26-09-2025, 07:51 PM
বাসরের আগে হাজত
আবিদ সাহেবের দুই মেয়ে , বড় মেয়ের বিয়ে আগামিকাল । আজ গায়ে হলুদের আয়োজন করা হয়েছে । আবিদ সাহেব মেয়েদের অসম্ভব ভালোবাসেন । মেয়েরাই তার দুনিয়া , দুই চোখের মনি দুই কন্যা । আগামিকাল দুজনের একজন চলে যাবে । তাই আবিদ সাহেবের মন বড় চঞ্চল । আজকে রাত আবিদ সাহেবের জন্য খুশির নয় । তবুও আবিদ সাহেব বিশাল আয়োজন করেছেন । সুধু মাত্র মেয়েদের কারনে । আবিদ সাহেবের মেয়েরা ফিল্মি টাইপ। তাই ফিল্মে দেখা বিয়ের আদলে বিয়ে করতে চায় । তাই এই বিশাল আয়োজন , অঢেল টাকা খরচ হয়েছে , বিশাল স্টেজ , গানের দল এসেছে , নাচের দল এসেছে । টুটা ফুটা স্থানীয় শিল্পী নয় , বেশ নাম করা শিল্পীরা এসেছে । শত হলেও পুলিশের এ আই জির মেয়ের বিয়ে ।
আবিদ সাহেব এক কোনায় বসে এই নাচ গান দেখছে , অস্ত্রু সিক্ত চোখে নিজের মেয়েদের আনন্দ দেখে কখনো আনন্দ হচ্ছে আবার কখনো বুক ভেঙ্গে যাচ্ছে । ঠিক এমন সময় কল এলো আবিদ সাহেবের ফোনে , কল রিসিভ করলেন উনি , কারন বিশাল যে মাঠে অনুষ্ঠান হচ্ছে সেই মাঠের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য যাকে নিয়গ করা হয়েছে তাদের মাঝে একজন কল করেছে ।
কোন মিলনায়তন ভাড়া করতে চেয়েছিলেন আবিদ , কিন্তু মেয়ে যে ধরনের থিম চায় সে ধরনের থিম সুধু খোলা মাঠেই সম্ভব । কিন্তু খোলা মাঠে নানা ধরনের ঝামেলা থাকে , বাইরের ছেলে পেলে ঢুকে পরে । তাই আবিদ সাহেব নিজের পুলিস বাহিনির সাহায্য নিয়েছেন ।
“ হ্যা বলো জহির?” আবিদ সাহেব গলা খাঁকারি দিয়ে কান্নার ভাব টুকু কণ্ঠ থেকে ঝেড়ে ফেলে তারপর বলেন ।
“ স্যার একদল ইয়ং ছেলে পেলে ধরেছি , এরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিলো , এদের মাঝে একজন আবার বো*র*খা পরে এসেছে”
এমনিতেই আবিদ সাহেবের মন খারাপ , তার উপর এমন ঘটনা শুনে মাথায় রক্ত উঠে গেলো । সাত পাঁচ না ভেবেই বললেন “ লকআপে নিয়ে হেভি ডলা দাও”
“ কিন্তু স্যার এরা বলছে…”
“ সাট আপ জহির যা বলছি তা করো” গর্জে উঠলেন আবিদ সাহেব । প্যাটি অফিসার জহিরের প্যান্টে মুতে দেয়ার অবস্থা , তাই আর কথা বাড়ায় না । সাত আটজনের সেই দলটাকে কোন কথা না বলতে দিয়ে , মোটা লাঠির আঘাত করতে করতে গাড়িতে তোলা হয় । সবচেয়ে বেশি আঘাত পরে বো*র*খা পরা ছেলের উপর । পুলিশের সেপাইরা ভাবে নিশ্চয়ই কোন বদ মতলব ছিলো এর ।
ঘড়িতে বাজে রাত সোয়া দুটো , হলুদ অনুষ্ঠান শেষ হয়ে আবিদ সাহেব দুই মেয়ে আর স্ত্রী কে নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন সবে । সেই গ্রেপ্তার কান্ড ভুলেই গেছেন । ঘটনা আরো প্রায় দুই ঘণ্টা আগে ঘটেছে । মেয়েকে নিয়ে ইমোশনাল সময় পার করছেন , বাড়িতে ফেরার পুরো রাস্তা মেয়ে ওনার পাশে বসে বুকে মাথা দিয়ে রেখেছিলো । এমন ইমোশনাল সময়ে ওই সব ছোটো খাটো ঘটনা মনে থাকার কথা না ।
