15-10-2025, 08:03 PM
(15-10-2025, 07:22 PM)ধূমকেতু Wrote: খুব সুন্দর আপডেট। সম্পর্কের দ্বন্দ্ব চরমে, খেলা জমে ক্ষীর। এখন দেখার বিষয় জয় কি করে, যে বেপরোয়া ছেলে, হিংসা সামলাতে না পেরে রানীকে তুলে নিয়ে বিয়ে করে নিলে বেশ ভালো হয়।
একটা জিনিস খেয়াল করলাম, গল্পে সবার মুড খুব দ্রুত চেঞ্জ হয়ে যায়, যেমন হঠাৎ রাগ করে বসে হঠাৎ কান্না পায়। সবসময় চোখে বাজে এমন নয় তবে মাঝে মধ্যে কেমন যেন লাগে বিশেষ করে গল্পটা যেখানে খুব বাস্তবের সাথে রিলেট করা যায়।
আর চরিত্র গুলোও যেন কখনো কখনো নিজেদের স্বভাব সিদ্ধ আচরণ থেকে বেরিয়ে যায়।
কিন্তু রাজীব কে নিয়ে কথা হবে না, গল্পের শুরু থেকে এই পর্যন্ত, ঠাই নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। সেই আদর্শবান, বাস্তববাদী, দায়িত্বপরায়ন, এক চুলও সরে আসে নি নিজের চরিত্র থেকে। খুব দৃঢ় ব্যক্তিত্ব ওর। এই গল্পের সবচেয়ে উজ্জ্বলতমও।
রানির জন্য আমার করুণা হয়, ওর কথা পড়লে একটা কথাই মনে আসে, সুখে থাকতে ভুতে কিলায়। শুধু শুধু নিজের দোষে আপনজনদের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করছে। রাজীবকে বুঝি ও ইং সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিচ্ছে ভবিষ্যতে হয়তো আরো দেবে। রানি তো লাজুক, লাজুক পনা থেকে সরে যায় অনেকসময়, একটু বেশিই এগ্রেসিভ হয়ে পরে। রাজীবের সাথে কেন করে এটা আপনি ব্যাখ্যা করেছেন, কিন্তু অন্য সবার ক্ষেত্রে তো ও লাজুক, যেমন জান্নাতের সাথে, ঝগড়া করে ফেলছে প্রায়ই।
এগুলো একটু দেখবেন। গল্প আরো সাবলীল হবে।
আরেকটা কথা, একটু যৌনতা কি আসবে না? পড়ে প্রথমে ভেবেছিলাম জয় আর রানির মধ্যে কিছু একটা হবে, কিন্তু ওদের এখন যেই সম্পর্ক তাতে পুনর্মিলননেরই অনেক সময় লাগবে, যৌনতা ঢের দেরী।
তীর্থের কাকের মতো বসে আছি কবে একটা মাসালা আপডেট পাবো।
রানি আর জয়ের মধ্যে হলেই ভালো হয় মানে যৌনতা ওদের উপরই মানাবে।
দেখবেন, বিবেচনা করিয়েন।
ভাই , আপনার কমেন্ট দেখে গল্পের চরিত্রদের মত আমার মুড ও দ্রুত চেঞ্জ হয়ে গেলো , একদম কান্না পেয়ে গেলো । হা হা হা মজা করলাম । আসলে এমন কমেন্ট দেখলে মন ভরে যায় । এই পর্যন্ত গল্প যা লিখেছি , কেউই চরিত্র গুলো সম্পর্কে এমন ভাবে আমাকে বলেনি । নিজে থেকেই ভুল ধরার চেষ্টা করেছি , নিজে নিজেই শুধরে নেয়ার চেষ্টা করেছি।যেমন রানীর আচরণ গুলো নিয়ে কিছুটা খটকা লেগেছিলো , তাই আবরারের মাধ্যমে এই পর্বে জান্নাত কে কিছুটা বিশ্লেষণ করিয়েছি । এবংজান্নাত কে এই ব্যাপারে বুঝাতে সক্ষম হয়েছি যে ও সিচুয়েশন ঠিক মত হ্যান্ডেল করতে পারেনি ।
আসলে রাজীবের পর রানীর একমাত্র বন্ধু হচ্ছে জান্নাত , সেটা আবরার জান্নাত কে বলেছে ।জান্নাত যেমন বাইরের মানুষদের সাথে সহজে মিশতে পারে রানী পারে না । জান্নাত ছাড়া ওর একমাত্র বন্ধু হয়েছে আবরার , এর কারন জান্নাত আর রাজীবের দূরে সরে যাওয়ায় যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে সে সময় আবরার ওর সামনে এসেছে । এতদিন জান্নাত এমন কিছুই করেনি যেখানে রানীর সাথে ওর ঝগড়া হবে ।আর এখন রানী এমন কেন করছে সেটা আবরার কিছুটা বলেছে । রাজীবর জান্নাতের উপর ওর রাগের কারন বলেছে আবরার । আমি নিচে কোট করলাম
