08-10-2025, 04:50 PM
(This post was last modified: 08-10-2025, 04:53 PM by gungchill. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
রানী বাড়িতে যখন ঢোকে তখন প্রায় দুপুর আড়াইটা বেজে গেছে । ঘরে ঢুকেই দেখে রাজীব বসে আছে । ওকে দেখেই হাসিমুখে উঠে দাড়ায় । রানীর কাছে মনে হয় রাজীব ওর জন্যই অপেক্ষা করে বসে ছিলো । একটু বিরক্ত হয় রানী , ভাবে সকালে রাজীবের লেকচার মনে হয় পুরোপুরি কমপ্লিট হয়নি , আরো কিছু বলতে বাকি রয়ে গেছে । জ্ঞানের কথা শুনতে আর ভালো লাগে না রানীর । ক্যাম্পাসে আজকে জান্নাত ওর মুড অফ করে দিয়েছে । লোকজন ওকে পেয়েছে কি ? মনে মনে ভাবে রানী । যেই সুযোগ পাচ্ছে জ্ঞান ঝেড়ে দিচ্ছে ।
রানী দাড়ায় , মুখে কিছু বলে না । গতকাল যথেষ্ট খারাপ আচরণ করেছে রাজীবের সাথে । তাই আজকে আর করতে চায় না, তবে রানীর মনে হচ্ছে , ও মুখ খুললে খারাপ কিছুই বেরুবে , তাই চুপ করে থাকে ।
“ যা ফ্রেস হয়ে আয় , তোর জন্য ওয়েট করছি , এক সাথে খাবো” রাজীব রানীকে দাড়িয়ে থাকতে দেখে বলে ।
রাজীবের কথা শুনে একটু অবাক ই হয়ে রানী , তবে পুরোপুরি সঙ্কামুক্ত হয় না । ভাবে হয়তো খেতে বসে লেকচার শুরু করবে। রানী কোন কোন কথা না বাড়িয়ে দোতলায় চলে যায় । একবার ভাবে রাজীবকে জিজ্ঞাস করে , কেন এতক্ষণ না খেয়ে বসে আছে। কিন্তু জিজ্ঞাস করে না , ভাবে , ও বলবে ভালো ভেবে শোনা যাবে খারাপ ।
নিজের ঘরে ঢুকে রানী , ফ্যান ছেড়ে বিছানায় কিছুক্ষন বসে , ঠাণ্ডা হয়ে নেয় । তারপর বাথরুমে ঢুকে কাপড় ছেড়ে শাওয়ারের নিচে দাড়ায় । শীতল পানি ওর তপ্ত শরীর কে শীতল করতে শুরু করে । শরীর শীতল হওয়ার সাথে সাথে মন ও কিছুটা শীতল হতে শুরু করে । বেশ অনেকক্ষণ ধরে পানি ঢালে শরীরে । তপ্ত ক্লান্ত শরীরে শীতল পানির স্পর্শ বেশ আরম দেয় ওকে ।
রানী সাবান মাখতে শুরু করে , নাভির ঠিক উপরে নিচে বেশ কয়েকটা কাটা দাগ , শুকিয়ে গেছে । অল্প কয়েকটি বোঝা যায় । যেগুলো বেশি গভির হয়নি সেগুলো প্রায় দেখাই যায় না । দাগ গুলো দেখে জান্নাতের বলা কথা মনে পরে যায় । নিজের শরীরে বাকি অংশে যেখানে আরো দাগ আছে সেই অংশ গুলো খুটিয়ে খুটিয়ে দেখে ।
হ্যা জান্নাত ঠিক ই বলেছে , আমি এমন কাজ করেছি , যাতে করে মানুষের মনে হতেই পারে আমি খারাপ পথে চলে গেছি। মনে মনে ভাবে রানী । তারপর আবার এও ভাবে , অন্য কেউ যা খুশি ভাবুক , কিন্তু রাজীব কিভাবে ভাবল , যে ও খারাপ পথে চলে গেছে । আর যদি মনে এই কথা এসেও থাকে , তাহলে কেনো ওর সাথে এসে সরাসরি কথা বলল না? এতটা অবিশ্বাসের মানুষ হয়ে গেছি আমি ? নিজেকেই যেন প্রশ্ন করে রানী । জীবনের প্রায় উনিশটা বছর এতো সামলে চলার তাহলে মূল্য কি রইলো? আবারো প্রশ্ন করে রানী , কাকে করে ও নিজেই বুঝতে পারে না।