এমন সময় আবার কল আসে , এবার *** থানার ওসি । স্যালুট করার পর মিনমিন করে বলে “ স্যার একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়ে গেছে”
“ দেখো আমার এসব শোনার এখন সময় নেই , তুমি অন্য কাউকে কল করো” আবিদ সাহেব বিরক্ত হয়ে বলে। ভাবেন একটু যে শান্তিতে মেয়েটার সাথে সময় কাটাবো সেই সুযোগ ও নেই ।
“ স্যার ঘটনা গুরুতর” অফিসার ভয়ে ভয়ে বলে ।
“ ঠিক আছে সংখেপে বলো”
“ স্যার যাকে ধরে আনা হয়েছে , সে আপনার হবু জামাই” ওসির গলা ভয়ে কাঁপছে , এই ধরনের অফিসাররা জানে , শেষ পর্যন্ত দোষ এদের ঘাড়েই পরে । যদিও হুকুম এ আই জি স্যার নিজে দিয়েছে , কিন্তু শেষে বলবে , তোমারা আমাকে ঠিক ইনফরমেশন দাও নাই ।
ব্যাপারটা বুঝতে আবিদ সাহেবের সময় লাগে একটু , উনি জিজ্ঞাস করেন “ কি বললে?” মনে মনে দোয়া করছেন যা সুনেছেন তা যেন ভুল হয় , না হয় ওনার মেয়ে ওনার খবর খরে ছাড়বে ।
“ জি স্যার , উনি নাকি বো*র*খা পরে , মামুনিকে সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিলো”
“ ডলা দিয়েছো?” আবিদ সাহেবের গলা শুকিয়ে আসে , মাথার টাকে ঘাম জমতে থাকে , মেয়েকে কি জবাব দিবে এই চিন্তায় ।
“ জি স্যার” অফিসার মিনমিন করে বলে
“ কেমন দিয়েছো?”
“ স্যার উপর দিয়ে বোঝা যাবে না , তবে বসতে অসুবিধা হবে কয়েক দিন” অফিসার না চাইতেও নিজের হাতের কারুকাজের জন্য গর্ব ফুটে ওঠে ওর কণ্ঠে ।
“ জামাইয়ের কি অবস্থা?” আবিদ সাহেব ভয়ার্ত কণ্ঠে জিজ্ঞাস করে ।
“ স্যার উনি বো*র*খা পরা ছিলেন বলে , ওনার উপর সন্দেহ বেশি ছিলো…”
“থাক হয়েছে , আর বলতে হবে না, কে এসেছে ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে?”
“ স্যার জামাই বাবাজির বাবা আর মামা”
“ দাও ফোন দাও” এই বলে আবিদ সাহেব নিজের গলা ঠিক করে নেয় ।
“ বেয়াই সাহেব” জামাইয়ের বাবার গলা উঁচু হয়ে ওঠে , কিন্তু আবিদ সাহেব সেই সুযোগ দেয় না গর্জে ওঠেন । এবং আজকালের ছেলে পেলের জ্ঞান বুদ্ধির যে অভাব আছে সেই নিয়ে বড়সড় একটা বক্তৃতা দেন । এতে করে জামাইয়ের বাব একটু দমে যায় । তারপর আবিদ সাহেব এই বলেও হম্বি তম্বি করেন যে , যেই অফিসার জামাইয়ের এই অবস্থার জন্য দায়ি তাকে দেখে নেবেন । এবং যত দ্রুত সম্ভব ছেড়ে দেবেন । এর পর অফিসার কে ফোন দিতে বলেন
“ শোন , নিয়ম কানুনের টাল বাহানা করে আরো ঘণ্টা দুই আটকে রেখে , তারপর ছেড়ে দাও, আর বেয়াইয়ের জন্য নাস্তার ব্যাবস্থা করো”
আবিদ সাহেব এটা কেনো করলেন তিনি নিজেও জানেন না , তবে একটা প্রশান্তি অনুভব করলেন সমস্ত শরীরে।
আবার মেয়ের কাছে ফিরে গেলেন , চালাকি করে মেয়ের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে নিলেন । আজ রাতে আর কোন ড্রামা চান না উনি , কাল কি হবে কাল দেখা যাবে ।
পরদিন যথা সময়ে জামাই এসেছে , এবং জামাইয়ের জন্য বিশেষ চেয়ারের ব্যাবস্থা করা হয়েছে ।
