14-09-2025, 01:13 PM
(This post was last modified: 14-09-2025, 05:49 PM by pujapujamondal2. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
পাশের ঘর থেকে মা বলে উঠলো। .........
মা- জামাই কে একটা ফোন কর , খুব খুশি হবে তুই যে ব্যাঙ্গালোরে চান্স পেয়েছিস ,.
আমি (রিনা ) - একটু বিরক্তির স্বরে , মা জামাই জামাই করোনা তো আমাদের এখনো বিয়ে হয়নি , আর কাকে জানাবো , তেনার আজ অফিস আছে।
মা - অন্তত সৃঞ্জয় এর বাবা মাকে জানা , ওনারাও খুব খুশি হবে ,কর মা ফোনটা কর।
আমি - ( বিরক্তি নিয়ে ) ফোন ধরালাম , রিং রিং রিং , ওপাশ থেকে কল রিসিপ করে সৃঞ্জয়ের বাবা। .
বাবা - সুপ্রভাত ইয়ং লেডি। কি ব্যাপার আবার কি তোদের ঝগড়া হয়েছে , তোদের নিয়ে আর পারিনা।
আমি - না কাকু ওসব কিছু নয় , বলছি আমি ব্যাঙ্গালোরে সুযোগ পেয়েছি। তোমার ছেলেকে জানিয়ে দিয়ো তার তো আমার ফোন ধরার সুযোগ হয় না , তাই তোমাকেই জানালাম।
বাবা - ব্রাভো ! আমি জানতাম তুই পারবি , আমি বলবো কেন ও এখনো বাড়িতেই আছে তুই বলে দে আমি ফোন দিচ্ছি ,
আমি - ( বলতে যাচ্ছিলাম না থাক ততক্ষনে ফোন সৃঞ্জয়ের হাতে )
সৃঞ্জয় - কি খবর এত সকালে , আমিতো আর একটু হলেই বেরিয়ে যেতাম ,
আমি - জানি তো সেই জন্যই কাকুর কাছে করেছি , বলছি আমার ওটা হয়ে গেছে ,
সৃঞ্জয় - উফ ! দারুন খবর , তোর আমার তরফ থেকে নেক্সট রবিবার টিট পাওনা রইলো। এই আমার দেরি হচ্ছে তুই বাবার সাথে কথা বল।
বাবা - তোর সাফল্যে ভালো লাগছে আবার খারাপ লাগছে , তুই তো চলে যাবি। তবে তোর ক্যারিয়ার আগে।
আমি - ( ভেবেছিলাম সৃঞ্জয় আজই ছুটি নিয়ে দেখা করবে ) আচ্ছা কাকু পরে আবার কথা হবে , ( বলে ফোন কেটে দিলাম )
আমার আর সৃজয়ের সম্পর্ক কলেজ থেকে আমি ক্লাস ৮ আর ও ক্লাস ১০ , তখন থেকে বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব প্রেমে রূপান্তরিত হয় , তবে সৃঞ্জয় খুব বাস্তববাদী ছেলে। প্রথম দিকে আমার সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলতাম , দেখা করতাম , সৃঞ্জয় চাকরি পায় আমাদের মধ্যে ভালোবাসা থাকলেও দুরুত্ব বেড়েছে। আগে যেখানে সপ্তায় প্রায় প্রতিদিন দেখা কথা হতো এখন সেটা শুধু ছুটির দিনে দাঁড়িয়েছে। ভালোবাসা আছে তবে দূরত্ব বেড়েছে। দেখতে দেখতে চলে আসে রবিবার।
রবিবার সন্ধ্যায় পার্ক স্ট্রিটের একটা কফি শপে , দেখা হয় দুজনার , টেবিলে দুটো ধোয়া ওঠা কফির কাপ সামনে সামনি বসা রিনা আর সৃঞ্জয়।
আমি - অবশেষে তোমার সময় হলো , দিনে তো একবার ফোন করতে পারো তুমি।
সৃঞ্জয় - খুব রাগ হয়েছে দেখছি , কি করবো অফিসে যা চাপ যাচ্ছে , আমার কি ইচ্ছা করেনা তোমাকে কাছে পেতে ( বলে আমার হাত দুটো নিজের হাতে নিয়ে )
আমি - সত্যি ! তোমার ইচ্ছা হয় এখনো। বাবাঃ এর আগে তো আমার সাথে কথা দেখা না হলে নাকি তোমার ঘুম হতো না।
সৃঞ্জয় - রিনা বোঝার চেষ্টা করো আমাকে , আমার জীবন কি আগের মতো আছে ,অফিস বাড়ি করতে করতে আর সময় পাই না। বাবা বলছিলো তোমার MBA শেষ হলে তোমার বাড়িতে কথা বলবে , তখন তোমার আর অসুবিধা হবে না , তুমি তো আমার কাছেই থাকবে।
আমি - ইস বাবুর শখ কত , আমি চাকরি করবো তার পর আর সব।
সৃঞ্জয় - সেতো ভালো কথা , তোমার যাওয়া কবে ?
আমি - এই তো সামনের মাসের ২ তারিকে , ট্রেনের টিকেট কনফ্রাম। তুমি যাবে আমাকে তুলে দিতে আমি কোনো কথা শুনবো না।
সৃঞ্জয় - আচ্ছা বাবা আমি যাবো ,
টুকটাক কথা বার্তায় কেটে যাই সন্ধ্যা , ওখান থেকে বেরোনোর আগে সৃঞ্জয় আমাকে ক বার হাগ্ করে। তার পর ক্যাব বুক করে দেয় আমি বাড়ি ফিরে আসি।
মা- জামাই কে একটা ফোন কর , খুব খুশি হবে তুই যে ব্যাঙ্গালোরে চান্স পেয়েছিস ,.