কত প্রলোভন ছিলো , স্কু*লের ান্ধবীরা কত মজা করেছে , কিন্তু ও সেসব সযত্নে এড়িয়ে গেছে । তার কোন মূল্যই কেউ দিলো না, একটা ভুল করলো আর অমনি সবাই মাথায় হাত দিয়ে বসে পরলো । একটা ভুল করার বিলাসিতাও কি দেখানোর অধিকার ওর নেই ? আবারো রাগটা চড়াও হয় রানীর মনের উপর ।
রানী শরীরে তোয়ালে প্যাচিয়ে বাথরুম থেকে বেড়িয়ে আসে , শরীরে মসচারাজার মেখে ঘরের পোশাক পরে নেয় । তারপর চুল গুলো পিঠের উপর ছড়িয়ে দিয়ে খাবার খাওয়ার জন্য নিচে নেমে আসে । নামতে নামতে মনে মনে ভাবে , রাজীব জ্ঞান দেয়ার ইচ্ছা থাকলে নিজের রিস্কে দিস , আমি যদি তোকে দুঃখ দেয়ার মত কিছু করি , তার দায়ভার আমি নিতে পারবো না , তোকে দুঃখ দিতে চাই না , তুই আমার জন্য যা করেছিস , তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ , কিন্তু আমার ও একটা লিমিট আছে ।
এসব ভাবতে ভাবতে রানী যখন টেবিলের সামনে এসে দাড়ায় , তখন অবাক হয়ে যায় । টেবিল ভর্তি খাবার , ভুনা খিচুড়ি , মাংস দুই ধরনের , বেগুন ভাজা , আঁচার সাথে একটি কাবাব ।
“ এত্ত খাবার!!!! বড় আম্মু পাঠিয়েছে?” রানী অবাক হয়ে জিজ্ঞাস করে ? তারপর হঠাত করেই ওর কিছু মনে পরে যায় । জিজ্ঞাস করে “ আজকে কয় তারিখ রে?”
রাজীব ছোট্ট করে বলে “তেরো , নভেম্বর”
রানী নিজের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যায় । এই খাবার বড় আম্মু পাঠায়নি , রাজীব নিজেই রান্না করেছে । রানীর মনের রাগ দূর হয়ে সেখানে একটা শূন্যতা এসে ভর করে । চুপ করে চেয়ার সরিয়ে বসে পরে রানী ।
রাজীব রানীর প্লেটে খাবার তুলে দিতে থাকে , অনেকটা খিচুড়ি দিতে দেখেও রানী কিছু বলে না । একটা ছোট সৃতি ওর চোখের সামনে ভাসতে থাকে , রানীর ভাসা ভাসা মনে আছে , ওর আম্মু মারা যাওয়ার কয়েক দিন আগে , একেবারে সঠিক সময় ওর মনে নেই । তবে মনে আছে মৃত্যুর বেশিদিন আগে নয় , হঠাত এতো সুস্থ হয়ে গিয়েছিল যে ওরা সবাই খুব খুশি হয়ে উঠেছিলো। এতোটাই প্রান শক্তি ফিরে এসেছিলো যে ওর আম্মু নিজে রান্না করেছিলো । যদিও রাজীব আব্বু সবাই হেল্প করেছিলো । সেদিন আম্মু এই ডিশ গুলোই রান্না করেছিলো । রানীর চোখ পানিতে টলমল করতে শুরু করে , কিন্তু কাঁদতে চায় না ও। কাঁদতে চায় না রাজীবের সামনে । কারন