আবিদ সাহেবের দুই মেয়ে , বড় মেয়ের বিয়ে আগামিকাল । আজ গায়ে হলুদের আয়োজন করা হয়েছে । আবিদ সাহেব মেয়েদের অসম্ভব ভালোবাসেন । মেয়েরাই তার দুনিয়া , দুই চোখের মনি দুই কন্যা । আগামিকাল দুজনের একজন চলে যাবে । তাই আবিদ সাহেবের মন বড় চঞ্চল । আজকে রাত আবিদ সাহেবের জন্য খুশির নয় । তবুও আবিদ সাহেব বিশাল আয়োজন করেছেন । সুধু মাত্র মেয়েদের কারনে । আবিদ সাহেবের মেয়েরা ফিল্মি টাইপ। তাই ফিল্মে দেখা বিয়ের আদলে বিয়ে করতে চায় । তাই এই বিশাল আয়োজন , অঢেল টাকা খরচ হয়েছে , বিশাল স্টেজ , গানের দল এসেছে , নাচের দল এসেছে । টুটা ফুটা স্থানীয় শিল্পী নয় , বেশ নাম করা শিল্পীরা এসেছে । শত হলেও পুলিশের এ আই জির মেয়ের বিয়ে ।
আবিদ সাহেব এক কোনায় বসে এই নাচ গান দেখছে , অস্ত্রু সিক্ত চোখে নিজের মেয়েদের আনন্দ দেখে কখনো আনন্দ হচ্ছে আবার কখনো বুক ভেঙ্গে যাচ্ছে । ঠিক এমন সময় কল এলো আবিদ সাহেবের ফোনে , কল রিসিভ করলেন উনি , কারন বিশাল যে মাঠে অনুষ্ঠান হচ্ছে সেই মাঠের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য যাকে নিয়গ করা হয়েছে তাদের মাঝে একজন কল করেছে ।
কোন মিলনায়তন ভাড়া করতে চেয়েছিলেন আবিদ , কিন্তু মেয়ে যে ধরনের থিম চায় সে ধরনের থিম সুধু খোলা মাঠেই সম্ভব । কিন্তু খোলা মাঠে নানা ধরনের ঝামেলা থাকে , বাইরের ছেলে পেলে ঢুকে পরে । তাই আবিদ সাহেব নিজের পুলিস বাহিনির সাহায্য নিয়েছেন ।
“ হ্যা বলো জহির?” আবিদ সাহেব গলা খাঁকারি দিয়ে কান্নার ভাব টুকু কণ্ঠ থেকে ঝেড়ে ফেলে তারপর বলেন ।
“ স্যার একদল ইয়ং ছেলে পেলে ধরেছি , এরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিলো , এদের মাঝে একজন আবার বো*র*খা পরে এসেছে”
এমনিতেই আবিদ সাহেবের মন খারাপ , তার উপর এমন ঘটনা শুনে মাথায় রক্ত উঠে গেলো । সাত পাঁচ না ভেবেই বললেন “ লকআপে নিয়ে হেভি ডলা দাও”
“ কিন্তু স্যার এরা বলছে…”
“ সাট আপ জহির যা বলছি তা করো” গর্জে উঠলেন আবিদ সাহেব । প্যাটি অফিসার জহিরের প্যান্টে মুতে দেয়ার অবস্থা , তাই আর কথা বাড়ায় না । সাত আটজনের সেই দলটাকে কোন কথা না বলতে দিয়ে , মোটা লাঠির আঘাত করতে করতে গাড়িতে তোলা হয় । সবচেয়ে বেশি আঘাত পরে বো*র*খা পরা ছেলের উপর । পুলিশের সেপাইরা ভাবে নিশ্চয়ই কোন বদ মতলব ছিলো এর ।
ঘড়িতে বাজে রাত সোয়া দুটো , হলুদ অনুষ্ঠান শেষ হয়ে আবিদ সাহেব দুই মেয়ে আর স্ত্রী কে নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন সবে । সেই গ্রেপ্তার কান্ড ভুলেই গেছেন । ঘটনা আরো প্রায় দুই ঘণ্টা আগে ঘটেছে । মেয়েকে নিয়ে ইমোশনাল সময় পার করছেন , বাড়িতে ফেরার পুরো রাস্তা মেয়ে ওনার পাশে বসে বুকে মাথা দিয়ে রেখেছিলো । এমন ইমোশনাল সময়ে ওই সব ছোটো খাটো ঘটনা মনে থাকার কথা না ।
এমন সময় আবার কল আসে , এবার *** থানার ওসি । স্যালুট করার পর মিনমিন করে বলে “ স্যার একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়ে গেছে”