আমি (রিনা ) - একটু বিরক্তির স্বরে , মা জামাই জামাই করোনা তো আমাদের এখনো বিয়ে হয়নি , আর কাকে জানাবো , তেনার আজ অফিস আছে।
মা - অন্তত সৃঞ্জয় এর বাবা মাকে জানা , ওনারাও খুব খুশি হবে ,কর মা ফোনটা কর।
আমি - ( বিরক্তি নিয়ে ) ফোন ধরালাম , রিং রিং রিং , ওপাশ থেকে কল রিসিপ করে সৃঞ্জয়ের বাবা। .
বাবা - সুপ্রভাত ইয়ং লেডি। কি ব্যাপার আবার কি তোদের ঝগড়া হয়েছে , তোদের নিয়ে আর পারিনা।
আমি - না কাকু ওসব কিছু নয় , বলছি আমি ব্যাঙ্গালোরে সুযোগ পেয়েছি। তোমার ছেলেকে জানিয়ে দিয়ো তার তো আমার ফোন ধরার সুযোগ হয় না , তাই তোমাকেই জানালাম।
বাবা - ব্রাভো ! আমি জানতাম তুই পারবি , আমি বলবো কেন ও এখনো বাড়িতেই আছে তুই বলে দে আমি ফোন দিচ্ছি ,
আমি - ( বলতে যাচ্ছিলাম না থাক ততক্ষনে ফোন সৃঞ্জয়ের হাতে )
সৃঞ্জয় - কি খবর এত সকালে , আমিতো আর একটু হলেই বেরিয়ে যেতাম ,
আমি - জানি তো সেই জন্যই কাকুর কাছে করেছি , বলছি আমার ওটা হয়ে গেছে ,
সৃঞ্জয় - উফ ! দারুন খবর , তোর আমার তরফ থেকে নেক্সট রবিবার টিট পাওনা রইলো। এই আমার দেরি হচ্ছে তুই বাবার সাথে কথা বল।
বাবা - তোর সাফল্যে ভালো লাগছে আবার খারাপ লাগছে , তুই তো চলে যাবি। তবে তোর ক্যারিয়ার আগে।
আমি - ( ভেবেছিলাম সৃঞ্জয় আজই ছুটি নিয়ে দেখা করবে ) আচ্ছা কাকু পরে আবার কথা হবে , ( বলে ফোন কেটে দিলাম )
আমার আর সৃজয়ের সম্পর্ক কলেজ থেকে আমি ক্লাস ৮ আর ও ক্লাস ১০ , তখন থেকে বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব প্রেমে রূপান্তরিত হয় , তবে সৃঞ্জয় খুব বাস্তববাদী ছেলে। প্রথম দিকে আমার সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলতাম , দেখা করতাম , সৃঞ্জয় চাকরি পায় আমাদের মধ্যে ভালোবাসা থাকলেও দুরুত্ব বেড়েছে। আগে যেখানে সপ্তায় প্রায় প্রতিদিন দেখা কথা হতো এখন সেটা শুধু ছুটির দিনে দাঁড়িয়েছে। ভালোবাসা আছে তবে দূরত্ব বেড়েছে। দেখতে দেখতে চলে আসে রবিবার।
রবিবার সন্ধ্যায় পার্ক স্ট্রিটের একটা কফি শপে , দেখা হয় দুজনার , টেবিলে দুটো ধোয়া ওঠা কফির কাপ সামনে সামনি বসা রিনা আর সৃঞ্জয়।
আমি - অবশেষে তোমার সময় হলো , দিনে তো একবার ফোন করতে পারো তুমি।
সৃঞ্জয় - খুব রাগ হয়েছে দেখছি , কি করবো অফিসে যা চাপ যাচ্ছে , আমার কি ইচ্ছা করেনা তোমাকে কাছে পেতে ( বলে আমার হাত দুটো নিজের হাতে নিয়ে )
আমি - সত্যি ! তোমার ইচ্ছা হয় এখনো। বাবাঃ এর আগে তো আমার সাথে কথা দেখা না হলে নাকি তোমার ঘুম হতো না।
সৃঞ্জয় - রিনা বোঝার চেষ্টা করো আমাকে , আমার জীবন কি আগের মতো আছে ,অফিস বাড়ি করতে করতে আর সময় পাই না। বাবা বলছিলো তোমার MBA শেষ হলে তোমার বাড়িতে কথা বলবে , তখন তোমার আর অসুবিধা হবে না , তুমি তো আমার কাছেই থাকবে।
আমি - ইস বাবুর শখ কত , আমি চাকরি করবো তার পর আর সব।
সৃঞ্জয় - সেতো ভালো কথা , তোমার যাওয়া কবে ?
আমি - এই তো সামনের মাসের ২ তারিকে , ট্রেনের টিকেট কনফ্রাম। তুমি যাবে আমাকে তুলে দিতে আমি কোনো কথা শুনবো না।
সৃঞ্জয় - আচ্ছা বাবা আমি যাবো ,
টুকটাক কথা বার্তায় কেটে যাই সন্ধ্যা , ওখান থেকে বেরোনোর আগে সৃঞ্জয় আমাকে ক বার হাগ্ করে। তার পর ক্যাব বুক করে দেয় আমি বাড়ি ফিরে আসি।