ও কাঁদলে হয়তো রাজীব আগের মত ওকে খুকি ভোলানোর মত করে ভোলাতে চেষ্টা করবে । আম্মুর সম্পর্কে আজগুবি কোন গল্প শোনাবে । কিন্তু রানী আর এসব হতে দিতে চায় না , অন্তত রাজীবের সামনে নয় । না হলে রাজীব ভেবে নেবে আজকে সকালে রাজীব যা বলেছে তা ভুল বলছে । রানীকে প্রমান করতে হবে যে ও বড় হয়ে গেছে , ওকে আর বাচ্চাদের মত করে ভোলাতে হবে না , ওর কান্না থামাতে আজগুবি কোন গল্প ফাঁদার আর দরকার নেই ।
রাজীব খেতে খেতে বার বার চোরা চোখে রানীর দিকে তাকায় । এভাবে লুকিয়ে তাকানোর কারন হচ্ছে , রানী কান্না সামলাতে পারছে না , খেতে খেতে রানীর চোখ দিয়ে দু এক ফোঁটা পানি পরে যাচ্ছে । কিন্তু সেটা লুকানোর চেষ্টা করছে রানী । তাই রাজীব ওকে বুঝতে দিতে চাইছে না যে রাজীব ওর চোখের পানি দেখছে ।
রাজীব বার বার লুকিয়ে রানীর ভেজা খোলা চুল দেখে । একদম আম্মুর মত, যেমন ঘন কালো তেমনি অনেক চুল । রাজীব এও খেয়াল করে দেখে , ধিরে ধিরে রানী দেখতেও প্রায় আফরোজার মত হয়ে যাচ্ছে । আফরোজার এই বয়সের ছবি রাজীব দেখছে । রাজীব মনে মনে মেলায় , সেই চোখ , সেই নাক সেই ঠোঁট সেই চুল । পার্থক্য সুধু এতটুকু আফরোজা আরেকটু স্বাস্থ্যবান ছিলো। এই বয়সে আফরোজা এক সন্তান জন্ম দিয়ে ফেলেছিলো । রাজীব মনে মনে ভাবে একজনের আত্মা অন্যজনের ভেতরে চলে আসলে মনে হয় ধিরে ধিরে দুজনের চেহারাও এক হয়ে যায় । রাজীব মন ভরে দেখে , ওর কাছে মনে হয় সামনে আফরোজা নিজেই বসে আছে ।
*****
প্রায় শত্তুর হাজার শব্দ লিখে ফেলার পর একটা চুম্বন দৃশ্য ও না থাকা রোম্যান্টিক গল্পের জন্য একটা ব্যারথতাই বলা যায় । এই দিক থেকে গল্পটা ব্যারথ, আমি মেনে নিচ্ছি ।এবংপাঠকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ।
রানী দাড়ায় , মুখে কিছু বলে না । গতকাল যথেষ্ট খারাপ আচরণ করেছে রাজীবের সাথে । তাই আজকে আর করতে চায় না, তবে রানীর মনে হচ্ছে , ও মুখ খুললে খারাপ কিছুই বেরুবে , তাই চুপ করে থাকে ।
“ যা ফ্রেস হয়ে আয় , তোর জন্য ওয়েট করছি , এক সাথে খাবো” রাজীব রানীকে দাড়িয়ে থাকতে দেখে বলে ।
রাজীবের কথা শুনে একটু অবাক ই হয়ে রানী , তবে পুরোপুরি সঙ্কামুক্ত হয় না । ভাবে হয়তো খেতে বসে লেকচার শুরু করবে। রানী কোন কোন কথা না বাড়িয়ে দোতলায় চলে যায় । একবার ভাবে রাজীবকে জিজ্ঞাস করে , কেন এতক্ষণ না খেয়ে বসে আছে। কিন্তু জিজ্ঞাস করে না , ভাবে , ও বলবে ভালো ভেবে শোনা যাবে খারাপ ।