“ দেখো আমার এসব শোনার এখন সময় নেই , তুমি অন্য কাউকে কল করো” আবিদ সাহেব বিরক্ত হয়ে বলে। ভাবেন একটু যে শান্তিতে মেয়েটার সাথে সময় কাটাবো সেই সুযোগ ও নেই ।
“ স্যার ঘটনা গুরুতর” অফিসার ভয়ে ভয়ে বলে ।
“ ঠিক আছে সংখেপে বলো”
“ স্যার যাকে ধরে আনা হয়েছে , সে আপনার হবু জামাই” ওসির গলা ভয়ে কাঁপছে , এই ধরনের অফিসাররা জানে , শেষ পর্যন্ত দোষ এদের ঘাড়েই পরে । যদিও হুকুম এ আই জি স্যার নিজে দিয়েছে , কিন্তু শেষে বলবে , তোমারা আমাকে ঠিক ইনফরমেশন দাও নাই ।
ব্যাপারটা বুঝতে আবিদ সাহেবের সময় লাগে একটু , উনি জিজ্ঞাস করেন “ কি বললে?” মনে মনে দোয়া করছেন যা সুনেছেন তা যেন ভুল হয় , না হয় ওনার মেয়ে ওনার খবর খরে ছাড়বে ।
“ জি স্যার , উনি নাকি বো*র*খা পরে , মামুনিকে সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিলো”
“ ডলা দিয়েছো?” আবিদ সাহেবের গলা শুকিয়ে আসে , মাথার টাকে ঘাম জমতে থাকে , মেয়েকে কি জবাব দিবে এই চিন্তায় ।
“ জি স্যার” অফিসার মিনমিন করে বলে
“ কেমন দিয়েছো?”
“ স্যার উপর দিয়ে বোঝা যাবে না , তবে বসতে অসুবিধা হবে কয়েক দিন” অফিসার না চাইতেও নিজের হাতের কারুকাজের জন্য গর্ব ফুটে ওঠে ওর কণ্ঠে ।
“ জামাইয়ের কি অবস্থা?” আবিদ সাহেব ভয়ার্ত কণ্ঠে জিজ্ঞাস করে ।
“ স্যার উনি বো*র*খা পরা ছিলেন বলে , ওনার উপর সন্দেহ বেশি ছিলো…”
“থাক হয়েছে , আর বলতে হবে না, কে এসেছে ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে?”
“ স্যার জামাই বাবাজির বাবা আর মামা”
“ দাও ফোন দাও” এই বলে আবিদ সাহেব নিজের গলা ঠিক করে নেয় ।
“ বেয়াই সাহেব” জামাইয়ের বাবার গলা উঁচু হয়ে ওঠে , কিন্তু আবিদ সাহেব সেই সুযোগ দেয় না গর্জে ওঠেন । এবং আজকালের ছেলে পেলের জ্ঞান বুদ্ধির যে অভাব আছে সেই নিয়ে বড়সড় একটা বক্তৃতা দেন । এতে করে জামাইয়ের বাব একটু দমে যায় । তারপর আবিদ সাহেব এই বলেও হম্বি তম্বি করেন যে , যেই অফিসার জামাইয়ের এই অবস্থার জন্য দায়ি তাকে দেখে নেবেন । এবং যত দ্রুত সম্ভব ছেড়ে দেবেন । এর পর অফিসার কে ফোন দিতে বলেন
“ শোন , নিয়ম কানুনের টাল বাহানা করে আরো ঘণ্টা দুই আটকে রেখে , তারপর ছেড়ে দাও, আর বেয়াইয়ের জন্য নাস্তার ব্যাবস্থা করো”
আবিদ সাহেব এটা কেনো করলেন তিনি নিজেও জানেন না , তবে একটা প্রশান্তি অনুভব করলেন সমস্ত শরীরে।
আবার মেয়ের কাছে ফিরে গেলেন , চালাকি করে মেয়ের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে নিলেন । আজ রাতে আর কোন ড্রামা চান না উনি , কাল কি হবে কাল দেখা যাবে ।
পরদিন যথা সময়ে জামাই এসেছে , এবং জামাইয়ের জন্য বিশেষ চেয়ারের ব্যাবস্থা করা হয়েছে ।
কেউ কথা রাখে না
আসবো বলেও আসে না।
কথা রাখে সুধু একাকীত্ব ,
কখনো ছেড়ে যায় না।
আসবো বলেও আসে না।
কথা রাখে সুধু একাকীত্ব ,
কখনো ছেড়ে যায় না।