16-10-2025, 08:45 PM
(This post was last modified: 16-10-2025, 08:56 PM by gungchill. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
(16-10-2025, 07:48 PM)ধূমকেতু Wrote: মারামারি মোটেও নাটকিয় লাগে নি। পুরো লেখাই লাজবাব। কিন্তু প্রত্যেক পুরুষের গায়ের জোরই প্রায় সমান, সে যতই জিম করুক। যদি না বিপরীত মানুষ হ্যাংলা পাতলা হয়।
সে দিক দিয়ে রাজীব তো বেশ লম্বা, সমর্থ, আপনিই লিখেছেন অনেক বার। জয় ওর থেকে খাটো, লম্বা ছেলেরা একটু হলেও অ্যাডভান্টেজ পায় মারামারির সময়। রাজীবের ফাইট ব্যাক আশা করেছিলাম। ও তো আর হিজড়া নয়, জয়, হিজড়া বললো সেটাও হজম করলো।
জয়ের এবার একটা শিক্ষা হওয়া উচিত, খুব বেপরোয়া ও, এ ধরনের ছেলেড়া জীবনে না নিজেরা সুখী হয় না কাছের মানুষদের সুখী করতে পারে।
জয় রানীর, রাজীবের, জান্নাতের সাথে সাথে নিজের জীবনকেও বিষিয়ে তুলছে, হি ডিজার্ভ এ লেসন।
আমি একবার নাকে আঘাত পেয়েছিলাম , তখন কে কি বলছে সেটা আমার শোনার মত অবস্থা ছিলো না । রাজীব ও আমার মত সাধারন ছেলে , তাই জয়ের ঘুষি খেয়ে নিশ্চয়ই চোখে সর্ষে ফুল দেখছিলো । আমি আপনার কমেন্ট পেয়ে AI সার্চ করে দেখালাম । যাদের মাসল মাস বেশি , তাদের ঘুষিতে এক্সট্রা পাওয়ার যোগ হয় । অবশ্য এটা ঠিক লম্বা ছেলেরা কিছু এডভান্টেজ পায় । তবে খাটো লোকটার যদি ফিজিকেল স্ট্রেন্থ বেশি থাকে , তবে বেঁটে লোক এডভান্টেজ বেশি পায় , আমি মারামারি সম্পর্কে তেমন একটা জানি না , AI যা বলল তাই বললাম । সামনেযদি আরো মারামারি আসে , আপনার কথা অবশ্যই মাথায় রাখবো।
রাজীব কিন্তু নিজের সামর্থ্যের প্রমান কিছুটা রেখছে , জয় কে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে , তারপর কঠিন ভাষায় থ্রেট ও করেছে । আর এসব হিজড়া ফিজড়া টাইপ ফালতু কথা ওকে তেমন প্রভাবিত করে না । যে দুটি জিনিস ওকে আঘাত করেছে , সেটা হচ্ছের রানীর চরিত্র নিয়ে কথা , আর বাড়ি নিয়ে খোটা দেয়া ।
এবার আর রাজীব নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারে না , জয়ের ধাক্কা খেয়ে একটু পিছিয়ে পড়েছিলো , সেই যায়গা টুকু বেশ গতিতে পেরিয়ে এসে শরীরের সব শক্তি দিয়ে জয় কে ধাক্কা দেয় , আচমকা ধাক্কায় জয় নিচে পরে যায় , আশেপাশে দুই একজন লোক উকি দিতে শুরু করেছে , সেটা রাজীবের নজরে আসে , তাই নিচু হয়ে রাগে কাঁপতে কাঁপতে নিচু স্বরে বলে , “ তুই যদি আর একটা বাজে কথা রানীর সম্পর্কে বলবি , তাহলে আমি ভুলে যাবো তুই কে , আমি তোকে সাবধান করে দিচ্ছি , আমাকে যা বলার বল, কিন্তু রানীর সম্পর্কে একটা বাজে কথাও আমি শুনবো না , রানী আমার বোন, আমি নিজের হাতে ওকে বড় করেছি , আমি জানি ও কি করতে পারে , আর কি করা ওর পক্ষে সম্ভব না, আর রানী নিজের বাড়িতে কাকে আনবে কাকে আনবে না এটা ও তোর কাছে জবাবদিহি করবে না”
কয়েক মুহূর্তের জন্য জয় হতবাক হয়ে যায় , হতবাক হওয়ার প্রথম কারন রাজীব যে ওকে ধাক্কা দিয়েছে তার প্রচণ্ডতা , দ্বিতীয় কারন রাজীবের রাগ , জয়ের কাছে মনে হচ্ছে রাজীবের চোখ দুটো যেন ইটের ভাটির মত জ্বলছে । রাজীব যে এরকম রাগান্বিত হতে পারে সেটা ও ভুলেই গিয়েছিলো । সেই ছোট বেলার রাজীব কে এক ঝলকের জন্য যেন দেখতে পায় জয় । প্রচণ্ড জেদ আর মারামারিতে সবার আগে থাকতো রাজীব ।
জয় বেচারার কথাও একটু ভাবুন , ওর মত লোকের ইগোেতে চরম আঘাত লেগেছে । যে ছেলে চাইলেই মেয়ে পটাতে পারে , সেই ছেলেকে রেপিস্ট আক্ষা দিয়ে একটা মেয়ে অন্য ছেলে নিজের বাড়িতে এনেছে। একবার একটু ভেবে দেখুন তো । বেচারা তো পাগল হয়ে আছে । কি করছে , কি বলছে তার কোন ঠিক নেই । এই ধরনের মানুষের কাছে নিজের ইগোর চেয়ে মূল্যবান আর কিছুই নেই । দেখুন না ইগোর কারনে রাজীবের মত বন্ধুকে দূরে ঠেলে দিয়েছে । এই ইগো যে জয় কে দিয়ে আর কি কি করাবে , কে জানে ।
কেউ কথা রাখে না
আসবো বলেও আসে না।
কথা রাখে সুধু একাকীত্ব ,
কখনো ছেড়ে যায় না।
আসবো বলেও আসে না।
কথা রাখে সুধু একাকীত্ব ,
কখনো ছেড়ে যায় না।


![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png)