আপনি হচ্ছেন ওর সবচেয়ে কাছের বন্ধু , আর ওর ভাইয়ের সাথেও মনে হয় ওর ভালো একটা বন্ডিং ছিলো , কিন্তু ও যখন দেখলো ওর সবচেয়ে ভালো বন্ধু ওকে ছেড়ে ওর ভাইয়ের সাথে বেশি সময় কাটাচ্ছে , আর ওর ভাই ও ওকে প্রাধান্য না দিয়ে ওর ান্ধবীর সাথে কোন একটা কিছু করছে , যা ও আগে জানতো না, একবার ভেবে দেখুন তো ওর মনে কি চলতে পারে তখন , বিশেষ করে ও যখন নিজেও একটা সমস্যার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে ।
রানীর চরিত্রটাই আমি এভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি , ডিস্টার্বড একটা চরিত্র । অনেক ছোট বেলায় মা কে হারিয়েছে , বাবাও উদাসিন , প্রায় সম বয়সি ভাইয়ের সাথে বড় হয়েছে , বলতে গেলে সারা জীবন রাজীবের উপর ভর করেই চলেছে । তাই ওর মানসিক গঠন অতটা স্ট্রং নয়। কারন রাজীব নিজেও তখন ছোট ছিলো , তাই রানীকে স্ট্রং করে গড়ে তুলতে পারেনি । তাই রানী নিজেকে সব সময় স্থির রাখতে পারে না ।
আমার মতে রাজীব হলো এই গল্পের সবচেয়ে উদ্ভট আর অবাস্তব চরিত্র । আমি ইচ্ছা করেই এমন্টা করেছি । তবে রাজীবের এমন হয়ে ওঠার পেছনেও কিছু কারন আমি দেখাবো ।
আর জান্নাত মাত্র একটি কারনে কাঁদে , এমনিতে জান্নাত বেশ স্ট্রং , কিন্তু রাজীবের জন্য ওর মনে মামতা এতো বেশি যে রাজীবের দুঃখেই সুধু ও কাঁদে । আর নিজের প্রতি যখন কোন অবিচার দেখে তখন ওর রাগ হয় । যেটা আগে ওর বাবা মায়ের দুজনের প্রতিই হতো , এখন সুধু বাবার উপরে হয় ।
আর জয় , টিপিক্যাল ইয়ং ব্রাট , আমার খুব পছন্দের চরিত্র । বেশ একগুয়ে , একবার যেটা ভেবে নেয় সেটা আর কেউ পরিবর্তন করতে পারে না ।যেমন ধরুন রাজীব যখন রাতের বেলা বাপ্পি কে হেল্প করা নিয়ে রিগ্রেট ফিল করছিলো , তখন জয় ভেবে নিয়েছিলো এই রিগ্রেট রাজীবের মাঝে এসেছে ওর সাথে বন্ধুত্ব রাখার জন্য , যেই ভাবা সেই কাজ , সেই থেকে রাজীবের সাথে আর কোন সম্পর্ক রাখছে না ।
অল্প কিছু মাসালা খুব শীঘ্রই আসবে ।
আরো একটা ভুল কিন্তু হয়েছে আমার , সেটা হচ্ছে ,জান্নাত রাজীব কে কাজ করার জন্য একটা ল্যাপ্টপ দিয়েছিলো , তাহলে রাজীবের সেদিন বাইরে যেতেই কেনো হবে ? দেখুন ওপেন ফোরামে গল্প লেখার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে , পাঠক ভুল ধরবে , নিজেদের মতামত দেবে । কিন্তু এতদিন সেটাই মিস করছিলাম ।আমি আগেও বলেছি আবারো সবার উদ্দেশ্যে বলছি , যে কোন ধরনের কমেন্টস আমার কাছে মূল্যবান , লাইক এবং রেপুটেশনের চেয়ো বেশি মূল্যবান ।
জানি না আপনি উত্তর পেয়েছেন কিন ,যদি আরো জিজ্ঞাসা থেকে অবশ্যই করবেন ।এবং অবশ্যই সমালোচনা করবেন ,যদি আমার কাছে উত্তর থাকে আমি দেবো ,যদি না থাকে সামনে গিয়ে আরো ভালো করার চেষ্টা করবো ।
অনেক ধন্যবাদ এমন একটা কমেন্ট করার জন্য ।
কেউ কথা রাখে না
আসবো বলেও আসে না।
কথা রাখে সুধু একাকীত্ব ,
কখনো ছেড়ে যায় না।
আসবো বলেও আসে না।
কথা রাখে সুধু একাকীত্ব ,
কখনো ছেড়ে যায় না।


![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png)