে টেনে নিল। "চুপ! এ বিশ্বাসঘাতক তোকে ছেড়ে চম্পার কাছে গিয়েছিল। কাঁদবি না!" রুবিনা ধমকাল, তার কণ্ঠে বিষ। রোশনী পিছিয়ে গেল, তার মুখ ফ্যাকাশে।
অংশুমানের চোখ সরু হল। সে রুবিনার দিকে তাকাল—তার ফর্সা ত্বক, তার রাগী চোখ। অজয়প্রসাদ মাথা নাড়লেন। "ঠিক আছে। পরিবার অস্বীকার করলে পুলিশ কবরস্থ করবে।" তার নির্দেশে লাশ তোলা হল—সাদা কাপড়ে মোড়া।
থানার পেছনে একটা সাধারণ কবরস্থানে, কোনো নামপ্লেট ছাড়া, নাসিরকে কবর দেওয়া হল। মাটি চাপা পড়ল, রক্তের দাগ মুছে গেল—কিন্তু গ্যাংওয়ারের আগুন জ্বলতে থাকল।


![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png)