নিজের ঘরে ঢুকে রানী , ফ্যান ছেড়ে বিছানায় কিছুক্ষন বসে , ঠাণ্ডা হয়ে নেয় । তারপর বাথরুমে ঢুকে কাপড় ছেড়ে শাওয়ারের নিচে দাড়ায় । শীতল পানি ওর তপ্ত শরীর কে শীতল করতে শুরু করে । শরীর শীতল হওয়ার সাথে সাথে মন ও কিছুটা শীতল হতে শুরু করে । বেশ অনেকক্ষণ ধরে পানি ঢালে শরীরে । তপ্ত ক্লান্ত শরীরে শীতল পানির স্পর্শ বেশ আরম দেয় ওকে ।
রানী সাবান মাখতে শুরু করে , নাভির ঠিক উপরে নিচে বেশ কয়েকটা কাটা দাগ , শুকিয়ে গেছে । অল্প কয়েকটি বোঝা যায় । যেগুলো বেশি গভির হয়নি সেগুলো প্রায় দেখাই যায় না । দাগ গুলো দেখে জান্নাতের বলা কথা মনে পরে যায় । নিজের শরীরে বাকি অংশে যেখানে আরো দাগ আছে সেই অংশ গুলো খুটিয়ে খুটিয়ে দেখে ।
হ্যা জান্নাত ঠিক ই বলেছে , আমি এমন কাজ করেছি , যাতে করে মানুষের মনে হতেই পারে আমি খারাপ পথে চলে গেছি। মনে মনে ভাবে রানী । তারপর আবার এও ভাবে , অন্য কেউ যা খুশি ভাবুক , কিন্তু রাজীব কিভাবে ভাবল , যে ও খারাপ পথে চলে গেছে । আর যদি মনে এই কথা এসেও থাকে , তাহলে কেনো ওর সাথে এসে সরাসরি কথা বলল না? এতটা অবিশ্বাসের মানুষ হয়ে গেছি আমি ? নিজেকেই যেন প্রশ্ন করে রানী । জীবনের প্রায় উনিশটা বছর এতো সামলে চলার তাহলে মূল্য কি রইলো? আবারো প্রশ্ন করে রানী , কাকে করে ও নিজেই বুঝতে পারে না।
কত প্রলোভন ছিলো , স্কু*লের ান্ধবীরা কত মজা করেছে , কিন্তু ও সেসব সযত্নে এড়িয়ে গেছে । তার কোন মূল্যই কেউ দিলো না, একটা ভুল করলো আর অমনি সবাই মাথায় হাত দিয়ে বসে পরলো । একটা ভুল করার বিলাসিতাও কি দেখানোর অধিকার ওর নেই ? আবারো রাগটা চড়াও হয় রানীর মনের উপর ।
রানী শরীরে তোয়ালে প্যাচিয়ে বাথরুম থেকে বেড়িয়ে আসে , শরীরে মসচারাজার মেখে ঘরের পোশাক পরে নেয় । তারপর চুল গুলো পিঠের উপর ছড়িয়ে দিয়ে খাবার খাওয়ার জন্য নিচে নেমে আসে । নামতে নামতে মনে মনে ভাবে , রাজীব জ্ঞান দেয়ার ইচ্ছা থাকলে নিজের রিস্কে দিস , আমি যদি তোকে দুঃখ দেয়ার মত কিছু করি , তার দায়ভার আমি নিতে পারবো না , তোকে দুঃখ দিতে চাই না , তুই আমার জন্য যা করেছিস , তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ , কিন্তু আমার ও একটা লিমিট আছে ।
এসব ভাবতে ভাবতে রানী যখন টেবিলের সামনে এসে দাড়ায় , তখন অবাক হয়ে যায় । টেবিল ভর্তি খাবার , ভুনা খিচুড়ি , মাংস দুই ধরনের , বেগুন ভাজা , আঁচার সাথে একটি কাবাব ।
“ এত্ত খাবার!!!! বড় আম্মু পাঠিয়েছে?” রানী অবাক হয়ে জিজ্ঞাস করে ? তারপর হঠাত করেই ওর কিছু মনে পরে যায় । জিজ্ঞাস করে “ আজকে কয় তারিখ রে?”
রাজীব ছোট্ট করে বলে “তেরো , নভেম্বর”
রানী নিজের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যায় । এই খাবার বড় আম্মু পাঠায়নি , রাজীব নিজেই রান্না করেছে । রানীর মনের রাগ দূর হয়ে সেখানে একটা শূন্যতা এসে ভর করে । চুপ করে চেয়ার সরিয়ে বসে পরে রানী ।
রাজীব রানীর প্লেটে খাবার তুলে দিতে থাকে , অনেকটা খিচুড়ি দিতে দেখেও রানী কিছু বলে না । একটা ছোট সৃতি ওর চোখের সামনে ভাসতে থাকে , রানীর ভাসা ভাসা মনে আছে , ওর আম্মু মারা যাওয়ার কয়েক দিন আগে , একেবারে সঠিক সময় ওর মনে নেই । তবে মনে আছে মৃত্যুর বেশিদিন আগে নয় , হঠাত এতো সুস্থ হয়ে গিয়েছিল যে ওরা সবাই খুব খুশি হয়ে উঠেছিলো। এতোটাই প্রান শক্তি ফিরে এসেছিলো যে ওর আম্মু নিজে রান্না করেছিলো । যদিও রাজীব আব্বু সবাই হেল্প করেছিলো । সেদিন আম্মু এই ডিশ গুলোই রান্না করেছিলো । রানীর চোখ পানিতে টলমল করতে শুরু করে , কিন্তু কাঁদতে চায় না ও। কাঁদতে চায় না রাজীবের সামনে । কারন ও কাঁদলে হয়তো রাজীব আগের মত ওকে খুকি ভোলানোর মত করে ভোলাতে চেষ্টা করবে । আম্মুর সম্পর্কে আজগুবি কোন গল্প শোনাবে । কিন্তু রানী আর এসব হতে দিতে চায় না , অন্তত রাজীবের সামনে নয় । না হলে রাজীব ভেবে নেবে আজকে সকালে রাজীব যা বলেছে তা ভুল বলছে । রানীকে প্রমান করতে হবে যে ও বড় হয়ে গেছে , ওকে আর বাচ্চাদের মত করে ভোলাতে হবে না , ওর কান্না থামাতে আজগুবি কোন গল্প ফাঁদার আর দরকার নেই ।
রাজীব খেতে খেতে বার বার চোরা চোখে রানীর দিকে তাকায় । এভাবে লুকিয়ে তাকানোর কারন হচ্ছে , রানী কান্না সামলাতে পারছে না , খেতে খেতে রানীর চোখ দিয়ে দু এক ফোঁটা পানি পরে যাচ্ছে । কিন্তু সেটা লুকানোর চেষ্টা করছে রানী । তাই রাজীব ওকে বুঝতে দিতে চাইছে না যে রাজীব ওর চোখের পানি দেখছে ।
রাজীব বার বার লুকিয়ে রানীর ভেজা খোলা চুল দেখে । একদম আম্মুর মত, যেমন ঘন কালো তেমনি অনেক চুল । রাজীব এও খেয়াল করে দেখে , ধিরে ধিরে রানী দেখতেও প্রায় আফরোজার মত হয়ে যাচ্ছে । আফরোজার এই বয়সের ছবি রাজীব দেখছে । রাজীব মনে মনে মেলায় , সেই চোখ , সেই নাক সেই ঠোঁট সেই চুল । পার্থক্য সুধু এতটুকু আফরোজা আরেকটু স্বাস্থ্যবান ছিলো। এই বয়সে আফরোজা এক সন্তান জন্ম দিয়ে ফেলেছিলো । রাজীব মনে মনে ভাবে একজনের আত্মা অন্যজনের ভেতরে চলে আসলে মনে হয় ধিরে ধিরে দুজনের চেহারাও এক হয়ে যায় । রাজীব মন ভরে দেখে , ওর কাছে মনে হয় সামনে আফরোজা নিজেই বসে আছে ।
*****
প্রায় শত্তুর হাজার শব্দ লিখে ফেলার পর একটা চুম্বন দৃশ্য ও না থাকা রোম্যান্টিক গল্পের জন্য একটা ব্যারথতাই বলা যায় । এই দিক থেকে গল্পটা ব্যারথ, আমি মেনে নিচ্ছি ।এবংপাঠকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ।
সব প্রশ্নের উত্তর নেই,
তবু প্রশ্নগুলো বেঁচে থাকে,
ঠিক আমার মতো —
অর্ধেক জেগে, অর্ধেক নিঃশব্দ।
তবু প্রশ্নগুলো বেঁচে থাকে,
ঠিক আমার মতো —
অর্ধেক জেগে, অর্ধেক নিঃশব্দ।


![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png)